সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নারী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাবা-তোমার ছেলেকে বলো ধর্ষণ কি

মেয়েটি বলছিল, ‘আমি সব সময় এইটা প্রে (দোয়া) করতাম এই সব বাজে জিনিস যাতে আমি ফেইস (মুখোমুখি না হই) না করি। বাট সি অ্যাগেইন আমি ফেইস করছি (কিন্তু দেখ আমি মুখোমুখি হলাম)।’ কথাটা পড়ে সে কেঁপে উঠেছে। এই প্রার্থনা তো সে-ও করত। সব মেয়েই মনে মনে এই দোয়া করে? মেয়েটা বড় হয়েছে এই ভয় নিয়ে। যত বড় হয়, ভয়টাও তত বড় হয় তার সঙ্গে। কিন্তু কেন সব ভাই, সব বাবা, সব বন্ধু, সব প্রেমিক প্রতিজ্ঞা করে না? ধর্ষক না হওয়ার প্রতিজ্ঞা, ধর্ষণের শিকারকে ‘পতিতা’ বা ‘কুলটা’ না ভাবার প্রতিজ্ঞা! প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় দুজনেরই কি ক্ষতি হয় না? কারো পুত্র করে পাশবিকতা আর কারো কন্যা হয় শিকার। যদি কোনো বাবার ছেলেরা ধর্ষক না হয়, তাহলে কোনো বাবার মেয়েরাও বেঁচে যায়! মেয়েটি ভাইকে খুব ভালোবাসত। আর বাবা ছিল তার প্রথম বীর, প্রথম শিক্ষক, প্রথম ‘মি. হান্ড্রেড পার্সেন্ট’। বাবার হাত ধরে স্কুলে যেত। নির্ভয়ে। জানত, সেই হাত সবচেয়ে নির্ভরতার। কেউ তা ছাড়াতে পারবে না। ভাইয়ের সঙ্গে খেলত খুব, দুজনের ঝগড়াও হতো খুব। তবুও ভাই বাড়িতে না থাকলে তার মন পোড়াত। মায়ের কোল ছিল তার ঘুমের প্রিয় জায়গা, ছিল মায়ের প্রাণভোমরা। সেই মেয়েটি একদিন জানল, ‍দুনিয়া...

নারীবাদ বা নারীমুক্তির সংগ্রাম

নারী মাত্রেই নারীবাদী নন। নারীবাদী মাত্রেই নারী নন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজবাস্তবতায় নারীবাদ নারীর অন্তিম অর্জন না প্রাথমিক শর্ত সেই নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু এটা খুব সত্যি, নারীবাদ পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীর অন্যতম প্রতিরোধ। কিন্তু বর্তমান ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদী বিশ্বে নারীবাদ কি আদৌ নারীর রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পেরেছে? এই প্রশ্নগুলির সাথে আমরা কতটুকু পরিচিত। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের সাথে এই প্রশ্নগুলিই বা কতটুকু সংশ্লিষ্ট? আমি বলছি আমাদের সাধারণ জনসাধারণের কথা। আমাদের দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনচর্চার সামাজিক পরিসরে নারীবাদের প্রাসঙ্গিকতাই বা কতখানি? এবং নারী নিজে কি ভাবে দেখে থাকে এই বিষয়গুলি? না বিষয়টি এতটাই ব্যাপক ও বৈচিত্রময় যে, এক কথায় এর কোন উত্তর হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের পরিসরে, আমাদের সামজিক রীতিনীতির পরতে পরতে উত্তর রয়ে গিয়েছে প্রতিটি প্রশ্নেরই। পিতৃতন্ত্রের স্বরূপ ও ইতিহাস নির্ণয়ের দিকে না গিয়েও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কালের নিয়মেই পিতৃতন্ত্রের প্রকরণ ও অনুষঙ্গেও বদল ঘটেছে বিস্তর। আধুনিক প্রযুক্তির বিপ্লব ও ধনতন্ত্রের একচ্ছত্র বিশ্বায়নেই ঘটেছে এই পরিবর্তন। ...

যখন দাঁড়াই প্রতিচ্ছবির সামনে

শরীরটা আমার । তাই আমার শরীর নিয়া আমি কি করবো সেই স্বাধীন সিদ্ধান্ত একমাত্র আমিই নিতে পারি । আমার নিজের শরীর নিয়া আমি কি করবো সেইটা আমার ইচ্ছা ও আমার সিদ্ধান্ত - অন্যেরা এই ব্যাপারে কোনো মাতব্বররি ও স্বৈরাচারীতা করতে পারবেনা । ঠিক আছে ? বুঝাইতে পারলাম ?  অতএব , নারীর শরীর ও নগ্নতা এমন কোনো নিষিদ্ধ কিছু না , যে নারীর শরীর সহ প্রত্যেক মানুষের শরীর ঢেকে রাখতেই হবে বা প্রয়োজন ছাড়াই অতিরিক্ত কাপড় দ্বারা অবরুদ্ধ করে রাখতেই হইবে ?? পোশাক আমরা ব্যবহার করবো শুধু আমাদের শরীরকে নিরাপদ রাখার জন্য , কাউকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য না ।  কিন্তু - কেউ যদি বিভিন্ন পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে একটা নতুন ধরন ও শৈলী বা ঢংএ নিজেকে উপস্থাপন করে সেইটা যারযার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও পছন্দ বা ইচ্ছা - এতে অন্যদের বাঁধা দেয়া ও সমালোচনা করার কিছুনাই , আর করলেও সেটা হবে মূর্খতা , বোকামী ও মূঢ় বেকুবের মতো অর্থহীন একটা কাজ ।  আমার ফেবুর প্রফাইল ছবিতে কেনো নারীর নগ্ন শরীরের ছবি ব্যবহার করলাম , জানেন ? এখন বলছি - করলাম কারণ , আমাদের মূর্খ অসভ্য কুপমুন্ডক সমাজের আমজনতারা বংশপরম্পরায় ...

রোজাহত বিদ্যানন্দ বা এক নিমিষেই

শুরু করি রুদ্রের কবিতা দিয়েই..... ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম- ভালোবাসা । বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর লোগো  ২.বিদ্যানন্দ একসময় নিজেদের নাম পরিবর্তন করার জন্য ভোটা-ভোটি করেছিলো।কিন্তু সেইসময় হয়তো, ৯০% মুসলমান বাঙ্গালী সেই সংগঠন এর সাথে ছিলো না এর জন্য ভোটা ভোটিতে বিদ্যানন্দের নামটা পরিবর্তন হয়নি। এখন যেহেতু ৯০% হইয়া গেছে সেহেতু নামটা ইসলামীকরণ করা যেতেই পারে। ফেসবুক এর কল্যাণে ইসলামিক কিছু নামের প্রস্তাব এসেছে। এই যেমন,শফীনন্দ, ইলেমানন্দ,কিতাবানন্দ,মোল্লানন্দ,কুরানানন্দ,আল্লানন্দ,বা ধরেন আল্লার দান। খুজলে এরকম আরো অনেক নামের প্রস্তাব পাওয়া যাবে। এগুলোর যেকোন একটা নাম রেখে দিলেই হয়। আল্লাও খুসি আপনিও খুসি আপনার আমার প্রাইম জোকারও খুসি বলা যায় এতে। ৩.বিদ্যানন্দের এরকম মুষড়ে পড়াতে বেশির ভাগ লোকের মতামত হইলো মুলসম্যানদের লাফালাফিই হয়তো কারণ। বেশির ভাগ বলতে এই কারণেই আমাদের এই কমিউনিটিতে বেশি দেখি যাদের সেক্যুলার সমাজের চিন্তা ভাবনা দেখে আসছি তাদের কথাই বলতেছি। কিন্তু সহজ ভাবে একটু চিন্...

শাড়ি

'নারীর পোশাক শাড়ি' - এইটা কে বা কারা আইন করে , নীতিমালা করে নির্ধারণ করলো !! ?? শাড়ির মতো ছয় গজের এমন বিশাল একটা কাপড়কে সায়াব্লাউজ সহকারে পরিধান করার পর একজন মানুষ কি সচ্ছন্দে চলাফেরা বা কাজ করতে পারে , বুঝি না !! ?? শাড়িকে যদি নারীর পোশাক হিসেবে নির্ধারণ করা হবে - তাহলে পুরুষ কেনো চার গজের ধুতি ও ফতুয়া পড়বেনা ?? পুরুষ ঐতিহ্যময় পোশাক ধুতিফতুয়া ত্যাগ করে যদি ভিন্ন কোনো আরামদায়ক ও কাজে সাহায্যকারী পোশাক পরতে পারে - তবে নারী কেনো শাড়ি ত্যাগ করে অন্য কোনো আরামদায়ক ও কাজে সাহায্যকারী পোশাককে বেছে নেবেনা !! ?? না , ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্যময় পোশাক শাড়িধূতিকে আমি অসম্মান করছি না । বরং আমি চাই ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্য টিকে থাকুক । তবে সেইসব ঐতিহ্যকে আমি টিকিয়ে রাখতে চাই যা যৌক্তিক , বিজ্ঞানভিত্তিক অর্থ্যাৎ বিজ্ঞানের সুত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় ও যা সময় ও যুগোপযোগী ইত্যাদি ; বাকিটা ঐতিহ্য হিসেবে জাদুঘরে সংগ্রহ থাকুক । সুতরাং ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্যময় পোশাকের মধ্যে যেইসব পোশাকগুলো কাজ ও চলাফেরার জন্য পরতে সাবলীল ও আরামদায়ক - আমার মতে সেইসব পোশাকই ভারতবর্ষের বাঙালী নারীপুরু...

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্ন গুলি পঞ্চম পর্ব

আমার ১২তম প্রশ্ন। ক) একটি মেয়ে সন্তান কিংবা একজন নারীকে নিয়ে কি কেউ স্বপ্ন দেখে? খ) একজন নারীর স্বপ্ন পূরনে একটা পরিবার, সমাজ, কিংবা রাষ্ট্র কতটুকু সহযোগিতা করে? গ) ধর্মগ্রন্থগুলোতে একজন নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কি কি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? আমি যে দেশটায় থাকি ওখানে কোনদিন কোন নারী প্রেসিডেন্ট হয়নি। ব্যাপারটা নিয়ে অনেকে আফসোস করে, কেউবা অবাক হয় আবার কেউ কেউ একজন নারীর অতো যোগ্যতা নেই বলে ব্যঙ্গ করে। আবার আশাবাদী মানুষও আছে যারা বলে আজ না হোক খুব শীঘ্রই হবে। একদিন এক ফ্রেন্ডের সাথে গল্প করার সময় বলেই বসলাম “ Dont worry, my daughter will be the first female President of this country”। কথাটা হজম করতে সবার কষ্ট হচ্ছে তাইনা? আমারও হয়েছিলো। কিন্তু আমি একজন মা তো। আর দশজন মায়ের মতো সন্তানকে নিয়ে নাহয় একটু বেশীবেশীই বলে ফেললাম। সত্যি কথা বলতে কি আমার মেয়ে বড়ো হয়ে কি হবে ওটা সম্পূর্ন তার উপর। সে যদি কোন সায়েন্টিস্ট হতে চায় তার ইচ্ছা। যদি সে এ্যাথলেট হতে চায় তার ইচ্ছা। যদি সে রাজনীতিবিদ হতে চায় তার ইচ্ছা। সে যদি ব্যবসায়ী হতে চায় তার ইচ্ছা যদি টিভি মিডিয়ায় কাজ করত...

স্তন কর কি এবং কেন?

স্তন কর কি এবং জানতে নিচের ভিডিওটা দেখতে পারেন। মূলতঃ দক্ষিণ ভারতের নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলারা গায়ে বিশেষ করে বুকের ওপর কোন কাপড় পরিধান করতে পারতো না। তাদের স্তনকে উন্মূক্ত রাখতে হতো সবসময়। আর যদি তাদের বুকের ওপর কোন কাপড় পরিধান করতে ইচ্ছা পোষণ করতো তবে তাদেরকে স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। এই রকম একটি আইন বা নিয়ম উনিশ শতকের প্রথম দিকে দক্ষিণ ভারতে চালু ছিল। আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য অনেক নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলা অনেকটা বাধ্য হয়েই এই বর্ণ ভিত্তিক স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্স প্রদান করতো। স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্সের ধরণ কেমন ছিল? যেসব নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলার স্তন ছোট ছিল তাদেরকে অল্প কর বা অল্প ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। কিন্তু সমস্যা ছিল ঐ সমস্ত মহিলাদের যাদের স্তনের আকার ছিল বড়। তাদের বড় আকারের স্তনের জন্য বেশি পরিমাণ কর বা ট্যাক্স প্রদান করতে বাধ্য করা হতো। এই আইন কী সবার জন্য প্রযোজ্য ছিল? এই আইন সব হিন্দু মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। যারা উচ-বর্ণের ব্রাহ্মণ শ্রেণির মহিলা ছিল তাদের এই কর বা ট্যাক্স দিতে হতো না এবং তারা বুকের ওপর কাপড় পরি...

জ্যোতিষীদের প্রতি নারীদের এতো আস্থা কেন?

কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে কিংবা আড্ডায় মধ্যমনি হতে চাইলে শুধু মুখ ফুটে একবার বলুন আপনি একটু আধটু ভাগ্য গণনা করতে জানেন। ব্যাস, আপনার চারপাশে যে ভিড়টা জমে উঠবে। খেয়াল করবেন তাতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যাটাই বেশি। আপনার অনেক পুরুষ বন্ধুই বিরক্তি দেখিয়ে কেটে পড়লেও নারীদের ভিড় কিন্তু বাড়তেই থাকবে। কারণ জ্যোতিষিদের ওপর পুরুষদের চেয়ে নারীদের আস্থাটা একটু বেশিই। মনোবিজ্ঞানী এইচ জে আইস্নেকের মতে, যে বিষয়টি কোনো মানুষের জন্ম, বিয়ে, পেশা, উন্নতি, চরিত্র এবং জীবন ইতিহাস গ্রহের অবস্থানের ওপর বিচার করে তাকেই জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে।  খ্রিস্টের জন্মের দুই হাজার বছর আগে ব্যবিলনীয়রা এই বিদ্যা আবিষ্কার করে। এ হিস্টোরি অব হরোস্কোপ অ্যাস্ট্রলজির লেখক জেমস এইচ হোলডেনের মতে, সমাজের জ্ঞানীরা এ বিদ্যা চর্চা করতেন। ভালো-মন্দ লক্ষণ বিচারের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক চর্চা ও বিভিন্ন দেবতাদের শান্ত করতেও এটি ব্যবহৃত হতো।তবে শুরু থেকেই এ বিদ্যার ওপর পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিশ্বাসটাই ছিল বেশি। এ কারণে বিভিন্ন সমাজে নারীদেরকেই এ বিদ্যা চর্চা করতে দেখা গেছে। এ কারণে অনেক সময় তাদের ডাকিনী, যোগীনি নামেও ডাকা হয়...

পারিবারিক আইন বা ধর্মীয় আইনে নারীর অবস্থান

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিক আইন নামে দুই ধরনের আইন বিদ্যমান। প্রথমটি রোমান আইনের ভিত্তিতে রচিত এবং দ্বিতীয়টি বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের ভিত্তিতে রচিত। হিন্দু, খৃষ্টান, মুসলিমদের জন্য স্ব স্ব ধর্মীয় আইন বিদ্যমান। আজ পর্যন্ত ব্যাক্তিক আইনের কোনো সংস্কার সাধন হয়নি, ফলে ঐতিহাসিকভাবে এই আইন নারী পুরুষের ক্ষেত্রে অসমই থেকে গেছে। হত্যা, ধর্ষন, অপহরণ ইত্যাদি নিপীড়নের চরমতম ক্ষেত্র বাদে অধিকাংশ নারী নিপীড়ন ও নির্যাতন ক্ষেত্র যেমন সম্পত্তি নিয়ে কলহ, তালাক ও বহুবিবাহ এ সবই ব্যক্তিক আইন আইনের পরিসরে গণ্য করা হয়। এই সকল তথা কথিত "ব্যাক্তিক" আইন ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্রীয় জগতে প্রবেশ করে তখনই যখন নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করে নতুবা নারী এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠে তখন। এ ক্ষেত্রে সমাজ অধিকাংশ সময় ধামা চাপা দেয়ার কৌশল অবলম্বন করে। ব্যক্তিগত কোনো বিষয় যেন কখনোই রাজনৈতিক ভাবে প্রকাশিত না হতে পারে তার জন্য সবাই সোচ্চার থাকে। অনেক সামাজিক নিয়ম, ধর্মীয় বিশ্বাস ও রাষ্ট্রীয় নীতি আছে যা অনেক ঘটনাকে ব্যক্তিগত, লজ্জাজনক এবং প্রকাশ করা উচিৎ নয় বলে মনে করে। এটা আশ্চর্যজনক নয় যে এ ধরণের ঘট...

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো চতুর্থপর্ব

আমি ফাতিমা জান্নাত বলছি। আমার দশম প্রশ্ন  ক)    একজন নারীর খোলামেলা পোষাক কিংবা জীবনযাপন দেখে কারো যৌন অনুভুতি জাগার কারনে ধর্ষন, হত্যা কিংবা ওগুলোকে সাপোর্ট করা কি ন্যায় সংগত? আজকে ছোট্ট একটা কুইজ দেই আপনাদের:    ১৫/১৬ বছর আগে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার সময় চকরিয়া নামক জায়গায় জঙ্গলের ভেতর থেকে কে যেন আমাদের গাড়িতে কয়েকটা পাথর ছুরে মেরেছিল। ড্রাইভারের পাশের গ্লাসটা ফেটে গেলেও ভাগ্য ভালো কেও কোনও আঘাত পায়নি। লোকাল এক পুলিশের থেকে পরে জানতে পারলাম অল্প বয়সি বখাটে ছেলেপুলে জঙ্গলের ভেতর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে গাড়িগুলোতে ঢিল মারে। কে কয়টা নিশানা লাগাতে পারে এটার উপর তারা নাকি টাকার বাজি ধরে। একবারও ভাবেনা পাথরের আঘাতে কেউ মারাও যেতে পারে। বখাটে ছেলেরা ওদের বখাটে অনুভূতি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। পরিবেশ, পরিস্হিতিই ওদের এমন বানিয়েছে। আমরা ঐপথ দিয়ে গেলে ওরা তো পাথর মারবেই এতে ওদের কি দোষ?  খাবার সামনে দেখলে তো মাছি বসবেই। সিন্দুক খোলা থাকলে চুরি তো হবেই। তো এর সমাধান কি করা উচিত ছিল- ১)     ঐ একমাত্র হাইওয়ে দিয়ে আমাদের কক্সবাজার যাওয়াই ...