সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আইন আদালত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্ষন এবং বাঙালি পুরুষ

বাঙালি পুরুষ, বিশেষ করে বাঙালি মুসলিম পুরুষ হচ্ছে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য, যাদের অধিকাংশের চরিত্র ধর্ষকামী, তাদের ধর্ম আছে, নৈতিকতা নেই, তাদের স্ত্রী থাকে, প্রেমিকা থাকে কিন্তু সহযাত্রী বা জীবনসঙ্গী থাকে না, তারা নেতার মতো হুঙ্কার ছাড়তে ভালোবাসে, অথচ তারা প্রকৃতবিচারে চামচার মতো তোষামোদী। তারা মনে করে একটি মেয়েকে বিয়ে করা মানে তাকে সম্পদে পরিণত করা, একটি সম্পর্ককে সম্পদে পরিণত যায়, একটি মানুষকে নয়, বাঙালি মুসলিম পুরুষ এটি জানে না। নিজ স্ত্রীর অনিচ্ছায় যৌনাচরণ করলে যে তা ধর্ষণ কিংবা বিরুদ্ধ যৌনাচরণ হতে পারে এই সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই অধিকাংশ বাঙালি মুসলিম পুরুষের। ধর্ষণের মতো প্রাগৈতিহাসিক ও মধ্যযুগীয় বর্বর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নষ্টামিকে বাঙালি মুসলিম পুরুষ কোরানের আয়াত কপচিয়ে বৈধ করতে চায়- তাদের মতে ধর্ষণের জন্য মেয়েটি দায়ী, তার অবাধ পোষাক, চোখের চাহনি বাঙালি মুসলিম পুরুষকে কামান্বিত করে তোলে, অথচ সেই পুরুষের মাথায় এই চিন্তা খেলে না যে বাতাসে পাতা নড়ার জন্য বাতাসই দায়ী, পাতা নয়, পুরুষ তার যৌনচিন্তা অদমিত লিঙ্গকে সামাল দিতে পারে না বলেই এইসব নষ্টাচার। এইসবের মূলে মূলত আছে ধর্...

কল্পিত অনুভূতি এবং একটি নাটক

কল্পিত আল্লার হুকুমে মানহানী মামলা হচ্ছে মানবিক আদালতে কল্পিত আল্লার পক্ষে। সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে একজন নারী বাউল শিল্পীর বিরুদ্ধে। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি কোন একটি পালা গানের বয়ান দিতে গিয়ে ইসলাম ধর্মের গড, আল্লাকে শয়তান বলেছেন। উনার কথায় প্রচুর যুক্তি আছে। সেটি ভিন্ন তর্কের বিষয়। কিন্তু বিষয়টি ৯৫% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে এবং একজন কুখ্যাত নাট্যকর্মী স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা করেছেন। ছবি:রিতা দেওয়ান ক্ষমা চাচ্ছেন  সেই মামলার ঘটনা নিয়েই আমার এই দুই পর্বের আলোচনা। এই মামলার বিবাদী একজন নারী বাউল শিল্পী এবং তার ধর্ম মতে সে তার কল্পিত আল্লার বান্দা, বাদীও সেই একই আল্লার বান্দা। বিবাদীর অপরাধ হলো তিনি তার কল্পিত আল্লার হুকুমে তার কল্পিত আল্লাকে কল্পিত শয়তান বলেছেন। এখানে আল্লা এবং শয়তান দুজনই কল্পিত চরিত্র। এদের দুজনার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই। বিবাদী যা কিছু করেন তাও তার কল্পিত আল্লার বিধানের বিপরীত হলেও তিনি মানুষকে বাউল গানের মাধ্যমে সেই কল্পিত ধর্মের আধ্যাত্মিক জ্ঞান বিতরন করেন। বাদী একজন নাট্যকর্মী। তিনি যা কিছু করেন সবই ...

শরিয়া আইনে ধর্ষণ এর সাজা

যারা আশা/মনে করেন শরিয়া আইন কার্যকর হলে ধর্ষণ কমে যাবে তারা একটু ভাল করে পড়ুন। শরিয়া আইনে  ধর্ষণ  কি? শরিয়া আইনে জেনা আর ধর্ষণ একই জিনিস। “বলপ্রয়োগকারী জেনার শাস্তি ভোগ করিবে যদি বলপ্রয়োগ প্রমাণিত হয়।” – ‘বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন’, ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৪খ। তাহলে  জেনা  কি? “কোনো পুরুষ বা নারী বলপ্রয়োগ করিয়া পর্যায়ক্রমে কোনো নারী বা পুরুষের সহিত সঙ্গম করিলে তাহা জেনা হিসেবে গণ্য হইবে।” – ‘বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন’, ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৪। জেনা কি  ধরণের  মামলা? চুরি-ডাকাতি-মদ্যপান-খুন-জখম-মানহানি-জেনা (এগুলো হুদুদ মামলা) প্রমাণ চারজন পুরুষ সাক্ষী, নারী সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। – ‘বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন’, ১ম খণ্ড ধারা ১৩৩; শফি আইন 0.13.1, 0.24.9; মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরান – পৃষ্ঠা ২৩৯ আর ৯২৮; ‘দ্য পেনাল ল অব ইসলাম’, পৃষ্ঠা ৪৪; হানাফি আইন হেদায়া, পৃষ্ঠা ৩৫৩; শফি আইন o.24.9; ‘ক্রিমিন্যাল ল ইন ইসলাম অ্যান্ড দ্য মুসলিম ওয়ার্লড’, পৃষ্ঠা ২৫১। তাহলে জেনার ক্ষেত্রে কেমন  সাক্ষী  লাগবে? “হুদুদ মামলায় পারিপার্শ্বিক প্রমাণ চলিবে না।” (চাক্ষুষ সাক্ষী থাকতে হবে)...