সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা

শুধু গাছের ভালোটা খাওয়ার লোভে যে লোকেরা তলারটা না খেয়ে হেলাফেলা করে , শেষে গাছেরটা কিন্তু তাদের খাওয়া নাও হইতে পারে !! তেমনি অতিলোভী মুর্খ আহাম্মক ধর্মান্ধ বেকুবেরা কল্পনার স্বর্গবেহেশেতের লোভে দুনিয়াদারি ছাইরা দিয়া - মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিষ্ফল দূরাশায় দুনিয়ার সুখশান্তি হারায় ।  - আর মৃত্যুর পর তারা স্বর্গবেহেশতও পায় না , কারণ স্বর্গবেহেশের তো অস্তিত্বই নাই । যার অস্তিত্বই নাই - সেই জিনিস পাওয়া কেমন সম্ভব !! ?? এই সাধারণ কথাটা ধার্মিকেরা না বুঝলেও - সহজাত জিজ্ঞাসুর নিতান্ত বালক মাত্রেও বোঝে - নগত যা পাও , হাত পাইতা নাও ; বাকির নাম ফাঁকি । 'ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (25-29 এপ্রিল 2020)

অনাহূত আমি

জন্মাবার পর যখন জ্ঞান হলো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম ভয়াল সমুদ্রের মাঝে মা-বাবা নামক ছোট্ট এক ডিঙ্গির কোলে আদরে শাসনে ভাসছি - - - - আর কিছুটা বড় হয়ে মনে হলো - চতুর্পাশে যারা আছে তাদের একগাদা শত্রুর বলা ছাড়া ভিন্ন কোনো শব্দে ডাকা যায় কি ! ? - - দিনেদিনে বুঝলাম এ পৃথিবী আমার নয় । ততদিনে বাবা ও মা চলে গেছেন প্রকৃতির নিয়মে - - আর আমি , মানুষরূপী স্বার্থান্ধ ভন্ডদের ঠোক্কর খেতেখেতে উপলব্ধি করছি - আমি বড় একা !! এতো একা , এতো নিঃসঙ্গ যে মন খারাপ হলে অন্তত একটু কথা বলার জন্য হলেও কাউকে ডেকে পাইনা , হায় , আমার কথা বোঝার মতোনও আশেপাশে কেউ নাই । এইসব কারণেই বুঝতে পারি , এই পৃথিবী আমার নয় । 'অনাহূত আমি' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 21.02.2020 )

দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ

‘এই ছেমরি , তুই যে এমন পোলা গো সাথে সারাদিন রাইত মুঠোফোনে ঘুসুর-ঘুসুর ফুসুর-ফুসুর করিস , সত্যি করে বল , আসলেই কি তুই কখনো কারো প্রেমে পড়িস ?’ - ‘ও , সব দোষ হইলো মাইয়া গো ? পোলা গো কোনো দোষ নাই ! ? ক্যান , মাইয়া দেখলেই তোদের কি , জাইগা ওঠে না রোশনাই ? তোদের রাতগুলা যায় কথা বলে , দিন তো তোদের যায় না , যাদের সাথেই মিথ্যা করে কথা বলিস , হুম ! কেউই তোদের পায় না !!’ 'দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 26-04-2020 )

কাজল , তোমায় ভুলি নাই

বিন্দু থেকে বৃত্তাবধি আলোর কণা জ্বলবে স্বাধীনতা বজায় রাখতে , কথা ঘাষফুলটাও বলবে ! বিশৃঙ্খলার মেঘে সত্যকে ঢেকে রাখতে - অন্ধকারের দেয়াল যতো তৈরী করো , হায় ! একনায়কের দেয়াল ফুঁরে প্রান্তিকের বস্তিতেও , অপার সূর্যের আলো পৌঁছে যায় । তাই - ভুলি নাই , কাজল তোমায় ভুলি নাই - দস্যুবৃত্তির এই রাষ্ট্রে তোমাকে ছেড়ে যাই নাই । কাজল তোমায় ভুলবো না , তোমাকে ছেড়ে যাবো না ; এই নীরাশায় তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারবো না । *(কী ! ? কাজলকে চিনতে পারলেন না ! ? কাজল একটা প্রতিকী নাম । একজন রাজনৈতিক সচেতন প্রতিবাদী বাঙালীর প্রতিক । সরকারের দুর্নীতি ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে - যেই কাজলকে স্বৈরাচারী সরকার বারবার জেলে ভরে ।) 'কাজল , তোমায় ভুলি নাই' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (22এপ্রিল - 03মে , 2020)

অমানবিক এই অযথা বেঁচে থাকা

বেঁচে থাকার ন্যুনতম একটা অর্থ তো অবশ্যই চাঈ , চাই । কোনো একটা অর্থ দাঁড় করাতে না পারলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে না পারলে - অমানবিক যন্ত্রণা ও কষ্ট সহ্য করে , প্রতিনিয়ত নিজের ভালো লাগাকে ত্যাগ করে , স্বার্থপর ভন্ড নেতাদের কাছে হার মেনে , পরের জন্য নিজেকে নিঃশ্বেষ করে দিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি যন্ত্রণার মাঝে অযথা বেঁচে থেকে নিজেকে পিশে মারবো কেনো !! ?? তার চেয়ে এই কষ্টকর জীবনটার সমাপ্তি ঘোষনা করাই তো ভালো !! আমি - এই জীবনে কতবার যে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম তার সংখ্যা মনে নাই - - - খান ওয়াহিদুজ্জামান (04.04.2020)

প্রিয় অভি দা

কথা ছিল এক সাথে হব হাতে থাকবে আলোর মসাল। দেখাবে দেখবো চিনাবে চিনবো। এই ভাবে চলে যেতে নেই। বকুল ফুলটাও গন্ধ দেয়না আর। প্রিয় অভি দা মনে আছে তোমার নাকি নিজে মিসে গেছো মহাকাশে বারবার তোমার হাঁসিটা পিড়া দেয় কিন্তু তুমি যে বলেছিলে এগিয়ে যেতে। আমরা কথা রাখতে পারছিনা কিনা জানিনা। তবুও কলম চলবে মুক্তির জন্য। হে আলোর দিসারী হে মহাকাল হে প্রিয় তুমি জানো মা মাটি এখনো কাঁদে। শুধু তোমার জন্য। প্রিয় অভি দা তোমার কাছ থেকে সব পেয়েছি কিভাবে ভালোবাসতে হয় মানুষকে অথচ শুকনেরা হত্যা খেলাই মেতে আছে। চারিদিকে তোমার শুন্যাতা মহাকাল জানে আলো জ্বলবে মহাকাল জানে কলম চলবে বিশ্বাসের মৃত্যু ঘটা না পর্যন্ত। তুমি শুবাস দাও বকুল ফুল হয়ে কলমের কালি হয়ে দাও শক্তি তুমি আমার অনুপ্রেরণা তোমার চিন্তা তোমার সৃষ্টি আমরা থামবোনা আমরা হাঁটবো তোমার পথে তোমার শক্তিতে। লিখেছেন : সজিব হোসেন ↑PREVIOUS-নাস্তিকের বাইবেল-THE ATHEISTS BIBLE  NEXT-রোহিঙ্গা আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

জান্নাত রুহি মায়ার কবিতাগুচ্ছ

সুপ্রিয়, বহুদিন হয় খুব করে ভালবাসনি ভাসাওনি বেদনার নীলচে জলে আমারে, জড়াওনি বুকের বাঁ পাশটাতে। আগে বলতে,ব্যথায় করে চিনচিন যদি না দাও ছুঁয়ে আলতো করে এই অভাগারে। আমার ভেতরটা হুহু করে উঠতো। এত অসহায়ভারে কেউ ভালবাসা চাইতে পারে! এতটা কাঙালপনা ভালবাসায় থাকে! অথচ,এখন দিনযাপন, দিন যায়। যায় তো রাতও কালাক্ষরের বিক্ষিপ্ত বুননে। ছোঁয়াছুঁয়ি হয়নি কতকাল, ভালবাসাবাসি বলা হয়নি সুদীর্ঘ বছর কত! দীর্ঘশ্বাসে স্মৃতিচারণ, অকারণ। না মেনে মনের বারণ। কত শাসন, দুঃসাহস দেখায় ক্লান্তিতে। আশ্রয় না পেয়ে সরে যায় অসূর্যম্পশ্যা ভেবে। যায়। যায় তো দূরে। সুদূরে।কালান্তরের পথটি ধরে। ফিরাতে চাইনি, হয়তো পারিনি। অযাচিত ভ্রমণ শেষে ফিরিনি আর নিজের কাছে। হারিয়েছি খেই, সুপ্রিয়। হারিয়েছি নিজেরে, অনায়াসে, অনাদরে। অবলীলাক্রমে। তুমি আর ফিরে এসো না। হারিয়ে যাও চোখের অন্ধপ্রদেশে। আর পেতে চাই না তোমায় স্মৃতি বিস্মৃতির চেনা অক্ষরে। ২। সময় একদিন আমারও আসবে। সেদিন সময়কে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে বসিয়ে রাখবো, প্রথম প্রথম প্রেমিক যেমন বসে থাকে প্রেমিকার জন্য তেমন করে। ট্রেন প্লাটফর্মে পৌঁছাল...

বর্ণীয় বর্ণচ্ছটা

অ-বর্ণীয়  অনেক অপবাদ, অপমান অঙ্গে অবহেলা অবগত;অসম্ভব অর্জনে অবিচল অন্তর অসহায়ত্বেও অক্ষত। আ-বর্ণীয় ---- আড়ালে আবডালে আবরে আচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ আদর্শে আঁধার আসন্ন! [আবর= মূর্খ, বর্বর।]ফিরে এলাম অনুপ্রাস নিয়ে। এবারে স্বরবর্ণ। ই-বর্ণীয় ---- ইতির ইশারায়   ইচ্ছেরা ইঁদারায়। ঈ-বর্ণীয় ---- ঈহার ঈশত্ব  ঈক্ষণ ঈপ্সিত। (ঈহা-চেষ্টা, ঈশত্ব-নেতৃত্ব, ঈক্ষণ-চোখ, ঈপ্সা-পাবার ইচ্ছা) উ-বর্ণীয় ---- উৎসাহ উদ্যম উপনীত  উপেক্ষা উপহাস উৎপাটিত। ঊ-বর্ণীয় ---- ঊনকোটি ঊর্ধ্বফণাতেও ঊর্ধ্বমুখী ঊর্মিলা। ঋ-বর্ণীয় ---- ঋষিতুল্য ঋষভের ঋজুতার ঋণজালে, ঋণিতা ঋদ্ধিমতী। (ঋষভ-শ্রেষ্ঠজন, ঋজুতা-সরলতা, ঋদ্ধি-সমৃদ্ধি) এ-বর্ণীয় এক একাকিনী একাকীত্বে,  একঘরেতেও একাগ্রচিত্তে।  একলাই এগোয় একটানা  একভাবে, একমনা। ও-বর্ণীয় ---- ওষ্ঠের ওজস্বী ওমে  ওঁচাও ওঠে ওজনে। (ওঁচা-হেয়) একটি খ-বর্ণীয় বাক্য--- ক্ষমতালোভী খালেদার খ্যাপামীতে ক্ষয়-ক্ষতির খাতাও ক্ষুব্ধ। একটি গ-বর্ণীয় বাক্য গাঁও-গেরামের গীত গেয়ে  গায়ে ...

কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না

"কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না"  লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার । আজও তোমায় ভুলতে পারিনি। কেন জানো? কারণ, আমি তোমায় রেখেছি আমার হৃদয়ের সূচনায়। দুই অক্ষরের ‘আমি’ ‘তুমি’ চার অক্ষরের ‘ভালোবাসায়’ আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু কত দিন থাকতে পারলাম এই চার অক্ষরে বন্দী? তুমি তো ছিলে আমার জীবনের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে। আমার ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছিল অসংজ্ঞায়িত। অথচ তুমি আমাকে বুঝলে না। রাখতে পারলে না তোমার ত্রিভুজময় জীবনের এক কোণেও। পারলে শুধু চার অক্ষরের ‘সমাপনী’তে রাখতে। চাইলে অন্য কোথাও জায়গা দিতে পারতে আমাকে। তবুও এর কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না। তুমি আমাকে যেভাবেই দেখো আর যত অক্ষরেই রাখো না কেন, আমি তোমাকে তিন অক্ষরের ‘সূচনা’তেই রাখব। কারণ, আমি তোমায় ভালোবাসি।

সমাজ এবং একজন নারী

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার। এখানে নারী অন্তসত্তা হয় জোরপূর্বক সঙ্গমে জরায়ুতে স্থান করে নেয় পর পুরুষের বীর্য, ডিম্বানু নিষিক্ত হয় পুরুষ নামধারী কাপুরুষের শুক্রাণুতে, কিশোরী মাতার কোল জুড়ে আসে ‘’লাওয়ারিশ’। এখানে সন্তানের সামনে বিবস্ত্র করা হয় মা’কে ! মেয়ের নিশ্চিত পরিনতি জেনেই মায়ের মুখে ফুটে উঠে করুন মিনতি- “বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, একজন একজন করে যাও”! লক্ষ-কোটি আর্তনাদ,এক সমুদ্র চোখের পানি, কিংবা ইশ্বরের কাছে ফরিয়াদ কিছুই কর্ণগত হয়না কারো। পরে থাকে রক্তাত যোনী আর ক্ষতবিক্ষত স্তনের অসার দেহ আবারো ধর্ষণ, আরো একজন ধর্ষিতা ! সেদিনও সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছিলো তারা স্বাধীনতা আর মাতৃভূমির দাবিতে। সম্ভ্রম আজও বিলিয়ে দেয়, শুধুমাত্র নারীত্বের অজুহাতে । মানুষ বলে কেউ এখানে নেই পুরুষ মানেই ধর্ষক আর নারী অবধারিত ভাবে ধর্ষিতা ! একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক এই রাষ্ট্রকে মৃত ঘোষণা করে।