সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কল্পিত অনুভূতি এবং একটি নাটক


কল্পিত আল্লার হুকুমে মানহানী মামলা হচ্ছে মানবিক আদালতে কল্পিত আল্লার পক্ষে।


সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে একজন নারী বাউল শিল্পীর বিরুদ্ধে। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি কোন একটি পালা গানের বয়ান দিতে গিয়ে ইসলাম ধর্মের গড, আল্লাকে শয়তান বলেছেন।
উনার কথায় প্রচুর যুক্তি আছে। সেটি ভিন্ন তর্কের বিষয়। কিন্তু বিষয়টি ৯৫% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে এবং একজন কুখ্যাত নাট্যকর্মী স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা করেছেন।
একজন বাউল শিল্পী
ছবি:রিতা দেওয়ান ক্ষমা চাচ্ছেন 


সেই মামলার ঘটনা নিয়েই আমার এই দুই পর্বের আলোচনা।
এই মামলার বিবাদী একজন নারী বাউল শিল্পী এবং তার ধর্ম মতে সে তার কল্পিত আল্লার বান্দা, বাদীও সেই একই আল্লার বান্দা। বিবাদীর অপরাধ হলো তিনি তার কল্পিত আল্লার হুকুমে তার কল্পিত আল্লাকে কল্পিত শয়তান বলেছেন। এখানে আল্লা এবং শয়তান দুজনই কল্পিত চরিত্র। এদের দুজনার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই।
বিবাদী যা কিছু করেন তাও তার কল্পিত আল্লার বিধানের বিপরীত হলেও তিনি মানুষকে বাউল গানের মাধ্যমে সেই কল্পিত ধর্মের আধ্যাত্মিক জ্ঞান বিতরন করেন।

বাদী একজন নাট্যকর্মী। তিনি যা কিছু করেন সবই তার কল্পিত আল্লার বানানো বিধানের বিপরীত হলেও তিনি তার কল্পিত আল্লার কোন অপমান হোক তা চাননা। তাই তিনি তার কল্পিত আল্লাকে কল্পিত শয়তান বলায় তিনি ক্ষেপে গিয়ে মামলা করেছেন কল্পিত আল্লারই হুকুমে কিন্তু যেহেতু কল্পিত আল্লার কোন ক্ষমতা নাই তাই তিনি মানবিক আদালতের দারস্থ হয়েছেন তার কল্পিত আল্লার মান-সন্মান রক্ষার জন্য।
মহাবিশ্বের কল্পিত সৃষ্টিকর্তা এতটাই কাল্পনিক আর অলিক চরিত্র যে সে নিজে বাদী হয়ে নিজের মান সন্মান রাখতে অপারগ।
মামলার বাদীও এতটা মুর্খ যে সে তার কল্পিত আল্লার কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই নিজের মত করে কল্পিত অপমানবোধের একটি মামলা সাজিয়েছেন। অথচ তার কল্পিত আল্লা আসলেই অপমানিত হয়েছেন কিনা তার কোন বাস্তব প্রমান তার কাছে নাই।
মামলাটি বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে। এখন আদালত যদি বাদীকে বলে যে, আপনি যার পক্ষে মামলা করছেন সেকি আপনাকে মামলা করার কোন পাওয়ার অফ এটর্নি দিয়েছেন? দিয়ে থাকলে তার প্রমান আদালতে দাখিল করুন। তখন সে কি প্রমান দাখিল করবে? আদৌ তারা এই প্রশ্নটি করবে কিনা আমি জানিনা তবে করা উচিৎ। যেহেতু বিচারকবৃন্দও সেই কল্পিত আল্লায় বিশ্বাসী তাই মনে হয় এমন প্রশ্ন করে বিচারক নিজেও বিপদে পরতে চাইবেনা বলে আমার মনে হয়।
আদালত যেহেতু পরিচালিত হয় প্রমানের ভিত্তিতে তাই এমন প্রমান চাওয়াটা স্বাভাবিক।

এবার আসা যাক বিচারকদের বিষয়ে।
বিচারক আবার সেই একই বাদী এবং বিবাদীর কল্পিত আল্লায় বিশ্বাসী বিচারক। সেও আবার ন্যায় বিচার করবে তার একই কল্পিত আল্লার হুকুমে যেই কল্পিত আল্লা অপমানিত হয়েছেন তার অলীক অস্তিত্বে বিশ্বাসী দ্বারা এবং মামলাও করেছে আরেকজন অলীক অস্তিত্বে বিশ্বাসী।
এখানে বাদী, বিবাদী, বিচারক সবাই একই কাল্পনিক আল্লার অলীক অস্তিত্বে বিশ্বাসী।
এই মামলায় কল্পিত আল্লার অপমানের মাত্রা, মামলার রায়ে তাকে খুশি করার মাত্রা এবং ন্যায় বিচারের মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভপ শুধু মাত্র কল্পনায় এবং এটা বাস্তবিক আইনের কোন যুক্তির মাপকাঠিতে নির্ধারন করা সম্ভব না।

আমার কাছে অবাক লাগে কি করে একটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত এমন একটা মামলা নিতে পারে যে মামলাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রটির কোন বাস্তবিক অস্তিত্বই নাই। এই রকম অবাস্তব অলীক চরিত্রের অপমান নিয়ে যদি মামলাবাজী করার ট্রেন্ড চালু হয় তাহলে আদালত ভবিষ্যতে একটি হাস্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে।
কারন এরপর একজন এসে বলবে যে " কুূদ্দুস বেপারী ঘোড়ার ডিমকে অপমান করেছে "। একজন বলবে " জয়নাল হাট্টিমাটিম টিম টিম কে অপমান করেছে। " হরিপদ কালকে আদালতে এসে সুনীলের নামে মামলা ঠুকবে যে সে নাকি " রাম গরুরের ছানা " কে ব্যাপক অপমান করেছে।
বিনয় কুমার বড়ুয়া আগামীতে মামলা করবে এই বলে যে " টম " কে মলয় কুমার " জেরী " বলে অপমান করেছে।
এইরকম হাজার হাজার কাল্পনিক চরিত্র সমাজে বিদ্যমান এবং সবাই একজন মানুষ আরেকজনার নামে কাল্পনিক চরিত্রের অবমাননার মামলা করবে যা একটি সুস্থ জাতির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে হাস্যকর করে তুলবে।
আজকের ডিজিটালাইজেশনের যুগে এসে মানুষের চিন্তা চেতনা কতটা নিন্মগামী হলেই শুধুমাত্র কল্পিত চরিত্রের অপমান নিয়া মামলা করে তারও একটি জলন্ত উদাহরণ হলো এই নাট্যকর্মীর মামলা।

এই মামলাটি প্রমান করে যে আল্লা নামক চরিত্রটি একটি কাল্পনিক ভুয়া চরিত্র যার বাস্তব কোন অস্তিত্ব নাই। যদি অস্তিত্ব থাকতো তাহলে সে নিজেই মানহানী মামলা করতো বা নিজেই বিচার করতো। মানুষের মাধ্যমে মামলা করে মানবিক আদালতের দারস্থ হওয়া আল্লা কোন বাস্তবিক চরিত্র নয়। আবার এমনই আদালতের দারস্থ হয়েছে যেই আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সেই কল্পিত আল্লার কল্পিত ধর্মের বিধানের বিচার পরিপন্থী। এতেও একবার স্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে এই কল্পিত আল্লা একটি আরবীয় রুপকথার চরিত্র।

মামলার আরেকটি নিয়ম হলো সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি। কিন্তু সেটাও যদি এখন করা হয় তাও যদি সেই কল্পিত আল্লার হুকুমে বাদী এবং বিবাদির মাঝে হয় তাতেও সে কল্পিত আল্লা ভুয়া প্রমানিত হয়।
একটি ভুয়া রুপকথার চরিত্রের জন্য মানহানী মামলা গ্রহন যোগ্য কিনা সেটাই এখন দেখবার বিষয়।

এবার দেখি কোরান কি বলে -
সুরা ইখলাসের মাধ্যমে জানতে পারি যে তিনি অমুখাপেক্ষী।

আল্লাহ্ কাহারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁহার মুখাপেক্ষী - ১১২ঃ ২

এই যদি হয় মোহাম্মদের মুখ নিসৃত কোরানের কল্পিত আল্লার নিজের কথা তাহলে কোন কারনে বাদী এই মামলাটি করেছেন তার কল্পিত আল্লার কথাকে অবমাননা করে?
তাহলে কি এটা ধরে নেওয়া যায় যে যেই আল্লা তার বানী দিতে মোহাম্মদের মুখ বেছে নিয়েছেন এবং সেই আল্লা বিবাদীকে সাহস দিয়েছেন তাকে গালি দিতে এবং সেই একই আল্লা বাদীকে প্ররোচনা দিয়েছেন মামলা করতে এবং বিচারকদের বলেছেন মামলার বিচার করতে, আসলে সে কোন শ্রষ্টা নয় বরং চরিত্র চিত্রায়নের ত্রুটি জনিত একটি কাল্পনিক এবং ভুয়া স্বত্বা।
পুরো প্রক্রিয়ায়  কোথাও বাস্তবে যাকে পাওয়া যায়না।

কল্পিত আল্লার হুকুমে মানহানী মামলা হচ্ছে মানবিক আদালতে কল্পিত আল্লার পক্ষে।

প্রশ্ন হলো আল্লা কার পক্ষ অবলম্বল করবে বাদীর, বিবাদীর নাকি বিচারকের?
আল্লাহ কি শুধু বাদীর সৃষ্টিকর্তা না যে গালি দিচ্ছে তারও সৃষ্টিকর্তা??? যদি সে সবার সৃষ্টিকর্তা হয় তাহলে যিনি তার আল্লাকে গালি দিয়েছেন তিনি বুঝবেন। তার সৃষ্টিকর্তারে যা খুশি তাই বলুক। তাতে বাদীর মামলা করার কোন অধিকার আছে কি?
আমার মা বাবাকে যদি কেউ গালি দেয় তাহলে আমার খারাপ লাগবে কারন তাদের অস্তিত্ব আছে।
কিন্তু অস্তিত্বহীন বাবা মাকে গালি দিলে আমার লাগার কোন কারন নাই। আল্লারে গালি দিলে সকল মুমিনের লাগে কারন তাদের বাপ মায়ের স্থানে একটি অলিক চরিত্রকে বিশ্বাস করে।
বিশ্বাসীদের আরেকটি সমস্যা হলো অলিক রুপকথার অনুভুতি। এই মিথ্যা অনুভুতি তৈরী হয় মুলত দীর্ঘ সময়ের মুর্খতা জনিত কারনে।
আজকের দুনিয়ার মুমিনদের কাছে ইসলামের ধর্মীয় অনুভুতি হলো ইসলামের ষষ্ঠ স্তম্ভ।

মুমিনের আল্লা প্রীতি  থেকে তৈরী অনুভুতি হলো একধরনের হস্তমৈথুনের মত যাকে কল্পনা করে কাজটি করা হচ্ছে তার কোন কিছু আসে যায়না কারন তার কোন অস্তিত্ব নাই।

আসল কথা হলো ইসলাম ধর্মানুযায়ী আল্লার অবমাননার জন্য বিচারের ভার কোন মানুষের কাছে ন্যাস্ত করা হয়নি। এমন কোন কোরানের আয়াত বা হাদীস পাওয়া যায়নি যে সেটা দ্বারা আল্লার অবমাননার বিচার কোন মানুষ করতে পারবে৷
ইসলাম ধর্মানুযায়ী কল্পিত আল্লা " মহাবিশ্বের শ্রষ্টা, এক ও অদ্বিতীয়, মহাপরাক্রমশালী, মহাক্ষমতাশালী, মহাশক্তিশালী, মহাজ্ঞানী, অন্তর্যামী, মহাহুকুমদাতা, বিচার দিবসের মালিক, ন্যায়বিচারক, যার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা "। আজকে সেই আল্লার অপমানের বিচার করবে তারই তৈরী মানুষ এবং মানবিক আদালতে যা তার বিচার প্রকৃয়ার বিপরীত। আর এতেও আরেকবার প্রমানিত হয় যে সে হলো মানুষের তৈরী রুপকথার চরিত্র, আসলে তার কোন কিছু করবার ক্ষমতা নাই এবং এই আল্লা একটি মিথ্যা বানোয়াট শব্দ মাত্র। আর এই ভুয়া আল্লাকে চিনবার জন্য সাহায্য করেছে দুজন তার একজন এই মামলার বাদী এবং বিবাদী মহিলা বাউল শিল্পী।

বিচার প্রক্রিয়ার দুটো সাইট আছে যেমন - আমি যদি আল্লাকে ভাল বানানোর জন্য বিচার করতে পারি তাহলে আলার কোন দুষ্ট কর্মের জন্য তার বিরুদ্ধে বিচার করারও অধিকার রাখি এবং এটাই আইনের ইকুটির ধারনা। কিন্তু যিনি বিচার প্রত্যাশী সে সব সময় ভাল এবং তার কোন খারাপ গুন নাই এমন বিচার মুলত বিচার ব্যবস্থা রিতী বিরুদ্ধ।

বাদী যদি তার কাল্পনিক আল্লাকে অপমান করবার জন্য আদালতের দারস্থ হয় তাহলে বিবাদীও সমান অধিকার রাখে একই আদালতে আল্লার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। তা নাহলে এটি একটি ভন্ডামী।
আল্লায় কেন শয়তান তৈরী করে তাকে ধোঁকা দিচ্ছে এই অভিযোগে সে আল্লার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রাখে। ঠিক তার উল্টো পিঠে তার অভিযোগ খন্ডনের জন্য আরেকদল মামলা করবার অধিকার রখে। তবেই না কাল্পনিক আল্লাকে ঠিক মত কাঠগড়া দাঁড় করানো যায়৷ নাহলে এই মিথ্যা অনুভুতির মামলাটি আইনের মুল ধারনা পরিপন্থী।

পরিশেষে ধন্যবাদ দিতে চাই এই বাদী এবং বিবাদী দুজনকে যারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে কোটি কোটি মানুষকে বাস্তবে প্রমান করে দিলেন যে আল্লা একটি ভুয়া স্বত্বা এবং তার অপমানের মামলাটিও আসলে ভুয়া।

লিখেছেন:তোঁতলা মুসা।

মন্তব্যসমূহ

  1. ভাই কাকে বুঝাবেন? আমাদের দেশে ৯৫% মুসলিম শুধু অনুভূতির দিকে, ইসলাম আর কুরানের জ্ঞানে শুন্য! সেজন্যই তারা জ্ঞান আহরণের রাস্তায় নিম্ন মানের অনুভূতি দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। কোনো একদিন হয়তো শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

    উত্তরমুছুন
  2. শুভ বুদ্ধি উদয় হইতে হইতে মরে যাবেন সব।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...