এই ব্লগটি সন্ধান করুন

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা-প্রথম পর্ব

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা-
সুরা ফাতিহা(সম্পূর্ণ একসাথে)
সবার যৌক্তিক সমালোচনা,সংশোধনী আশা করছি!


.
প্রসঙ্গ:বিসমিল্লায় গলদ প্রশ্ন: ১.কুরআন আল্লাহর কথা হলে এটাও কি আল্লাহর কথা? নাকি এটা কুরআনের অংশই নয়? ২.এটা কি সুরা ফাতিহার অংশ নাকি অংশ নয়? ৩. আল্লাহ কি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? নাকি আল্লাহ তার আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? ৪.দয়াময় ও পরম দয়ালু বলে কেউ কি নিজের ঢোল নিজে পেটায়? আল্লাহ এভাবে নিজের ঢোল পেটাচ্ছেন কেন? ৫.কেউ কথা বললে কি নিজের পরিচয় না দিয়েই বলে রহিম/করিমের নামে শুরু করছি? আল্লাহ কেন এমনভাবে নিজের পরিচয় না দিয়েই আল্লাহর নামে শুরু করছেন? ৬.এ আয়াতটি কুরআনের প্রথমে আসবে কেন? যখন আল্লাহ সুরা আলাকের মাধ্যমে কুরআন নাযিল শুরু করেছেন। বক্তৃতার মাঝে এসে কি কেউ বলে আমি শুরু করছি? ৭.সাধারণত কাউকে কিছু শিক্ষা দিলে,"বলো,পরম করুনাময়ের নামে শুরু করছি" এভাবে শিক্ষা দিতে হয়। এ আয়াত এভাবে নয় কেন? নাকি এটা নবীর কথা? ৮.আল্লাহ কে সে পরিচয় না দিয়েই তার নামে শুরু করলে তো প্রথমেই আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হচ্ছে! না জেনেই কারো নামে প্রশংসা করা কতটা যৌক্তিক? ৯.যদি মেনে নিই দয়াময় ও পরম দয়ালু আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে,তাহলে পরবর্তীতে কুরআনের ভেতরে শাস্তিদাতা আল্লাহকে তুলে ধরা কি প্রতারণা নয়? কেউ আপনাকে প্রথম পরিচয়ে বন্ধু পরিচয় দিয়ে পরে শত্রুর মতো আচরণ কি বিশ্বাসঘাতকতা নয়? ১০.এ আয়াত যদি লওহে মাহফুজেও প্রথমেই থাকে তাহলে এ আয়াত প্রথমে নাযিল না করার কারণ কি? আল্লাহ কি লওহে মাহফুজের কুরআনের নাযিলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যর্থ নাকি পরিস্থিতির শিকার? 1 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful.
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১:
বিসমিল্লায় গলদ আগেই দেখিয়েছি। এবার প্রথম(মতান্তরে দ্বিতীয়) আয়াত দেখি:
2 الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
প্রশ্ন:
১.আসলেই কি সকল/যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর? আমরা কি অন্য কারো একটুও প্রশংসা করিনা?
২.যদি আমরা অন্য কারো একটুও প্রশংসা করি তাহলে তো আল্লাহ মিথ্যাবাদী, তার মতে একটু প্রশংসাও অন্য কারো নয়?
৩.সকল প্রশংসা আল্লাহর এ কথার বাস্তবায়ন করতে কি আল্লাহ ব্যর্থ?
৪.অন্য কারো প্রশংসাও আসলে পরোক্ষভাবে আল্লাহরই প্রশংসা যদি ধরেও নিই,তবুও প্রশ্ন ওঠে অন্য কারো দোষ,নিন্দাও কি পরোক্ষভাবে আল্লাহর উপর বর্তায় না?
৫.সকল সৃষ্টিজগতের পালনকর্তা কি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের পালনের দায়িত্বে ছিলেন না? নাকি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ?
৬. এ কথাটায় বক্তা আল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন,নিজেকে নয়! আল্লাহ নিজের পরিচয় দিলে বলতেন,সমস্ত প্রশংসা আমি আল্লাহর! যদি বলেন,এটা আল্লাহ আমাদের শেখাতে বলছেন বা এটা আমরা পাঠ করলে নিজেকে আল্লাহ বলা হবে,সেক্ষেত্রে সুরা নাস,ফালাক,কাফিরুন এ আমরা বলো(ক্বুল) দ্বারা কাকে বলতে বলি?
অতএব এ আয়াতটি ভুল এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর নয়!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-২:
3 الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
যিনি পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু।
Most Gracious, Most Merciful;
প্রশ্ন:
১.অন্য কাউকে প্রভু মানলে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবে না,দয়া করবে না অথচ আপনার সন্তান অন্য কাউকে বাবা মা মানলেও আপনি তার প্রতি ক্ষমাশীল,দয়ালু। তাহলে আপনি কি আল্লাহর চেয়ে দয়ালু নন? আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ক্ষমাশীল, দয়ালু কথাটি মিথ্যা।
২.পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু হতে হলে দয়া ও করুনার কোনো সীমা থাকতে পারে না! আল্লাহ শিরকের গুনাহ ক্ষমা করে না,তার মানে তার ক্ষমাশীল গুণটা সীমাবদ্ধ! আবার আল্লাহ আবু লাহাবকে ধ্বংস হতে বলে,এক্ষেত্রে আল্লাহর দয়ালু গুণ সীমাবদ্ধ!
৩.যে অসীম দয়ালু সে কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করবে না অথচ আল্লাহ করে! যে পরম করুনাময় সে হাজার অপরাধেও করুণা করবে,শাস্তি দিতে পারবে না অথচ আল্লাহ শাস্তি দিবে। তাই আল্লাহ পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু নন।
৪.পরম করুনাময়,অসীম দয়ালু কেউ স্বেচ্ছাচারী,পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান,পথভ্রষ্ট করেন! এটা কেমন দয়া,করুণা? আল্লাহ মুমিনদের জন্য পুরস্কার এবং অন্যদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করলে তার দয়ালু গুণটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়।
অতএব, এ আয়াতটি সম্পূর্ণ ভুল। আল্লাহ পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু হতে পারে না!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৩:
5 إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
Thee do we worship, and Thine aid we seek.
প্রশ্ন:
১.এ আয়াতে যা আল্লাহ বলেছেন বা মানুষকে শিখিয়েছেন সেটা কি মিথ্যা হতে পারে?
ক.যদি মিথ্যা হয়,তাহলে আল্লাহ,কুরআন সব মিথ্যা।
খ.যদি সত্য হয় তাহলে,
কুরআন নিশ্চয়ই সমগ্র মানবজাতির জন্য এসেছে। এখন আমরা(মানবজাতি) কি একমাত্র আল্লাহর ইবাদত/পূজা/আনুগত্য করি? যদি না করি,তাহলে কুরআন মিথ্যা। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ লোক আল্লাহ নামের কারো ইবাদত করে না! সুতরাং এ আয়াত মিথ্যা।
গ.যদি ধরে নিই আমরা সকলে আল্লাহর ইবাদত করি কথাটা সত্য তাহলে মূর্তি,সূর্য,যীশু,বুদ্ধ,অগ্নি সবকিছুই আল্লাহ! কেননা মানুষ এদেরও ইবাদত করে। তাহলে আল্লাহর একত্ববাদ মিথ্যা!
ঘ. যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদত করে কথাটা সম্পূর্ণই মিথ্যা।
২.এ আয়াতের দ্বিতীয়াংশ অনুযায়ী আমরা(মানবজাতি) সবাই আল্লাহর সাহায্য চাই!
ক.তাহলে মূর্তি,যীশু,অগ্নি,বুদ্ধ সবকিছুই আল্লাহ, যেহেতু মানুষ এদের কাছেও সাহায্য চায়!
খ.মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের কাছেও সাহায্য চায়! তাহলে মানুষও আল্লাহ!
নোট: এ আয়াত সত্য হলে সব মানুষই আল্লাহর ইবাদত করে,সুতরাং সব মানুষ বেহেশতে যাবে কেননা মানুষকে ইবাদতের জন্যই বানানো হয়েছে। আর যদি কেউ বলে এখানে আমরা বলতে শুধু মুমিনদের কথা বলা হয়েছে,তাহলে কুরআন সব মানুষের জন্য কথাটা মিথ্যা। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না,তার ইবাদত করে না,তার সাহায্য চায় না,তারা যখন এ আয়াত পড়বে তখন সেটা তো মিথ্যা বলা হবে! এ কেমন গ্রন্থ যা মানুষকে মিথ্যা বলায়?
অতএব,আয়াতটি ত্রুটিপূর্ণ,মিথ্যা।
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৪:
6 اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
Show us the straight way,
7 صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
The way of those on whom Thou hast bestowed Thy Grace, those whose (portion) is not wrath, and who go not astray.
প্রশ্ন:
একটা ঔষধ কার্যকরী নাকি ভুল সেটা আমরা কিভাবে বুঝি? নিশ্চয়ই ঔষধের কার্যকারিতা দেখে। তেমনিভাবে এ দুই আয়াতে আল্লাহ মানুষকে যা শেখাচ্ছে(যদি আল্লাহ এ কথাগুলো নিজে বলে তাহলে তো কুরআন ভুল) তা কার্যকরী কিনা দেখতে হবে। এ আয়াতগুলো প্রতিদিন কোটি কোটি মুসলিম নামাজে বা নামাজের বাইরে পড়ছে,এরপরও খেয়াল করে দেখবেন পড়ার পরও তারা হত্যা,দূর্ণীতি,মিথ্যাচার,অন্য নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে। সুতরাং এ আয়াতে আল্লাহর শিক্ষা অকার্যকর, অথবা আল্লাহ এ আয়াতের মর্যাদা রাখতে অক্ষম(এ আয়াতের ফল দিতে) আর যদি এ আয়াত সত্য হয়,কার্যকর হয় তবে এ আয়াত পাঠ করে করা সব অপরাধই আল্লাহর সঠিক পথ! কি ঘৃণ্য সেই পথ!
অতএব,এ আয়াত দুটি অকার্যকর,ভুল!
...
পরিশেষে,একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়,অসংখ্য ভুলে ভরা,অযৌক্তিক,অকার্যকর এই কুরআন ও সুরা ফাতিহা!

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা:
সুরা বাকারা(আয়াত ১ থেকে ২০ একত্রে)
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৫:
সুরা বাকারা,আয়াত ১
الم
আলিফ লাম মীম।
A. L. M.
প্রশ্ন :
এটা নিয়ে পৃথিবীর সবার মনেই প্রশ্ন! এটাকে গোপন বিষয় বলা হয়,এজন্যই প্রশ্ন জাগে।
১.কুরআন মানুষের জন্য হলে মানুষের নিকট গোপন থাকবে,মানুষ বুঝবে না এমন কিছু কুরআনে কেন?
২.যেখানে ইসলামের অনেক বিধানের জায়গা কুরআনে হয়নি(নামাজ কত ওয়াক্ত, রজম ইত্যাদি) সেখানে এমন অহেতুক কিছু কুরআনে কেন?
৩.কুরআন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে কুরআনের অনুরূপ একটি আয়াতও কারো দ্বারা রচনা সম্ভব নয় সেখানে এ অহেতুক আয়াতের মতো অনেক আয়াত রচনা করা যায় যার অর্থ লেখক ছাড়া কেউ জানে না!(যেমন: জ দ গ, ন ণ ম,আ ই উ ইত্যাদি)
৪.কুরআন সত্য,এতে সন্দেহ নেই এ কথাগুলো প্রমাণের জন্য একটি আয়াত অবশ্যই সত্য অথবা মিথ্যা হতে হবে! কিন্তু এই অহেতুক,অবোধগম্য আয়াতের সত্যতা যাচাইয়ের উপায় কি?
অতএব এ আয়াতটি অবোধগম্য,অযাচাইযোগ্য­,অহেতুক,কুরআনিক বৈশিষ্ট্যহীন ভুল আয়াত!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৬: সুরা বাকারা,আয়াত ২-৩ 2 ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, This is the Book; in it is guidance sure, without doubt, to those who fear Allah; 3 الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমরা তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে Who believe in the Unseen, are steadfast in prayer, and spend out of what We have provided for them; প্রশ্ন: আয়াত ২: ১. "এই সেই কিতাব" কোন কিতাব? এ সম্পর্কে কি আগে কখনও বলা হয়েছে? এমনভাবে বলা হয় তখনই যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে আগে থেকেই শ্রোতাকে ধারণা দেওয়া হয়! এই কিতাব সম্পর্কে আগে কোথায় বলা হয়েছে? ২."যাতে কোনো সন্দেহ নেই" আসলেই কি তাই? এ আয়াতের পূর্বের আয়াতই তো অস্পষ্ট,আর অস্পষ্টতাই সন্দেহের সৃষ্টি করে! আর বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এই কিতাবকে সন্দেহাতীত মনে করে না,তাহলে এ কথার সার্থকতা কোথায়? ৩."পরহেজগার,বিশ্বাসী­ বা যারা আল্লাহকে ভয় করে" তাদের জন্য!! কুরআনের সবচেয়ে হাস্যকর আয়াতগুলোর মধ্যে এটা সম্ভবত অন্যতম! যারা বিশ্বাস করে তাদের মনে সন্দেহ থাকে কিভাবে? যারা পরহেজগার,এই কিতাব মেনে চলে তাদের সন্দেহের যৌক্তিকতা কোথায়? আর যারা আল্লাহকে ভয় করে,তারা কোন সাহসে আল্লাহর বইকে সন্দেহ করবে? অতএব,৩ নং অনুযায়ী কুরআন শুধু মুত্তাকীদের জন্য সন্দেহাতীত হলে কুরআন সব মানুষের জন্য নয়। সব মানুষের জন্য হলে "সন্দেহাতীত মুত্তাকীদের জন্য" কথাটা ভুল এবং "সন্দেহাতীত" কথাটাও ভুল যেহেতু অধিকাংশ মানুষই সেটা মানে না। এছাড়াও ২ নং অনুযায়ী কুরআনে অস্পষ্ট কিছু শব্দ,আয়াত রয়েছে যা সন্দেহাতীত হওয়ার পথে অন্যতম অন্তরায়! আর ১ নং অনুযায়ী পূর্বে কেনো কিছু সম্পর্কে ধারণা না দিয়েই "এই সেই কিতাব" এমন বলাটা বাক্যাংশের যোগ্যতাহীনতা! আয়াত ৩: ১. "যারা অদেখা বিষয়ে বিশ্বাস করে।" অদেখায় বিশ্বাস করলেই মুত্তাকী হওয়া যায়? আমি তাকে খুন করতে দেখিনি তবুও তাকে খুনী বলে বিশ্বাস করি,তাহলে আমি মুত্তাকী? এমন পাগলের(মুত্তাকী) কাছে কুরআন সন্দেহাতীত হবে না? ২."আমরা তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যায় করে।" ক.আমরা মানে কে কে? আল্লাহ কয়জন? (Royal) I = We এমন ফালতু যুক্তি কি মানা যায়? খ."রুযী দান করেছি" দান করেছে? হাঁড় ভাঙা পরিশ্রম করে,মাথা খাটিয়ে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে,দানে নয়? আর আল্লাহ যদি দান করে তবে না খেয়ে মানুষ মারা যায় কেন? গ."তা থেকে ব্যায় করে" এমন কে আছে যে ব্যায় করে না?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৭: সুরা বাকারা,আয়াত ৪-৫ 4 وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। প্রশ্ন: আয়াত ৪ ১. নবীর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে সেসবে বিশ্বাস করা মুত্তাকী হওয়ার শর্ত! আলেমদের মতে প্রকৃত বিশ্বাস হচ্ছে তা,যেটা কাজে পরিণত করা হয়! নবীর উপর (পালক) পুত্রবধূ বিবাহ,চারটি পর্যন্ত বিবাহের বিধান অবতীর্ণ হলেও মুমিনরা এসব করে না কেন? তারা কি এসব বিশ্বাস করে না? নাকি বিশ্বাস করলেও ভুল মনে করে? তাহলে তারা মুত্তাকী কিভাবে? ২.""এবং যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে"" সেগুলোতে কি বর্তমান মুমিনরা বিশ্বাস করে? নবীর আমলের বাইবেল,তাওরাত(প্রাচীন সংরক্ষিত) আর বর্তমান বাইবেল,তাওরাত একই হলেও প্রায় সব মুসলিম এগুলোকে বিকৃত মনে করে! তাহলে তারা মুত্তাকী কিভাবে? And who believe in the Revelation sent to thee, and sent before thy time, and (in their hearts) have the assurance of the Hereafter. অতএব,৪নং আয়াত অনুযায়ী কেউই মুত্তাকী নয় এবং কুরআন কারো কাছেই সন্দেহাতীত নয়,যেহেতু কুরআন অনুযায়ী এটা শুধু মুত্তাকীদের জন্য সন্দেহাতীত! 5 أُولَٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম। They are on (true) guidance, from their Lord, and it is these who will prosper. প্রশ্ন: ১.একটা কৌতুক আছে,"খুঁজে পেলে দেখিয়ে দেব!" এ আয়াতটাও কি সেরকম নয়? যে মুত্তাকী,সবকিছু বিশ্বাস করে সে তো এমনিতেই নিজ চেষ্টায় সুপথ(?) তাকে আর পথ দেখিয়ে কি লাভ? ২.যারা মুত্তাকী,বিশ্বাসী তাকে আল্লাহ পথ দেখাবে,অন্যদেরকে নয়! তাহলে আল্লাহ সবার জন্য পথপ্রদর্শক হয় কিভাবে? যে পথ খুঁজে পেয়েছে তাকে পথ দেখিয়ে কি লাভ,যদি না পথহারা বা পথভ্রষ্টকে আল্লাহ পথ দেখাতে না পারে?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৮: সুরা বাকারা,আয়াত ৬-৭ 6 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। As to those who reject Faith, it is the same to them whether thou warn them or do not warn them; they will not believe. প্রশ্ন : ১.আল্লাহ যেখানে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যারা কাফির হয়েছে তারা ঈমান আনবে না,তারপরও রাসুল ও অন্য যারা ঈমানের দাওয়াত দিয়েছে তারা কি খোদার উপর খোদাগিরি দেখায়নি? নাকি তারা আল্লাহর নিশ্চয়তায় বিশ্বাস করে না? ২.এ আয়াত নাযিল হওয়ার পরও বহু কাফির ঈমান এনেছে,তার মানে কি আল্লাহ মিথ্যাবাদী? নাকি আল্লাহর নিশ্চয়তা কথার কথা,মূল্যহীন? 7 خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। Allah hath set a seal on their hearts and on their hearing, and on their eyes is a veil; great is the penalty they (incur). প্রশ্ন: ১.কারো অন্তর,কান ও চোখ বন্ধ করে তাকে দেখতে,শুনতে,বুঝতে বলা কি হাস্যকর নয়? এরূপ করার পর না শোনা,না দেখা,না বোঝার জন্য শাস্তি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা থাকে কি? ২.আল্লাহ কান,চোখ,অন্তর বন্ধ করে দেওয়ার পরেও কেউ কাফের হওয়ার পরে ঈমান আনলে তা কি আল্লাহর অক্ষমতা প্রমাণ করে না? ৩.আল্লাহ যেখানে কঠোর শাস্তির কথা বলে ফেলেছেন এরপরও যদি কেউ ঈমান আনে তাকে শাস্তি না দিলে কি আল্লাহ মিথ্যাবাদী হবে না? অতএব,আয়াত দুটি অযৌক্তিক,ভুল। এমনকি ঐশ্বরিক ও নয় কেননা ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সত্যবাদী হওয়ারই কথা!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-৯:
সুরা বাকারা,আয়াত ৮-৯
8 وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়!
Of the people, some say: "We believe in Allah and the Last Day;" but they do not (really) believe.
প্রশ্ন:
আল্লাহ কি এ আয়াতের মাধ্যমে মুমিনদের ভন্ড ঘোষণা করছেন না? মুমিনরাই তো মুখে বলে তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে। কিন্তু আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী তাদের অনেকেই ঈমানদার নয়,ভন্ড! মুমিনদের ভন্ডামি কি তাদের কুরআন প্রকাশ করে দিচ্ছে না?
9 يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ
তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
Fain would they deceive Allah and those who believe, but they only deceive themselves, and realise (it) not!
প্রশ্ন:
১.মুমিনদের একদল যারা প্রকৃত ঈমানদার নয় তারাই কি ঈমানদারদের ধোঁকা দিচ্ছে না? আমাদের দেশে,এমনকি সারা বিশ্বেই সেটা দেখা যায়! এখানে নাস্তিক,বিধর্মীদের কথা বলেনি,বলেছে মুমিনদেরই একদল ধোঁকাবাজ! তাই নয় কি?
২.তারা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়! কতটা অসহায় আল্লাহ! ধোঁকা তাকেই দেয়া যায় যে দেখে না,বুঝে না,শুনে না,জানে না! এ আয়াত আল্লাহর সর্বশ্রোতা,সর্বদ্রষ্টা,সর্বজ্ঞ গুণগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না?
৩.অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না,এমনটা বলার কারণ কি? আল্লাহ বলতে কিছু নেই,তাকে ধোঁকা দেয়া মানে নিজেকে ধোঁকা দেয়া?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন ১০:
সুরা বাকারা,আয়াত ১০
10 فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ
তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
In their hearts is a disease; and Allah has increased their disease: And grievous is the penalty they (incur), because they are false (to themselves).
প্রশ্ন:
১.তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত,এ ব্যধিদাতা কে? এ ব্যধির জন্য কি আল্লাহ দায়ী নয়? একটা মোবাইলে ভাইরাস ঢুকলে তার দায় মোবাইলের নাকি মোবাইল ও ভাইরাস নির্মাতার?
২.আল্লাহ তাদের ব্যধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন, কি দয়ালু আল্লাহ!! ব্যধিগ্রস্ত অন্তঃকরণ সারিয়ে তোলার পরিবর্তে ব্যধি আরো বাড়িয়ে দেয়া আল্লাহকে কোনোভাবে দয়ালু বলা যায় কি?
৩.একজনের আঙ্গুলে পচন ধরেছে,ডাক্তার ভুল ঔষধ দিয়ে পুরো হাতে পচন ধরিয়েছেন,সে ডাক্তার কি এর জন্য রোগীকে দোষারোপ করতে পারবেন? অথচ আল্লাহ ব্যধি না সারিয়ে,বাড়িয়ে দিয়ে আবার রোগীকে দোষারোপ করছেন এবং শাস্তি দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এ কেমন আল্লাহ?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুল ভরা কুরআন ১১:
সুরা বাকারা,আয়াত ১১-১২
11 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
When it is said to them: "Make not mischief on the earth," they say: "Why we only Want to make peace!"
12 أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِنْ لَا يَشْعُرُونَ
মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
Of a surety, they are the ones who make mischief, but they realise (it) not.
প্রশ্ন: এ আয়াত দুটোকে ভুল বলা যায় না,তবে এ আয়াতে মুমিনদের মুখোশই উন্মোচিত হয়! আয়াত দুটোতে বলা হয়েছে এমন লোকদের কথা যারা দাঙ্গা হাঙ্গামা করে অথচ বলে আমরা মীমাংসার পথ অবলম্বন করছি! আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনারা একই কাজ করেছে,বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করে বলেছে সবই শান্তির(মীমাংসা) জন্য করছে! আজও মুসলিম দেশগুলোতে দাঙ্গা হাঙ্গামা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার! আইএস,তালেবান,হিজবুল্লাহ,আল কায়েদা,হামাস মীমাংসার নামে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে! আমাদের দেশে ধর্মরক্ষার(মীমাংসা) নামে হেফাজতের তান্ডব,জামাত শিবিরের তান্ডব,সংখ্যালঘু নির্যাতন,ব্লগার হত্যা কি স্পষ্ট বলে দিচ্ছে না মুমিনরাই প্রকৃত দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১২. সুরা বাকারা,আয়াত ১৩ 13 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِنْ لَا يَعْلَمُونَ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। When it is said to them: "Believe as the others believe:" They say: "Shall we believe as the fools believe?" Nay, of a surety they are the fools, but they do not know. প্রশ্ন: এ আয়াত কি এটা ইঙ্গিত করে না যে,তত্কালীন সময়ে স্বীকৃত বোকারাই শুধু ঈমান এনেছিল? এ আয়াতে তারা বোকা ছিল না এটাও বলা হয়নি অর্থাৎ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বোকারাই ঈমান এনেছিল! প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা বলা দ্বারা এটাও স্বীকার করে নিচ্ছে যে অবিশ্বাসীরা জ্ঞানী ছিল! কেননা একজন আপাতদৃষ্ট জ্ঞানীকেই আপনি বলবেন প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী নয়! একজন জ্ঞানহীনকে সরাসরি জ্ঞানহীন বলবেন,প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী নয় বলবেন না!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১৩.
সুরা বাকারা,আয়াত ১৪-১৫
14 وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ
আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।
When they meet those who believe, they say: "We believe;" but when they are alone with their evil ones, they say: "We are really with you: We (were) only jesting."
15 اللَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ
বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।
Allah will throw back their mockery on them, and give them rope in their trespasses; so they will wander like blind ones (To and fro).
প্রশ্ন:
১.শয়তানের সঙ্গে কি সাক্ষাৎ করা যায়?
২.তারা কারা যারা মুমিনদের সঙ্গে উপহাস করে? আল্লাহ কি তাদের পরিচয় বলে দিতে পারেন না,যাতে মুমিনরা নিরাপদ থাকে?
৩.আল্লাহই তাদের সঙ্গে উপহাস করেন? আল্লাহ কি মানুষ? সে প্রতিক্রিয়ায় উপহাস করে কিভাবে? এটা তো মানবীয় বৈশিষ্ট্য!
৪.এই আল্লাহ নাকি দয়ালু? আপনার সন্তান খারাপ পথে গেলে আপনি কি চাইবেন কিছু না বলে তাদের খারাপ পথে পেরেশান করতে? অথচ আল্লাহ তাই করে। আবার তিনি নাকি শাস্তিও দিবেন?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১৪.
সুরা বাকারা,আয়াত ১৬
16 أُولَٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَىٰ فَمَا رَبِحَتْ تِجَارَتُهُمْ وَمَا كَانُوا مُهْتَدِينَ
তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।
These are they who have bartered Guidance for error: But their traffic is profitless, and they have lost true direction.
প্রশ্ন:
১.হেদায়াতের আর গোমরাহীর মালিক কে? যদি আল্লাহ হয় তাহলে কেউ কিভাবে সেগুলোর বিনিময় করতে পারে?
২.এগুলোর মালিক যেহেতু আল্লাহ,তাহলে তারা কি আল্লাহর থেকে খরিদ করে? আল্লাহ কি বিক্রেতা?
৩.আল্লাহর কি অনেক গোমরাহী যে বিক্রি করতে হয়? আর গোমরাহীর বিনিময়ে হেদায়েত কিনে আল্লাহ কি করে? আল্লাহরও কি হেদায়েত প্রয়োজন হয়?
৪.আল্লাহর সাথে ব্যবসা করেও তারা লাভবান হতে পারেনি! তাহলে কি আল্লাহ লাভবান হয়েছেন? বিনিময় বিক্রি প্রথায় একজন তো অবশ্যই লাভবান হবে!!
৫."এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি" এ কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছেন? হেদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহি খরিদ করার পর হেদায়ত কিভাবে লাভ করবে? এই সহজ কথাও কুরআনের লেখকের মাথায় আসেনি?
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১৫. সুরা বাকারা,আয়াত ১৭-১৮ 17 مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَا يُبْصِرُونَ তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না। Their similitude is that of a man who kindled a fire; when it lighted all around him, Allah took away their light and left them in utter darkness. So they could not see. 18 صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। Deaf, dumb, and blind, they will not return (to the path). প্রশ্ন: ১.আগুন জ্বলা অবস্থায় আলো কিভাবে উঠিয়ে নিলেন?(আগুন নিভিয়ে দিয়েছেন,এটা বলেননি) আগুন জ্বলার ফলে তো রাসায়নিক শক্তি আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছেই! ২. আগুন জ্বলা অবস্থায় অন্ধকারে কিভাবে ফেলে দিলেন? আলোক উত্স বন্ধ না করলে কিভাবে অন্ধকার হয়? ৩.তারা বধির,মূক ও অন্ধ! তাদেরকে এমন কে বানিয়েছেন? আর যদি তারা বধির,মূক ও অন্ধ হয়ে যায়,আল্লাহর কি সামর্থ্য/ইচ্ছা নেই তাদের সুস্থ করার? ৪.তারা ফিরে আসবে না,আল্লাহর ফিরে না আসার এমন নিশ্চয়তার পর কেউ কি ইসলামের পথে ফিরে আসতে পারে? যদি না পারে,তাহলে যারা ইসলাম গ্রহণ করছে তারা সবাই মিথ্যা নতুবা আল্লাহর নিশ্চয়তা মিথ্যা!
.
কুরআনে ভুল নয়,ভুলে ভরা কুরআন-১৬. সুরা বাকারা,আয়াত ১৯-২০ 19 أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ مِنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ ۚ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও আলোকচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্টিত। Or (another similitude) is that of a rain-laden cloud from the sky: In it are zones of darkness, and thunder and lightning: They press their fingers in their ears to keep out the stunning thunder-clap, the while they are in terror of death. But Allah is ever round the rejecters of Faith! 20 يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ ۖ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُمْ مَشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল। The lightning all but snatches away their sight; every time the light (Helps) them, they walk therein, and when the darkness grows on them, they stand still. And if Allah willed, He could take away their faculty of hearing and seeing; for Allah hath power over all things. প্রশ্ন: ১.দূর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে ও যে বৈদ্যুতিক আলো থাকতে পারে সেটা ১৪০০ বছর পুরোনো আল্লাহ(মুহম্মদ) কি জানতো না? ২.বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে যে মানুষ বাঁচার উপায় আবিষ্কার করবে,কানে হাত না দিয়েও যে বিকট শব্দ থেকে মুক্তির উপায় বের করবে সেটা কি আল্লাহ(মুহাম্মদ) জানতো না? ৩. বাংলাদেশে বজ্রপাতে ইমামসহ মুসল্লিরা মারা গিয়েছিল,সেটাও কি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে? অথচ উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কারো উপর বজ্রাঘাত করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা কি আল্লাহর নেই? নাকি তাদের বজ্রপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে আল্লাহ অসহায়? ৪.আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল? সে কি তার সৃষ্টি বা ধ্বংসের উপর ক্ষমতাশীল?

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা:
সুরা বাকারা(আয়াত ২১ থেকে ৩০ একত্রে)
.
১৭.
সুরা বাকারা,আয়াত ২১
21 يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারবে।
O, ye people! Adore your Guardian-Lord, who created you and those who came before you, that ye may have the chance to learn righteousness;
প্রশ্ন:
১.যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন,সেই পালনকর্তার আনুগত্য করতে বলা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো,সৃষ্টিকর্তার,পালনকর্তার কি এমন কথা বলা প্রয়োজন? আপনি একটা মেশিন তৈরি করলেন,এমনকি তার প্রোগ্রামিং(পালন) ও আপনিই করলেন। তাহলে সে মেশিনকে কি আলাদা করে বলতে হবে আপনার অনুসরণ করতে? এটা সৃষ্টিকর্তা,পালনকর্তার কথা হতে পারে না।
২.তাতে আশা করা যায় তোমরা পরহেযগারীতা অর্জন করতে পারবে! আল্লাহ আশা করছেন? তিনি নিশ্চিত নন? সর্বজ্ঞ,সর্বশক্তিমান,নিয়ন্ত্রক ঈশ্বর আশা করতে পারে না কেননা আশা সেই করে যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চিত! এ কথা হয় মুহাম্মদ বলেছে নাহয় কুরআনে ভুল হয়েছে কেননা মানুষ আশা করে,ঈশ্বর নয়!
.
১৮.
এই সেই আয়াত যা প্রমাণ করে কুরআন ঈশ্বরের কথা নয়,ভুল ধারণার কোনো মানুষেরই কথা!
সুরা বাকারা,আয়াত ২২
22 الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।
Who has made the earth your couch, and the heavens your canopy; and sent down rain from the heavens, and brought forth therewith Fruits for your sustenance; then set not up rivals unto Allah when ye know (the truth).
প্রশ্ন:
১.পৃথিবী অনেকটা গোলকাকার(Sphere) এটা আপনি মানেন? না মানলেও এটাই বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। আপনি কি কখনও গোলকাকার বিছানা/পালঙ্ক /শয্যা দেখেছেন? আল্লাহ গোলকাকার পৃথিবীর ভূমিকে কিভাবে বিছানা বলছেন? তার কি ধারণা ছিল পৃথিবী বিছানার মতো সমতল কিছু?
২.আকাশকে ছাদরূপে স্থাপন করে দিয়েছেন!! আকাশ বলতে কিছুই নেই,মেঘমুক্ত আকাশকে আমাদের দৃষ্টিভ্রমের কারণে ছাদের মতো মনে হলেও আসলে তা শূন্য! আল্লাহ কি জানতেন না আকাশ বলে কিছু নেই? নাকি আকাশকে জ্ঞানহীন মানুষের মতো ছাদ/শামিয়ানা ভাবতেন?
৩.আকাশ থেকে পানিবর্ষণ!!! একটু আগেই আল্লাহ বললেন আকাশটা ছাদ,তাহলে ছাদ থেকে পানিবর্ষণ হলে তো আকাশের(যদি থাকতো) উপর থেকে হওয়ার কথা! কিন্তু যে মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় তা তো আমাদের বায়ুমন্ডলের ভেতরেই অবস্থিত,আকাশে নয়! কুরআনের লেখক যে একজন মূর্খ পাগল তা সম্পর্কে আর সন্দেহ থাকে কি?
৪.পানি দিয়েই ফল ফসল উত্পন্ন করেছেন!!! মহাজ্ঞানী আল্লাহ ফসল উত্পাদনে সূর্য,কার্বন ডাই অক্সাইড তথা সালোকসংশ্লেষণের ভূমিকা সম্পর্কেই জানে না? অজ্ঞতার যুগে মানুষ গাছ ও ফসলের বেড়ে ওঠায় সালোকসংশ্লেষণের ভূমিকা জানতো না। আল্লাহ ও তেমনই একজন মানুষ। তিনি ফল,ফসল উত্পাদনের কথা বলেছেন অথচ পরাগায়ণের কথা বলেনি। মহাজ্ঞানী আল্লাহ পরাগায়ণ সম্পর্কে জানলে তো বলবেন??
৫. আল্লাহর সাথে কাউকে সমকক্ষ করো না! আসলেই আল্লাহর সমকক্ষ মূর্খ কমই আছে। একটা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রও জানে পৃথিবী গোল,পৃথিবীর কোনো ছাদ নেই,আকাশ থেকে নয় বায়ুমণ্ডলে সৃষ্টি হওয়া মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়,জানে ফল ও ফসল উত্পাদনে সালোকসংশ্লেষণ ও পরাগায়ণের ভূমিকা! অথচ আল্লাহ জানে না!এমন আল্লাহকে কার সমকক্ষ করব? আমরা জানি,আল্লাহর সমকক্ষ মহাজ্ঞানী নামধারী মূর্খ আর কেউই নেই!
.
১৯.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৩
23 وَإِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِمَّا نَزَّلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
And if ye are in doubt as to what We have revealed from time to time to Our servant, then produce a Sura like thereunto; and call your witnesses or helpers (If there are any) besides Allah, if your (doubts) are true.
প্রশ্ন :
১.আমার কথায় কারো সন্দেহ থাকলে,আমার কথার পক্ষে প্রমাণ দেওয়া আমার কর্তব্য নয় কি? আল্লাহ(মুহাম্মদ) কি তা করেছেন? না,তিনি তা না করে উল্টো চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।
২.চ্যালেঞ্জ কে কাকে দেয়? আপনি কি কুকুর,বিড়াল,ছাগল বা অন্য কোনো প্রাণীকে চ্যালেঞ্জ দিবেন? নাকি মানুষকে চ্যালেঞ্জ দিবেন? অবশ্যই মানুষকে। এতে কি প্রমাণ হয় না চ্যালেঞ্জদাতা আল্লাহ একজন মানুষ(মুহাম্মদ)?
৩.আপনি কি সব মানুষকে চ্যালেঞ্জ দিবেন নাকি চ্যালেঞ্জের যোগ্য মানুষকে চ্যালেঞ্জ দিবেন? আপনি গণিতে ডক্টরেট হয়ে প্রাইমারী ছাত্রকে নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জ দিবেন না! এতে কি এটা প্রতীয়মান হয় না,কুরআনে চ্যালেঞ্জদাতা মানুষ হিসেবেও সেরা নয়,যাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তাদের মতোই সাধারণ?
৪.তোমাদের সেসব সাহায্যকারীকে সঙ্গে নাও,এক আল্লাহ ছাড়া!!! এতে কি প্রতীয়মান হয় না,প্যাগানরা আল্লাহকে ও সাহায্যকারী হিসেবে পূজা করতো? পাশাপাশি অন্যদেরও। এখানে শুধু বলেছেন আল্লাহ ছাড়া অন্যদের অক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য এ চ্যালেঞ্জ, অথচ আল্লাহ(মুহাম্মদ) নিজেও কোনো নিদর্শন এমনকি বই আকারে কুরআন নাযিল করতে অক্ষম ছিলেন। যে নিজেই অক্ষম, সে কিভাবে অন্যদের অক্ষম প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দেয়?
৫.যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো! একই চ্যালেঞ্জ মুহম্মদকে(আল্লাহ) ও অবিশ্বাসীরা দিয়েছিল গ্রন্থ/নিদর্শন নিয়ে আসার জন্য। সুরা রচনা করে আনতে না পারায় এরা সত্যবাদী নয় প্রমাণিত হলে,মুহাম্মদ ও তো নিদর্শন/বই আনতে না পারায় মিথ্যাবাদী প্রমাণিত। তাই নয় কি?
.
২০.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৪
24 فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ ۖ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ
আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।
But if ye cannot- and of a surety ye cannot- then fear the Fire whose fuel is men and stones,- which is prepared for those who reject Faith.
প্রশ্ন:
১.আর যদি তা না পার? আল্লাহ মাঝেমধ্যে এমন সংশয়ী কথা বলে কেন? আবার পরক্ষণেই বলছে- অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না! লক্ষ্য করেছেন একই আয়াতে যদি না পারো এবং পারবে না বলছে,এটা কি বাতুলতা নয়? যদি না পারো মানে আল্লাহর আগের আয়াতের চ্যালেঞ্জ পারবে কিনা সেটা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন! পরক্ষণেই চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করার আগেই আবার বলছেন অবশ্য তা কেউ পারবে না! এটা কি চ্যালেঞ্জ থেকে পলায়ন নয়?
২.এ আয়াতে আল্লাহ বলছেন অবশ্য কেউ তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না! আল্লাহ যদি সর্বজ্ঞ হয় এবং জানে যে কেউ পারবে না,তাহলে চ্যালেঞ্জ কেন দিল? ফাইজলামি করতে? আপনি জেনেও একজন রিক্সাচালককে বিমান চালাতে পারবে কিনা জিজ্ঞাসা করা তো স্পষ্ট ফাজলামো!
৩.তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করো!! চ্যালেঞ্জ দিয়ে আবার ভয়ও দেখাচ্ছে যাতে কেউ চ্যালেঞ্জ না গ্রহণ করে!! ব্যাপারটা এমন,আপনি কাউকে বলছেন সাহস থাকলে আমাকে মারো আবার বলছেন মারতে পারবি না,তাই ভয় করো আমাকে মারলে তোমাকে আমার ভাইয়েরা আস্ত রাখবে না!!
৪.জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর! আরবের পাথর পুজার প্রভাব এখানেও পড়েছে! পাথরকে কখনও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। একটু চেষ্টা করে দেখলেই বুঝবেন।
৫.যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য! আগের অংশে বলা হয়েছে এর জ্বালানী হবে পাথরের সঙ্গে মানুষও! যারা বলে মানুষ তার দোষে দোযখে যায়,আল্লাহ এজন্য দায়ী নয়,তারা এ ব্যাপারে কি বলবেন? আল্লাহ জাহান্নামের জ্বালানী মানুষ পাবেন কোথায় যদি কেউ দোযখে না যায়? আবার আল্লাহ জাহান্নাম বানিয়েছেন কাফেরদের জন্য! কেউ যদি কাফির না হয় তাহলে আল্লাহর জাহান্নাম সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে না?
অতএব,এমন সংশয়ী,আশঙ্কাসন্ত্রস্ত,হুমকিদাতা,পাতানো জাহান্নামের নির্মাতাকে কি দয়াময় ঈশ্বর বলা যায়? এমন উল্টাপাল্টা কথা তো কেবল একজন মস্তিষ্কবিকৃত মানুষেরই হতে পারে!
.
২১.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৫
25 وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِنْ ثَمَرَةٍ رِزْقًا ۙ قَالُوا هَٰذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ ۖ وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا ۖ وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ ۖ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে।
But give glad tidings to those who believe and work righteousness, that their portion is Gardens, beneath which rivers flow. Every time they are fed with fruits therefrom, they say: "Why, this is what we were fed with before," for they are given things in similitude; and they have therein companions pure (and holy); and they abide therein (for ever).
প্রশ্ন:
১.এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন যার তলদেশে নহর বা নদীসমূহ প্রবাহমান থাকবে! লক্ষ্য করুন,
ক.তলদেশে?বেহেশত কি নদীর উপরে থাকবে? যদি বেহেশত বাগান হয় তাহলে নদীর উপর বাগান বা বাগানের তলদেশে নদী হওয়া কি সম্ভব?
খ.নদীসমূহ? আরবের মরুভূমির নদীবিহীন মানুষের কাছে নদী পরম আকাঙ্ক্ষিত হলেও অসংখ্য নদীবিধৌত বাংলাদেশের মানুষের কাছে কি এটা নতুন বা বিশেষ কিছু?
২.বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রধান করা হবে! কেন? একই প্রকৃতির ফল কি অনন্তকাল কারো ভালো লাগতে পারে? নাকি আরবের আল্লাহর(মুহাম্মদের) খেজুর,আঙ্গুর, আঞ্জীরের বাইরে অন্য প্রকৃতির ফল সম্পর্কে ধারণাই নেই?
৩.তাদের জন্য শুদ্ধচারিণী রমনীকুল থাকবে! এখানে শুদ্ধচারিণী বলতে পূর্বে অস্পর্শিত,ভার্জিন নারীদের কথাই বলা হচ্ছে! নিচু মানসিকতা লক্ষ্য করেছেন? ঈশ্বর নাকি তার ইবাদতের জন্য ভার্জিন নারীর লোভ দেখায়? তাও একজন নয়,রীতিমতো নারীকূল(৭২জন কমপক্ষে)! বহুগামিতা,বেশ্যাসঙ্গ লাভে উত্সাহিত করা এবং নারীকে পুরুষের উপভোগের বস্তু হিসেবে উপস্থাপন কি ঈশ্বরকে মানায়? আচ্ছা,নারীরা কি ঈমান আনে না,সত্কর্ম করে না? তাদের জন্যেও কি ভার্জিন নারীই থাকবে? তাদের কি আল্লাহ সমকামী করবেন? নাকি নারীদের জন্য কোনো ব্যবস্থাই রাখেনি?
৪.সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে! আচ্ছা,মানুষ যে একগেঁয়েমি পছন্দ করেনা এ সম্পর্কে আল্লাহ জানে না? একই প্রকৃতির ফল,তলদেশে প্রবাহিত নহরসমৃদ্ধ বাগান(যা অসম্ভব),রমনীকূল এসব নিয়েই অনন্তকাল একগেঁয়ে জীবন কি সুখকর হতে পারে? মানুষ যে সবসময় নতুনত্ব চায় এটা কি আল্লাহ জানে না?
অতএব,এ কথাগুলি সৃষ্টিকর্তার নাকি কমনসেন্সবিহীন কোনো মানুষের?
.
২২.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৬
26 إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا ۚ فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ ۖ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًا ۘ يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا ۚ وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ
আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। বস্তুতঃ যারা মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও সঠিক। আর যারা কাফের তারা বলে, এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা পথ পরিত্যাগকারী ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না।
Allah disdains not to use the similitude of things, lowest as well as highest. Those who believe know that it is truth from their Lord; but those who reject Faith say: "What means Allah by this similitude?" By it He causes many to stray, and many He leads into the right path; but He causes not to stray, except those who forsake (the path)
প্রশ্ন :
১.মশা বা তদূর্ধ্ব প্রাণী দ্বারা উপমা!! আল্লাহর(মুহাম্মদ) দেখা সবচেয়ে ছোট প্রাণী হয়তো মশা ছিল তাই মশা বা তদূর্ধ্ব এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন,তাই নয় কি? সর্বজ্ঞ দাবি করা আল্লাহ মশার চেয়ে শত শত ছোট প্রাণী আছে সেটা জানতো না?
২.লজ্জাবোধ করেন না! লজ্জা বিশেষত মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য! যার লজ্জা আছে তারই লজ্জাবোধ করার প্রশ্ন আসবে! আল্লাহর ও কি মানুষের মতোই লজ্জা আছে?
৩.বস্তুত যারা মুমিন তারাই বিশ্বাস করে এ উপমা নির্ভুল!! মুমিন শব্দের অর্থই বিশ্বাসী, তাই মুমিন বিশ্বাস করবে এটাই স্বাভাবিক! আর বিশ্বাস দ্বারা কি প্রমাণ হয় স্রষ্টার উপমা নির্ভুল? বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের(যেটা স্বাভাবিক) কথা বলে নিজের কথা ঠিক প্রমাণ করা স্রষ্টাকে নয় ভন্ড চালাক নেতাদেরই মানায়। তাই নয় কি?
৪.যারা কাফের তারা বলে এমন উপমার উদ্দেশ্য কি ছিল!! এটা তো স্বাভাবিক!! আপনাকে যদি বলে মানুষ পিপড়ার মতো! তাহলে একান্ত নির্বোধ না হলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবেই মানুষ পিপড়ার মতো কেন বলা হয়েছে! কাফেররাই প্রকৃত জ্ঞানী,ভাবুক,জিজ্ঞাসু ছিল! তাই নয় কি?
৫.এরূপ উপমা দ্বারা আল্লাহ অনেককে বিপদগামী করেন আবার অনেককে সঠিক পথ দেখান! উপমার কারণ হিসেবে এটা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? গ্রহণ করলেও এটা কি স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব(এক পক্ষকে সঠিক পথ দেখানো),ধোঁকা(অবোধগম্য উপমা দিয়ে ভুলপথে চালনা) নয়?
৬.তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা পথ পরিত্যাগকারী ভিন্ন কাউকেও বিপথগামী করেন না!! যে পথ ভুল করেছে,তাকে বিপথগামী করা নিষ্ঠুরতা/পাগলামি নয় কি? যে ভুল পথে গিয়েছে তাকেই আবার বিপথগামী করে কিভাবে?
অতএব,এমন কথা একজন অজ্ঞ,নির্লজ্জ, নিষ্ঠুর, পক্ষপাতদুষ্ট,
ধোঁকাবাজ, ভন্ড চালাক মানুষেরই, স্রষ্টার হতে পারে না!
.
২৩.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৭-২৮
.
27 الَّذِينَ يَنْقُضُونَ عَهْدَ اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مِيثَاقِهِ وَيَقْطَعُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَنْ يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে। ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত।
Those who break Allah's Covenant after it is ratified, and who sunder what Allah Has ordered to be joined, and do mischief on earth: These cause loss (only) to themselves.
প্রশ্ন:
১.আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ? আল্লাহ কি মানুষ যে তার সঙ্গে মানুষ অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে? আর হলেও সে অঙ্গীকারপত্র কোথায়?
২.যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে!! আল্লাহ না হও বললেই হয়ে যায়? অবিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশও তো তাহলে কার্যকর হওয়ার কথা! সে নির্দেশ কেউ ভঙ্গ করতে পারলে সেটা কি আল্লাহর অক্ষমতা নয়?
৩.পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে,তারা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত! ফেরেশতাদের নিষেধ সত্ত্বেও যে আল্লাহ পন্ডিতী দেখিয়ে মানুষ বানিয়েছে তার মুখে এসব মানায়? সে নাকি সর্বজ্ঞ, জেনেশুনে মানুষ বানাইছিল কেন?
.
28 كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ۖ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
How can ye reject the faith in Allah?- seeing that ye were without life, and He gave you life; then will He cause you to die, and will again bring you to life; and again to Him will ye return.
প্রশ্ন :
১.কেমন করে কুফরী করছে আল্লাহ জানেনা? জেনেও প্রশ্ন করা কি ফাইজলামী বা পাগলামি নয়? সর্বজ্ঞ কেউ কি সর্বজ্ঞ নয়(মানুষ) কাউকে প্রশ্ন করে?
২.তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ! কখন? কোথায়? নিষ্প্রাণ হলে সেটা তো আমরা ছিলাম না? প্রাণটাই তো আমরা,তাই নয় কি?
৩.তিনিই তোমাদের প্রাণ দান করেছেন! আসলেই কি তাই? তার প্রাণ দিলো কে? প্রাণ যদি আল্লাহ দিতেই পারে কোনো জড়বস্তুতে প্রাণ দিয়ে কেন মানুষকে দেখাতে পারে না?
৪.অতঃপর মৃত্যু দান করবেন! আসলেই কি তাই? আমাকে এখন মৃত্যু দিতে পারবেন? কখনওই নয়! তাহলে এমন দাবি করার ভিত্তি কোথায়?
৫.পুনরায় জীবন দান করবেন! আজ পর্যন্ত আল্লাহ মৃত কাউকে জীবিত করেছেন এমন কোনো সত্য ঘটনা শুনেছেন? তাহলে এমন দাবির যৌক্তিকতা কোথায়?
৬.তারই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে! তিনি কোথায়? পানির উপর আরসে,সাত আসমানের(কাল্পনিক) উপরে? কোনো মানুষকে মৃত্যুর পর সেখানে যেতে দেখেছেন কেউ?
.
অতএব,কুরআনে কল্পিত আল্লাহ অজ্ঞ,অক্ষম মানুষ আর কুরআনের কথাগুলো ভিত্তিহীন,অযৌক্তিক ফাইজলামী ছাড়া কিছুই নয়!
.
২৪.
সুরা বাকারা,আয়াত ২৯
29 هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ ۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge.
প্রশ্ন:
১.সৃষ্টি করেছেন যা কিছু যমীনে আছে সমস্ত! আসলেই কি তাই? যমীনের সমস্তকিছুই কি কেউ(কথিত আল্লাহ) একা তৈরি করেছে?
২.তারপর তিনি মনঃসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি! লক্ষ্য করুন,একটু আগেই বলেছেন যমীনের সমস্ত কিছু তৈরি করেছেন,এরপর আকাশ! যদিও আকাশ বলে কিছু নেই, তবুও শূন্যকে আকাশ ধরলেও সূর্য সেখানে আছে! আকাশে যেহেতু পরে মন দিয়েছেন,তাহলে সূর্য যমীনের সবকিছু সৃষ্টি করার পর তৈরি করেছেন! কোনো পাগল,অজ্ঞ ছাড়া কেউ সূর্য ছাড়াই যমীনে বৃক্ষ,প্রাণী কল্পনা করতে পারে?
৩.বস্তুত তিনি তৈরি করেছেন সাত আসমান! কোথায় সেগুলো? পৃথিবী যেহেতু শূন্যে ভাসছে এবং সে শূন্যের উপর নিচ নেই,তাহলে আসমানগুলো কোথায়? মঙ্গলেও যান পাঠালো মানুষ অথচ একটা আসমান ও খুঁজে পেল না? আসমান থেকে নাকি বৃষ্টি বর্ষণ করে আল্লাহ,তো সেই মেঘের উপরে তো সচরাচর বিমান চলে,কিন্তু আসমান কোথায়?
৪.আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত!! এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে? যে আল্লাহ গাছ ও প্রাণীর জীবনধারণে সূর্যের ভূমিকা জানে না,জানে না আসমান বলে কিছু নেই,সে কিভাবে সব জানে?
.
অতএব এসব অজ্ঞ ও পাগলের প্রলাপ!
.
২৫.
সুরা বাকারা,আয়াত ৩০
30 وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۖ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
Behold, thy Lord said to the angels: "I will create a vicegerent on earth." They said: "Wilt Thou place therein one who will make mischief therein and shed blood?- whilst we do celebrate Thy praises and glorify Thy holy (name)?" He said: "I know what ye know not."
প্রশ্ন:
১.ফেরেশতাদের(কথিত) কি নিজস্ব চিন্তাশক্তি আছে কিংবা আল্লাহর সঙ্গে তর্ক করার ক্ষমতা আছে? আল্লাহর সঙ্গে তর্ক করা ফেরেশতাদের অপরাধ না হলে মানুষের হবে কেন?
২.আল্লাহ কি ফেরেশতাদের মুখাপেক্ষী? সে প্রতিনিধি পাঠাতে ফেরশতাদের জানাতে হয় কেন?
৩.একজন প্রতিনিধি পৃথিবীতে বানাতে চেয়েছে তাহলে স্বর্গে রাখলো কেন? আল্লাহ ই বললো পৃথিবীতে বানাবে আবার আল্লাহই বেহেশতে রাখলো! আল্লাহর কি হুুঁশ থাকে না?
৪.আল্লাহ বললো একজন প্রতিনিধি বানাবেন,কাকে কেমন কিভাবে সেটা না বলার পরেও ফেরেশতারা জানলো কিভাবে সে দাঙ্গা হাঙ্গামা করবে? ফেরেশতারা কি সর্বজ্ঞ?
৫.ফেরেশতাদের আল্লাহ বানিয়েছে এমন কথা কি কুরআনে আছে? নাকি আল্লাহর মতো ফেরেশতারাও আপনা আপনি হয়ে গেছে?
৬.নিঃসন্দেহে আমি যা জানি তোমরা জানো না। আসলে কি তাই? ফেরেশতারা বলেছিল মানুষ দাঙ্গা হাঙ্গামা করবে,সেটাই তো ঘটেছে! আল্লাহই তো এখানে অজ্ঞ!
.
অতএব,এ আয়াতটা হুঁশবিহীন,অজ্ঞ আল্লাহর মিথ্যা কাহিনী ছাড়া কিছুই নয়!
লিখেছেন:শামস অর্ক

NEXT-ফেসবুকে বকরবকর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

27 মন্তব্যসমূহ

  1. জ্ঞানের গভীরতা না থাকলে কোরান নিয়ে সমালোচনা করা ১০০% ভাগ বোকামি।
    কোরান সমালোচনা করতে হলেঃ
    ১.আস্তিক হতে হবে।
    ২.বৈজ্ঞানিক জ্ঞান থাকতে হবে।
    ৩.সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যের পার্থক্য বুঝতে হবে।
    ৪.কোরান নাজিলের প্রেক্ষাপট জানতে হবে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না

      মুছুন
  2. হাস্যকর যুক্তি।কোয়ান্টিটি বাড়াতে গিয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে ভুলে গেছেন।অন্ধ ধার্মিক আর অন্ধ নাস্তিক 2 প্রজাতির মাঝে পার্থক্য নাই।তবে যুক্তিবাদী ধার্মিক নাস্তিক উভয়কেই শ্রদ্ধা করি।আপনার পুরো লেখা জুড়েই অন্ধ সমালোচনা

    উত্তরমুছুন
  3. শহীদ্দুজ্জামান সরকার...আপনি কোন দেশের সরকার? আপনি যদি কোনো দেশের সরকার না হোন তাহলে আপনার নাম সরকার কেনো,,সুতরাং আপনি মিথ্যা আপনার কোনো অস্তিত্ব নাই,,আপনি হুদাই ফাউ,,,ব্লগটা পড়ার পর এটাই বুঝলাম,,,������

    উত্তরমুছুন
  4. আজব চিন্তাভবনা। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না । তোদের কাল্পনিক আল্লা বাল দেবে

      মুছুন
  5. আপনার জ্ঞানের অনেক অভাব। এরকম আপনার মত মূর্খ ব্যক্তি আর্টিকেল কিভাবে লেখে। সবগুলো ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আপনার মাথায় কিছু আছে বলে তো মনে হয় না। আজ বুঝলাম এইসব নাস্তিকদের ওয়েবসাইটগুলো সব মূর্খদের আড্ডাখানা।

    উত্তরমুছুন
  6. ছাগলের কয় নাম্বার বাচ্ছা তুই?
    তোর পাগল প্রলাপগুলো শুনে সস্তা জোকস ছাড়া কিছু মনে হইলো না।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না । তুই তো শুওরের বাচ্চা

      মুছুন
  7. কোরান ভুল করার কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! এই প্রচেষ্টার সামান্যতমও যদি সত্য অন্বেষণে কাজে লাগাতেন কতোই না ভালো হতো। হাস্যকর যুক্তি, গোজামিল, Logical fallacy, inappropriate reachment এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ এ লেখা৷

    উত্তরমুছুন
  8. গাধাচোদা কাকে বলে তোর লেখা পড়ে বোঝতে পারলাম।তুই আসলেই গাধাচোদা।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না। গাধাচোদা তো তোরা নাইলে বুঝতি যে ভুলে ভরা কুত্তার ন
      লেখা কুরান

      মুছুন
  9. যুক্তি দিয়ে মুক্তি মেলে না রে!!

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না । তুই একটা বোকাচোদা

      মুছুন
  10. ভাই আমি আপনাকে প্রথমে স্বাগত মুক্তমনা হওয়ার জন্য কারন মুক্তমনার সহজে সত্যকে গ্রহন করেন আমি আপনার ব্লগ পড়তে নাই প্রথমে কিছু অংশ পড়েছি আমি অতটুকুরই জন্য কিছু বলতে চাই যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ আপনার কোনো সূরা কিছু বলার আগে তার শানে নূযুল জানতে ঔ সুরার তাফসির বুঝতে হবে সূরা মূলত আল্লাহর শেখানো একটি দোয়া প্রমাণ সরুপ আমি আয়াতের বঙ্গানুবাদ তুলে ধরছি:আমি আপনাকে বার বার পাঠিতব্য সাতটি আয়াত ( সুরা ফাতিহা) শিক্ষা দিয়েছি ( সুরা হিজর 15/87) এই দোয়া আল্লাহ মানুষ কে শিক্ষা দিয়েছেন যে তোমরা এইভাবে আমার কাছে দোয়া করো তাই আপনার চিন্তাভাবনা অযৌক্তিক আমার মনে হয় আপনার ইসলাম কুরআন সম্পরকে বলার পুরোপুরি জানা দরকার ভাসাভাসা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আপনি কুরআন ব্যাখ্যা করতে পারবেন কারন যেসব তাফসিরকারকরা কুরআন ব্যাখ্যা করেছেন তারা কিন্তু নাস্তিক হন নি বরং যারা এর ভূল ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন তাদের অনেকে আল্লার রহমতে ইসলাম কবুল করেছেন

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না. । শুওরের বাচ্চাাই শুওরের ধর্ম ইসলাম কবুল করেছে।

      আল্লা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। এটা তোদের কল্পনা

      মুছুন
  11. আমার লেখাগুলো আপনাদের ব্লগে প্রকাশ করলে ভালো হত

    https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post_75.html
    https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post_15.html?m=1
    https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post.html?m=1

    উত্তরমুছুন
  12. না! এটা কি চ্যালেঞ্জ থেকে পলায়ন নয়?
    এট কনফিডেন্স

    কনফিডেন্স তো তোর নেই এজন্য চ্যালেঞর প্রথমে রিভিউ দিস না

    উত্তরমুছুন
  13. পৃথিবী অনেকটা গোলকাকার(Sphere) এটা আপনি মানেন? না মানলেও এটাই বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। আপনি কি কখনও গোলকাকার বিছানা/পালঙ্ক /শয্যা দেখেছেন? আল্লাহ গোলকাকার পৃথিবীর ভূমিকে কিভাবে বিছানা বলছেন? তার কি ধারণা ছিল পৃথিবী বিছানার মতো সমতল কিছু?

    উওর পাগল কাকে বলে ও কয় প্রকার তোর করতে শিখতে হবে জীবন ইন্টিগ্রেশন পড়েছিলি ‌ বিরাট গোলাকার জায়গায় ডিফারেন্সিয়াল কি হয় একবার দেখ। বিজ্ঞান সম্পর্কে অল্প জানলে হয় নাস্তিক আর বিজ্ঞান সম্পর্কে বৃহৎ ঞ্জান রাখলে হয় প্রকৃত ধার্মিক

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না ।তুই তো দেখছি একটা বোকাচোদা। বলিস কি বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান রাখলে বাল হয়। তুই তো আসলেইএকটা বোকাচোদা আর পাগল আর লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের অনুসারি

      মুছুন
  14. Vai murkhotar ekta shima ache oitar moddhe thakar cesta koren ontoto

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না ।তোরা তো লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের অনুসারি। তোরা হলি মহামুর্খ

      মুছুন
  15. আপনার সাথে একটেবিলে বসতে পারলে সময় নিয়ে বুঝানো যেত। কিভাবে যোগাযোগ করব?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. Assalamualikum,ভাই আপনার কথা ভালোলেগেছে,আর হাঁ আমি একজন মুসলিম কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান বেশ কম আপনার কাছে riquest আমার, আপনি যদি আপনার এই যুক্তি গুলো দেখিয়ে কোনো ইসলামিক এস্কলারের সঙ্গে দিভড করে অনলাইনে পোস্ট করতেন সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হতো, জ্যমন ডক্টর জাকির নায়েক কিংবা ব্রাদার রাহুল বা আরো যারা রয়েছে , তাহলে আমরা সাধারন মানুষ বুঝতে পারব আপনার যুক্তিটা কতটা সবল, আমি একজন সাধারন মুসলিম হিসেবে চ্যালেঞ্জ করলাম ,সাধারন মুসলিম বলতে ইসলাম সম্পর্কে কমজনি এটা বুঝিয়েছি , দয়া করে ভুল ব্যাখ্যা করবেন না।

      মুছুন
  16. কোরান একটা বানানো বই। লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের লেখা কাল্পনিক বই। তোদের মত অন্ধবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না৷ বাল বোঝাতি তুই। তুি তো নিজেই একটা অন্ধবিশ্বাসী কাল্পনিক আল্লার বা।। তোরা তো লুইচ্চা নবি চুদাম্মদের অনুসারি

    উত্তরমুছুন
  17. ভাই!আপনি এত কিছু জানলে ড.জাকির নায়েক অথবা ব্রাদার রাহুলের সাথে একটা বিতর্কের আয়োজন করুন, সাধারণ মানুষেকে ভূলভাল বুঝিয়ে আপনি যে সংকীর্ণ জ্ঞানের অধিকারী তা প্রমাণ করেছেন কেন?

    উত্তরমুছুন
  18. তোমাকে আল কোরআন মানতে হবে না। তুমি নিজে একা বসে কল্পনা করো তুমি কোথায় ছিলে? কোথা থেকে এসেছো? এখানে কি চিরদিন থাকবে? নাকি একটা নির্দিষ্ট সময় পর চলে যেতে হবে?
    এইগুলো তোমার মনকে একটু হলেও নাড়া দিবে।

    এরপর চিন্তা করো তুমি তোমার ব্রেইনের ক্ষমতা দিয়ে ভালো কোনটা মন্দ কোনটা বিচার করতে পারো? কোন কাজটা তোমার উপকার হবে আর কোনটা ক্ষতি হবে সেটা ও তুমি বিচার করতে পারো। ধর,কেউ তোমাকে গালি দিলো সেটা তুমি বুঝতে পারলে খারাপ কাজ এটা। আবার তুমি বিপদে পরার পর কেউ তোমাকে সাহায্য করলো সেটা তুমি বুঝতে পারলে সেটা ভালো কাজ। একবার চিন্তা করো তোমার মতন কোটি কোটি মানুষ আছে এই পৃথিবীতে। আর সবার মাঝেই কিছু না কিছু জ্ঞান আছে৷ আর জ্ঞান আছে বলেই তুমি ভালো মন্দ বিচার করতে পারছো।

    তুমি আমি সবাই জানি যখন জন্মেছি তখন কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে একে একে সবাইকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। এখন চিন্তা করো আমাদের জন্ম হলো কেনো আর মৃত্যু হলো কেনো? আর কার আদেশে পৃথিবীর সকল প্রাণীকুলের জন্ম মৃত্যু হচ্ছে?


    তুমি আমি পৃথিবীর সকল প্রাণীকুলকে মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত নিঃশ্বাস নিতে হয়। মানে অক্সিজেন গ্রহন করি আর কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। কিন্তু আমরা না দেখতে পাই অক্সিজেন কে আর না দেখতে
    পাই কার্বন ডাই-অক্সাইড কে।

    এবার আসো মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলি। তুমি আর আমি বা আমরা সবাই প্রতিদিন সূর্যকে উদয় হতে দেখি আবর অস্ত যেতে দেখি। মানে দিন রাতের কথা বললাম। আমার প্রশ্ন হলো তুমি কি কখনো দিন রাতের ব্যতিক্রম দেখেছো? তোমার চিন্তাশক্তির দ্বারা যদি তুমি ভালো মন্দ বুঝে থাকো তবে এটাও বুঝতে অসুবিধা হবে না যে এই মহাবিশ্বের একজন রক্ষাকর্তা আছেন। যার আদেশে পুরো মহাবিশ্ব এতটা সুন্দর আর এতো নিয়মানুবর্তিতার সহিত সর্বদা চলমান।

    এখন তোমাকে বলি তুমি তো অবশ্যই কোনো না কোনো খাবার খাও। ধর তোমাকে যদি ভাত খেতে হয় তবে তোমাকে অবশ্যই চালকে যেকোনো ভাবেই তাপ দিয়ে সিদ্ধ করেই খেতে হবে আর সেটা হলো ভাত খাওয়ার জন্য একটা রুল বা নিয়ম। ঠিক তেমনি পৃথিবীর সবকিছুরই কোনো না কোনো রুল মেনেই চলতে হয়। মানে আমি বলতে চাচ্ছি সবকিছুরই কোনো না কোনো নিয়ম রয়েছে।

    ঠিক তেমনি তোমার আর আমার এই পৃথিবীতে আসার পর কোনো না কোনো রুল মেনে চলতে হবে। কেননা পৃথিবীর সবকিছুরই কোনো না কোনো রুল রয়েছে। এখন আমরা যে ধর্ম কথাটা বলি যেমন ধর হিন্দুধর্ম, ইসলাম ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্মে, বৌদ্ধ ধর্ম আরো আছে। কিন্তু এই ধর্ম কথার অর্থ কি জানো????

    ধর্ম অর্থ হলো রুল বা নিয়ম। তাই কেউ হিন্দু হলে হিন্দু ধর্ম মেনে চলে, যে মুসলিম সে ইসলাম ধর্ম মেনে চলে।
    মানে হলো তার ধর্মের রুল মেনে চলে। এখন আমি তোমাকে অনুরোধ করবো তুমি যদি সত্যিকার অর্থে তোমার আমার বা আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে সেটা জানতে চাও তবে কমবেশি সব ধর্মের বইগুলো অনুবাদ সহকারে পড়ো। তখন তোমার আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

    তোমারে মাঝে জ্ঞান আছে আর সে জ্ঞান দিয়ে যাচাই করে নাও কোনটা আসল ধর্ম আর আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে?
    কোনো ধর্মের সমালোচনা করা থেকে দূরে থাকো।
    নিজের ভালোটা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে কেননা তুমি এখানে চিরস্থায়ী না।



    উত্তরমুছুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।