সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না

"কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না"  লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার । আজও তোমায় ভুলতে পারিনি। কেন জানো? কারণ, আমি তোমায় রেখেছি আমার হৃদয়ের সূচনায়। দুই অক্ষরের ‘আমি’ ‘তুমি’ চার অক্ষরের ‘ভালোবাসায়’ আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু কত দিন থাকতে পারলাম এই চার অক্ষরে বন্দী? তুমি তো ছিলে আমার জীবনের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে। আমার ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছিল অসংজ্ঞায়িত। অথচ তুমি আমাকে বুঝলে না। রাখতে পারলে না তোমার ত্রিভুজময় জীবনের এক কোণেও। পারলে শুধু চার অক্ষরের ‘সমাপনী’তে রাখতে। চাইলে অন্য কোথাও জায়গা দিতে পারতে আমাকে। তবুও এর কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না। তুমি আমাকে যেভাবেই দেখো আর যত অক্ষরেই রাখো না কেন, আমি তোমাকে তিন অক্ষরের ‘সূচনা’তেই রাখব। কারণ, আমি তোমায় ভালোবাসি।

সমাজ এবং একজন নারী

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার। এখানে নারী অন্তসত্তা হয় জোরপূর্বক সঙ্গমে জরায়ুতে স্থান করে নেয় পর পুরুষের বীর্য, ডিম্বানু নিষিক্ত হয় পুরুষ নামধারী কাপুরুষের শুক্রাণুতে, কিশোরী মাতার কোল জুড়ে আসে ‘’লাওয়ারিশ’। এখানে সন্তানের সামনে বিবস্ত্র করা হয় মা’কে ! মেয়ের নিশ্চিত পরিনতি জেনেই মায়ের মুখে ফুটে উঠে করুন মিনতি- “বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, একজন একজন করে যাও”! লক্ষ-কোটি আর্তনাদ,এক সমুদ্র চোখের পানি, কিংবা ইশ্বরের কাছে ফরিয়াদ কিছুই কর্ণগত হয়না কারো। পরে থাকে রক্তাত যোনী আর ক্ষতবিক্ষত স্তনের অসার দেহ আবারো ধর্ষণ, আরো একজন ধর্ষিতা ! সেদিনও সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছিলো তারা স্বাধীনতা আর মাতৃভূমির দাবিতে। সম্ভ্রম আজও বিলিয়ে দেয়, শুধুমাত্র নারীত্বের অজুহাতে । মানুষ বলে কেউ এখানে নেই পুরুষ মানেই ধর্ষক আর নারী অবধারিত ভাবে ধর্ষিতা ! একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক এই রাষ্ট্রকে মৃত ঘোষণা করে।

নারী এবং নারীর সমস্যা