সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারী এবং নারীর সমস্যা






লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার

কি শহর কি গ্রাম, কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত, ধর্মীয় বেত্তা কিংবা সেকিউলার সবাই নারী সম্পর্কে শুধুমাত্র প্রচলিত ও চর্চিত কিছু বুলি আউড়ায়। এসবের অনেক কিছুই মানবতাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে একেবারেই সাপোর্টেড না। এসব দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে কিছুটা ক্লান্ত ।

হুজুর তথা আলেমদের বিয়ে ও নারীর অধিকার বিষয়ক কথাই ঠিক যতটা ক্লান্ত, তেমনি তথাকথিত নারীবাদীদের নারী অধিকারের নামে বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রচেষ্টায় ঠিক ততটাই ভীত।

আমাদের সমাজে- কি মুস্লিম কি অমুস্লিম- নারীরা তাদের অধিকার বঞ্চিত, শোষিত, নিপীড়িত এবং শিক্ষার আলো থেকে দূরে। এই অবস্থার যে আর্থ-সামাজিক কিংবা নৃ-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই আমরা হাজির করিনা কেন, আল্টিমেটলি নারীদের তাতে কোন লাভ নেই। নারীরা প্রকৃতভাবে লাভবান হবে যেদিন তারা প্রকৃতভাবে তারা তাদের মানবিক অধিকার ফিরে পাবে।

ধর্মান্ধ, সেকিউলার, নারীবাদী কিংবা নারীবিদ্বেষী যাকেই আমরা দোষারোপ করিনা কেন, আমাদের এই দোষারোপ নির্ণয় কার্য নারীর কোন কল্যান সাধন করবেনা। তাই আমাদের উচিত নারীদের তার মানবিক অধিকার সমূহ ফিরে দেয়া, প্রকৃত মানুষ হিসাবে তার যে হিস্যা তার সঠিক প্রত্যার্পন। আর এখানে আমাদের নারী-পুরুষ উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে। নারী অধিকার বঞ্চিত হলে শুধু নারীই যে ক্ষতিগ্রস্থ- তা নয়। বরং নারীকে অধিকার বঞ্চিত করার অভিযোগে পুরুষও অভিযুক্ত এবং তার প্রতিফলও কিন্তু তাকে পেতে হবে। তাই সমাজে নারীর যথার্থ অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুরুষও যাতে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং তার কন্সিকুয়েন্সিয়াল প্রতিফল হতে রেহাই পায়, তার ব্যবস্থা করা দরকার।

আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ সম্পর্কিত যে সমস্যা রয়েছে “সমস্যার কারণ শুধু পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নারীদের মধ্যেও রয়েছে। নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন না। এ সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব যথেষ্ঠ পরিমাণে আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত। কোথায়-কতটুকু অধিকার রয়েছে এবং এ অধিকারে বা কতদূর এটা না জানা থাকার কারণে সঠিক অবস্থান নেয়াও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে সাংসারিক ও পারিবারিক জীবনে দেখা দেয় নানামুখী সমস্যা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...