সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পীরের কেরামতি

ভণ্ড পীরের কথা বাদ, অরিজিনাল পীরের পানি পড়ায় যাদের বিশ্বাস নাই আল্লার কালামে তাদের বিশ্বাস নাই। আর আল্লার কালাম হচ্ছে সব চাইতে পাওয়ারফুল। পাওয়ারফুল মানে হলো ফুল পাওয়ার। যার অর্থ দুনিয়ার সব চাইতে ফুল পাওয়ার হলো গিয়ে আল্লার কালাম। দ্বীনের ভাইদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বলেন তো এই যে পারমাণবিক বোমার কথা বলে আমরিকা, সেই পারমাণবিক বোমার শক্তি বেশি না কি আল্লার একটা কালামের? -আল্লার কালামের হুজুর। -হ্যা, আল্লার কালামের। তো এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলি। একটা ছোট্ট ঘটনা। হুরহুরা শরিফ থেকে একজন পীরে কামেল আসছেন আমাদের দেশে। সবাই তার কাছে গিয়ে পানিপড়া নিচ্ছে। আর উনি একটু দূরে বসে সবাই কে পানিপড়া দিচ্ছেন। এক লোক বলল, হুজুর, আমার লোটার পানিতে একটু কাছ থেকে ফু দিয়ে দিন(লোটা মানে বদনা)। অত দূর থেকে দিলে এই পানিতে কি আপনার ফু লাগবে, হুজুর? পীরসাহেব বললেন, আসো, তুমি আমার কাছে আসো, ফু দিয়ে দিচ্ছি তোমার লোটায়। লোকটা তো বেজায় খুশি। পীরসাহেব সবাইকে দূর থেকে ফু দিচ্ছে, আর তারে দিবে কাছে থেকে। পীরের কাছে গিয়া বসল সে। লোটা বাড়িয়ে ধরল পীরের মুখের দিক। পীর ফু দিলেন। এমনি একটা কাণ্ড ঘটল.. কী ভাইস...

যাপিত জীবনে প্রভাব ধর্মের

দরজার ওপাশে এত জোরে ডাকাডাকি আর চিল্পাপাল্লাতে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। বালিশের পাশে রাখা মোবাইলে দেখলাম ৪.২০বাজে। রাজ্যের সমস্ত চিন্তা,দুঃখ-হতাশা সারাদিনের না খাওয়া শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে গেছিলাম যদি এইসব গুলোর একটা সমাধান হয়ে যায়। যখন পারস্পরিক বিষয় গুলোর সমাধান আসে না ঠিক তখনই আমি ঘুমিয়ে বা চুপ হয়ে যাই। এ যেন নিত্যদিনের একটা অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে। দরজা খুলেই দেখি একজনের মাথায় বাদশাহী টুপি আর মুখ ভরা দাড়িতে, পাশের দুই জনেরও মাথায় টুপি কিন্তু এদের মুখে দাড়ি নেই। এদের তিন জনকেই আমি চিনি,প্রথমজন আমাদের বড় মসজিদের ইমাম,আর বাকী দুই জন  সেই মসজিদ কমিটিরই সদস্য! দরজার এপাশ থেকেই বললাম কি চাই? বাসায় তো কেউ নেই। -আপনি কি এই বাসার কেউ না? এটা বলতে বলতেই হাতে গুজে দিলো এক বাদশাহী ফরমান-নামা। " বাদশাহী ফরমাননামাটা আসলে সুন্দর কাগজে মুড়ে কম্পিউটার ফটোশপ দিয়ে টাইপ করা। এই খামটার উপরে লেখা দাওয়াত পত্র। খামটা খুলতে খুলতেই জিগাইলাম কার বিয়ে? একজন তো হেসেই ফেললো, বললো বিয়ে নয় আমরা একটা ইসলামী জলসার আয়োজন করেছি অবশ্যই আসবেন কিন্তু আর এই খামটা আপনার বাবাকে দেবেন। আমি তাদের পাল্টা জবাবে ব...

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা-প্রথম পর্ব

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা- সুরা ফাতিহা(সম্পূর্ণ একসাথে) সবার যৌক্তিক সমালোচনা,সংশোধনী আশা করছি! . প্রসঙ্গ:বিসমিল্লায় গলদ প্রশ্ন: ১.কুরআন আল্লাহর কথা হলে এটাও কি আল্লাহর কথা? নাকি এটা কুরআনের অংশই নয়? ২.এটা কি সুরা ফাতিহার অংশ নাকি অংশ নয়? ৩. আল্লাহ কি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? নাকি আল্লাহ তার আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? ৪.দয়াময় ও পরম দয়ালু বলে কেউ কি নিজের ঢোল নিজে পেটায়? আল্লাহ এভাবে নিজের ঢোল পেটাচ্ছেন কেন? ৫.কেউ কথা বললে কি নিজের পরিচয় না দিয়েই বলে রহিম/করিমের নামে শুরু করছি? আল্লাহ কেন এমনভাবে নিজের পরিচয় না দিয়েই আল্লাহর নামে শুরু করছেন? ৬.এ আয়াতটি কুরআনের প্রথমে আসবে কেন? যখন আল্লাহ সুরা আলাকের মাধ্যমে কুরআন নাযিল শুরু করেছেন। বক্তৃতার মাঝে এসে কি কেউ বলে আমি শুরু করছি? ৭.সাধারণত কাউকে কিছু শিক্ষা দিলে,"বলো,পরম করুনাময়ের নামে শুরু করছি" এভাবে শিক্ষা দিতে হয়। এ আয়াত এভাবে নয় কেন? নাকি এটা নবীর কথা? ৮.আল্লাহ কে সে পরিচয় না দিয়েই তার নামে শুরু করলে তো প্রথমেই আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হচ্ছে! না জেনেই কারো নামে প্রশংসা করা কতটা যৌক্তিক? ৯.যদি মেনে নিই দয়াময় ও পরম দয়...