সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফিচার ব্লগ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ক্যালেন্ডার বছরের হুবুহু পুনরাবৃত্তি

প্রায়ই কোন ইন্টারেস্টিং কিন্তু অসম্পূর্ণ, ডাটা বা তথ্যের ভিত্তিতে, কিছু অদ্ভুত দাবী ও সিদ্ধান্ত দেখি। আর বেশিরভাগ মানুষও কিছু শোনার পর, নিজে আর চিন্তা করতে পছন্দ করছে না ইদানীং। অবশ্য চিন্তা করলেই যে, ইন্সটান্ট কিছু টাকা পকেটে ঢুকে যায় এমন নয়, বরং ইন্সট্যান্ট শেয়ার, রিয়াক্টের মাধ্যমেই কিছু সোশিয়াল ক্যাপিটাল দেওয়া-নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাই হয়ত, চিন্তার চেয়ে রিয়েকশনের প্রবণতাটা বেশি থাকে । . প্রতিবছর এই সময়টায়, পরবর্তী বছর নিয়ে অনেক আশাবাদ, ভবিষ্যৎবানী, অথবা ক্যালেন্ডার বিষয়ক কিছু কৌতুহল পুর্ন অবজার্ভেশন বের হয়ে আসে। এবার ক্যালেন্ডার বিষয়ক, যে অবজারভেশনটি মার্কেটে এসেছে, সেটা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের ক্যালেন্ডার হুবুহু ২০২১ সালে রিপিট হতে যাচ্ছে। Science Bee Family গ্রুপের একটি পাবলিক পোস্ট- Science Bee Family এছাড়া আলাদাভাবেও বেশ কয়েকজন শেয়ার করছে সেইম ব্যাপারটা। . বাংগালীর ইতিহাসে, ১৯৭১ একটি বিশেষ বছর। তাই অনেকেই আকাশ থেকে পড়ছেন এটা দেখে। রিয়াকশন কিছুটা, এটা কিভাবে সম্ভব হয়ে গেলো ? হুবুহু সেম ক্যালেন্ডারের তথ্যটি সঠিক, তবে কিভাবে সম্ভব হলো বুঝতে বা বুঝাতে গিয়ে, অনেকেই কিছু ভুল সিদ্ধান্তে উপনিত...

আমরা স্বপ্ন কেন দেখি?

এক সন্ধ্যায় আমি একটা অদ্ভুত রকমের স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নটি ছিলো রোমাঞ্চকর। বলে রাখা ভালো আমি অনেক দিন কোন স্বপ্ন দেখিনি। শেষ কবে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার ঠিক মনে নেই। স্বপ্নের মধ্যেই আমি বিচরণ করি অন্য রকম একটি জগতে যে জগতটা আমি কখনোই বাস্তবে দেখিনি। আমি এক অরণ্যে বিচরণ করতেছি। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছ আমি উদ্দাম এর মতো সে রাস্তা ধরে চলতেছি।। যেতে যেতে একটি উচু পাহাড়ে উঠে পড়েছি। একসময় দেখতেছি সেই উচু পাহাড় থেকে আমি নিচে পড়ে যাচ্ছি। আমি তলিয়ে যাচ্ছি নিম্ন থেকে নিম্নতরে.... ঠিক সেই মহুর্তেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু স্বপ্নের সেই অদ্ভুত রেশ আমার মনে দারুন দাগ কেটে গেছে। মনের মধ্যে অন্য রকম রোমান্স এর জন্ম দিয়েছে। এরকম স্বপ্ন হয়তো আপনারও দেখেন। এই স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নের বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়েই আজকের এই ফিচার। স্বপ্ন নিয়ে গবেষকরা কি বলছেন আমরা এই ফিচারটি জেনে নিবো। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই স্বপ্ন সম্পর্কিত কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা- ১- সাইকোলজিদের মতে আপনার যদি রাত্রে অনিদ্রা হয় তার মানে আপনি হয়ত অন্য কারো স্বপ্নে জীবিত ছিলেন। মানে আপনাকে নিয়ে হয়তো কেউ স্বপ্ন দ...

জ্বীন-ভুত বিষয়ক একটা লাইভ ভিডিওর রিভিউ, এবং প্রাসংগিক কিছু আলোচনা

গভীর রাতে, জংগলের ভিতরে, জ্বীন-ভুতের সাথে একেবারে মুখোমুখি ক্লোজ এনকাউন্টারের একটা ফেসবুক লাইভ ভিডিও, "Ghost Hunter Investigator" পেজ থেকে পোস্ট হয়েছে গত পরশুদিন। ভিডিওটি মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ৮ লক্ষ+ ভিউ, ২৮ হাজার+ রিয়েকশন, ৫০ হাজার+ কমেন্ট এবং ৫ হাজার+ শেয়ার হয়েছে। . বাকি অংশ পড়ার আগে, ভিডিওটির অল্প কিছু অংশ দেখে নিতে পারলে ভালো। সম্পুর্ন ভিডিও ১ ঘন্টা ১৪ মিনিটের। বিল্ড আপ সহ মুল ঘটনা গুলি দেখতে চাইলে, ২০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত, আর সরাসরি জ্বীন এনকাউন্টার পার্ট থেকে শুরু করতে চাইলে, ৩৩-৪২ মিনিট পর্যন্ত। সাউন্ডসহ কথা বুঝে দেখলে ভালো। ডিসক্লেইমারঃ ১৮ বছরের নিচে অথবা বড়রা যারা একটুতেই অনেক বেশি ভয় পান, তারা এড়িয়ে যান দয়া করে, অযথা রিস্ক নিয়েন না। ভিডিওটির লিংকঃ Ghost Hunter Investigator উল্লেখিত অংশটুকু দেখা শেষ হলে, লেখার বাকি অংশ পড়ুন। কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা শেষে, আমি ভিডিওটির একটা সহজ ব্যাখ্যা দিতে চাই। . অনেক প্যারানরমাল কেস স্টাডি ও পরিচিত সার্কেলে কিছু ঘটনা থেকে জানি, এগুলি প্রায় সবই মনের ভুল, মিথ্যে বা সাজানো ঘটনা, প্রতারণা। অতীতে বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে বহু জ্বীন হাজিরের ঘট...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...

রোজাহত বিদ্যানন্দ বা এক নিমিষেই

শুরু করি রুদ্রের কবিতা দিয়েই..... ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম- ভালোবাসা । বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর লোগো  ২.বিদ্যানন্দ একসময় নিজেদের নাম পরিবর্তন করার জন্য ভোটা-ভোটি করেছিলো।কিন্তু সেইসময় হয়তো, ৯০% মুসলমান বাঙ্গালী সেই সংগঠন এর সাথে ছিলো না এর জন্য ভোটা ভোটিতে বিদ্যানন্দের নামটা পরিবর্তন হয়নি। এখন যেহেতু ৯০% হইয়া গেছে সেহেতু নামটা ইসলামীকরণ করা যেতেই পারে। ফেসবুক এর কল্যাণে ইসলামিক কিছু নামের প্রস্তাব এসেছে। এই যেমন,শফীনন্দ, ইলেমানন্দ,কিতাবানন্দ,মোল্লানন্দ,কুরানানন্দ,আল্লানন্দ,বা ধরেন আল্লার দান। খুজলে এরকম আরো অনেক নামের প্রস্তাব পাওয়া যাবে। এগুলোর যেকোন একটা নাম রেখে দিলেই হয়। আল্লাও খুসি আপনিও খুসি আপনার আমার প্রাইম জোকারও খুসি বলা যায় এতে। ৩.বিদ্যানন্দের এরকম মুষড়ে পড়াতে বেশির ভাগ লোকের মতামত হইলো মুলসম্যানদের লাফালাফিই হয়তো কারণ। বেশির ভাগ বলতে এই কারণেই আমাদের এই কমিউনিটিতে বেশি দেখি যাদের সেক্যুলার সমাজের চিন্তা ভাবনা দেখে আসছি তাদের কথাই বলতেছি। কিন্তু সহজ ভাবে একটু চিন্...

অরিজনাল সিন অব পারভারশন

লেখকঃআবু তাহের তারেক। গ্রামে পারভারশনের পরিমাণ শহরের চাইতে কম। গ্রামে মূলত বিচার বেবস্থার হর্তাকর্তারা নৈরাজ্যমূলক কামকাজ যেমন খুন-গুম-মারামারি-নারী নির্যাতন এইগুলা করে। এর বাইরে, এদের মইদ্যে একটা সেক্সুয়াল কনসেন্টমূলক পরিবেশ বিরাজ করে। নারীদের কাম নারীরা করে। পুরুষের পাশাপাশি থাইকাই। ফলে, তাদের নিজেদের মইদ্যে আলাপের, ভুল বোঝাবুঝির, সমঝোতার স্পেইস সবসময় থাকে। শহরে বা বা উপশহরে মানুষের লগে মানুষের মিশামিশির এমন স্কৌপ নাই। এইখানে হিন্দুর জাতপ্রথার মত শিক্ষিতে অশিক্ষিতে, ধনীতে গরীবে, সুন্দরে অসুন্দরে বিভেদের দেওয়াল। প্রতিটা বাড়িতে দেওয়াল। দেহে দেওয়াল। মনে দেওয়াল। গ্রামের যে মেয়েটা শহরের সাহেব লোকদের বই পড়ে ইশকুল কলেজে, তাইও এই দেওয়াল সোসাইটির বাসিন্দা হয়। এই দেওয়াল সোসাইটির বড় যে প্রব্লেম তার অইন্যতম হইল সেক্সুয়াল পারভারশন। আপনারা দেখবেন প্রতিটা শহরের কোনায় কোনায় মাগিদের আনাগোনা। বাসায় বাসায় মাগিব্যাবসা। কিন্তুক, গ্রামের মানুষদের মইদ্যে এই মাগিবেবসা প্রায় নাই। কেনেনা, তাদের সেক্সুয়ালিটি, সেক্সুয়াল কনসেন্ট, অবাধ মিলমিশ তারারে মানসিকভাবে অসুস্থ/পারভার্ট হইতে দেয় না। শহরে বিচত্র ...

ভাবনার প্রিজম

১২ বছর ধরে দেশের উন্নয়ন চলতেছে। ১২ বছরের উন্নয়ন মুলক দেশে এখনও লোকে ভাতের অভাবে সুইসাইড করে মরে। চিকিৎসা, শিক্ষা, বস্ত্র,বাসস্থান এসবের কথা গুলো না হয় এড়িয়েই যাই। আবার বলতে গেলে এড়িয়ে যাবার উপায়ও নেই আপনারা এই বিষয়গুলো আমার থেকেও ভালো জানেন, বুঝেন, এবং দেখেন। মধ্যে রাতে ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলে ছিন্নমূল মানুষদের রাস্তার পাশে ঘর-বিছানার অভাবে শুয়ে থাকতে দেখেননি এরকম মানুষও হয়তো কম আছে। শিক্ষার কি করুন দশা সেটা দেখলেই বুঝা যায় আপনাদের আচার-আচরণ আর মানসিকতা গুলোকে। চিকিৎসা কথা আর কি বলা উচিত? ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো সাধারণ রোগেও মরে ভুত হয়ে গেছে আমাদের কত জনগোষ্ঠী। আর বস্ত্রের কথা বলতে গেলে বলতে হয় শীতের সময় সামন্য কিছু মানুষের কম্বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি দেখলেও। এই বিষয় গুলোকে না হয় এড়িয়েই যাই। কিন্তু খাদ্য? শিক্ষিত ভদ্রজনরা যাকে বলে অন্ন। আমার মতো দুই দিনের বৈরাগী ভাতরে বলবে অন্ন এটা হয়তো বেমানান শুনাবে। এই তো সেদিনই বলেছিলাম, অন্ন চিন্তাটা চমৎকার কার? এই চিন্তায় একবার গ্রাস করলে জগতের সমস্ত কাজ কারবার গুলোতে আপনি এগুতে পারবেন না। বলতে হয়তো হবে না,না পেলে মরে যাবো না পে...

মানববিজ্ঞানী Taylor-এর মতে ধর্ম ও তার উৎপত্তি

E.B. Taylor-এর মতে, "ধর্ম হচ্ছে প্রেতাত্মায় বিশ্বাস।" তিনি মনে করেন, "It seems best simply to claim as a minimum definition of religion, the belief in spiritual beings." তিনি ধর্মকে ধর্মকে দেখেছেন একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়া হিসেবে এবং দেখিয়েছেন ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে মানুষের চিন্তনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তার নিকট ধর্ম হলো, আত্মা বা প্রেতাত্মায় বিশ্বাস (Belief in Soul or Spirit). ধর্মেকে সংঙ্গায়িত করতে গিয়ে তিনি 'সর্বপ্রাণবাদ' (Animism) বলে একটি তত্ব দিয়েছেন। এখানে দু'টি প্রশ্ন করা হয়। ১. কি জীবিত এবং মৃতের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়? ২. মনশ্চক্ষে আবিষ্ট অবস্থায় অথবা স্বপ্নে যা দেখে তা কি? উত্তর হচ্ছে আত্মা বা প্রেতাত্মা। অর্থাৎ, আত্মা বা প্রেতাত্মায় বিশ্বাস এবং বিশ্বাসকেন্দ্রিক যে আচার ব্যবস্থা, তা-ই ধর্ম। বিবর্তনবাদী মানববিজ্ঞানী E.B. Taylor তার বিখ্যাত Primitive Culture(1871) গ্রন্থে ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন, যা অনেকটা এরকম- "মানুষ প্রথমে আত্মার ধারণায় উপনিত হয়েছে, তারপর সকল বস্তুতে আত্মার বা প্রাণের ধারণা আরোপ ক...