মেয়েটি বলছিল, ‘আমি সব সময় এইটা প্রে (দোয়া) করতাম এই সব বাজে জিনিস যাতে আমি ফেইস (মুখোমুখি না হই) না করি। বাট সি অ্যাগেইন আমি ফেইস করছি (কিন্তু দেখ আমি মুখোমুখি হলাম)।’ কথাটা পড়ে সে কেঁপে উঠেছে। এই প্রার্থনা তো সে-ও করত। সব মেয়েই মনে মনে এই দোয়া করে? মেয়েটা বড় হয়েছে এই ভয় নিয়ে। যত বড় হয়, ভয়টাও তত বড় হয় তার সঙ্গে। কিন্তু কেন সব ভাই, সব বাবা, সব বন্ধু, সব প্রেমিক প্রতিজ্ঞা করে না? ধর্ষক না হওয়ার প্রতিজ্ঞা, ধর্ষণের শিকারকে ‘পতিতা’ বা ‘কুলটা’ না ভাবার প্রতিজ্ঞা! প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় দুজনেরই কি ক্ষতি হয় না? কারো পুত্র করে পাশবিকতা আর কারো কন্যা হয় শিকার। যদি কোনো বাবার ছেলেরা ধর্ষক না হয়, তাহলে কোনো বাবার মেয়েরাও বেঁচে যায়! মেয়েটি ভাইকে খুব ভালোবাসত। আর বাবা ছিল তার প্রথম বীর, প্রথম শিক্ষক, প্রথম ‘মি. হান্ড্রেড পার্সেন্ট’। বাবার হাত ধরে স্কুলে যেত। নির্ভয়ে। জানত, সেই হাত সবচেয়ে নির্ভরতার। কেউ তা ছাড়াতে পারবে না। ভাইয়ের সঙ্গে খেলত খুব, দুজনের ঝগড়াও হতো খুব। তবুও ভাই বাড়িতে না থাকলে তার মন পোড়াত। মায়ের কোল ছিল তার ঘুমের প্রিয় জায়গা, ছিল মায়ের প্রাণভোমরা। সেই মেয়েটি একদিন জানল, দুনিয়া...
অনলাইন বাংলা ব্লগ।মুক্তচিন্তা বিষয়ক বাংলা ব্লগ।এখানে গল্প, রহস্য, থ্রিলার গল্প পাবেন।পাবেন সমসাময়িক সমস্ত খবর