সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিবাহ! বন্ধন নাকি নারীর দাসত্ব!


আমাদের সমাজে "বিবাহ" জিনিসটা আসলে কি ? ছোট বেলা থেকেই আমাদের শিখিয়ে দেয়া হয় বিয়ে হলে তাতে একটি ছেলে থাকবে এবং মেয়ে থাকবে। ছেলে হবে স্বামী আর মেয়ে হবে স্ত্রী। এছাড়া আর কোনভাবেই বিবাহ হয় না। কেন একজন মানুষের জীবনে বিবাহ জিনিসটার প্রয়োজন সেটা নিয়েও আছে বিভিন্ন মত।

কেউ বলেন মানুষ একা থাকতে পারে না। তাই শেষ বয়সে তার একজন সঙ্গী প্রয়োজন হয়। তাই বিবাহ জরুরী। আবার কেউ বলেন এটা একটা সামাজিক রীতি। বিবাহ না করে কোন অনাত্মীয় ছেলে মেয়ে এক সাথে থাকতে পারবে না। তাই বিবাহ জরুরী। কেউ বলেন,সংসার ধর্ম পালন করা আমাদের দায়িত্ব। বংশের উত্তরসুরী থাকতে হবে। বিবাহ ছাড়া বংশের বাতি আসবে না। তাই বিবাহ জরুরী। আছে আরো অনেক মতামত।
ছোট বেলা থেকেই আমাদের বলা হয় বিয়ের আগে কোন ধরনের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অবৈধ।

সেটা করতে হলে বিয়ে করতে হবে। বিয়ের পরে যৌনতা বৈধ। প্রেম করাটাও এখনো আমাদের সমাজে কিছু মানুষের কাছে অবৈধ বলেই বিবেচিত হয়। বিয়ের আগে আবার কিসের প্রেম ? প্রেম করতে হলে বিয়ের পরে করবে। বিয়ের আগে কেউ চুমু খেলেও সেই মেয়েটিকে কলঙ্কিনী বানিয়ে সমাজ ছাড়া করার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়।

একজন নারী যদি বিয়ে না করে সন্তান পেতে চায়,নিজের পরিচয়ে সন্তানকে মানুষ করতে চায় তাহলে সেটাও আমাদের সমাজে অবৈধ। সমাজ সেটাকে বিয়ে ছাড়া স্বীকৃতি দেয় না। একজন পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা তেমন তোয়াক্কা করে না এই সমাজ।

এক কথায় বলা যায়,আমাদের সমাজে যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দেয়া,সন্তানের জন্মকে বৈধতা দেয়ার নামই হচ্ছে বিবাহ। ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করা হলেও আমাদের সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এটাই বাস্তব।

এই বিবাহ নামক চুক্তিতে যে পুরুষ সে হবে স্বামী আর নারী হবে স্ত্রী। স্বামী শব্দের অর্থ হচ্ছে 'প্রভু' আর স্ত্রী হচ্ছে 'সেবিকা'। মানে এই চুক্তি অনুযায়ী পুরুষ হবে প্রভু আর নারী হবে সেই প্রভুর সেবিকা।

সেই হিসাবে বিবাহ নামক চুক্তির মাধ্যমে একজন পুরুষ তার সারা জীবনের জন্য একজন বৈধ সেবিকা কিনে নিল। যেখানে সমাজের কোন বাঁধা থাকবে না। প্রভু যাই বলবে সেবিকাকে তাই করতে হবে। তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা বলতে কিছুই থাকবে না।


মূলত পুরুষতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থা নিজেদের সুবিধার জন্য,আরাম আয়েসের জন্য নারীকে দাসী হিসেবে গ্রহণ করার জন্যই এই বিবাহ নামক চুক্তির প্রচলন করেছে। যেখানে সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করবে কেবল প্রভু মানে পুরুষ। আর নারীর কাজ হবে প্রভুকে তুষ্ট রাখা,সেবা করা,বছর বছর সন্তান জন্ম দিয়ে প্রভুর জন্য উত্তরসুরী তৈরি করা।

এই উত্তরসুরীর মাঝেও আছে ভেদাভেদ। নারীকে অবশ্যই ভবিষ্যতে প্রভুত্ব করার জন্য আরেক ছোট প্রভুর জন্ম দিতে হবে। না পারলে আনা হবে আরেকজন সেবিকা বা দাসী। সে না পারলে আসবে আরেকজন। এক কথায় সেবিকা বদলের বৈধতা শুধু প্রভুদেরকেই দিয়েছে এই সমাজ।

সমাজে সেবিকাদের ইচ্ছার কোন বৈধতা নেই।
আমাদের সমাজে হবু সেবিকা নির্বাচনের প্রক্রিয়াও আরো হাস্যকর। তাকে সুন্দর হতে হবে,শিক্ষিত হতে হবে,সংসার সামলানো জানতে হবে,আর সবচেয়ে বড় কথা কুমারী হতে হবে। প্রভু হিসেবে সে কতোটুকু যোগ্য সেটা দেখার প্রয়োজন নেই। শুধু নারীকে কুমারী হতে হবে। সেই মেয়েকে আবার কুমারী প্রমাণ করার জন্য তার বাবা মা'র চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না।

কুমারী না হলে তাদের মেয়ে যে সমাজ নামক বাজারে অচল মাল। তার জন্য অধিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। কিন্তু কুমারী হলে মালের কাটতি ভাল। কম বিনিয়োগে কাজ চলে যায়। আবার গ্রাম্য সমাজে বাল্য বিবাহ দেয়ার একটা চর্চা আছে যা আরো মারাত্মক। প্রভুর বয়স যতই হোক না কেন দাসী হতে হবে অল্প বয়সের। যত কম বয়সের হবে ততোই ভাল। কিশোরী থেকে যতো বালিকা হতে থাকবে ততোই তার চাহিদা কমে আসবে প্রভুদের কাছে তথা আমাদের সমাজের কাছে। আইবুড়ি মেয়ে বিয়ে হবে না। মেয়েকে বিয়ের বাজারে চালাতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।


যদি কোন কারণে সমাজপতিদের এইসব চালবাজির বিরোধীতা করতে যায় কেউ তখনই হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য টেনে আনা হয় ধর্মকে,ধর্মীয় বিধি বিধানকে। বলা হয় ধর্মে এই বলা হয়েছে,সেই বলা হয়েছে। এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আসা হয় যার বিরুদ্ধে আমাদের দেশের ধর্মভীরু মানুষ কিছু বলার সাহস পায় না। ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়,প্রচলিত সকল ধর্মেই ঘুরে ফিরে পুরুষতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করা হয়েছে।

নারীর বেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে পাপ কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে একাধিক বিয়েতে কোন সমস্যা নেই। স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর স্বর্গ বলে নারীকে সারা জীবন স্বামীর কাছে দাসী বানিয়ে রাখা হয়েছে প্রতিটা ধর্মে। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে,বলে সংসারের যাবতীয় দায়ভার স্ত্রীর কাঁধে দিয়ে দেয়া হয়। স্বামীর কোন দায় নেই। সংসারে কোন সমস্যা হলেই সকল দোষ স্ত্রীর উপর। কিন্তু সংসার যদি ভাল ভাবে চলে তখন উদাহরণ হিসেবে পরিবারের কর্তা তথা প্রভুর নামই নেয়া হয়।

কোন নারীকে তালাক দেয়া হলে তাকে আবার হিল্লা বিবাহের মাধ্যমে আগের স্বামীর কাছে ফিরে আসার ধর্মীয় ফতোয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বামী বা প্রভুর জন্য কিন্তু কোন ব্যবস্থা বা শাস্তির বিধান রাখা হয় নি এসব ফতোয়াতে। যদিও প্রচলিত আইনে এই ফতোয়াকে বৈধতা দেয়া হয় নি বরং এটাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজ থেকে এই রীতি কিন্তু এখনো উঠে যায় নি।

স্বামীর মৃত্যুর পর সাধারণত স্ত্রীকে বিধবা হিসাবে সাজসজ্জা বিহীন অবস্থায় থাকতে হয়। রঙ্গীন কাপড়,অলংকার সব কিছুই ত্যাগ করতে হয়। একটা সময় ছিল যখন হিন্দু রীতিতে স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে স্ত্রীকেও স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারা হত। সেই সতীদাহ প্রথা এখন আর নেই।

কিন্তু আমাদের সমাজে বিধবাদের দুর্ভোগের ভয়াবহতা এখনো আছে। অনেকে বলতে পারেন শহুরে সমাজে এখন ওসব কেউ মানে না। আমিও বলি শহুরে সমাজ ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশ কিন্তু গ্রাম প্রধান দেশ।

শহরের চেয়ে গ্রামের সংখ্যাই বেশি। তাই উদাহরণ হিসেবে গ্রাম্য সমাজটাই তুলে আনা বাঞ্ছনীয়। খেয়াল করলে দেখবেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর কিন্তু স্বামীর ক্ষেত্রে কোন ধরনের বিধি নিষেধ থাকে না। স্বামী যা খুশি করতে পারে। সমাজ তাতে বাধা দেয় না। কারণ সে প্রভু। একটা দাসী গেলে প্রভুরা আরো দাসী নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু দাসীরা সর্বদাই সর্ব সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

আমাদের দেশে নারী অধিকার,নারীর ক্ষমতায়ন,সম অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়। নারীকে পুরুষের সমকক্ষ বলে দাবি করা হয়। কিন্তু বিবাহ নামক চুক্তির মাধ্যমে সেই নারীকেই দাসী বানিয়ে বসিয়ে রাখা হয় পুরুষের পায়ের নিচে। পুরুষকে যৌন সুখ দেয়ার একটা বৈধ পন্থা হিসেবে সমাজ বিবাহকে ব্যবহার করে।

যেখানে একজন নারীর সুখ স্বাচ্ছন্দকে কখনো সমাজের নামে,কখনো ধর্মের নামে,কখনো লোকলজ্জার নামে বলি দেয়া হয়। স্রেফ একটি চুক্তির মাধ্যমে মানুষ থেকে হয়ে যায় দাসী বা সেবিকা। সন্তান জন্মানোর মেশিন। এই যদি হয় আমাদের সমাজে বিবাহের বাস্তব চিত্র,তাহলে শুধুমাত্র পুরুষের দাসত্ব করার জন্য,যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য,সন্তান জন্মানোর যন্ত্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য, একজন নারীকে দাসী বানিয়ে রাখার নামে ব্যবহৃত এই বিবাহ প্রথার কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে আমাদের সমাজে,আমাদের দেশে ???
লিখেছেনঃশহীদুজ্জামান সরকার

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...