এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ইসলামের খুটিনাটি বিষয় গুলো

এই ব্লগ টি তৈরী করা হয়েছে রেফারেন্স এর প্রয়োজনে আপনাদের যদি কারো রেফারেন্স লাগে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন।   

ছবি আঁকা এবং চিত্রশিল্পীদের প্রতি বিদ্বেষ
গ্রন্থের নামঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
 হাদিস নম্বরঃ [1689] অধ্যায়ঃ ১৮/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩০৫ : পাথর, দেওয়াল, ছাদ, মুদ্রা ইত্যাদিতে প্রাণীর মূর্তি খোদাই করা হারাম। অনুরূপভাবে দেওয়াল, ছাদ, বিছানা, বালিশ, পর্দা, পাগড়ী, কাপড় ইত্যাদিতে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করা হারাম এবং মূর্তি ছবি নষ্ট করার নির্দেশ
 ৩/১৬৮৯। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘প্রত্যেক ছবি [বা মূর্তি] নির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি বা মূর্তির পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।’’ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যদি তুমি করতেই চাও, তাহলে গাছপালা ও নিষ্প্রাণ বস্তুর ছবি বা মূর্তি তৈরি করতে পার।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1] [1] সহীহুল বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ২১১০, তিরমিযী ১৭৫১, ২২৮৩, নাসায়ী ৫৩৫৮, ৫৩৫৯, আবূ দাউদ ৫০২৪, ইবনু মাজাহ ৩৯১৬, আহমাদ ১৮৬৯, ২১৬৩, ২২১৪, ২৮০৬, ৩২৬২, ৩৩৭৩, ৩৩৮৪
 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
 হাদিস নম্বরঃ [1687] অধ্যায়ঃ ১৮/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩০৫ : পাথর, দেওয়াল, ছাদ, মুদ্রা ইত্যাদিতে প্রাণীর মূর্তি খোদাই করা হারাম। অনুরূপভাবে দেওয়াল, ছাদ, বিছানা, বালিশ, পর্দা, পাগড়ী, কাপড় ইত্যাদিতে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করা হারাম এবং মূর্তি ছবি নষ্ট করার নির্দেশ
 ১/১৬৮৭। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যারা এ জাতীয় [প্রাণীর] মূর্তি বা ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমার যা বানিয়েছিলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর।’’ (বুখারী) [1] [1] সহীহুল বুখারী ৫৯৫১, ৭৫৫৮, মুসলিম ২১০৮, নাসায়ী ৫৩৬১, আহমাদ ৪৪৬১, ৪৬৯৩, ৪৭৭৭, ৫১৪৬, ৫৭৩৩, ৬০৪৮, ৬২০৫, ৬২২৬, ৬২৯০
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [2225] অধ্যায়ঃ ৩৪/ ক্রয়-বিক্রয়
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৪/১০৪. প্রাণহীন জিনিসের ছবি বেচা-কেনা এবং এসব ছবির মধ্যে যেগুলো অপছন্দনীয় ও নিষিদ্ধ তার বর্ণনা।
 ২২২৫. সা‘ঈদ ইবনু আবুল হাসান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আববাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবূ আববস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরী করি। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) তাঁকে বলেন, (এ বিষয়ে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরী করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। (এ কথা শুনে) লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য, তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এ গাছপালা এবং যে সকল জিনিসে প্রাণ নেই, তা তৈরী করতে পার। আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, সা‘ঈদ (রাঃ) বলেছেন, আমি নযর ইবনু আনাস (রাঃ) হতে শুনেছি তিনি বলেছেন, ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করার সময় আমি তার কাছে ছিলাম। ইমাম বুখারী (রহ.) আরো বলেন, সা‘ঈদ ইবনু আবূ আরুবাহ (রহ.) একমাত্র এ হাদীসটি নযর ইবনু আনাস (রহ.) হতে শুনেছেন। (৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১১০, আহমাদ ২১৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.৮। সাম্প্রদায়িক হাদিস
■ আরব ভুখন্ড হতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করবো
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক
 হাদিস নাম্বার: 3003
৩০০৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা মাসজিদে উপস্থিত ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইয়াহুদীদের এলাকায় চলো। ‘আমরা তাঁর সাথে বের য়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাদেরকে ডেকে বললেনঃ হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল করো শান্তিতে থাকবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আবার বললেনঃ তোমরা ইসলাম কবূল করো, নিরাপত্তা পাবে। তারা বললো, হে আবুল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ এ দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। তৃতীয় বারও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বললেনঃ জেনে রাখো! এ ভুখন্ডের মালিকানা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদের এ ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করতে চাই। সুতরাং তোমরা কোনো জিনিস বিক্রি করতে সক্ষম হলে বিক্রি করো। অন্যথায় জেনে রাখো! এ ভূখন্ডের মালিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4442] অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২১. ইয়াহুদী ও নাসারাদের আরব উপ-দ্বীপ থেকে বহিস্কার
৪৪৪২। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমার কাছে উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয়ই আমি ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়কে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বহিস্কার করবো। পরিশেষে মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে এখানে থাকতে দেবো না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [4486] অধ্যায়ঃ ৩৩। জিহাদ ও সফর
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ২১. ইয়াহুদী ও নাসারাদের আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দেয়া
৪৪৮৬-(৬৩/১৭৬৭) যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ….. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমার কাছে উমর ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয়ই আমি ইয়াহুদী ও খ্ৰীষ্টান সম্প্রদায়কে আরব উপ-দ্বীপ থেকে বের করে দেবো। তারপর মুসলিম ব্যতীত অন্য কাউকে এখানে থাকতে দেবো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৪২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৪৪)
যুহায়র ইবনু হারব ও সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ….. উভয়েই আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৪২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] হাদিস নম্বরঃ [1607] অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
 পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৪৩. আরব উপদ্বীপ হতে ইয়াহুদী-নাসারাদের বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে
১৬০৭। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আমি ইহুদী ও নাসারাদের আরব উপদ্বীপ হতে অবশ্যই বহিষ্কার করব। মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে সেখানে বসবাস করতে দিব না।
 সহীহ, সহীহা (১১৩৪), সহীহ আবূ দাউদ, মুসলিম
 এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সহি মুসলিম
 বই- ১৯, হাদিস নং- ৪৩৬৬
 আমি আরব ভুখন্ড হতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করবো, এখানে থাকবে শুধুমাত্র মুসলিমরা।
■ সকল ইহুদিকে হত্যা করা হবে
পরিচ্ছদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
 ১৩/১৮২৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদী পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে ‘হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদী রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা কর।’ কিন্তু গারক্বাদ গাছ [এরূপ বলবে] না। কেননা এটা ইহুদীদের গাছ।’’ (বুখারী-মুসলিম)
 [1] সহীহুল বুখারী ২৯২৬, মুসলিম ১৫৭, ২৯২২, আহমাদ ৮৯২১, ১০৪৭৬, ২০৫০২
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ অমুসলিমদের সংস্পর্শ
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ )
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩২
 ১৯. যার সংস্পর্শে বসা উচিত
 ৪৮৩২। আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু‘মিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন পরহেযগার লোকে খায়।[1] হাসান।
[1]. তিরমিযী, আহমাদ। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ )
হদিস নম্বরঃ ২৭৮৭
 ১৮২. মুশরিকদের এলাকায় অবস্থান সম্পর্কে
২৭৮৭। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।[1] [1]. সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.৯। খেলাধুলা বিষয়ক
■ দাবা খেলায় নিষেধাজ্ঞা
যে ব্যক্তি দাবা খেললো সে যেন নিজ হাতকে শুকরের গোস্ত ও রক্ত দিয়ে রঞ্জিত করলো। (মুসলিম ২২৬০)
■ খেলাধুলা করা বিষয়ে বিধান
গ্রন্থের নামঃ হাদীস সম্ভার
 হাদিস নম্বরঃ [2330] অধ্যায়ঃ ২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
 পাবলিশারঃ ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী
পরিচ্ছদঃ নিষিদ্ধ খেলাধূলা
(২৩৩০) জাবের বিন আব্দুল্লাহ ও জাবের বিন উমাইর (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তাঁদের একজন অপরজনকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক সেই জিনিস (খেলা) যা আল্লাহর স্মরণের পর্যায়ভুক্ত নয়, তা অসার ভ্রান্তি ও বাতিল। অবশ্য চারটি কর্ম এরূপ নয়; হাতের নিশানা ঠিক করার উদ্দেশ্যে তীর খেলা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিজ স্ত্রীর সাথে প্রেমকেলি করা এবং সাঁতার শিক্ষা করা।’’ (নাসাঈর কুবরা ৮৯৩৮-৮৯৪০, ত্বাবারানীর কাবীর ১৭৬০, সিলসিলাহ সহীহাহ ৩১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.১০। অন্যান্য
■ ভারত আক্রমণ করলে পুরষ্কার
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২৫/ জিহাদ
 হাদিস নাম্বার: 3178
৩১৭৮. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দুর রহীম (রহঃ) … রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোলাম ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের দুটি দল আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পবিত্রাণ দান করবেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইবন মারিয়াম (আঃ) এর সঙ্গে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহাহ ১৯৩৪, সহীহ জামে’ আস-সগীর ৪০১২।
■ জান্নাতে শিশুরা শিশুই থাকবে
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺑﺪﺀ ﺍﻟﺨﻠﻖ )
হাদিস নাম্বার: ৩০২৭।
 হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) … বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এর ছেলে) ইবরাহীম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, তখন তিনি বলেন, জান্নাতে এর জন্য একজন ধাত্রী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আবার আরেক জায়গাতে বলা জান্নাতে বয়স হবে ৩০/৩৩ বছর
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪১/ জান্নাতের বিবরণ
 হাদিস নাম্বার: 2547
২৫৪৭. আবূ হুরায়রা মুহাম্মাদ ইবন ফিরাস বাসরী (রহঃ) ….. মুআয ইবন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতীরা লোমহীন, শ্মশ্রুহীন, কাজলটানা চোখ বিশিষ্ট ত্রিশ বা তেত্রিশ বছরের যুবকরূপে জান্নাতে দাখিল হবে। হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটি হাসান-গারীব। কাতাদা (রহঃ)-এর কোন কোন শিষ্য এ হাদীসটিকে কাতাদা (রহঃ) থেকে মুরসালরূপে রেওয়াত করেছেন। তাঁরা এটিকে মুসনাদ রূপে বর্ণনা করেন নি।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ গনিমতের মাল বণ্টন নিয়ে সাহাবীরা অসন্তুষ্ট হতো
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [6336] অধ্যায়ঃ ৮০/ দু‘আসমূহ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৮০/১৯. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ তুমি দু‘আ করবে….. সূরা আত্ তাওবাহ ৯/১০৩)।
৬৩৩৬. ‘আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত। একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গানীমতের মাল বণ্টন করে দিলে এক লোক মন্তব্য করলেনঃ এটা এমন বণ্টন যার মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির খেয়াল রাখা হয়নি। আমি তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জানালে তিনি রাগান্বিত হলেন। এমনকি আমি তাঁর চেহারার মধ্যে গোস্বার চিহ্ন দেখতে পেলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ মূসা ‘আ.)-এর প্রতি দয়া করুন, তাঁকে এর চেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন। [৩১৫০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৩.০। নারী বিষয়ক
■ নারীদের ওপরে পুরুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান
সুরা আল বাকারা আয়াত ২২৮
 আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।
■ নারীদের গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করতে হবে
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
সুরা আহজাব আয়াত ৩৩
■ স্বামীকে স্ত্রী প্রহারের বৈধতা দান
সুরা নিসা আয়াত ৩৪
 আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।
হযরত আয়শা হতে বর্ণিত, তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যথা দিল। [সহি মুসলিম, বই -৪, হাদিস -২১২৭]
স্ত্রীকে কেন প্রহার করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। [আবু দাউদ , বই নং- ১১, হাদিস -২১৪২]
■ নারীরা হচ্ছে শস্য ক্ষেত্র
সুরা আল বাকারা আয়াত ২২৩
 তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।
■ স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার করা যাবে না
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3433] অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২০. স্বামীর বিছানা পরিহার করা স্ত্রীর জন্য নিষিদ্ধ
 ৩৪৩৩-(১২২/…) আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ, আবূ কুরায়ব, আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহিমাহুমুল্লাহ) ….. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে না আসায় তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সে স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতাগণ ভোর হওয়া পর্যন্ত লা’নাত করতে থাকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪০৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৪০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পুরুষের বহুবিবাহের লাইসেন্স
সুরা নিসা আয়াত ৩
 আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
■ নারীর সম্পত্তিতে অধিকার পুরুষের অর্ধেক
সুরা নিসা আয়াত ১১
 আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান।
■ নারীর সাক্ষ্য দান পুরুষের অর্ধেক
সুরা আল বাকারা আয়াত ২৮২
 দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা।
■ অবমাননাকর হিল্লা বিবাহ
সুরা আল বাকারা আয়াত ২৩০
 তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃত্ব; নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4883] অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০৪৩. যারা তিন তালাককে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ এই তালাক দু’বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। (২ঃ২২৯) ইব্ন যুবায়র (র) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না। শা’বী (র) বলেন ওয়ারিস হবে। ইব্ন শুবরুমা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি ? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। ইব্ন শুবরুমা পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায় তা হলে? (অর্থাৎ আপনার মানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় ওয়ারিস হওয়া জরুরী হয়) এরপ শা’বী তাঁর পূর্ব মত প্রত্যাহার করেন।
 ৪৮৮৩। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে সে (স্ত্রী) অন্যকে বিবাহ করল। পরে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে তালাক দিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল। মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে? তিনি বললেনঃ না। যতক্ষন না সে (দ্বিতীয় স্বামী) তার স্বাদ গ্রহন করবে, যেমন করেছিল প্রথম স্বামী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নারী অশুভ বা নারীতে অমঙ্গল রয়েছে
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৪৩. পশু-পাখি তাড়িয়ে শুভ-অশুভ নির্ণয়।
 ৫৭৫৩. ইবনু ‘উমার হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ছোঁয়াচে ও শুভ-অশুভ বলতে কিছু নেই। অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে।[1] [২০৯৯; মুসলিম ৩৯/৩৪, হাঃ ২২২৫, আহমাদ ৪৫৪৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৯)
 [1] কোন কোন স্ত্রীলোক স্বামীর অবাধ্য হয়। আবার কেউ হয় সন্তানহীনা। কোন গৃহে দুষ্ট জ্বিনের উপদ্রব দেখা যা, আবার কোন গৃহ প্রতিবেশীর অত্যাচারের কারণে অশান্তিময় হয়ে উঠে। গৃহে সলাত আদায় ও যিকর-আযকারের মাধ্যমে জ্বিনের অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কোন কোন পশু অবাধ্য বেয়াড়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5613] অধ্যায়ঃ ৪০/ সালাম
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৩. কুলক্ষণ, সুলক্ষণ, ফাল ও সম্ভাব্য অপয়া বিষয়বস্তুর বিবরণ
 ৫৬১৩। আহমদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হাকাম (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ কোন কিছুতে অশুভ কিছু যদি থাকে, তবে তা হবে ঘোড়া, বাড়ি ও নারীতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নারী হচ্ছে বিপর্যয়কর
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [3998] অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻔﺘﻦ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩০/১৯. নারীদের সৃষ্ট বিপর্যয়
 ১/৩৯৯৮। উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক বিপর্যয়কর আর কিছু রেখে যাবো না।
 সহীহুল বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৮৪০, ২৮৪১, তিরমিযী ২৮৮০, আহমাদ ২১২৩৯, ২১৩২২, সহীহাহ ২৭০১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নারী, গাধা এবং কালো কুকুর
গ্রন্থের নামঃ বুলুগুল মারাম
 হাদিস নম্বরঃ [231] অধ্যায়ঃ পর্ব – ২ঃ সালাত
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৪. সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সুতরা বা আড় – সালাত বিনষ্টকারী বিষয়সমূহের বর্ণনা
 ২৩১. আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত আদায় করার সময় যদি উটের পালানের শেষাংশের কাঠির পরিমাণ একটা সুতরাহ দেয়া না হয় আর উক্ত মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে (প্রাপ্ত বয়স্কা) স্ত্রীলোক, গাধা ও কালো কুকুর অতিক্রম করলে সালাত (এর-একাগ্রতা) নষ্ট হয়ে যাবে। এটা একটা দীর্ঘ হাদীসের খণ্ডাংশ’। তাতে একস্থানে আছেঃ কাল কুকুর হচ্ছে শয়তান।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [952] অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫/৩৮. যা সলাত নষ্ট করে।
 ৬/৯৫২। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম বলেন: সালাতীর সামনে শিবিকার খুঁটির ন্যায় কোন জিনিস না থাকলে নারী, গাধা ও কালো বর্ণের কুকুর তার সালাত নষ্ট করে। অধস্তন রাবী বলেন, আমি বললাম, লাল বর্ণের কুকুর থেকে কালো বর্ণের কুকুরের পার্থক্য কি? তিনি বলেন, তুমি আমাকে যেরূপ জিজ্ঞেস করলে আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তদ্রূপ জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেনঃ কালো কুকুর হল শয়তান।
 তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৫১০, তিরমিযী ৩৩৮, নাসায়ী ৭৫০, আবূ দাঊদ ৭০২, আহমাদ ২০৮১৬, ২০৮৩৫, ২০৮৭০, ২০৯১৪, ২০৯২০; দারিমী ১৪১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৯৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [751] অধ্যায়ঃ ৯/ কিবলা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৭/ নামাযের সামনে সুতরাহ না থাকলে, যাতে নামায নষ্ট হয় আর যাতে নষ্ট হয় না।
 ৭৫১। আমর ইবনু আলী (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়ায়, তখন সে নিজেকে আড়াল করে নেবে যদি তার সামনে হাওদার হেলান কাঠের মত কিছু থাকে। যদি তার সামনে হাওদার হেলান কাঠের মত কিছু না থাকে, তাহলে তার সালাত নষ্ট করবে নারী- গাধা এবং কাল কুকুর। আমি বললাম, লাল ও হলুদে কুকুরের তুলনায় কালো কুকুরের অবস্থা কি?। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করেছিলাম, যেমন তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছ। তখন তিনি বললেনঃ কালো কুকুর শয়তান।
 সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৯৫২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১০২৯
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পুরুষের থেকে নারীর বুদ্ধি কম হয়
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [145] অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৪. ইবাদতের ত্রুটিতে ঈমান হ্রাস পাওয়া এবং কুফর শব্দটি আল্লাহর সাথে কুফুরী ছাড়া নিয়ামত ও হুকুম অস্বীকার করার বেলায়ও প্রযোজ্য
 ১৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ ইবনু মুহাজির আল মিসরি (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ হে রমনীগন! তোমরা দান-খয়রাত করতে থাক এবং বেশি করে ইস্তিগফার কর। কেননা আমি দেখেছি যে, জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী। জনৈকা বুদ্ধিমতী মহিলা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! জাহান্নামে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ কি? বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিসম্পাত করে থাকো এবং স্বামীর প্রতি (অকৃতজ্ঞতা) প্রকাশ করে থাকো। আর দ্বীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে ক্রটিপূর্ণ কোন সম্প্রদায়, জ্ঞানীদের উপর তোমাদের চেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী আর কাউকে আমি দেখিনি।
 প্রশ্নকারিনী জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! জ্ঞান-বুদ্ধি ও দ্বীনে আমাদের কমতি কিসে? তিনি বললেনঃ তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির ক্রটি হলো দু-জন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান; এটাই তোমাদের বুদ্ধির ক্রটির প্রমাণ। স্ত্রীলোক (প্রতিমাসে) কয়েকদিন সালাত (নামায/নামাজ) থেকে বিরত থাকে আর রমযান মাসে রোযা ভঙ্গ করে; (ঋতুমতী হওয়ার কারণে) এটাই দ্বীনের ক্রটি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [1462] অধ্যায়ঃ ২৪/ যাকাত
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ২৪/৪৪. নিকটাত্মীয়দেরকে যাকাত দেয়া।
 ১৪৬২. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিত্রের দিনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে গেলেন এবং সালাত শেষ করলেন। পরে লোকদের উপদেশ দিলেন এবং তাদের সদাকাহ দেয়ার নির্দেশ দিলেন আর বললেনঃ লোক সকল! তোমরা সদাকাহ দিবে। অতঃপর মহিলাগণের নিকট গিয়ে বললেনঃ মহিলাগণ! তোমরা সদাকাহ দাও। আমাকে জাহান্নামে তোমাদেরকে অধিক সংখ্যক দেখানো হয়েছে। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এর কারণ কী? তিনি বললেনঃ তোমরা বেশি অভিশাপ দিয়ে থাক এবং স্বামীর অকৃতজ্ঞ হয়ে থাক। হে মহিলাগণ! জ্ঞান ও দ্বীনে অপরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দৃঢ়চেতা পুরুষের বুদ্ধি হরণকারিণী তোমাদের মত কাউকে দেখিনি। যখন তিনি ফিরে এসে ঘরে পৌঁছলেন, তখন ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযি.) তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! যায়নাব এসেছেন। তিনি বললেন, কোন্ যায়নাব? বলা হলো, ইবনু মাস‘ঊদের স্ত্রী। তিনি বললেনঃ হাঁ, তাকে আসতে দাও। তাকে অনুমতি দেয়া হলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ আপনি সদাকাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার অলংকার আছে। আমি তা সদাকাহ করার ইচ্ছা করেছি। ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) মনে করেন, আমার এ সদাকায় তাঁর এবং তাঁর সন্তানদেরই হক বেশি। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) ঠিক বলেছে। তোমার স্বামী ও সন্তানই তোমার এ সদাকাহর অধিক হাক্দার। (৩০৪, মুসলিম ১২/২, হাঃ ৯৮২, আহমাদ ৭২৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দাই নারী
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [28] অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২১/ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা
 ২৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক; (কারন) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞাসা করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ইহসান অস্বীকার করে। ’ তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি। ’
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নারী নেতৃত্ব দিতে পারবে না
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6618] অধ্যায়ঃ ৮১/ ফিতনা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২৯৯৪. পরিচ্ছেদ নাই
 ৬৬১৮। উসমান ইবনু হায়সাম (রহঃ) … আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি কথা দ্বারা আল্লাহ তা’আলা জঙ্গে জামাল (উষ্ট্রের যুদ্ধ) এর সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করেছেন। (সে কথাটি হল) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছলে যে, পারস্যের লোকেরা কিসরার কন্যাকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে তখন তিনি বললেনঃ সে জাতি কখনই সফলকাম হবে না যারা তাদের শাসনভার কোন রমনীর হাতে অর্পণ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [7099] অধ্যায়ঃ ৯২/ ফিতনা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৯২/১৮. পরিচ্ছেদ নাই।
 ৭০৯৯. আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি কথা দিয়ে আল্লাহ্ জঙ্গে জামাল (উষ্ট্রের যুদ্ধ) এর সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করেছেন। (তা হল) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যখন এ খবর পৌঁছল যে, পারস্যের লোকেরা কিসরার মেয়েকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে, তখন তিনি বললেনঃ সে জাতি কক্ষনো সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।[1] [৪৪২৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮)
 [1] মুসলমানরা যদি সফলতা পেতে চায় তবে তাদেরকে অবশ্যই নারী নেতৃত্ব পরিহার করতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [4425] অধ্যায়ঃ ৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৪/৮৩. পারস্যের কিসরা ও রোমের অধিপতি কায়সারের কাছে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পত্র প্রেরণ।
 ৪৪২৫. আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত একটি বাণীর দ্বারা আল্লাহ জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) দিন আমার মহা উপকার করেছেন, যে সময় আমি সাহাবায়ে কিরামের সঙ্গে মিলিত হয়ে জামাল যুদ্ধে শারীক হতে প্রায় প্রস্তুত হয়েছিলাম। আবূ বাকরাহ (রাঃ) বলেন, সে বাণীটি হল, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ খবর পৌঁছল যে, পারস্যবাসী কিসরা কন্যাকে তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছেন, তখন তিনি বললেন, সে জাতি কক্ষণো সফল হবে না স্ত্রীলোক যাদের প্রশাসক হয়। [৭০৯৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সুগন্ধী ব্যবহার করে পুরুষদের সভায় যারা যায় তারা ব্যভিচারকারিণী
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [1065] অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – জামা‘আত ও তার ফাযীলাত সম্পর্কে
 ১০৬৫-[১৪] আবূ মূসা আল আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রতিটি চক্ষুই ব্যভিচারী। আর যে মহিলা সুগন্ধি দিয়ে পুরুষদের সভায় যায় সে এমন এমন অর্থাৎ ব্যভিচারকারিণী। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1] [1] হাসান : আত্ তিরমিযী ২৭৮৬, আবূ দাঊদ ৪১৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ২০১৯, সুনান আল কুবরা ৯৪২২, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৬৪১, ইবনু হিব্বান ৪৪২৪।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ নারী সম্পর্কিত আরো কিছু হাদিস
১। ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮْﺩٍ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤَﺮﺃَﺓُ ﻋَﻮْﺭَﺓٌ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺧَﺮَﺟَﺖْ ﺇِﺳْﺘَﺸْﺮَﻓَﻬَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ .
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নারী হচ্ছে গোপন বস্তু। যখন সে বাড়ি থেকে বের হয়, তখন শয়তান তাকে নগ্নতার প্রতি ক্ষিপ্ত করে তুলে’ (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩১০৯)। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নারী পর্দাবিহীন অবস্থায় বের হ’লে শয়তান তাকে পাপের উপর ক্ষিপ্ত করে’।
২। ﻋِﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَ ﺗُﺴَﺎﻓِﺮُﻣَﺮْﺃَﺓٌ ﻣَﺴِﻴْﺮَﺓَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬَﺎ ﺫُﻭﻣَﺤْﺮَﻡٍ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা একদিন এক রাতের সফর করতে পারে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫১৫; বাংলা ৫ম খন্ড, হা/২৪০১ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) নারীদেরকে একা সফর করতে নিষেধ করেছেন।
৩। ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺻِﻨْﻔَﺎﻥِ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻟَﻢْ ﺃَﺭَﻫُﻤَﺎ ﻗَﻮْﻡٌ ﻣَﻌَﻬُﻢْ ﺳِﻴَﺎﻁٌ ﻛَﺄَﺫْﻧَﺎﺏِ ﺍﻟْﺒَﻘَﺮِ ﻳَﻀْﺮِﺑُﻮﻥَ ﺑِﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀٌ ﻛَﺎﺳِﻴَﺎﺕٌ ﻋَﺎﺭِﻳَﺎﺕٌ ﻣُﻤِﻴﻼَﺕٌ ﻣَﺎﺋِﻼَﺕٌ ﺭُﺀُﻭﺳُﻬُﻦَّ ﻛَﺄَﺳْﻨِﻤَﺔِ ﺍﻟْﺒُﺨْﺖِ ﺍﻟْﻤَﺎﺋِﻠَﺔِ ﻻَ ﻳَﺪْﺧُﻠْﻦَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻻَ ﻳَﺠِﺪْﻥَ ﺭِﻳﺤَﻬَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺭِﻳﺤَﻬَﺎ ﻟَﻴُﻮﺟَﺪُ ﻣِﻦْ ﻣَﺴِﻴﺮَﺓِ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী রয়েছে যাদেরকে এখনও আমি দেখিনি (প্রথম শ্রেণী) এমন সম্প্রদায় যাদের হাতে গরু পরিচালনা করা লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা মানুষকে প্রহার করবে। (দ্বিতীয় শ্রেণী) নগ্ন পোষাক পরিধানকারী নারী যারা পুরুষদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায় হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ জান্নাতের সেই সুগন্ধি এত বহুদূর হতে পাওয়া যায়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এক মাসের পথের দূরত্ব হতে পাওয়া যায়’ (মুসলিম, মিশকত হা/৩৫২৪; বাংলা ৭ম খন্ড, হা/৩৩৬৯)।
অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) নগ্ন পোষাক পরিহিতা বেহায়া ঈমান ধ্বংসকারিণী নারীদের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি তাদেরকে জাহান্নামী বলেছেন। বিশেষ করে তাদের নগ্ন মাথার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
৪। ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ … ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺃَﻭَّﻝَ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺑَﻨِﻲ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘…. তোমরা দুনিয়া এবং নারীদের থেকে সাবধান থাক। কারণ নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলের প্রথম দুর্ঘটনা নারীদের মধ্যেই ঘটে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮৬; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হা/২৯৫২ ‘বিবাহ’ অধ্যায়)।
৫। ﻋَﻦْ ﺃًﺳَﺎﻣَﺔَ ﺑْﻦِ ﺯَﻳْﺪٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﺎ ﺗَﺮَﻛْﺖُ ﺑَﻌْﺪِﻱْ ﻓِﺘْﻨَﺔً ﺃَﺿَﺮَّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
উসামা ইবনু যায়েদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি আমার পরে এমন কোন জটিল সমস্যা ত্যাগ করিনি, পুরুষদের জন্য বেশী ক্ষতিকারক হতে পারে নারীদের চেয়ে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮৫)। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) নারীদেরকে পুরুষদের জন্য সবচেয়ে বেশী ধ্বংসাত্মক বলে ঘোষণা করেছেন। কাজেই পুরুষদের সাবধান থাকা যরূরী।
৬। ﻋَﻦْ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋَﺎﻣِﺮٍ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﺍﻟﺪُّﺧُﻮﻝَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺟُﻞٌ ﻣِﻦْ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻤْﻮَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﺤَﻤْﻮُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ.
উক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা নারীদের নিকট যাওয়া থেকে সাবধান থাক। একজন ছাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দেবর সম্পর্কে কি বলছেন? রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘দেবর মরণ সমতুল্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩১০২; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হা/২৯৬৯ ‘বিবাহ’ অধ্যায়)।
অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) পুরুষদেরকে নারী থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন। আর ভাবীদেরকে দেবর থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
৭। ﻋَﻦْ ﻋُﻤَﺮَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَ ﻳَﺨْﻠُﻮَﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺈِﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻛَﺎﻥَ ﺛَﺎﻟِﺜُﻬُﻤَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄﺎﻥُ .
ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘অবশ্যই কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হ’লে তৃতীয় জন হবে শয়তান’ (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১৩১৮; বাংলা হা/২৯৮৪)। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) পুরুষদেরকে অপর কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং শয়তান তাদেরকে বিপদগামী করবে বলে সাবধান করেছেন।
৮। ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍ ﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﻧَﺎﻗِﺼَﺎﺕِ ﻋَﻘْﻞٍ ﻭَﺩِﻳْﻦٍ ﺃَﺫْﻫَﺐَ ﻟِﻠُﺐِّ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺍﻟْﺤَﺎﺯِﻡِ ﻣِﻦْ ﺇِﺣْﺪَﻱْ ﻛُﻦَّ .
একদা রাসূল (ছাঃ) মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘বুদ্ধি ও ধর্মের ব্যাপারে অপূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী পুরুষদের জ্ঞান তোমাদের অপেক্ষা আর কেউ অধিক বিনষ্ট করতে পারে এমন কাউকে আমি দেখিনি’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯)। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জ্ঞানী ব্যক্তিও নারীদের চক্রান্ত থেকে রেহায় পায় না। নারীদের চক্রান্ত অত্যন্ত শক্তিশালী। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ﺇِﻥَّ ﻛَﻴْﺪَﻛُﻦَّ ﻋَﻈِﻴﻢٌ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের (নারীদের) চক্রান্ত শক্তিশালী’ (ইউসুফ ২৮)।
৩.১। শিশু মেয়েদের বিবাহ
■ কোর’আন সূরাঃ আত-ত্বলাক্ব আয়াত ৪
তোমাদের যে সব স্ত্রী আর ঋতুবতী হওয়ার আশা নেই। তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনো ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি তাদেরও; আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আর যে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ্ তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।
তাফসীরে জাকারিয়া
 ৪. তোমাদের যে সব স্ত্রী আর ঋতুবতী হওয়ার আশা নেই।(১) তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনো ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি তাদেরও; আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আর যে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ্ তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।
(১) এ আয়াতে তালাকে ইদ্দতের আরও কিছু অবস্থা ও তার হুকুম আহকাম বর্ণিত হচ্ছে, সাধারণ অবস্থায় তালাকের ইদ্দত পূর্ণ তিন হায়েয। কিন্তু যেসব মহিলার বয়োঃবৃদ্ধি অথবা কোন রোগ ইত্যাদির কারণে হায়েয আসা বন্ধ হয়ে গেছে, এমনিভাবে যেসব মহিলার বয়স না হওয়ার কারণে এখনও হায়েয আসা শুরু হয়নি তাদের ইদ্দত আলোচ্য আয়াতে তিন হয়েযের পরিবর্তে তিন মাস নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং গর্ভবর্তী স্ত্রীদের ইদ্দত সন্তান প্রসব সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা যতদিনেই হোক। (ফাতহুল কাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
(৪) তোমাদের যেসব স্ত্রীদের মাসিক হবার আশা নেই, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যাদের এখনো মাসিক হয়নি তাদেরও।(1) আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।(2) আল্লাহকে যে ভয় করবে, তিনি তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন।
1. এ হল সেই মহিলাদের ইদ্দত, যাদের বার্ধক্যের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে অথবা যাদের এখনোও মাসিক আরম্ভ হয়নি। জ্ঞাতব্য যে, বিরল হলেও এমনও হয় যে, মেয়ে সাবালিকা হয়ে যায়, অথচ তার মাসিক আসে না।
2. তালাকপ্রাপ্তা মহিলা যদি গর্ভবতী হয়, তবে তার ইদ্দত হল সন্তান প্রসব করা সময় পর্যন্ত, যদিও সে তালাকের দ্বিতীয় দিনে প্রসব করে তবুও। এ ছাড়া আয়াতের বাহ্যিক অর্থ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্রত্যেক গর্ভবতীর ইদ্দত এটাই; তাতে সে তালাকপ্রাপ্তা হোক অথবা তার স্বামীর মৃত্যু হয়ে থাকুক। বহু হাদীস থেকেও এর সমর্থন হয়। (আরো জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য সুনান গ্রন্থসমূহের তালাক অধ্যায়) গর্ভবতী ছাড়া অন্যান্য যে মহিলাদের স্বামী মৃত্যু বরণ করবে, তাদের ইদ্দত হল ৪ মাস ১০ দিন। (সূরা বাকারাহ ২৩৪ নং আয়াত)
■ পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3372] অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
 ৩৩৭২-(৭১/…) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৩.২। আয়শার বিয়ে
■ শিশু আয়শাকে স্বপ্নে দেখা
সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নাম্বার: ৬৫৩৯
 ৬৫৩৯। উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাকে আমায় দু’বার স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, এক ব্যাক্তি তোমাকে রেশমী এক কাপড়ে জড়িয়ে বহন করে নিয়ে আসছে এবং বলছে ইনি আপনার স্ত্রী। আমি তার নিকাব উন্মোচন করে দেখতে পাই যে ঐ মহিলাটি তুমিই এবং আমি বলছি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে তা হলে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ বিয়ের প্রস্তাবে আবু বকর বিব্রত
সহি বুখারি, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
 উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।
■ আয়শার বয়স
পরিচ্ছদঃ ৩৪. অপ্রাপ্তা বয়স্কা মেয়ে বিয়ে দেয়া
 ২১২১। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাত বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেন। সুলাইমানের বর্ণনায় রয়েছে ছয় বছর। আর তিনি আমার সাথে বাসর যাপন করেন আমার নয় বছর বয়সে।(1)
 (1). বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
 ৩৩৭২-(৭১/…) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৬৩/৪৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সঙ্গে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবাহ, তাঁর মাদীনাহ উপস্থিতি এবং ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে তাঁর বাসর।
 ৩৮৯৬. হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়। তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন। যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন। (৩৮৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
 ৩৩৭০-(৬৯/১৪২২) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলা ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহু (রহিমাছমাল্লাহ) … আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেছেন, আমার বয়স তখন ছয় বছর। তিনি আমাকে নিয়ে বাসর ঘরে যান, তখন আমার বয়স নয় বছর। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা হিজরাত করে মাদীনায় পৌছার পর আমি একমাস যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম এবং আমার মাথার চুল পড়ে গিয়ে কানের কাছে (কিছু) থাকে। (আমার মা) উম্মু রূমান আমার নিকট এলেন, আমি তখন একটি দোলনার উপরে ছিলাম এবং আমার কাছে আমার খেলার সাখীরাও ছিল। তিনি আমাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকলেন, আমি তার নিকট গেলাম। আমি বুঝতে পারিনি যে, তিনি আমাকে নিয়ে কী করবেন। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে দরজায় নিয়ে দাঁড় করালেন। আমি তখন বলছিলাম, আহ, আহ। অবশেষে আমার উদ্বেগ দূরীভূত হল। তিনি আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আনসার মহিলাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে আমার কল্যাণ ও রহমাতের জন্য দুআ করলেন এবং আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (মা) আমাকে তাদের নিকট সমর্পণ করলেন। তারা আমার মাথা ধুয়ে দিলেন এবং আমাকে সুসজ্জিত করলেন। আমি কোন কিছুতে ভীত শংকিত হইনি। চাশতের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং তারা আমাকে তার নিকট সমর্পণ করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ২৪৮৪. যে ব্যক্তি নয় বছরের মেয়ের সাথে বাস রাত্রি অতিবাহিত করে
 ৪৭৮১। কাবিসা ইবনু উকবা (রহঃ) … উরওয়া থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) কে শাদী করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ছয় বছর এবং যখন বাসর করেন তখন তাঁর বয়স ছিল নয় বছর এবং (মোট) নয় বছর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে জীবন যাপন করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৯. পূর্ব বিবাহিতার মৌখিক সম্মতি গ্রহন এবং কুমারীর নীরবতা সম্মতি হিসেবে বিবেচিত হবে
 ৩৩৪৮। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আশিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেছেন, আমার বয়স তখন ছয় বছর। তিনি আমাকে নিয়ে বাসর ঘরে যান, তখন আমার বয়স নয় বছর। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা রাত করে মদিনায় পৌঁছার পর আমি একমাস যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম এবং আমার মাথার চুল পড়ে গিয়ে কানের কাছে (কিছু) থাকে। (আমার মা) উম্মু রুমান আমার নিকট এলেন, আমি তখন একটি দোলনার উপরে ছিলাম এবং আমার কাছে আমার খেলার সাথীরাও ছিল। তিনি আমাকে উচ্চস্বরে ডাকলেন, আমি তার নিকট গেলাম। আমি বুঝতে পারি নি যে, তিনি আমাকে নিয়ে কি করবেন।
 তিনি আমার হাত ধরে আমাকে দরজায় নিয়ে দাঁড় করালেন। আমি তখন হাপাচ্ছিলাম, বলছিলাম, আহ, আহ। অবশেষে আমার উদ্বেগ সত্যি হল। আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আনসার মহিলাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে আমার কল্যাণ ও রহমতের জন্য দুআ করলেন এবং আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (মা) আমাকে তাঁদের নিকট সোপর্দ করলেন। তাঁরা আমার মাথা ধুয়ে দিলেন এবং আমাকে সুসজ্জিত করলেন। অতঃপর চাশতের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং তারা আমাকে তাঁর নিকট সোপর্দ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পুতুল খেলতেন আয়শা
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4849] অধ্যায়ঃ ৩৬/ আদব
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৬০. কাপড়ের স্ত্রী পুতুল নিয়ে খেলা করা সম্পর্কে।
৪৮৪৯. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ………. আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি কাপড়ের তৈরী স্ত্রী পুতুল নিয়ে খেলা করতাম। অধিকাংশ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এমন সময় আসতেন, যখন অন্যান্য বালিকারা আমার কাছে উপস্থিত থাকতো। আর তিনি যখন ঘরে প্রবেশ করতেন, তখন তারা চলে যেত এবং যখন তিনি বাইরে যেতেন, তখন তারা আবার আসতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [3243] অধ্যায়ঃ পর্ব-১৩ঃ বিবাহ
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ – স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৪৩-[৬] ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার খেলার পুতুল নিয়ে সঙ্গী-সাথীদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে খেলতাম (তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে প্রবেশ করতেন, তখন তারা আত্মগোপন করে থাকত। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে আমার নিকট (খেলতে) পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সাথে খেলা করত। (বুখারী ও মুসলিম)[1] [1] সহীহ : বুখারী ৬১৩০, মুসলিম ২৪৪০, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৮৬৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
 ব্যাখ্যা: উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে যখন যান তখন তার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। তখনও তার মধ্যে শিশু বা কৈশরসুলভ স্বভাব ছিলই, তাই তিনি অন্যান্য কিশোরীদের সাথে খেলার সামগ্রী এমনকি পুতুল নিয়ে খেলা করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করলে ঐ বালিকাগুলো লজ্জায় এখানে সেখানে আত্মগোপন করে থাকতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্বভাবসিদ্ধ নিয়মে শিশু-কিশোরদের প্রতি স্নেহ-বাৎসল্যতা প্রদর্শনপূর্বক তাদের ধরে এনে লজ্জা ভাঙ্গিয়ে দিলেন এবং পুনরায় ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সাথে খেলায় জুড়ে দিলেন। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এরপর তারা আমার সাথে খেলা শুরু করলো। তখন তারা যে পুতুল দিয়ে খেলা শুরু করতো তা বর্তমানের পুতুলের ন্যায় পুতুল নয় বরং খেলার সামগ্রী কাপড় বা তুলা দ্বারা তৈরি পুতুল সদৃশ এক প্রকার খেলনা ছিল মাত্র। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১৩০; শারহে মুসলিম ১৫ খন্ড, হাঃ ২৪৪০; মিরকাতুল মাফাতীহ)
■ মাসিকের সময় আয়শার গায়ে লিঙ্গ ঘষতেন মুহাম্মদ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [300] অধ্যায়ঃ ৬/ হায়েজ [ঋতুস্রাব] পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
৩০০। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ইযার পরে নিতাম, আমার হায়েয অবস্থায় তিনি আমার সাথে মিশামিশি করতেন। (৩০২, ২০৩০ দ্রষ্টব্য) (আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫)
During the menses, he used to order me to put on an Izar (dress worn below the waist) and used to fondle me.
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ আল-লুলু ওয়াল মারজান
 হাদিস নম্বরঃ [168] অধ্যায়ঃ ৩/ হায়িয
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ
১৬৮. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ হায়য অবস্থায় থাকলে আল্লাহর রসূল ﷺ তাঁর সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়যে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন। তিনি [‘আয়িশাহ রা)]। বলেনঃ তোমাদের মধ্যে নাবী ﷺ -এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে? (বুখারী পর্ব ৬ঃ /৫ হাঃ ৩০২, মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৩.৩। যুদ্ধবন্দী নারী
■ অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌন সঙ্গম জায়েজ
 সুরা নিসা আয়াত ২৪ তাফসীরে জাকারিয়া
২৪. আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী(১) ছাড়া সব সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে(২)। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই(৩)। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(১) অধিকারভুক্ত দাসী বলতে ঐ সমস্ত নারীদেরকে বুঝায়, যারা কাফের ছিল। মুসলিমগণ যুদ্ধে তাদের পুরুষদের পরাজিত করে তাদেরকে নিজেদের অধিকারে নিয়ে আসে, তখন তাদেরকে মুসলিমদের জন্য বিয়ে ছাড়াই হালাল করা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ হুনাইনের যুদ্ধের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল যোদ্ধাকে ‘আওতাস’-এর দিকে পাঠান। তারা কাফেরদের উপর জয়ী হয়ে তাদের নারীদেরকে নিয়ে আসে। কিন্তু এরা কাফের নারী হওয়ার কারণে মুসলিমগণ তাদেরকে হালাল মনে করছিল না। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ে জানিয়ে দেয়া হয় যে, এরা তাদের জন্য হালাল, তবে শর্ত হলো এদের ইদ্দত শেষ হতে হবে। [মুসলিমঃ ১৪৫৬]
যুদ্ধ-বন্দিনী দাসীদের সাথে সংগম করার ব্যাপারে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে-
(এক) অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, এটা শুধুমাত্র মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে যুদ্ধ হলেই হতে পারে। কোন কারণে যদি মুসলিমদের মধ্যে পরস্পর যুদ্ধ হয়, কিংবা মুসলিম দুটি রাষ্ট্রে যুদ্ধের সূচনা হয়, অথবা মুসলিমদের কোন জাতিগত বা ভাষাগত বা রাজনৈতিক দাঙ্গা হয় সেখানে যে যুদ্ধ হবে সে যুদ্ধের কারণে কাউকে অধিকারভুক্ত দাস-দাসী বানানোর অধিকার ইসলাম কাউকে দেয়নি। যদি কেউ এটা করতে চায় তবে সেটা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ ও ব্যভিচার। এ ধরনের লোকদেরকে ব্যভিচারের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
(দুই) যে সমস্ত মেয়ে বন্দী হয় তাদেরকে ইসলামী আইন অনুযায়ী সরকারের হাতে সোপর্দ করে দিতে হবে। সরকার চাইলে তাদেরকে বিনা শর্তে মুক্ত করে দিতে পারে, মুক্তিপণ গ্রহণ করতে পারে, শক্রর হাতে যে সমস্ত মুসলিম বন্দী রয়েছে তাদের সাথে এদের বিনিময়ও করতে পারে এবং চাইলে তাদেরকে সৈন্যদের মাঝে বন্টনও করে দিতে পারে। তাই বন্দী করার সাথে সাথেই কোন সৈনিক তাদের সাথে সংগম করার অধিকার লাভ করে না। তাছাড়া কোন ক্রমেই যুদ্ধাবস্থায় এ অধিকার কারও থাকবে না। যদি কেউ যুদ্ধাবস্থায় এ কাজ করে তবে তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
(তিন) মেয়েটি গর্ভবতী নয় এতটুকু নিশ্চিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাসিক ঋতুশ্রাব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে সংগম করা যাবে না।
(চার) যে মেয়েকে যার ভাগে দেয়া হবে সে-ই শুধু তাকে ভোগ করতে পারবে: অন্য কেউ নয়।
(পাঁচ) সন্তানের জননী হওয়ার পর এ মেয়েকে আর বিক্রয় করা যাবে না। মালিকের মৃত্যুর পরপরই সে স্বাধীন হয়ে যাবে।
(ছয়) মালিক ইচ্ছে করলে তাকে অন্য কারো কাছে বিয়ে দিতে পারবে। তখন তার খেদমত মালিকের হবে কিন্তু মালিক তার সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না।
(সাত) কোন সেনাপতি যদি নিছক সাময়িকভাবে তার সৈন্যদেরকে বন্দিনী মেয়েদের মাধ্যমে নিজেদের যৌন তৃষ্ণা মেটানোর অনুমতি দেয়, তবে তা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা, এ কাজ ও ব্যভিচারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
(২) অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে, এ আয়াতে মহিলাদের মধ্যে যাদের সাথে সম্ভোগ হয়েছে তাদেরকে মাহর পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ হিসেবে এ আয়াত পূর্বোক্ত ২১ নং আয়াতের মতই। [আদওয়াউল বায়ান] কোন কোন মুফাসসিরের মতে, এখানে মুত’আ বিবাহের কথা বলা হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুতাআ ও সাময়িক বিয়ের অনুমতি ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অসংখ্য সহীহ হাদীসে এটাকে হারাম ঘোষণা করা হয়। যেমন এক হাদীসে এসেছে, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বার যুদ্ধের কালে মুত’আ বিয়ে ও গৃহপালিত গাধার গোস্ত হারাম করেছেন। [বুখারী ৫১১৫, ৫৫২৩; আরও দেখুন বুখারীঃ ৪২১৬, মুসলিমঃ ১৪০৬, ১৪০৭] কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, এরপর মক্কা বিজয়ের বছর সেটাকে আবার বৈধ করা হয়েছিল। কিন্তু সহীহ হাদীসে এসেছে যে, মক্কা থেকে বের হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এ জাতীয় বিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত হারাম করে দেয়া হয়েছে। [মুসলিম: ১৪০৬] এ হিসেবে মুত’আ বিবাহ প্রথমে খায়বারের যুদ্ধে হারাম করা হয়। এরপর মক্কা বিজয়ের সময় হালাল করা হয়, অথবা কোন কোন সাহাবী রাসূলের অগোচরেই না জানা অবস্থায় সেটা করেন। কিন্তু মক্কা বিজয়ের বছর আওতাসের পর্যন্ত হারাম করে দেয়া হয়। [যাদুল মা’আদ]
(৩) ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাযী হওয়ার অর্থ হচ্ছে, ধার্যকৃত পূর্ণ মাহর প্রদান করে স্ত্রীকে তার মাহরের ব্যাপারে পূর্ণ অধিকার প্রদান করা। [তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ]
সুরা নিসা আয়াত ২৪ তাফসীরে আহসানুল বায়ান
(২৪) নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী[1] ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এ হল আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত নারীগণ ব্যতীত আর সকলকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হল; এই শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে নিজ সম্পদের বিনিময়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে, অবৈধ যৌন-সম্পর্কের মাধ্যমে নয়।[2] অতঃপর তোমরা তাদের মধ্যে যাদের (মাধ্যমে দাম্পত্যসুখ) উপভোগ করবে, তাদেরকে নির্ধারিত মোহর অর্পণ কর।[3] মোহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ হবে না।[4] নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
[1] কুরআন কারীমে ﺇِﺣْﺼَﺎﻥٌ শব্দটি চারটি অর্থে ব্যবহার হয়েছে। যথা, (ক) বিবাহ (খ) স্বাধীনতা (গ) সতীত্ব এবং (ঘ) ইসলাম। এই দিক দিয়ে ﻣُﺤْﺼَﻨَﺎﺕ এর হবে চারটি অর্থঃ (ক) বিবাহিতা মহিলাগণ (খ) স্বাধীন মহিলাগণ (গ) সতী-সাধ্বী মহিলাগণ এবং (ঘ) মুসলিম মহিলাগণ। এখানে প্রথম অর্থকে বুঝানো হয়েছে। আয়াতের শানে নুযুল (অবতীর্ণ হওয়ার কারণ) সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যখন কোন কোন যুদ্ধে কাফেরদের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হল, তখন ঐ সকল মহিলারা বিবাহিতা হওয়ার কারণে মুসলিমরা তাদের সাথে সহবাস করার ব্যাপারে ঘৃণা অনুভব করল। অতঃপর নবী করীম (সাঃ)-কে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-গণ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে এই আয়াত অবতীর্ণ হল। (ইবনে কাসীর) এ থেকে জানা গেল যে, যুদ্ধলব্ধ কাফের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হয়ে এলে, তাদের সাথে সহবাস করা জায়েয, যদিও তারা বিবাহিতা হয়। তবে গর্ভমুক্ত কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী। অর্থাৎ, এক মাসিক দেখার পর অথবা গর্ভবতী হলে প্রসবের পর (নিফাস বন্ধ হলে তবেই) তার সাথে সহবাস করা যাবে।
 ক্রীতদাসীদের মাসআলাঃ কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় দাস-দাসীর রাখার প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। কুরআন এ প্রথাকে উচ্ছেদ তো করেনি, তবে তাদের ব্যাপারে এমন কৌশল ও যুক্তিময় পথ অবলম্বন করা হয়, যাতে তারা খুব বেশী বেশী সুযোগ-সুবিধা অর্জন করতে পারে এবং দাস-প্রথার প্রবণতা হ্রাস পায়। দু’টি মাধ্যমে এই প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রথমটি হল, কোন কোন গোত্র এমন ছিল যাদের পুরুষ ও নারীকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ক্রয়-বিক্রয় করা হত। এই ক্রীত নর-নারীকেই ক্রীতদাস ও দাসী বলা হয়। মনিবের অধিকার হত তাদের দ্বারা সর্ব প্রকার ফয়দা ও উপকার অর্জন করা। আর দ্বিতীয়টি হল, যুদ্ধে বন্দী হওয়ার মাধ্যমে। কাফেরদের বন্দী মহিলাদেরকে মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হত এবং তারা দাসী হয়ে তাঁদের সাথে জীবন-যাপন করত। বন্দিনীদের জন্য এটাই ছিল উত্তম ব্যবস্থা। কারণ, তাদেরকে যদি সমাজে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হত, তাহলে তাদের মাধ্যমে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি হত। (বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ মৌলানা সাঈদ আহমদ আকবার আবাদী রচিত বই ‘আররিক্কু ফীল ইসলাম’ (ইসলামে দাসত্বের তাৎপর্য) মোট কথা হল, (স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকা অবস্থায়) সধবা মুসলিম মহিলাদেরকে বিবাহ করা যেমন হারাম, তেমনি সধবা কাফের মহিলারাদেরকেও বিবাহ করা হারাম, তবে যদি তারা মুসলিমদের অধিকারে এসে যায়, তাহলে তারা গর্ভমুক্ত কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের জন্য (যৌন-সংসর্গ) হালাল হবে।
[2] অর্থাৎ, কুরআন ও হাদীসে যে মহিলাদের সাথে বিবাহ করা হারাম বলে ঘোষিত হয়েছে, তাদেরকে ছাড়া অন্য মহিলাদেরকে বিবাহ করা জায়েয চারটি শর্তের ভিত্তিতে। (ক) তলব করতে হবে। অর্থাৎ, উভয় পক্ষের মধ্যে ইজাব ও কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) হতে হবে (এক পক্ষ প্রস্তাব দিবে এবং অপর পক্ষ কবুল করবে)। (খ) দেনমোহর আদায় করতে হবে। (গ) তাকে সব সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে রাখা উদ্দেশ্য হবে, কেবল কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থ করাই লক্ষ্য হবে না। (যেমন, ব্যভিচারে অথবা শীয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত মুতআ’ তথা কেবল যৌনক্ষুধা নিবারণের লক্ষ্যে কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে চুক্তিবিবাহ হয়ে থাকে)। (ঘ) গোপন প্রেমের মাধ্যমে যেন না হয়, বরং সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ হবে। এই চারটি শর্ত আলোচ্য আয়াত থেকেই সংগৃহীত। এ থেকে যেমন প্রমাণিত হয় যে, শীয়া সম্প্রদায়ের প্রচলিত মুতআ’ বিবাহ বাতিল, অনুরূপ প্রচলিত ‘হালালা’ (রীতিমত তিন তালাকের পর অন্য এক পুরুষের সাথে বিবাহের মাধ্যমে স্বামীর জন্য স্ত্রীকে হালাল করার) পদ্ধতিও না-জায়েয। কারণ, এতেও মহিলাকে সব সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে রাখা উদ্দেশ্য হয় না, বরং প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এই বিবাহ কেবল এক রাতের জন্য হয়।
[3] এখানে এ ব্যাপারে তাকীদ করা হচ্ছে যে, যে মহিলাদের সাথে তোমরা বৈধ বিবাহের মাধ্যমে যৌনসুখ ও স্বাদ গ্রহণ কর, তাদেরকে তাদের নির্দিষ্ট মোহর অবশ্যই আদায় করে দাও।
[4] এখানে পরস্পরের সম্মতিক্রমে মোহরের মধ্যে কম-বেশী করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিঃ দ্রষ্টব্যঃ ﺍﺳﺘﻤﺘﺎﻉ ‘ইস্তিমতা’ শব্দ থেকে শীয়া সম্প্রদায় মুতআ’ বিবাহের বৈধতা সাব্যস্ত করে। অথচ এর অর্থ হল, বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে যৌনসুখ উপভোগ করা; যেমন এ কথা পূর্বেও বলা হয়েছে। অবশ্য মুতআ’ বিবাহ ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈধ ছিল, কিন্তু তার বৈধতা এই আয়াতের ভিত্তিতে ছিল না, বরং সেই প্রথা অনুযায়ী ছিল, যা ইসলামের পূর্বে থেকেই চলে আসছিল। অতঃপর নবী করীম (সাঃ) একেবারে পরিষ্কার ভাষায় কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম ঘোষণা করে দিলেন।
■ যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সঙ্গম করা জায়েয এবং তার স্বামী বর্তমান থাকলে সে বিবাহ বাতিল
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3477] অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺮﺿﺎﻉ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. ইসতিবরার পর যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সঙ্গম করা জায়েয এবং তার স্বামী বর্তমান থাকলে সে বিবাহ বাতিল
৩৪৭৭। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর ইবনু মায়সারা কাওয়ারীরী (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধের সময় আওতাসের দিকে একটি বাহিনী পাঠান। তারা শক্রদলের মুখোমুখী হয় এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয়। এদের মধ্য থেকে দাসীদের সাথে সহবাস করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকজন সাহাবী যেন নাজায়িয মনে করলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে। আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ” অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দত পূর্ন করে নিবে।
[গর্ভবতী হলে প্রসব, অন্যথায় এক ঋতু অতিবাহিত হওয়াকেই ইসতিবরার বলে।] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ যুদ্ধবন্দী নারীদের মধ্যে থেকে নবী নিজে পছন্দ করে নারী নিতেন
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক
 হাদিস নাম্বার: 2995
২৯৯৫। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা খায়বারে আক্রমণ করি। মহান আল্লাহ যখন এ দুর্গ জয় করালেন তখন হুয়াইয়ের কন্যা সফিয়্যাহর সৌন্দর্যের কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বর্ণনা করা হয়। তিনি সদ্য বিবাহিতা ছিলেন এবং তার স্বামী এ যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের জন্য পছন্দ করলেন। অতঃপর তাকে নিয়ে সেখান থেকে রওয়ানা হলেন। ‘আমরা সাদ্দুস-সাহবা নামক জায়গাতে পৌঁছলে তিনি মাসিক ঋতু থেকে পবিত্র হন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে নির্জনবাস করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ যুদ্ধবন্দী নারীদের পছন্দ করে নিতো মুহাম্মদের জিহাদীগণ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে
 হাদিস নাম্বার: 2984
২৯৮৪. নাসর ইবন আলী (রহঃ) ………… আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাফিয়্যা ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পসন্দ করা মালের অংশ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে
 হাদিস নাম্বার: 2985
২৯৮৫. সা’ঈদ ইবন মানসূর (রহঃ) ……….. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা খায়বর আক্রমণ করি। অতঃপর মহান আল্লাহ্ যখন এ দুর্গ জয় করিয়ে দেন, তখন সাফিয়্যা বিনত হুয়াই এর সৌন্দর্যের কথা তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিকট বর্ণিত হয়। (এ যুদ্ধে) তার স্বামী নিহত হয়, যখন তিনি ছিলেন নববধূ মাত্র। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পসন্দ করেন। অতঃপর তিনি তাকে নিয়ে রওয়ানা হন, এমনকি যখন ‘সাদ্দা-সাহবা’ নামক স্থানে পৌছান, তখন তিনি হালাল হয়ে যান। অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে সহবাস করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2988] অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১৫৯. গনীমতের মালে নবী ( ﷺ) -এর পসন্দনীয় অংশ।
২৯৮৮. দাঊদ ইবন মু’আয (রহঃ) ……….. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বর যুদ্ধশেষে যখন যুদ্ধ-বন্দীদের একত্রিত করা হয়, তখন দাহিয়া-কালবী এসে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে বন্দীদের থেকে একটা দাসী প্রদান করুন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যাও একজন দাসী নিয়ে যাও। তখন তিনি সাফিয়্যা বিনত হুয়াইকে নিয়ে যান। অতঃপর জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি সাফিয়্যাকে দাহিয়া-কালবীকে প্রদান করলেন?
রাবী ইয়াকূব বলেনঃ সাফিয়্যা বিনত হুয়াই ছিলেন কুরায়যা ও নযীর গোত্রের সর্দার কন্যা, তিনি তো আপনারই যোগ্যা। তখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাহিয়াকে তাকে (সাফিয়্যা) সহ ডেকে আন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে দাহিয়াকে বলেনঃ তুমি এর বদলে বন্দীদের মধ্য হতে অন্য যে কোন দাসী নিয়ে নাও। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আযাদ করে দেন এবং তাঁকে বিবাহ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদ তার জামাতা আলিকে যুদ্ধবন্দী নারী দিতেন সেক্স করার জন্য
বিঃদ্রঃ পাঠক লক্ষ্য করুন, যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে যৌন কর্মের পরে গোছলের কথাটিকে বাঙলায় অনুবাদ করা হয়েছে শুধু গোছল হিসেবে। যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে নবী জামাতা আলী সেক্স করতেন তা গোপন করার জন্য। খুব কৌশলে আলীর চরিত্র রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে একই হাদিসের ইংরেজি অনুবাদে সেটি পাওয়া যায়।
 গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [4350] অধ্যায়ঃ ৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﻐﺎﺯﻯ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৪/৬২. বিদায় হাজ্জের পূর্বে ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ।
 ৪৩৫০. বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আলী (রাঃ)-কে খুমুস (গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ) নিয়ে আসার জন্য খালিদ (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। (রাবী বুরাইদাহ বলেন,) আমি ‘আলী (রাঃ)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট, আর তিনি গোসলও করেছেন। (রাবী বলেন) তাই আমি খালিদ (রাঃ)-কে বললাম, আপনি কি তার দিকে দেখছেন না? এরপর আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে আসলে আমি তাঁর কাছে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি বললেন, হে বুরাইদাহ! তুমি কি ‘আলীর প্রতি অসন্তুষ্ট? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার উপর অসন্তুষ্ট থেক না। কারণ খুমুসে তার প্রাপ্য এর চেয়েও অধিক আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০১২)
Narrated Buraida: The Prophet ( ﷺ ) sent `Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated `Ali, and `Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, “Don’t you see this (i.e. `Ali)?” When we reached the Prophet ( ﷺ) I mentioned that to him. He said, “O Buraida! Do you hate `Ali?” I said, “Yes.” He said, “Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus.”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আয্ল প্রসঙ্গে।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [5210] অধ্যায়ঃ ৬৭/ বিয়ে ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৭/৯৭. ‘আয্ল প্রসঙ্গে।
৫২১০. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধকালীন সময়ে গানীমাত হিসাবে কিছু দাসী পেয়েছিলাম। আমরা তাদের সঙ্গে ‘আয্ল করতাম। এরপর আমরা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেনঃ কী! তোমরা কি এমন কাজও কর? একই প্রশ্ন তিনি তিনবার করলেন এবং পরে বললেন, ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যে রূহ পয়দা হবার, তা অবশ্যই পয়দা হবে। [1] [৫২০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৮
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2088] অধ্যায়ঃ ২৬/ ক্রয় – বিক্রয় ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺒﻴﻮﻉ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৩৮৪. গোলাম বিক্রয় করা
 ২০৮৮. আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলেন, তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা বন্দী দাসীর সাথে সংগত হই। কিন্তু আমরা তাদের (বিক্রয় করে) মূল্য হাসিল করতে চাই। এমতাবস্থায় আযল (নিরুদ্ধ সঙ্গম) সম্পর্কে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তোমরা কি এরূপ করে থাক? তোমরা যদি তা (আযল) না কর, তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কারন মহান আল্লাহ্ তা’আলা যে সন্তান জন্ম হওয়ার ফায়সালা করে রেখেছেন, তা অবশ্যই জন্মগ্রহন করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২১৫৫
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ 2155
অধ্যায়ঃ ৬/ বিবাহ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৩৯. বন্দী স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করা।
 ২১৫৫. আন- নুফায়লী ………. রুওয়াইফি‘ ইবন সাবিত আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি (রুওয়াইফি‘) আমাদের মধ্যে খুতবা প্রদানের সময় দন্ডায়মান হয়ে বলেন, আমি তোমাদেরকে তা-ই বলব, যা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি হুনায়নের (যুদ্ধের) সময় বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন অন্যের খেতে পানি সেচ না করে অর্থাৎ অন্যের গর্ভবতী কোন নারীর সাথে সহবাস না করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, তার জন্য কোন বন্দিনী গর্ভবতী নারীর সাথে সহবাস করা বৈধ নয়, যতক্ষণ সে সন্তান প্রসব করে পবিত্র না হয়। আরো বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলা ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তার জন্য গণীমতের মাল বণ্টনের আগে বিক্রয় করা হালাল নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
৩.৪। দাসী সহবত
■ সুরা আল-মা’আরিজ আয়াত ২৯-৩০
যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে, কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।
■ সুরা আল-আহযাব আয়াত ৫০
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন।
■ দাসীর ব্যাপার ভিন্ন
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।
সুরা আল-আহযাব আয়াত ৫২
৩.৫। হিজরাদের সম্পর্কে মহানবী
■ হিজরাদের প্রতি অভিশাপ
১। ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞَ ﻳَﻠْﺒَﺲُ ﻟُﺒْﺴَﺔَ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﺗَﻠْﺒَﺲُ ﻟُﺒْﺴَﺔَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ -
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সেই পুরুষের ওপর অভিশাপ করেছেন যে, মহিলার পোষাক পরিধান করে এবং সে মহিলার উপর অভিশাপ করেছেন যে পুরুষের পোষাক পরিধান করে (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৬৯, বাংলা ৮ম খন্ড, হা/৪২৭০, হাদীছ ছহীহ)।
২। ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟْﻤُﺨَﻨَّﺜِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺮَﺟِّﻼَﺕِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) হিজড়ার বেশ ধারণকারী পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারীর উপর অভিশাপ করেছেন (বুখারী, মিশকাত হা/৪৪২৮)।
৩। ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻳَﺴَﺎﺭٍ ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑِﻦْ ﻋَﻤْﺮٍﻭﻋﻦِ ﺍﻟﻨَﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺍﻟْﻌَﺎﻕُّ ﻟِﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻪِ ﻭَﺍﻟﺪَّﻳُّﻮﺙُ ﻭَﺭَّﺟْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন- রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না- (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (২) বাড়ীতে বেহায়াপনার সুযোগ প্রদানকারী (৩) পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী’ (নাসাঈ, হাদীছ ছহীহ্, ছহীহ তারগীব হা/২০৭০)।
৪। ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻠَﻴْﻜَﺔَ ﻗَﺎﻝَ ﻗِﻴﻞَ ﻟِﻌَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﺗَﻠْﺒَﺲُ ﺍﻟﻨَّﻌْﻞَ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻠَﺔَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ
আবূ মুলায়কা (রাঃ) বলেন, একদা আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলা হল- একটি মেয়ে পুরুষের জুতা পরে। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, রাসূল (ছাঃ) পুরুষের বেশধারী নারীর প্রতি অভিশাপ করেছেন (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৭০, হাদীছ ছহীহ)।
৪.০। জান্নাতের বিবরণ
■ কোরআনে বর্ণনা
প্রশস্থ এবং বড় চোখ-
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
মুক্তার মত
 আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়
ভ্রু এবং মাথার চুলছাড়া যাদের শরীরে কোন পশম থাকবে না। [Sunan al-Tirmidhi, hadith: 5638]
পরিপূর্ণ স্তন্যের অধিকারী, সমবয়স্কা। কিছু অনুবাদকের ভাষায়, যেই স্তনে কখনো মানুষের স্পর্শ পড়ে নি। সুরাটির তাফসির পড়ুন এখান থেকে।
এর তফসিরে বলা হয়েছে,
 [*] ﻛﻮﺍﻋﺐ শব্দটি ﻛﺎﻋﺐ -এর বহুবচন। যার অর্থ হল পায়ের গাঁট। যেমন গাঁট উঁচু হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি তাদের স্তনগুলিও অনুরূপ উঁচু উঁচু হবে; যা তাদের রূপ-সৌন্দর্যের একটি সুদৃশ্য। (অর্থাৎ তারা সদ্য উদ্ভিন্ন স্তনের ষোড়শী তরুণী হবে।) ﺃﺗﺮﺍﺏ শব্দের অর্থ হল সমবয়স্ক।
[ গ্রন্থঃ তাফসীরে আহসানুল বায়ান। অনুবাদঃ শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইজী ]
■ অন্যান্য গ্রন্থ থেকে হুরের বিবরণ
অপূর্ব সুন্দরী, ভার্জিন, যারা পেশাব পায়খানা পর্যন্ত করবে না, মাসিক হবে না, যতই যৌন কর্ম করুক তারা কোনদিন গর্ভবতী হবে না। যেসব নারীর হাইমেন চির অক্ষত থাকবে অসংখ্যবার সেক্সের পরেও। অর্থাৎ তারা সতী থাকবে, যতবার সেক্সই তারা করুক না কেনঃ
তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে দেওয়া হবে ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী হুরী তাদের ভোগের জন্য। বেহেশতবাসীরা যেকোন বয়সেই মারা যাক না কেন, তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।
সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪
 হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনাবেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতিসুন্দরী উন্নতবক্ষা হুরীগণ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজেগুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই।
মিসকাত অধ্যায় ৩, পৃষ্ঠা-৮৩-৯৭
 হুরীগণ এত বেশি সুন্দরী ও রূপসী হবে যে, তারা যদি আকাশের জানালা দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাঁকায়, তাহলে সমস্ত দুনিয়া আলোকিত হবে এবং সুগ্রানে ভরে যাবে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের সব জায়গা। একজন হুরীর মুখমণ্ডল হবে আয়নার চেয়েও মসৃন বা পরিস্কার, যাতে নিজ চেহারা দেখতে পাবে এবং হুরীর পায়ের মজ্জা দেখা যাবে খালি চোখে।
তিরমিজি,অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা ৩৫-৪০
 একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক), পেশাব, পায়খানা, গর্ভবতি হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুরি হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।
হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭:
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন, “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।
আবু উমামা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, ‘আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রেরণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে ৭২ খানা স্ত্রীর সহিত বিবাহ দেয়া হইবে; যার দুইখানা হুরি এবং বাকি সত্তরখানা হবে জাহান্নামবাসীদের সম্পত্তির। তাদের সকলের থাকবে কামুক যৌনাঙ্গ এবং তার লিঙ্গ থাকবে অনন্তকাল উত্থিত।
[সুনান ইবনে মাজা, যুহ্দ (Book of Abstinence) ৩৯]
দারাজ ইবনে আবি হাতিম কর্তৃক উল্লেখিত, আবু সাইদ আল-খুদরির নিকট হইতে প্রাপ্ত, আবু আল-হায়থাম’আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব কর্তৃক বর্ণিত, যিনি শুনেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন,’ জান্নাতের সবচে ছোট পুরস্কার হবে একটি প্রাকৃতিক ঘর, যেখানে আট হাজার ভৃত্য এবং ৭২ খানা হুরি থাকবে, যার গম্বুজ থাকবে মুক্তো, পান্না ও চুনী দ্বারা সজ্জিত, এবং যা প্রশ্বস্ত হবে আল-জাবিয়াহ থেকে সানার মধ্যকার দুরত্বের সমান।
[আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭]
একজন হুরির সাথে প্রতিবার শয্যাগ্রহনকালে আমরা তাকে কুমারী হিসেবে পাব। তাছাড়া জান্নাতিদের লিঙ্গ কখনো নমনীয় হবে না। এই লিঙ্গোত্থান হবে অনন্তকালের জন্য; প্রতিবার তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করবে, তা হবে পরম তৃপ্তিদায়ক যা এই দুনিয়ার কেউ পায় নি, এবং তোমরা যদি সেই পুলক দুনিয়াতে থেকে লাভ করতে তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে। নির্বাচিত প্রতিটি মুসলিম বান্দা তাদের পৃথিবীর স্ত্রীদের ছাড়া আরও ৭০ খানা হুরির সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে, এবং তাদের সকলের থাকবে অত্যন্ত কামুক যোনী।
[আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১]
■ জান্নাতে পুরুষের যৌন শক্তি
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2538] অধ্যায়ঃ ৪১/ জান্নাতের বিবরণ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ জান্নাতবাসীগনের সঙ্গমের বিবরণ।
২৫৩৮. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ও মাহমূদ ইবন গায়লান …. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে প্রত্যেক মুমিনকে এত এত সঙ্গম শক্তি দেওয়া হবে। বলা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তা করতে সক্ষম হবে কি? তিনি বললেনঃ তাকে তো একশ’ জনের শক্তি দেওয়া হবে। হাসান সহীহ, মিশকাত ৫৬৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী] এ বিষয়ে যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহীহ-গারীব। ইমরান আল কাত্তান (রহঃ) ছাড়া কাতাদা … আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়ত হিসাবে এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুর
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1669] অধ্যায়ঃ ২৫/ জিহাদের ফযীলত
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ শহীদের সাওয়াব।
১৬৬৯। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) … মিকদাম ইবনু মা‘দীকারির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে শহীদদের জন্য রয়েছে ছয়টি বৈশিষ্টঃ রক্ত ক্ষরণের প্রথম মূহূর্তেই তাকে মাফ করা হবে। জান্নাতে তার নির্ধারিত স্থান প্রদর্শন করা হবে। কবর আযাব থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবচেয়ে মহাভীতির দিনে তাকে নিরাপদে রাখা হবে, তাঁর মাথায় সম্মানের তাজ পরানে হবে, এর একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম হবে; বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুরের সঙ্গে তার বিবাহ হবে, তার সত্তর জন নিকট আত্মীয় সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। সহীহ, আহকামুল জানায়িয ৩৫-৩৬, তা’লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহাহ ৩২১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী] ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] হাদিস নম্বরঃ [1663] অধ্যায়ঃ ২০/ জিহাদের ফাযীলাত
 পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
 পরিচ্ছদঃ ২৫. শহীদের সাওয়াব
১৬৬৩। মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে। তার প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করা হয়, তাকে তার জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, সে কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে, তার মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে টানা টানা আয়তলোচনা বাহাত্তরজন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কুবুল করা হবে।
 সহীহ, আহকা-মুল জানায়িজ (৩৫-৩৬), তা’লীকুর রাগীব (২/১৯৪), সহীহা (৩২১৩)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
জান্নাতে পেশাব-পায়খানা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6889] অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৭. জান্নাত ও জান্নাতবাসীগন পাঠের এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাদের তাসবীহ
৬৮৮৯। উসমান ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতী লোকেরা জান্নাতে পানাহার করবে। তবে থুথু ফেলবে না, পেশাব-পায়খানা করবে না এবং নাকও ঝাড়বেনা। (এ কথা শুনে) তারা (সাহাবীগণ) বললেন, তবে (ভক্ষিত) খাদ্য কি হবে? তিনি বললেন, ঢেকুরে এবং মিশকের বিচ্ছুরনের ন্যায় ঘাম (দ্বারা হজম হয়ে যাবে)। তাসবীহ-তাহলীল করা তাদের অন্তকরণে ইলহাম করা হবে যেমন ইলহাম করা হবে তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের বিষয়টি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জান্নাতে মানুষ ষাট হাত লম্বা হবে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺰﻫﺪ )
হাদিস নাম্বার: 4333
৬/৪৩৩৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বপ্রথম দলের লোকেদের চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের পূর্ণ চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। তাদের পরবর্তী দলের চেহারা হবে আকাশের উজ্জ্বল তারকারাজির মত। জান্নাতবাসীগণ পেশাব করবে না, পায়খানাও করবে না। তাদের নাকে শ্লেষ্মা হবে না এবং থুথুও ফেলবে না। তাদের চিরুনী হবে সোনার তৈরী। তাদের শরীর থেকে নির্গত ঘাম মিশকের ন্যায় সুগন্ধময় হবে। তাদের জন্য চন্দন কাঠ ও আগরবাতি জ্বালানো থাকবে। তাদের স্ত্রীগণ হবে আয়তলোচনা হূর। তাদের চরিত্র.. বৈশিষ্ট্য হবে একই ব্যক্তির ন্যায়। তারা তাদের পিতা আদম আলাইহিস সালামের অবয়বে ষাট হাত লম্ব হবে।
 ৭/৪৩৩৩(১)। আবূ বাকর ইবনে আবূ শাইবা (রাঃ) আবূ মুআবিয়া-আমাশ-আবূ সালেহ-আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত… উমারার সূত্রে ইবনে ফুদাইল (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ অন্যান্য বিবরণ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪১/ জান্নাতের বিবরণ
 হাদিস নাম্বার: 2537
২৫৩৭. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী’ (রহঃ) …… আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবেন তাঁরা হবেন পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল; দ্বিতীয় যে দলটি প্রবেশ করবেন তাঁরা হবেন আকাশের সুন্দরতম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। প্রত্যেকের দু’জন করে স্ত্রী হবে। প্রত্যেক স্ত্রীর গায়ে সত্তর জোড়া করে পোষাক থাকবে। এর ভিতর থেকেও তাদের পায়ের নলার হাড্ডির মগজ পরিদৃষ্ট হবে।
 সহীহ, সহিহাহ ১৭৩৬, মিশকাত তাহকিক ছানী ৫৬৩৫, তা’লীকুর রাগীব ২৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] (আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪১/ জান্নাতের বিবরণ
 হাদিস নাম্বার: 2539
২৫৩৯. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) …… আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। তারা সেখানে থুথুও ফেলবে না, তাদের নাকের ময়লাও ঝাড়তে হবে না এবং পেশাব পায়খানাও করতে হবে না। তাদের থালা-বাসন হবে সোনার। আর চিরুনীগুলোও হবে সোনা ও রূপার। আগর কাঠের তারা ধূপ নিবেন। তাদের ঘামও হবে মিশকের মত। তাদের প্রত্যেকেরই দু’জন করে স্ত্রী হবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশতের ভেতর থেকেও তাদের পায়ের নলার হাড্ডির মগজ পরিদৃষ্টি হবে। সেখানে তাদের পরস্পর কোন মতবিরোধ ও হিংসা থাকবে না। সকলের হৃদয় হবে যেন একজনেরই হৃদয়। সকাল-বিকাল আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে তারা। সহীহ, বুখারি ৩২৪৫, মুসলিম ৮/১৪৬-১৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী] এ হাদিসটি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪১/ জান্নাতের বিবরণ
 হাদিস নাম্বার: 2572
২৫৭২. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) … মুআবিয়া (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জান্নাতে পানির সাগর, মধুর সাগর, দুধের সাগর ও শরাবের সাগর রয়েছে। এগুলো থেকে পরে আরো নহরের শাখা-প্রশাখা বের হবে। সহীহ, মিশকাত তাহকিক ছানী ৫৬৫০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৭১ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটি হাসান-সহীহ। হাকীম ইবন মুআবিয়া হলেন বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) এর পিতা।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [4337] অধ্যায়ঃ ৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা
১১/৪৩৩৭। আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তাদের প্রত্যেককেই বাহাত্তরজন স্ত্রীর সাথে বিবাহ দিবেন। তাদের মধ্যে দু’জন হবে আয়তলোচনা হূর এবং সত্তরজন হবে জাহান্নামীদের থেকে ওয়ারিসী সূত্রে প্রাপ্ত। তাদের প্রত্যেকের স্ত্রী অঙ্গ হবে অত্যন্ত কামাতুর এবং পুরুষের অঙ্গ হবে অত্যন্ত সুদৃঢ় অটল। হিশাম ইবনে খালিদ (রাঃ) বলেন, জাহান্নামীদের থেকে প্রাপ্ত স্ত্রী বুঝতে সেইসব পবিত্রা নারীদের বুঝানো হয়েছে যাদের স্বামীরা জাহান্নামী হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীরা ঈমানদার হওয়ার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করেছে। যেমন ফেরাউনের স্ত্রী জান্নাতী।
 হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ৪৪৭৩। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ১. খালিদ বিন ইয়াযীদ বিন আবু মালিক সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৬৩, ৮/১৯৬ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযিদ বিন আবু মালিক সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার কিছু হাদিস আছে যেগুলোর অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০২২, ৩২/১৮৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)
.৩। চিকিৎসা বিজ্ঞান
■ অসুখ বিসুখ হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামত
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6336] অধ্যায়ঃ ৪৭/ সদ্ব্যবহার, আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদিতে পতিত হলে এমন কি তার পায়ে কাঁটা বিধলে তার সাওয়াব
৬৩৩৬। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর আল কাওয়ারীরী (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন উম্মু সায়িব কিংবা উম্মূল মূসায়্যিব (রাঃ) এর কাছে গিয়ে বললেন, তোমার কি হয়েছে হে উম্মু সায়িব অথবা উযুল মুসায়্যিব! কাঁপছ কেন? তিনি বললেন, ভীষণ জ্বর, একে আল্লাহ বরকত না দিন। তখন তিনি বললেনঃ তুমি জ্বরকে গালি দিয়ো না। জ্বর আদম সন্তানের গোনাহসমূহ মোচন করে দেয়, যেভাবে হাঁপর লোহার মরিচা দূর করে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
 হাদিস নম্বরঃ [38] অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৩/৩৮। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসলিমকে যে কোনো ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমন কি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।’’[1] [1] সহীহুল বুখারী ৫৬৪২, মুসলিম ২৫৭৩, তিরমিযী ৯৬৬, আহমাদ ৭৯৬৯, ৮২১৯, ৮৯৬৬, ১০৬২৪
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ রোগ হলে নিরাময়ের চেষ্টা না করে ধৈর্য্য ধরা উচিত
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
 অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
 হাদিস নাম্বার: 36
১১/৩৬। আত্বা ইবনু আবী রাবাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আমাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, ‘এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দো‘আ করুন।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি যদি চাও তাহলে সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকটে দো‘আ করব।’’ স্ত্রীলোকটি বলল, ‘আমি সবর করব।’ অতঃপর সে বলল, ‘(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দো‘আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।’ ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দো‘আ করলেন।[1] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
 [1] সহীহুল বুখারী ৫৬৫৩, তিরমিযী ২৪০০, আহমাদ ১২০৫৯, ১২১৮৫, ১৩৬০৭।
■ রোগের মধ্যে কোন সংক্রামক নেই
পরিচ্ছদঃ ২৩২৫. কোন সংক্রামক নেই
 গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (5361)
অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 ৫৩৬১। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (রোগের মধ্যে) কোন সংক্রমণ নেই এবং শুভ-অশুভ নেই আর আমার নিকট ‘ফাল’ পছন্দনীয়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেনঃ ‘ফাল’ কী? তিনি বললেনঃ উত্তম কথা।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ২৩২৫. কোন সংক্রামক নেই
 গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (5360)
অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 ৫৩৬০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ (রোগে) কোন সংক্রমণ নেই। আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান বলেন আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগাক্রান্ত উট সুস্থ উটের মধ্যে মিশাবে না। যুহরী সুত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (রোগে) সংক্রমণ নেই। তখন এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল এ ব্যাপারে অপনার কি মত যে, হরিণের ন্যায় সুস্থ উট প্রান্তরে থাকে। পরে কোন চর্মরোগগ্রস্ত উট এদের সাথে মিশে সবগুলোকে চর্মরোগে আক্রান্ত করে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা যদি হয় তবে প্রথমটিকে কে রোগাক্রান্ত করেছিল?
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ২৪. অশুভ লক্ষণ
 গ্রন্থের নামঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদিস নম্বরঃ [3911] অধ্যায়ঃ ২৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 ৩৯১১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই সফর মাসকেও অশুভ মনে করা যাবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে তাও অবান্তর। তখন এক বেদুঈন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির চারণ ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জংলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোনো একটি চর্মরোগে আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দেয়। তিনি বললেনঃ প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে?
মা‘মার (রহঃ) বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন, অতঃপর এক ব্যক্তি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ উটের সাথে একত্রে পানি পানের জায়গায় না আনা হয়।’’ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর এ হাদীস শুনে এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি এ হাদীস বর্ণনা করেননি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই, সফর মাসকে অশুভ মনে করবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত আছে তা অবান্তর?’’
তখন আবূ হুরাইরাহ বলেন, না, আমি তোমাদের নিকট এরূপ হাদীস বলিনি। যুহরী বলেন, আবূ সালামাহ (রাঃ) বলেছেন, তিনি অবশ্যই এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে আমি আবূ হুরাইরাহকে এ হাদীস ছাড়া কখনো কোনো হাদীস ভুলে যেতে শুনিনি।[1] [1]. বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পেটের অসুখের নিরাময়
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [5684] অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৪. মধুর সাহায্যে চিকিৎসা। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়।’’ সূরাহ আন-নাহলঃ ৬৯)
৫৬৮৪. আবূ সা‘ঈদ হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল। [৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ থুথু মাটিতে মিশিয়ে চিকিৎসা
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৩/ চিকিৎসা
 হাদিস নাম্বার: 3895
৩৮৯৫। আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কেউ ব্যথার অভিযোগ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুখের থুথু বের করে তাতে মাটি মিশিয়ে বলতেনঃ ‘‘আমাদের এ পৃথিবীর মাটিতে আমাদের কারো থুথু মিশালে আমাদের রবের আদেশে আমাদের রোগী ভালো হয়ে যায়।[1] সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ রোগের নিরাময়
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5278] অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২২৭৪. তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় আছে
 ৫২৭৮। হুসায়ন (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগমুক্তির ব্যবস্থা নিহিত আছে। মধু পান করা ও ব্যবহার করা, শিঙ্গা লাগান এবং আগুন (তপ্ত লৌহ) দিয়ে দাগ লাগানো। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে দাগ লাগাতে নিষেধ করছি। হাদীসটি “মারফূ”। কুম্মী হাদীসটি লায়স, মুজাহিদ, ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﺤَﺠْﻢِ শব্দে বর্ননা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ছত্রাকের উপর শিশির চোখের রোগ আরোগ্যকারী
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা
 হাদিস নম্বরঃ ৫৭০৮
 ৭৬/২০. জমাট শিশির চোখের জন্য শেফা।
৫৭০৮. সা‘ঈদ ইবনু যায়দ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ছত্রাক এক প্রকারের শিশির থেকে হয়ে থাকে। আর এর রস চোখের আরোগ্যকারী। [৪৪৭৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৩)
শু‘বাহ (রহ.) বলেনঃ হাকাম ইবনু উতাইবা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমার কাছে এরূপ বর্ণনা করেছেন। শু‘বাহ (রহ.) বলেনঃ হাকাম যখন আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করেন তখন ‘আবদুল মালিক বর্ণিত হাদীসকে তিনি অগ্রাহ্য করেননি। আধুনিক প্রকাশনী- দ্বিতীয় অংশ নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ খেজুর খেলে বিষক্রিয়া হয় না।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭০/ খাওয়া সংক্রান্ত ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﻃﻌﻤﺔ )
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৫
 ৭০/৪৩. আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে।
 ৫৪৪৫. সা‘দ তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না। [৫৭৬৮, ৫৭৬৯, ৫৭৭৯]আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ঔষধ।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নম্বরঃ ৫৬৮৭
 ৭৬/৭. কালো জিরা
 ৫৬৮৭. খালিদ ইবনু সা‘দ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনা্য় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।
পরিচ্ছদঃ ৭৬/২৮. জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।
 ৫৭২৩. ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও।
 নাফি‘ (রহ.) বলেন, ‘আবদুল্লাহ তখন বলতেনঃ আমাদের উপর থেকে শাস্তিকে হালকা কর। [৩২৬৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৭৬/২৮. জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।
 ৫৭২৪. ফাতিমাহ বিনত্ মুনযির (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আসমা বিন্ত আবূ বাকর -এর নিকট যখন কোন জ্বরে আক্রান্ত স্ত্রীলোকদেরকে দু‘আর জন্য নিয়ে আসা হত , তখন তিনি পানি হাতে নিয়ে সেই স্ত্রীলোকটির জামার ফাঁক দিয়ে তার গায়ে ছিটিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ করতেন, আমরা যেন পানির সাহায্যে জ্বরকে ঠান্ডা করি। [মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১১,আহমাদ ২৬৯৯২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৭৬/২৮. জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।
 ৫৭২৫. ‘আয়িশাহ সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। কাজেই তোমরা পানি দিয়ে তা ঠান্ডা কর। [৩২৬৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ৭৬/২৮. জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ।
 ৫৭২৬. রাফি‘ ইবনু খাদীজ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। কাজেই তোমরা তা পানি দিয়ে ঠান্ডা কর। [৩২৬২; মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মাছির ডানায় প্রতিষেধক
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নাম্বার: ৫৭৮২.
আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও কোন খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিবে, তারপরে ফেলে দিবে। কারণ, তার এক ডানায় থাকে আরোগ্য, আর আরেক ডানায় থাকে রোগ। [৩৩২০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২১/ খাদ্যদ্রব্য ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﻃﻌﻤﺔ )
হাদিস নাম্বার: ৩৮০১.
আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ……….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তোমরা তাকে পাত্রের মাঝে সম্পূর্ণরুপে ডুবিয়ে দেবে। কেননা, তার এক ডানায় রোগ এবং অপর ডানায় শিফা থাকে। আর মাছি খাবারে পতিত হওয়ার সময় ঐ ডানা নিক্ষেপ করে, যাতে রোগ-জীবাণু থাকে। কাজেই তোমরা তাকে পাত্রের মধ্যে ডুবিয়ে দেবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নাম্বার: ৫৩৬৬
 কুতায়বা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও কোন খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে সম্পূর্নভাবে ডুবিয়ে দিবে, তারপরে ফেলে দিবে। কারন, তার এক ডানায় থাকে শিফা, আর অন্য ডানায় থাকে রোগ জীবানু।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নজর লাগা/ সাপে কামড়ালে ঝার-ফুক করা
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
 গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] অধ্যায়ঃ ২৬/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ )
হাদিস নাম্বার:
২০৫৬। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, জ্বর, বদ-নজর ও ব্ৰণ-ফুসকুড়ি (ক্ষুদ্র ফোড়া) ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুক দেয়ার সম্মতি প্রদান করেছেন।
 সহীহ, মুসলিম।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, জ্বর ও ফুসকুড়ির ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুক দেয়ার সম্মতি প্রদান করেছেন
 সহীহ, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। তিনি আরও বলেন, আমার মতে পূর্ববর্তী হাদীসের তুলনায় এ হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।
 বুরাইদা, ইমরান ইবনু হুসাইন, জাবির, আইশা, তালক ইবনু আলী, আমর ইবনু হাযম ও আবূ খিযামা (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [5612] অধ্যায়ঃ ৪০। সালাম ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২১. চোখলাগা, পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হতে (মুক্তির জন্য) ঝাড়ফুক করা মুস্তাহাব
৫৬১২-(৫৪/২১৯৪) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ….. আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ম করে ছিলেন যে, মানুষ তার (শরীরের) কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোন ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত (হয়ে) থাকলে- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আঙ্গুল দ্বারা এ রকম করতেন- (এ কথা বলে এভাবে করার ধরণ বুঝানোর জন্য)। বর্ণনাকার সুফইয়ান (রহঃ) তার বুড়ে আঙ্গুলটি জমিনে রাখলেন- অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দু’আ পড়তেন ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗُﺮْﺑَﺔُ ﺃَﺭْﺿِﻨَﺎ ﺑِﺮِﻳﻘَﺔِ ﺑَﻌْﻀِﻨَﺎ ﻟِﻴُﺸْﻔَﻰ ﺑِﻪِ ﺳَﻘِﻴﻤُﻨَﺎ ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺭَﺑِّﻨَﺎ অর্থাৎ- আল্লাহর নামে- আমাদের জমিনের ধূলামাটি আমাদের কারো (মুখের) লালার সঙ্গে (মিলিয়ে)- আমাদের পালনকর্তর আদেশে তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশে (মালিশ করছি)। তবে ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) (তার বর্ণনাতে) বলেছেন- ﻳُﺸْﻔَﻰ ‘শিফা দান করা হয়’। এবং যুহায়র (রহঃ) বলেছেন, ﻟِﻴُﺸْﻔَﻰ আমাদের রোগীর সুস্থতা লাভের উদ্দেশে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৩১, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [5620] অধ্যায়ঃ ৪০। সালাম ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২১. চোখলাগা, পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হতে (মুক্তির জন্য) ঝাড়ফুক করা মুস্তাহাব
৫৬২০-(৬১/২১৯৯) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ….. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু আমরকে সাপের ছোবলে আক্রান্ত রোগীর ঝাড়ফুঁকের অনুমতি দেন। আবূ যুবায়র (রহঃ) আরও বলেছেন- আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) কে আরও বলতে শুনেছি যে, একটি বিছা আমাদের এক লোককে ছোবল দিল। আমরা সেথায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বসা ছিলাম। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি (তাকে) ঝেড়ে দেই? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন লোক যদি তার ভাইয়ের (কোনও) উপকার করতে পারে, সে যেন (তা) করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৩৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পিঁপড়ার কামড়ে ঝাড়ফুঁক।
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নম্বরঃ ৩৮৮৭
১৮. ঝাড়ফুঁক সম্পর্কে
 ৩৮৮৭। আশ-শিফা বিনতু আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি হাফসাহ (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বললেনঃ তুমি ওকে (হাফসাহকে) যেভাবে লেখা শিখিয়েছ, সেখাবে পিপড়া (পোকা) কামড়ের ঝাড়ফুঁক শিক্ষা দাও না কেন।[1] সহীহ।
[1]. আহমাদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বিষাক্ত প্রাণীর কামড়ে ঝাড়ফুঁক।
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৩/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নম্বরঃ ৩৮৮৪
 ১৭. তাবীজ ঝুলানো
 ৩৮৮৪। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেবল বদনযর লাগা কিংবা বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক দেয়া যায়।[1] সহীহ।
[1]. বুখারী মাওকুফভাবে, তিরমিযী, আহমাদ, হুমাইদী। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) 2
■ চেহারায় কালিমা বা কালো দাগের চিকিৎসা ঝাড়ফুক
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5328] অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২৩০৬. বদ নযরের জন্য ঝাড়ফুঁক করা
 ৫৩২৮। মুহাম্মদ ইবনু খালিদ (রহঃ) … উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি মেয়েকে দেখলেন যে, তার চেহারায় কালিমা রয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ তাকে ঝাড়ফুক করাও, কেননা তার উপর (বদ) নযর লেগেছে। আবদুল্লাহ ইবনু সালিম (রহঃ) এ হাদীস যুবায়দী থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। উকায়ল (রহঃ) বলেছেন, এটি যুহরী (রহঃ) উরওয়া (রহঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
Narrated Um Salama: that the Prophet ( ﷺ ) saw in her house a girl whose face had a black spot. He said. “She is under the effect of an evil eye; so treat her with a Ruqya.”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [5739] অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৩৫. নযর লাগার জন্য ঝাড়ফুঁক।
 ৫৭৩৯. উম্মু সালামাহ হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে একটি মেয়েকে দেখলেন যে, তার চেহারা মলিন। তখন তিনি বললেনঃ তাকে ঝাড়ফুঁক করাও, কেননা তার উপর নযর লেগেছে।
‘আবদুল্লাহ ইবনু সালিম (রহ.) এ হাদীস অনুযায়ীযুবাইদী থেকে একই ভাবে বর্ণনা করেছেন।
‘উকায়ল (রহ.) বলেছেন, এটি যুহরী (রহ.) ‘উরওয়াহ (রহ.) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৩৯/২১, হাঃ ২১৯৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৫)
Narrated Um Salama: that the Prophet ( ﷺ ) saw in her house a girl whose face had a black spot. He said. “She is under the effect of an evil eye; so treat her with a Ruqya.”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ উটের মূত্র পান
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [4246] অধ্যায়ঃ ২৯। কাসামাহ্ (খুন অস্বীকার করলে হলফ নেয়া), মুহারিবীন (লড়াই), কিসাস (খুনের বদলা) এবং দিয়াত (খুনের শাস্তি স্বরূপ জরিমানা) ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻘﺴﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻤﺤﺎﺭﺑﻴﻦ ﻭﺍﻟﻘﺼﺎﺹ ﻭﺍﻟﺪﻳﺎﺕ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. শক্র সৈন্য এবং মুরতাদদের বিচার
 ৪২৪৬-(১০/…) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, “উকল” গোত্রের আটজনের একটি দল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ইসলামের উপর বাই’আত করল। অতঃপর মাদীনার আবহাওয়া তাদের প্রতিকূল হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অভিযোগ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি আমাদের রাখালের সাথে গমন করে উটের মূত্র এবং দুগ্ধ পান করতে পারবে? তখন তারা বলল, জী- হ্যাঁ। এরপর তারা বের হয়ে গেলে এবং এর (উটের) মূত্র ও দুগ্ধ পান করল। এতে তারা সুস্থ হয়ে গেল্ অতঃপর তারা রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে গেলে। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছল। তিনি তাদের পিছনে লোক পাঠালেন। তারা তাদেরকে পাকড়াও করে নিয়ে এল। তাদের প্রতি নির্দেশ জারি করা হল। তখন তাদের হাত-পা কৰ্তন করা হল এবং তপ্ত লৌহ শলাকা চোখে প্রবেশ করানো হলা। এরপর তাদেরকে রৌদ্রে নিক্ষেপ করা হলো। অবশেষে তারা মারা গেল।
 ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) … বর্ণনা ﻭَﻃَﺮَﺩُﻭﺍ ﺍﻹِﺑِﻞَ এর স্থলে ﻭَﺍﻃَّﺮَﺩُﻭﺍ ﺍﻟﻨَّﻌَﻢَ উল্লেখ রয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর তাদের চোখগুলো উপড়ে ফেলা হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২০৭, ইসলামিক সেন্টার ৪২০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4208] অধ্যায়ঃ ২৯/ ‘কাসামা’-(খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা), ‘মুহারিবীন’ (শত্রু সৈন্য), ‘কিসাস’ (খুনের বদলা) এবং ‘দিয়াত’ (খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ড) ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻘﺴﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻤﺤﺎﺭﺑﻴﻦ ﻭﺍﻟﻘﺼﺎﺹ ﻭﺍﻟﺪﻳﺎﺕ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২. শত্রু সৈন্য এবং মুরতাদের বিচার
৪২০৮। হারুন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট “উকল” অথবা “উবায়না” সম্প্রদায়ের একদল লোক এল। মদিনার আবহাওয়া তাদের (বসবাসের) জন্য অনুপযোগী হল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে “লিকাহর” (দুগ্ধবতী উটনীর) ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ দিলেন এর মূত্র ও দুধ পান করার জন্য।
এই হাদীসটি হাজ্জাজ ইবনু আবূ উসমানের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে। এতে রাবী বলেন যে, এবং তাদের চোখগুলো উপড়ে ফেলা হল ও তাদের রৌদ্রে নিক্ষিপ করা হল। তারা পানি (পান করতে) চাইল, কিন্তু তাদেরকে পানি পান করানো হল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কুষ্ঠ আর ধবল রোগ বুধবার রাতে হয়।
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ২৫/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৭
 ২৫/২২. কোন্ দিন রক্তমোক্ষণ করানো উচিত?
২/৩৪৮৭। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে নাফে! আমার রক্তে উচ্ছাস দেখা দিয়েছে (রক্তচাপ বেড়েছে)। অতএব আমার জন্য একজন রক্তমোক্ষণকারী খুঁজে আনো, আর সম্ভব হলে সদাশয় কাউকে আনবে। বৃদ্ধ বা বালককে আনবে না। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ বাসি মুখে রক্তমোক্ষণ করালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং তাতে জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। অতএব আল্লাহর বরকত লাভে ধন্য হতে তোমরা বৃহস্পতিবার রক্তমোক্ষণ করাও, কিন্তু বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবারকে রক্তমোক্ষণ করানোর জন্য বেছে নেয়া থেকে বিরত থাকো। সোম ও মঙ্গলবারে রক্তমোক্ষণ করাও, কেননা এ দিনই আল্লাহ আইউব (আ) -কে রোগমুক্তি দান করেন এবং বুধবার তাকে রোগাক্রান্ত করেন। আর কুষ্ঠরোগ ও ধবল বুধবার দিনে বা রাতেই শুরু হয়।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৭৬৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. উসমান বিন মাতার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৬৩, ১৯/৪৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. হাসান বিন আবু জা’ফার সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১২১১, ৬/৭৩ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
২.৪। মহাকাশ বিজ্ঞান
■ কিয়ামত অর্থাৎ মহাবিশ্ব কবে ধ্বংস হবে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [7142] অধ্যায়ঃ ৫৫/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২৩. কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়া
৭১৪২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামত কবে হবে? তখন তাঁর নিকট মুহাম্মাদ নামক এক আনসারী বালক উপিস্থিত ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ বালক যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই কিয়মত সংগঠিত হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পানি ও আরশ এ দু’টি বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [79] অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
 ক্বদর (কদর) বা তাক্বদীর তাই, যা আল্লাহ ফায়সালা করেছেন এবং কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করেছেন।
 তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ এ বিশ্বাস রাখা যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তা ভালো হোক আর মন্দ হোক, ক্ষতিকর হোক বা উপকারী হোক তা’ নির্ধারিত। এমনকি বান্দার কর্মকান্ড যার মধ্যে ঈমান আনা, কুফরী করা, আনুগত্য করা, অবাধ্য হওয়া, পথভ্রষ্ট হওয়া ও সৎ পথে চলা- সব কিছুই আল্লাহর ফায়সালা। এসব তাঁরই নির্ধারণ, ইচ্ছা, সৃষ্টি ও প্রভাবের ফল। তবে তিনি ঈমান আনয়নে ও তাঁর আনুগত্যে সন্তুষ্ট হন এবং এজন্য তিনি প্রতিদানের অঙ্গীকারও করেছেন। পক্ষান্তরে কুফরী ও অবাধ্যতায় সন্তুষ্ট হন না বরং এজন্য তিনি শাস্তির ভয়প্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা সবকিছু নির্ধারণ করেছেন। অর্থাৎ- তিনি কোন কিছু অস্তিত্বে আনার আগেই তার পরিমাণ, অবস্থা ও তার অস্তিত্বে আসার কাল বা সময় সম্পর্কে অবহিত। অতঃপর তিনি তা অস্তিত্বে এনেছেন। অতএব উর্ধ্বজগতে বা অধঃজগতে আল্লাহ ব্যতীত কোন স্রষ্টা ও নির্ধারণকারী নেই। সবকিছুই তাঁর জ্ঞান, ক্ষমতা ও ইচ্ছানুযায়ী হয়। এতে সৃষ্টি জগতের কারো ইচ্ছা বা প্রভাব নেই।
 ৭৯-[১] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে মাখলূক্বের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন, (তখন) আল্লাহর ‘আরশ (সিংহাসন) পানির উপর ছিল। (মুসলিম)[1] [1] সহীহ : মুসলিম ২৬৫৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
 ব্যাখ্যা: ( ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺮْﺷُﻪٗ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤَﺎﺀِ ) অর্থাৎ- আকাশ ও জমিন সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার ‘আর্শ (আরশ) পানির উপরে ছিল। এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, পানি ও আরশ এ দু’টি বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা। যেহেতু এ দু’টিকে আসমান ও জমিন সৃষ্টির আগেই সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে এমনটা প্রতীয়মান হতে পারে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির কোন কিছুই পানির আগে সৃষ্টি করেননি।
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [94] অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
 ৯৪-[১৬] ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সর্বপ্রথম যে বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন তা হচ্ছে কলম। অতঃপর তিনি কলমকে বললেন, লিখ। কলম বলল, কী লিখব? আল্লাহ বললেন, ক্বদর (কদর) (তাক্বদীর) সম্পর্কে লিখ। সুতরাং কলম- যা ছিল ও ভবিষ্যতে যা হবে, সবকিছুই লিখে ফেলল। (তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি সানাদ হিসেবে গরীব)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
 ব্যাখ্যা: ( ﺃَﻭَّﻝَ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﻘَﻠَﻢُ ) ‘আল্ আযহার’ গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ- ‘আর্শ (আরশ), পানি ও বায়ু সৃষ্টির পরে প্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। কেননা সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘আকাশ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে আল্লাহ তা‘আরা মাখলূক্বের তাক্বদীর নির্ধারণ করেছেন।’’ তখন আল্লাহর ‘আর্শ (আরশ) ছিল পানির উপরে।
 বায়হাক্বীতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর ‘আর্শ (আরশ) পানির উপরে ছিল। তাহলে পানি কিসের উপর ছিল? তিনি বললেনঃ (পানি) বায়ুর পিঠে ছিল। হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীর ১৩ খণ্ডের ১৮৬ পৃষ্ঠায় মারফূ‘ সূত্রে উল্লেখ করেছেন যে, ‘‘আর্শ (আরশ) সৃষ্টির পূর্বে পানি সৃষ্টি করা হয়েছে’’। হাদীসটি ইমাম আহমাদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
 তবে মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিযীতে ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) থেকে সহীহ সানাদে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হাদীস। আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে কলম সৃষ্টি করলেন। অতঃপর বললেন, তুমি লিখ। অতঃপর কলম ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যা ঘটবে তা লিখলো।
 এ হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হাদীসের মধ্যে সমন্বয় এই যে, পানি ও ‘আর্শ (আরশ) ব্যতীত যা সৃষ্টি করা হয়েছে তন্মধ্যে কলম প্রথম সৃষ্টি। ‘আর্শ (আরশ) ও কলম এ দু’টির মধ্যে কোন বস্ত্ত আগে সৃষ্টি করা হয়েছে- এ সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ ‘আলিমের মতে ‘আর্শ (আরশ) আগে সৃষ্টি করা হয়েছে। ইবনু জারীর ও তার অনুসারীদের মতে কলম আগে সৃষ্টি করা হয়েছে।
■ আল্লাহ কী বার কী কী সৃষ্টি করেন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [6947] অধ্যায়ঃ ৫২। কিয়ামাত, জান্নাত ও জান্নামের বর্ণনা
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ১. সৃষ্টির সূচনা এবং আদাম (আঃ) এর সৃষ্টি
৬৯৪৭-(২৭/২৭৮৯) সুরায়জ ইবনু ইউনুস ও হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ….. আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন এবং এতে পর্বত সৃষ্টি করেন রবিবার দিন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি বিপদাপদ সৃষ্টি করেন। তিনি নূর সৃষ্টি করেন বুধবার দিন। তিনি বৃহস্পতিবার দিন পৃথিবীতে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুমুআর দিন আসরের পর জুমুআর দিনের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ আসর থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে সর্বশেষ মাখলুক আদাম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭৯৭,ইসলামিক সেন্টার ৬৮৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৩/ কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ
 হাদিস নম্বরঃ [6797] পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২. সৃষ্টির সূচনা এবং আদম (আঃ) এর সৃষ্টি
৬৭৯৭। সুরায়জ ইবনু ইউনুস ও হারুন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তাআলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত সৃষ্টি করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর সৃষ্টি করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি পৃথিবীতে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুমুআর দিন আসরের পর তিনি আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুমুআর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে (মাখলূক) আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সূর্য রাতের বেলা কই যায়?
সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
২৯৭২। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। এরপর সে পুনঃ উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেওয়া হয়। আর অচিরেই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে না। তাকে বলা হবে যে পথে এসেছ, সে পথে ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে–এটাই মর্ম হল আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর সূর্য গমন করে তার নির্দিষ্ট গন্ত্যব্যের দিকে, এটাই পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
(কোরআন ৩৬:৩৮)
সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ৪৪৩৯। আবূ নু’আয়ম (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্যাস্তের সময় আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে মসজিদে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আবূ যার! তুমি কি জানো সূর্য কোথায় ডুবে? আমি বললাম, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল) সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেন, সূর্য চলে, অবশেষে আরশের নিচে গিয়ে সিজদা করে। নিম্নবর্ণিত আয়াত –এ এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে, অর্থাৎ সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এ পরাক্রমশলী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ৪৪৪০। হুমায়দী (রহঃ) আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আল্লাহর বাণীঃ –এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেছেন, সূর্যের গন্তব্যস্থল আরশের নিচে।
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) ২৯৬। ইয়াহইয়া ইবনু আইউব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি জানো, এ সূর্য কোথায় যায়? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। বললেনঃ এ সূর্য চলতে থাকে এবং (আল্লাহ তা’আলার) আরশের নিচে অবস্হিত তার অবস্হানস্হলে যায়। সেখানে সে সিজদাবনত হয়ে পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয়, ওঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও! অনন্তর সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্হল দিয়েই উদিত হয়। তা আবার চলতে থাকে এবং আরশের নিচে অবস্হিত তার অবস্হানস্হলে যায়। সেখানে সে সিজদাবনত অবস্হায় পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয়, ওঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও। তখন সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়লে হয়েই উদিত হয়। তা আবার চলতে থাকে এবং আরশের নিচে অবস্হিত তার অবস্হান স্হলে যায়। সেখানে সে সিজদাবনত অবস্হায় পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয়, ওঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও। তখন সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্হল হয়েই সে উদিত হয়। এমনিভাবে চলতে থাকবে; মানুষ তার থেকে অস্বাভাবিক কিছু হতে দেখবে না। শেষে একদিন সূর্য যথার্রীতি আরশের নিচে তার নিদিঁষ্টস্হলে যাবে। তাকে বলা হবে, ওঠ এবং অস্তাচল থেকে উদিত হও। অনন্তর সেদিন সূর্য পশ্চিম গগনে উদিত হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন দিন সে অবস্থা হবে তোমরা জানো? সে দিন ঐ ব্যাক্তির ঈমান কোন কাজে আসবে না, যে ব্যাক্তি পুর্বে ঈমান আনেনি কিংবা যে ব্যাক্তি ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি।
সহিহ হাদিসে কুদসি ১৬১. আবূ যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি একটি গাধার ওপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। তখন তার উপর একটি পাড়যুক্ত চাদর ছিল। তিনি বলেন: এটা ছিল সূর্যাস্তের সময়, তিনি আমাকে বলেন: “হে আবূ যর তুমি জান এটা কোথায় অস্ত যায়?” তিনি বলেন: আমি বললাম: আল্লাহ এবং তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বলেন:সূর্যাস্ত যায় একটি কর্দমাক্ত ঝর্ণায়, সে চলতে থাকে অবশেষে আরশের নিচে তার রবের জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়ে, যখন বের হওয়ার সময় আল্লাহ তাকে অনুমতি দেন, ফলে সে বের হয় ও উদিত হয়। তিনি যখন তাকে যেখানে অস্ত গিয়েছে সেখান থেকে উদিত করার ইচ্ছা করবেন আটকে দিবেন, সে বলবে: হে আমার রব আমার পথ তো দীর্ঘ, আল্লাহ বলবেন: যেখান থেকে ডুবেছে সেখান থেকেই উদিত হও, এটাই সে সময় যখন ব্যক্তিকে তার ঈমান উপকার করবে না”। [আহমদ] হাদিসটি সহিহ।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ) ৪৮০২. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আমি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মসজিদে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আবূ যার! তুমি কি জান সূর্য কোথায় ডুবে? আমি বললাম, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেন, সূর্য চলে, অবশেষে আরশের নিচে গিয়ে সাজদাহ করে। নিম্নবর্ণিত ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲُ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻟِﻤُﺴْﺘَﻘَﺮٍّ ﻟَّﻬَﺎ ﺫٰﻟِﻚَ ﺗَﻘْﺪِﻳْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳْﺰِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴْﻢِ এ আয়াতের কথাই বর্ণনা করা হয়েছে, অর্থাৎ সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের পানে, এ হল পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। [৩১৯৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৩৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৩৯)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ) ৭৪৩৩. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছি, ‘‘আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে’’ আল্লাহর এ কথা সম্পর্কে। তিনি বলেছেনঃ সূর্যের নির্দিষ্ট গন্তব্য হল আরশের নিচে। [৩১৯৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯২৭)
পরিচ্ছদঃ ৭২. যে সময়ে ঈমান কবুল হবে না।
 ২৮৯-(২৫০/১৫৯) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (আঃ) ….. আবূ যার (রাযিঃ) বলেন, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা কি জান, এ সূর্য কোথায় যায়? সাহাবাগণ বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, এ সূর্য চলতে থাকে এবং (আল্লাহ তা’আলার) আরশের নীচে অবস্থিত তার অবস্থান স্থলে যায়। সেখানে সে সাজদাবনত হয়ে পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয়, উঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও! অনন্তর সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্থল দিয়েই উদিত হয়। তা আবার চলতে থাকে এবং আরশের নীচে অবস্থিত তার অবস্থান স্থলে যায়। সেখানে সে সাজদাবনত অবস্থায় পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয় উঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও। তখন সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্থল হয়েই সে উদিত হয়। এমনিভাবে চলতে থাকবে; মানুষ তার থেকে অস্বাভাবিক কিছু হতে দেখবে না। শেষে একদিন সূর্য যথারীতি আরশের নীচে তার অবস্থানে যাবে। তাকে বলা হবে, উঠ এবং অস্তাচল থেকে উদিত হও। অনন্তর সেদিন সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (কুরআনের বাণী) “কোন দিন সে অবস্থা হবে তোমরা জান? সেদিন ঐ ব্যক্তির ঈমান কোন কাজে আসবে না, যে ব্যক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি কিংবা যে ব্যক্তি ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি”- (সূরাহ আল আনআম ৬ঃ ১৫৮)*।
 (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩০৭)
■ শীত গ্রীষ্ম হওয়ার কারণ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [1290] অধ্যায়ঃ ৫। মাসজিদ ও সলাতের স্থানসমূহ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ﻭﻣﻮﺍﺿﻊِ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩২. জামাআতে রওনাকারীর জন্য পথিমধ্যে তীব্র গ্রীষ্মের সময় তাপ ঠাণ্ডা হয়ে আসলে যুহর আদায় করা মুস্তাহাব
 ১২৯০-(১৮৭/…) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ….. আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম অভিযোগ করে আল্লাহর কাছে বলল, হে আমার প্রভু! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। সুতরাং আমাকে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের অনুমতি দিন। তাই আল্লাহ তা’আলা তাকে দু’বার শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুমতি দান করলেন। একবার শীত মৌসুমে আরেকবার গ্রীষ্ম মৌসুমে। তোমরা শীতকালে যে ঠাণ্ডা অনুভব করে থাকো তা জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। আবার যে গরমে বা প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করে থাকো তাও জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৭৭, ইসলামীক সেন্টার ১২৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1279] অধ্যায়ঃ ৫/ মসজিদ ও সালাতের স্থান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﻭَﻣَﻮَﺍﺿِﻊِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩২. তীব্র গ্রীষ্মের সময় তাপ কমে আসলে যোহর আদায় করা মুস্তাহাব
১২৭৯। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নাম বলল, হে রব! আমার একাংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলল। আমাকে শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিন। তখন তাকে দুটি শ্বাসের অনুমতি দিলেন। একটি শীতকালে এবং আর একটি গ্রীষ্মকালে। অতএব, তোমরা যে শীত অনুভব কর, তা জাহান্নামের শ্বাস; আর যে গ্রীষ্ম অনুভব কর, তাও জাহান্নামের শ্বাস।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আল্লাহ পৃথিবীকে তার হাতের মুঠিতে এবং আকাশকে ভাঁজ/পেচিয়ে নেবেন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [6943] অধ্যায়ঃ ৫২। কিয়ামাত, জান্নাত ও জান্নামের বর্ণনা
 পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৬৯৪৩-(২৩/২৭৮৭) হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) …… আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা সারা পৃথিবী তার হাতের মুষ্টিতে নিয়ে নিবেন এবং আকাশমণ্ডলী ভাঁজ করে তার ডান হাতের মুঠোয় নিবেন। তারপর তিনি বলবেন, “আমিই বাদশাহ্। পৃথিবীর বাদশাহগণ কোথায়?” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [6944] অধ্যায়ঃ ৫২। কিয়ামাত, জান্নাত ও জান্নামের বর্ণনা
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৬৯৪৪-(২৪/২৭৮৮) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ….. ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা’আলা আকাশমণ্ডলী পেচিয়ে নিবেন। তারপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে ডান হস্তে ধরে বলবেন, আমিই বাদশাহ। কোথায় শক্তিশালী লোকেরা! কোথায় অহংকারীরা? এরপর তিনি বাম হস্তে গোটা পৃথিবী গুটিয়ে নিবেন এবং বলবেন, আমিই বাদশাহ। কোথায় অত্যাচারী লোকেরা, কোথায় বড়ত্ব প্রদর্শনকারীরা? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭৯৪, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সাত আসমানের উপর সাগর এবং আটটি মেষ
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3320] অধ্যায়ঃ ৫০/ কুরআন তাফসীর ( ﻛﺘﺎﺏ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ সূরা আল-হাক্কাহ
৩৩২০. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ….. আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একদিন তিনি একদল লোকের সাথে বাহতা নামক স্থানে বসা ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাদের মাঝে উপকিষ্ট ছিলেন এমন সময় তাদের উপর দিয়ে একটা মেঘ উড়ে গেল। তাঁরা সে দিকে তাকান। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি জান এর নাম কি? তারা বলল হ্যাঁ এটি হল সাহাব (মেঘ)।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মুযন (জালদ)-ও। তারা বললঃ মুযনও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আনান (নীরদ)-ও। তরা বললঃ আনানও। এর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে কতটুক দুরত্ব কি তা কি তোমরা জান? তারা বললেনঃ আল্লাহর কসম, আমরা তা জানি না।
তিনি বললেনঃ এতদুভয়ের মাঝে দুরত্ব হল একাত্তর বা বাহাত্তর বা তিহাত্তর বছরের পথ। এর উপর আসমানের দুরত্বও অনুরূপ। এভাবে তিনি সাত আসমানের উল্লেখ করেন। পরে বললেনঃ সপ্তম আকাশের উপর আছে সাগর। এর উপর ও নিচের দুরত্ব হল আসমান ও যমীনের দুরুত্বের অনুরূপ। এর উপর হল আটটি মেষ (আকৃতির ফিরিশতা) এগুলোর খুর থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত হল এক আকাশ থেকে আরেক আকাশের দুরত্বের সমান। এগুলোর পিঠের উপর হল আরশ। এর নিচ থেকে উপরের ব্যবধান হল দুই আকাশের মাঝের ব্যাবধানের অনুরূপ। এরও উর্ধ্বে হলেন আল্লাহর রাব্বুল ইযযত।
যঈফ, ইবনু মাজাহ ১৯৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান- গারীব। সিমাক (রহঃ) এর বরাতে ওয়ালীদ ইবন আবি ছাওর (রহঃ) অনুরূপ বর্ণনা কওেছেন এবং তিনি হাদীসটি মারফু করেছেন। সিমাক (রহঃ) থেকে শরীক (রহঃ) ও এই হাদীসটির কিছু আংশ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি মারফু রূপে নয়, মাওকুফরূপে এটির রিওয়ায়াত করেছেন। আবদুর রহমান (রহঃ) হলেন ইবন আবদুল্লাহ ইবন সা’দ রাযী।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)
■ চাঁদ দু’টুকরো করা, পাহাড়ে চাঁদের টুকরো পড়ল
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6819] অধ্যায়ঃ ৫৩/ কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিবরণ
 ৬৮১৯। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হল। তবে আবূ দাঊদ (রহঃ) এর হাদীসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় (চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6818] অধ্যায়ঃ ৫৩/ কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিবরণ
 ৬৮১৮। যুহায়র ইবনু হারব ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কাবাসী লোকেরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাদের একটি নিদর্শন (মু’জিযা) দেখানোর দাবী করল। তিনি তাদের (দু’বার) চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার নিদর্শন দেখালেন।
 মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে শায়বানের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6815] অধ্যায়ঃ ৫৩/ কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিবরণ
 ৬৮১৫। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, উমার ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস, ও মিনজাব ইবনু হারিছ তামিমী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এমতাবস্থায় (হঠাৎ করে) চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3377] অধ্যায়ঃ ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০৭৭. মুশরিকরা মুজিযা দেখানোর জন্য নবী করীম (সাঃ) এর নিকট আহবান জানালে তিনি চাঁদ দু’টুকরা করে দেখালেন
 ৩৩৭৭। খালাফ ইবনু খালিদ আল-কুরায়শী (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.৫। মুহাম্মদের জীবন
■ আল্লাহর নবী মুহাম্মদ যুদ্ধে আহত হয়েছিল
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3776] অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২১৮৮. পরিচ্ছেদ নাই
৩৭৭৬। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আহত হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন। উত্তরে তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম, সে সময় যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জখম ধুয়েছিলেন এবং যিনি পানি ঢালছিলেন তাদেরকে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি এবং কোন বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছিল এ সম্পর্কেও আমি অবগত আছি। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) তা ধুয়ে দিচ্ছিলেন এবং আলী (রাঃ) ঢালে করে পানি এনে ঢালছিলেন। ফাতিমা (রাঃ) যখন দেখলেন যে, পানির দ্বারা রক্ত পড়া বন্ধ না হয়ে কেবল তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন তিনি একখন্ড চাটাই নিয়ে তা জ্বালিয়ে তার ছাই জখমের উপর লাগিয়ে দিলেন। এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেল। এ ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডানদিকের একটি দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল। চেহারা জখম হয়েছিল এবং লৌহ শিরস্ত্রাণ ভেঙ্গে গিয়ে মাথায় বিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ প্রচণ্ড যন্ত্রণা এবং রোগভোগ করেছেন আল্লাহর নবী
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [664] অধ্যায়ঃ ১০/ আযান
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১০/৩৯. রোগাক্রান্ত ব্যক্তির কী পরিমাণ রোগাক্রান্ত অবস্থায় জামা‘আতে শামিল হওয়া উচিত।
 ৬৬৪. আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট বসে নিয়মিত সালাত আদায় ও তার মর্যাদা সম্বন্ধে আলোচনা করছিলাম। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন সালাতের সময় হলে আযান দেয়া হলো। তখন তিনি বললেন, আবূ বাকরকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হলো যে, আবু বাকর (রাযি.) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক, তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার সে কথা বললেন এবং তারাও আবার তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা ব’লে বললেন, তোমরা ইউসুফের সাথীদের মত। আবূ বাকরকে নির্দেশ দাও যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নেয়। আবূ বাকর (রাযি.) এগিয়ে গিয়ে সালাত শুরু করলেন। এদিকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে একটু হাল্কাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন,) আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবূ বাকর (রাযি.) পিছনে সরে আসতে চাইলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আনা হলো, তিনি আবূ বাকর (রাযি.)-এর পাশে বসলেন।
 আ‘মাশকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামাত করছিলেন। আর আবূ বাকর (রাযি.) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুসরণে সালাত আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবু বাকর (রাযি.)-এর সালাতের অনুসরণ করছিল। আ‘মাশ (রাযি.) মাথার ইঙ্গিতে বললেন, হ্যাঁ। আবূ দাঊদ (রহ.) শু‘বা (রহ.) সূত্রে আ‘মাশ (রাযি.) হতে হাদীসের কিয়দংশ উল্লেখ করেছেন। আবূ মু‘আবিয়াহ (রহ.) অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি আবূ বাকর (রাযি.)-এর বাঁ দিকে বসেছিলেন এবং আবূ বাকর (রাযি.) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। (১৯৮; মুসলিম ৪/২১, হাঃ ৪১৮, ২৬১৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদের বিষক্রিয়ার তীব্র যন্ত্রণা এবং মৃত্যু
পরিচ্ছদঃ ২২৪৭. নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে (৩৯ঃ ৩০,৩১) ইউনুস (রহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) সুত্রে বলেন, আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষন করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ার আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদ কি নিরক্ষর ছিলেন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [2698] অধ্যায়ঃ ৫৩/ বিবাদ মীমাংসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻠﺢ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৩/৬. কিভাবে সন্ধিপত্র লেখা হবে? অমুকের পুত্র অমুক এবং অমুকের পুত্র অমুক লিখাতে হবে। গোত্র বা বংশের উল্লেখ না করলেও ক্ষতি নেই।
 ২৬৯৮. বারা’ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুদায়বিয়াতে (মক্কাবাসীদের সঙ্গে) সন্ধি করার সময় ‘আলী (রাঃ) উভয় পক্ষের মাঝে এক চুক্তিপত্র লিখলেন। তিনি লিখলেন, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। মুশরিকরা বলল, ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লিখবে না। আপনি রাসূল হলে আপনার সঙ্গে লড়াই করতাম না?’ তখন তিনি আলীকে বললেন, ‘ওটা মুছে দাও’। ‘আলী (রাঃ) বললেন, ‘আমি তা মুছব না।’ তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ হাতে তা মুছে দিলেন এবং এই শর্তে তাদের সঙ্গে সন্ধি করলেন যে, তিনি এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীরা তিন দিনের জন্য মক্কা্য় প্রবেশ করবেন এবং জুলুববান ﺟُﻠُﺒَّﺎﻥُ ﺍﻟﺴِّﻠَﺎﺡِ ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করবেন না। তারা জিজ্ঞেস করল, ﺟُﻠُﺒَّﺎﻥُ ﺍﻟﺴِّﻠَﺎﺡِ মানে কী? তিনি বললেন, ‘জুলুববান’ মানে ভিতরে তরবারীসহ খাপ।’ (১৭৮১) (মুসলিম ৩২/৩৪ হাঃ ১৭৮৩, আহমাদ ১৮৬৫৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৩/ আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻢ )
হাদিস নম্বরঃ [65] পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩/৭ শায়খ কর্তৃক ছাত্রকে হাদীসের কিতাব প্রদান এবং ‘আলিম কর্তৃক ‘ইলমের কথা লিখে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ।
 ৬৫. আনাস ইবন মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা পত্র লিখলেন অথবা একখানা পত্র লিখতে ইচ্ছা পোষণ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ করেনা। অতঃপর তিনি রূপার একটি আংটি (মোহর) তৈরি করিয়ে নিলেন যাতে খোদিত ছিল (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ)। আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছি [শু‘বা (রহ.) বলেন] আমি কাতাদাহ (রহ.) কে বললাম, কে বলেছে যে, তার নকশা (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ছিল? তিনি বললেন, ‘আনাস (রাযি.)। (২৯৩৮, ৫৮৭০, ৫৮৭২, ৫৮৭৪, ৫৮৭৫, ৫৮৭৭, ৭১৬২; মুসলিম ৩৭/১২ হাঃ ২০৯২, আহমাদ ১২৯৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৩/ আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻢ )
হাদিস নম্বরঃ [65] পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩/৩৯ ইলম লিপিবদ্ধ করা।
 ১১৪. ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অসুখ যখন বৃদ্ধি পেল তখন তিনি বললেনঃ ‘আমার নিকট লেখার জিনিস নিয়ে এস, আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরে তোমরা আর পথভ্রষ্ট হবে না।’ ‘উমার (রাযি.) বললেন, ‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রোগ-যন্ত্রণা প্রবল হয়ে গেছে (এমতাবস্থায় কিছু বলতে বা লিখতে তাঁর কষ্ট হবে)। আর আমাদের নিকট তো আল্লাহর কিতাব আছে, যা আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ এতে সহাবীগণের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিল এবং শোরগোল বেড়ে গেল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা আমার কাছ থেকে উঠে যাও। আমার নিকট ঝগড়া-বিবাদ করা অনুচিত।’ এ পর্যন্ত বর্ণনা করে ইবনু ‘আববাস (রাযি.) (যেখানে বসে হাদীস বর্ণনা করছিলেন সেখান থেকে) এ কথা বলতে বলতে বেরিয়ে এলেন যে, ‘হায় বিপদ, সাংঘাতিক বিপদ! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর লেখনীর মধ্যে যা বাধ সেধেছে।’ (৩০৫৩, ৩১৬৮, ৪৪৩১, ৪৪৩২, ৫৬৬৯, ৭৩৬৬ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ঘরের মধ্যেই পেশাব করতেন মুহাম্মদ
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [362] অধ্যায়ঃ পর্ব-৩ঃ পাক-পবিত্রতা
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – পায়খানা-প্রস্রাবের আদাব
৩৬২-[২৯] উমায়মাহ্ বিনতু রুক্বায়ক্বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাটের নিচে একটি কাঠের গামলা ছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাতে এতে প্রস্রাব করতেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1] [1] সহীহ : আবূ দাঊদ ২৪, নাসায়ী ৩২, সহীহুল জামি‘ ৪৮৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদিস নম্বরঃ [24] অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন
 পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 পরিচ্ছদঃ ১৩. কোন ব্যক্তি রাতে পাত্রে পেশাব করে তা নিকটে রেখে দেয়া
২৪। হুকাইমাহ বিনতু উমাইমাহ বিনতু রুক্বাইক্বাহ তাঁর মা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি কাঠের পাত্র ছিল। সেটি তাঁর খাটের নিচে থাকত। রাতের বেলায় তিনি তাতে পেশাব করতেন।[1] হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ রাস্তাঘাটে নারী দেখে অত্যাধিক কামাতুর হয়ে যেতেন নবী মুহাম্মদ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3300] অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
 ৩৩০০-(১০/…) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো যদি কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হয় তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৭৫, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3298] অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
 ৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদের যৌনশক্তি
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫/ গোসল ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻐﺴﻞ )
হাদিস নম্বরঃ ২৬৮
 ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
 ২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী
 হাদিস নম্বরঃ [4697] পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২৪২৯. বহুবিবাহ
 ৪৬৯৭। ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) … আতা (রহঃ) বলেন, আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সঙ্গে ‘সারিফ’ নামক স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী মায়মূনা (রাঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী। সুতরাং যখন তোমরা তাঁর জানাযা উঠাবে তখন ধাক্কা-ধাক্কি এবং জোরে নাড়া-চাড়া করো না; বরং ধীরে ধীরে নিয়ে চলবে। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নয়জন বিবি ছিলেন। তিনি আট জনের সাথে পালাক্রমে রাত্রি যাপন করতেন। কিন্তু একজনের সাথে রাত্রি যাপনের পালা ছিল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ রীতিমত হেরেমখানা ছিল মুহাম্মদের
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6766] অধ্যায়ঃ ৫১/ তাওবা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১১. রাসুলুল্লাহ ( ﷺ ) এর হেরেম সন্দেহমুক্ত হওয়া
৬৭৬৬। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মে ওয়ালাদের সাথে এক ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ (অপবাদ) উত্থাপিত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) কে বললেন, যাও। তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আলী (রাঃ) তার নিকট গিয়ে দেখলেন, সে কুপের মধ্যে শরীর শীতল করছে। আলী (রাঃ) তাকে বললেন, বেরিয়ে আস। সে আলী (রাঃ)এর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। তিনি তাকে বের করলেন এবং দেখলেন, তার পূরুষাঙ্গ কর্তিত, তার লিঙ্গ নেই। তখন আলী (রাঃ) তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকলেন। তারপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো লিঙ্গ কর্তিত তার তো লিঙ্গ নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ দাসীর সাথে সেক্স করতেন মুহাম্মদ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৭/ স্ত্রীর সাথে ব্যবহার ( ﻛﺘﺎﺏ ﻋﺸﺮﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ )
হাদিস নাম্বার: 3961
৩৯৬১. ইবরাহীম ইবন ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ হারামী (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটি বাদি ছিল যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহবাস করতেন। এতে আয়েশা (রাঃ) এবং হাফসা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে লেগে থাকলেন। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই বদিটিকে নিজের জন্য হারাম করে নিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ পাক নাযিল করেনঃ (ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻟِﻢَ ﺗُﺤَﺮِّﻡُ ﻣَﺎ ﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻚَ ) “হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য কেন হারাম করে নিয়েছেন (সূরা তাহরীমঃ ১) ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তাহক্বীকঃ সহীহ।
■ স্বামীকে হত্যা করে সুন্দরী সদ্য বিবাহিতা সাফিয়্যাকে নিজের জন্য রাখেন মুহাম্মদ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪৮/ জিহাদ
 হাদিস নাম্বার: 2694
২৬৯৪। কুতাইবা (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ তালহাকে বলেন, তোমাদের ছেলেদের মধ্য থেকে একটি ছেলে খুঁজে আন, যে আমার খেদমত করতে পারে। এমনকি তাকে আমি খায়বারেও নিয়ে যেতে পারি। তারপর আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে তাঁর সওয়ারীর পেছনে বসিয়ে নিয়ে চললেন। আমি তখন প্রায় সাবালক। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমত করতে লাগলাম। তিনি যখন অবতরন করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দুয়া করতে শুনতামঃ ‘ইয়া আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাচ্ছি।’ পরে আমরা খায়বারে গিয়ে উপস্থিত হলাম। তারপর যখন আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দুর্গের উপর বিজয়ী করলেন, তখন তাঁর কাছে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই ইবনু আখতাবের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করা হল, তিনি ছিলেন সদ্য বিবাহিতা; তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নিজের জন্য মনোনীত করলেন। তারপর তাঁকে নিয়ে রওয়ানা হলেন।
 আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন সাফিয়া (রাঃ) হায়েজ থেকে পবিত্র হন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে তাঁর সাথে বাসর যাপন করেন। এরপর তিনি চামড়ার ছোট দস্তরখানে ‘হায়সা’ (এক প্রকার খাদ্য) প্রস্তুত করে আমাকে আশেপাশের লোকজনকে ডাকার নির্দেশ দিলেন। এই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাফিয়্যার বিয়ের ওয়ালিমা। তারপর আমরা মদিনার দিকে রওয়ানা দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনের চাঁদর দিয়ে সাফিয়্যাকে পর্দা করছেন। উঠানামার প্রয়োজন হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উটের কাছে হাঁটু বাড়িয়ে বসতেন, আর সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁর উপর পা রেখে উটে আরোহণ করতেন। এভাবে আমরা মদিনার নিকটবর্তী হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটি এমন একটি পাহাড় যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাঁকে ভালবাসি। তারপর মদিনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ, এই কঙ্করময় দুটি ময়দানের মধ্যবর্তী স্থানকে আমি ‘হারাম’(সম্মানিত স্থান) ঘোষণা করছি। ইয়া আল্লাহ! আপনি তাদের মুদ এবং সা’ তে বরকত দান করুন।’
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আয়শা বলতেন, নবীর কামনা অনুসারে আল্লাহ ত্বড়িৎ আয়াত নাজিল করতেন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4740] অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২৪৫৫. কোন মহিলা কোন পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে কিনা ?
৪৭৪০। মুহাম্মাদ ইবনু সালাম (রহঃ) … হিশামের পিতা উরওয়া থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যে সব মহিলা নিজেদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সমর্পণ করেছিলেন, খাওলা বিনতে হাকীম তাদেরই একজন ছিলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, মহিলাদের কি লজ্জা হয় না যে, নিজেদের পুরপুরুষের কাছে সমর্পণ করছে? কিন্তু যখন কুরআন ের এ আয়াত অবর্তীর্ণ হল- “হে মুহাম্মাদ! তোমাকে অধিকার দেয়া হল যে নিজ স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা আলাদা রাখতে পার।” আয়িশা (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মনে হয়, আপনার রব আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উক্ত হাদীসটি আবূ সাঈদ মুয়াদ্দিব, মুহাম্মাদ ইবনু বিশর এবং আবদাহ্ হিশাম থেকে আর হিশাম তার পিতা হতে একে অপরের চেয়ে কিছু বেশী-কমসহ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদের পিতামাতা জাহান্নামী
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [394] অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৮২. কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী জাহান্নামী; সে কোন শাফায়াত পাবে না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী বান্দার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কও তার উপকারে আসবে না
 ৩৯৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা কোথায় আছেন (জান্নাতে না জাহান্নামে)? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জাহান্নামে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি যখন পিছনে ফিরে যাচ্ছিল, তখন তিনি ডাকলেন এবং বললেনঃ আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে।”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.৬। কুরআনের আয়াত সম্পর্কিত
■ সাহাবীরা জানতেন মুহাম্মদের যত্রতত্র কোরআনের আয়াত নামাবার বদভ্যাসের কথা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4808] অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২৫০৫. নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করার ওসীয়ত
৪৮০৮। নুআয়ম (রহঃ) … ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় আমাদের স্ত্রীদের সাথে কথা-বার্তা ও হাসি-ঠাট্টা থেকে দূরে থাকতাম এই ভয়ে যে, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক করে কোন ওহী নাযিল হয়ে যায়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পর আমরা তাদের সাথে অবাধে কথা-বার্তা ও হাসি-ঠাট্টা করতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ওয়ারাকা বিন নওফেলের মৃত্যুর পরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কোরআন নাজিল হওয়া
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১/ ওহীর সূচনা
হাদিস নাম্বার: 3
……..এর কিছুদিন পর ওয়ারাকা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। আর ওহী স্থগিত থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [4953] অধ্যায়ঃ ৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
……ওয়ারাকা অধিক দিন বাঁচেননি; বরং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি মারা গেলেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য ওয়াহী বন্ধ হয়ে গেল। এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়লেন। [৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ছাগলে খেয়ে গেছে হারিয়ে যাওয়া কুরআনের আয়াত
পরিচ্ছদঃ ৯/৩৬. বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে।
 ২/১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ কোরানে দুধপান সংক্রান্ত আয়াত যা বর্তমান কুরানে অনুপস্থিত
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3490] অধ্যায়ঃ ১৮। দুধপান
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ৬. (কোন মহিলার দুধ) পাঁচ চুমুক খাওয়াতে হারাম সাব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে
৩৪৯০-(২৫/…) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ আল কা’নাবী (রহঃ) ….. আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি দুধপানের ঐ পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করলেন যার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। আমরাহ বললেন যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছিলেন, আল-কুরআনে নাযিল হয় ﻋَﺸْﺮُ ﺭَﺿَﻌَﺎﺕٍ ﻣَﻌْﻠُﻮﻣَﺎﺕٍ “নির্ধারিত দশবার দুধপানে”। অতঃপর নাযিল হয় ﺧَﻤْﺲٌ ﻣَﻌْﻠُﻮﻣَﺎﺕٌ “নির্ধারিত পাঁচবার দুধপানে।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪৬৩, ইসলামীক সেন্টার. ৩৪৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3466] অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৬৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনে এই আয়াতটি নাযিল হয়েছিলঃ ﻋَﺸْﺮُ ﺭَﺿَﻌَﺎﺕٍ ﻣَﻌْﻠُﻮﻣَﺎﺕٍ ‘দশবার দুধপানে হারাম সাবিত হয়।’ তারপর তা রহিত হয়ে যায় ﺧَﻤْﺲٍ ﻣَﻌْﻠُﻮﻣَﺎﺕٍ এর দ্বারা। (পাঁচবার পান দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয়) তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেন অথচ ঐ আয়াতটি কুরআনের আয়াত হিসাবে তিলাওয়াত করা হত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কলেমা না পড়লেই হত্যা
গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3979] অধ্যায়ঃ ৩৮/ হত্যা অবৈধ হওয়া
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১. মুসলিমকে হত্যা করার অবৈধতা
৩৯৭৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলা পর্যন্ত আমি লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যদি তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জানমাল রক্ষা করে নেবে কিন্তু এর হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
 তাহক্বীকঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ যতক্ষণ না মুসলমান হয়, ততক্ষণ কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [35] অধ্যায়ঃ ১। ঈমান [বিশ্বাস] পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ৮.লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ যতক্ষণ না তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং সালাত কায়িম করে, যাকাত দেয়, নাবী যে শারীআতের বিধান এনেছেন তার প্রতি ঈমান আনে, যে ব্যক্তি এসব করবে সে তার জান মালের নিরাপত্তা লাভ করবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ব্যতীত, তার অন্তরের খবর আল্লাহর কাছে; যে ব্যক্তি যাকাত দিতে ও ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করতে অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং ইসলামের বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইমামের গুরুত্বারোপ করার নির্দেশ।
৩৫-(৩৫/…) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ), আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) ও আবূ সালিহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। বাকী অংশ আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে ইবনুল মুসাইয়্যাব-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
 আবূ বাকর ইবনু শাইবাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” এ কথার স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” এ কথা স্বীকার করলে তারা আমার থেকে তাদের জান মালের নিরাপত্তা লাভ করবে; তবে শারী’আত সম্মত কারণ ছাড়া। তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে। তারপর তিনি আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “আপনি তো একজন উপদেশদাতা। আপনি এদের উপর কর্মনিয়ন্ত্রক নন”- (সূরাহ আল গা-শিয়াহ্ ৮৮ঃ ২১-২২)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩৫-৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুসলিম না হলেই হত্যা
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [3929] অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয়
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা
৩/৩৯২৯। আওস (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদেরকে (অতীতের) ঘটনাবলী উল্লেখপূর্বক উপদেশ দিচ্ছিলেন। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে তাঁর সাথে একান্তে কিছু বললো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করো। লোকটি ফিরে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই’’? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ যাও, তোমরা তাকে তার পথে ছেড়ে দাও। কারণ লোকেরা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ না বলা পর্যন্ত আমাকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা তাই করলে তাদের জান-মালে হস্তক্ষেপ আমার জন্য হারাম হয়ে গেলো।
 নাসায়ী ৩৯৭৯, ৩৯৮২, ৩৯৮৩, আহমাদ ১৫৭২৭, দারেমী ২৪৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কুরআনের আয়াত বাতিল বা সংশোধন হতে পারে
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫২/ তাফসীর ( ﻛﺘﺎﺏ ﺗﻔﺴﻴﺮ )
হাদিস নাম্বার: ৪১৭৪
৪১৭৪। উমাইয়া (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ) কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে বললাম যে, এ আয়াত তো অন্য আয়াত দ্বারা মানসুখ (রহিত) হয়ে গেছে। অতএব উক্ত আয়াত আপনি মুসহাফে লিখেছেন (অথবা রাবী বলেন) কেন বর্জন করছেন না, তখন তিনি [উসমান (রাঃ)] বললেন, হে ভাতিজা আমি মুসহাফের স্থান থেকে কোন জিনিস পরিবর্তন করব না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ উমরের কাকুতিমিনতিতে আয়াত নাজিল
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫২/ তাফসীর ( ﻛﺘﺎﺏ ﺗﻔﺴﻴﺮ )
হাদিস নম্বরঃ [4427] পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
৪৪২৭। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে ভাল ও মন্দ লোক আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের ব্যাপারে পর্দার আদেশ দিতেন (তবে ভাল হত) তারপর আল্লাহ্ তা’আলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5484] অধ্যায়ঃ ৪০/ সালাম ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৭. মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য স্ত্রীলোকের বাইরে যাওয়ার বৈধতা
 ৫৪৮৪। আবদুল মালিক ইবনু শুআয়ব ইবনু লায়স (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় রাতের বেলা ‘মানাসি’ এর দিকে বেরিয়ে যেতেন। ﺍﻟْﻤَﻨَﺎﺻِﻊ (মানাসি) হল প্রশস্ত ময়দান। ওদিকে উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতেন, আপনার স্ত্রীগণের প্রতি পর্দা বিধান করুন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। কোন এক রাতে ইশার সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনা সাওদা বিনত যাম’আ (রাঃ) বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী মহিলা। উমার (রাঃ) তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন, হে সাওদা! আমরা তোমাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার প্রতি প্রবল আকাঙ্ক্ষায় (তিনি এরূপ করলেন)। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আল্লাহর তাআলা পর্দা-বিধি নাযিল করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.৭। অমানবিক হাদিস
■ তলোয়ারের ঝলকানির তলে জান্নাত
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [2818] অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৬/২২. জান্নাত হল তলোয়ারের ঝলকানির তলে।
 মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাঃ) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন, আমাদেও প্রতিপালকের পয়গাম। আমাদের মধ্যে যে শহীদ হলো সে জান্নাতে পৌঁছে গেল।
‘উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলেন, আমাদের শহীদগণ জান্নাতবাসী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামবাসী নয়? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, হ্যাঁ।
 ২৮১৮. ‘উমার ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ্ (রহ.)-এর আযাদকৃত গোলাম ও তার কাতিব সালিম আবূন নাযর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) তাঁকে লিখেছিলেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জেনে রাখ, তরবারির ছায়া-তলেই জান্নাত।
 উয়াইসী (রহ.) ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.)-এর মাধ্যমে মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে মু‘আবিয়াহ ইবনু ‘আমর (রহ.) আবূ ইসহাক (রহ.)-এর মাধ্যমে মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অনুসরণ করেছেন। (২৮৩৩, ২৯৬৬, ৩০২৪, ৭২৩৭) (মুসলিম ৩২/৬ হাঃ ১৭৪২, আহমাদ ১৯১৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ রাতের অতর্কিত আক্রমনে শিশু ও নারী হত্যা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4399] অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. রাতের অতর্কিত আক্রমনে অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশু হত্যায় দোষ নেই
 ৪৩৯৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, সাঈদ ইবনু মনসুর ও আমর আন নাকিদ (রহঃ) … সা’ব ইবনু জাছছামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মুশরিকদের নারী ও শিশু সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যখন রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণ করা হয়, তখন তাদের নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারাও তাদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [4442] অধ্যায়ঃ ৩৩। জিহাদ ও সফর
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৯. রাতের আকস্মিক হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশু হত্যায় দোষ নেই
 ৪৪৪২-(২৭/…) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. সা’ব ইবনু জাসসামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা রাতের অন্ধকারে আকস্মিক হামলায় মুশরিকদের শিশুদের উপরও আঘাত করে ফেলি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারাও তাদের (মুশরিক যোদ্ধাদের) মধ্যে গণ্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪০০, ইসলামিক সেন্টার ৪৪০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ১৮/ জিহাদ
 হাদিস নাম্বার: 2839
১/২৮৩৯। সাব‘ ইবনে জাসসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো, যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ইসলামের দাওয়াত দেয়ার পরে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে আক্রমন বৈধ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4370] অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১. যে সকল বিধর্মীর কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছে, পূর্ব ঘোষণা ব্যতীত তাদের বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা বৈধ
৪৩৭০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) … ইবনু আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি নাফি’ (রহঃ) কে এই কথা জানতে চেয়ে পত্র লিখলাম যে, যুদ্ধের পূর্বে বিধর্মীদের প্রতি দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া প্রয়োজন কি না? তিনি বলেন, তখন তিনি আমাকে লিখলেন যে, এ (নিয়ম) ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ মুসতালিকের উপর আক্রমণ করলেন এমতাবস্থায় যে, তারা অপ্রস্তুত ছিল (তা জানতে পারেনি।) তাদের পশুদের পানি পান করানো হচ্ছিল। তখন তিনি তাদের যোদ্ধাদের (পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ) হত্যা করলেন এবং অবশিষ্টদের (নারী শিশুদের) বন্দী করলেন। আর সেই দিনেই তাঁর হস্তগত হয়েছিল। (ইয়াহইয়া বলেন যে, আমার ধারণা হল, তিনি বলেছেন) জুওয়ায়রিয়া অথবা তিনি নিশ্চিতরূপে ইবনাতুল হারিছ (হারিছ কন্যা) বলেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদীস আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি সেই সেনাদলে ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আজান শোনা না শোনার ওপর নির্ভর করতো মুহাম্মদের কোন গোত্রের ওপর আক্রমন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [733] অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৬. দারুল কুফর বা অমুসলিম দেশে কোন গোত্রে আযানের ধ্বনি শোনা গেলে সেই গোত্রের উপর হামলা করা থেকে বিরত থাকা
 ৭৩৩। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে শক্রর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করতেন। আযান শোনার অপেক্ষা করতেন। আযান শুনতে পেলে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতেন। আযান শুনতে না পেলে আক্রমণ করতেন। একবার তিনি কোন এক ব্যাক্তিকে ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ বলতে শুলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ফিতরাত (দ্বীন ইসলাম) এর উপর রয়েছ। এর পর সে ব্যাক্তি ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ বলল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি জাহান্নাম থেকে বেরিয়ে এলে। সাহাবায়ে কিরাম লোকটির প্রতি লক্ষ্য করে দেখতে পেলেন যে, সে ছিল একজন ভেড়ার রাখাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নিস্পাপ প্রাণি হত্যা
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১১ঃ হজ্জ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﻚ )
হাদিস নম্বরঃ [2699] পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ – মুহরিম ব্যক্তির শিকার করা হতে বিরত থাকবে
 ২৬৯৯-[৪] ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি ক্ষতিকর প্রাণী হিল্ ও হারাম (সর্বস্থানে) যে কোন স্থানেই হত্যা করা যেতে পারে। সেগুলো হলো সাপ, (সাদা কালো) কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর ও চিল। (বুখারী, মুসলিম)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1846] অধ্যায়ঃ ৫/ হাজ্জ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﻚ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩৮. ইহরাম অবস্থায় যেসব জীবজন্তু হত্যা করা যাবে।
১৮৪৬. আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ……… ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, মুহরিম ব্যক্তি কোন কোন জীবজন্তু হত্যা করতে পারবে? তিনি বলেন, পাঁচ শ্রেনীর জীবজন্তু হত্যায় কোন গুনাহ্ নেই, যদি এগুলোকে হেরেম এলাকায় বা হেরেমের বাহিরেও হত্যা করা হয়। তা হলঃ – বিচ্ছু, ইঁদুর, কাক, চিল ও পাগলা কুকুর।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পরিচ্ছদঃ ১৪. গিরগিটি (টিকটিকি) জাতীয় প্রাণী মেরে ফেলা বিষয়ে
 গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (1482)
অধ্যায়ঃ ১৬/ শিকার ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻴﺪ ﻭﺍﻟﺬﺑﺎﺋﺢ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ )
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদান
 ১৪৮২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রথম আঘাতেই যে লোক একটি গিরগিটি (টিকটিকি) মারতে পারে তার জন্য এই এই পরিমাণ সাওয়াব। সে এটাকে দ্বিতীয় আঘাতে মারতে পারলে তার জন্য এই এই পরিমাণ সাওয়াব। সে তা তৃতীয় আঘাতে মারতে পারলে তার জন্য এত এত সাওয়াব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
১. শিকার ইত্যাদি উদ্দেশ্যে কুকুর প্রতিপালন করা
 পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১১/ শিকার প্রসঙ্গে ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻴﺪ )
হাদিস নাম্বার: ২৮৪৬।
 জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কুকুর হত্যার আদেশ দেন, এমন কি কোনো মহিলাও যদি জঙ্গল থেকে তার কুকুরসহ আসতো সেটাও ‘আমরা হত্যা করতাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে কুকুর হত্যা নিষেধ করে বললেনঃ তোমরা শুধুমাত্র কালো কুকুর হত্যা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2831] অধ্যায়ঃ ২৪/ হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৮২. মুহরিম যে সকল জন্তু হত্যা করতে পারে, দংশনকারী কুকুর হত্যা করা, মারা
 ২৮৩১. কুতায়বা (রহঃ) … ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী হত্যা করায় মুহরিমের কোন পাপ নেই। তা হলো- কাক, চিল, বিচ্চু, ইদুর এবং দংশনকারী কুকুর।
 তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ৩০৮৮, ইরওয়া ৪/২২৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3080] অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
 ৩০৮০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী বেশী অনিষ্টকারী। এদেরকে হারাম শরীফেও হত্যা করা যায়। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক এবং পাগলা কুকুর।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ পশুর সাথে কেউ সঙ্গম করলে ধর্ষিত পশুটিকেও হত্যা করতে হবে
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4405] অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২৮. পশুর সাথে সংগম করলে তার শাস্তি সস্পর্কে।
 ৪৪০৫. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ………. ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কেউ কোন পশুর সাথে সঙ্গম করে, তবে তাকে হত্যা করবে এবং সে পশুকেও তার সাথে হত্যা করবে। রাবী বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিঃ পশুর অপরাধ কি? তিনি বলেনঃ আমার মনে হয়, তিনি সে পশুর গোশত খাওয়া ভাল মনে করেননি, যার সাথে কেউ এরূপ কুকর্ম করে।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ শত্রুদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2759] অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৩. দুশমনকে তাদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা।
 ২৭৫৯. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ………. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ কা‘ব ইবন আশরাফকে হত্যা করবে? কেননা, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কে কষ্ট দিয়েছে। তখন মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি তাকে হত্যা করব।’ আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি? জবাবে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি এটা-ই চাই। তখন তিনি (ইবন মাসলামা) বলেনঃ তবে আমাকে অনুমতি দিন; যাতে আমি তার সাথে আপনার ব্যাপারে কিছু বলতে পারি? তখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি প্রদান করেন। তিনি তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ [এই ব্যক্তি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাদের কাছে সাদকা চেয়ে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ এতে আর কি বিপদ, তোমরা আরো বিপদের সম্মুখিন হবে। ইবন মাসলামা বলেনঃ আমরা তো কেবলই তাঁর অনুসরণ শুরু করেছি, কাজেই তাঁর পরিণতি কি হয় তা না দেখা পর্যন্ত আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করবনা। এখন আমি তোমার কাছে এই ইরাদা নিয়ে এসেছি যে, তুমি আমাকে এক বা দুই ‘ওসক’ পরিমাণ খাদ্য-শস্য করয দিবে।
 তখন সে (কা‘ব) জিজ্ঞাসা করেঃ এর বিনিময়ে তুমি আমার কাছে কি বন্ধক রাখবে? তখন ইবন মাসলামা বলেনঃ তুমি আমার নিকট হতে বন্ধক হিসাবে কি রাখতে চাও? তখন সে বলেঃ তোমারদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখ। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! তুমি আরবের সুন্দরতম পুরুয়, যদি আমরা তোমার নিকট আমাদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখি, তবে তা তো আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হবে! তখন কা‘ব বলেঃ তবে তোমার সন্তানদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। তাঁরা বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্ ! (তুমি কি চাও) আমাদের কারও সস্তানকে এজন্য ভৎসানা করা হোক যে, তাদের বলা হবে, তোমাকে এক বা দুই ওসক পরিমাণ খাদ্যের জন্য বন্ধক রাখা হয়েছিল! তখন তাঁরা বলেনঃ আমারা তোমার কাছে হাতিয়ার অর্থাৎ যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখতে চাই।
 তখন কা‘ব বলেঃ আচ্ছা, তা-ই রাখ। অতঃপর (রাতের বেলা) ইবন মাসলামা তার নিকট গিয়ে তাকে ডাকলেন। তখন কা‘ব মাথায় তাঁর নিকট খুশবু লাগিয়ে তাঁর নিকট আসে। অতঃপর ইবন মাসলামা যখন কা‘বের নিকট গিয়ে বসলেন, তখন তার সাথে আগমণকারী তিন বা চার ব্যক্তি কা‘বের নিকট খুশবুর ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ আমার নিকট অমুক নারী আছে, যে সব নারীদের চাইতে অধিক খুশবু ব্যবহার করে। তখন ইবন মাসলামা বলেনঃ আমাকে একটু অনুমতি দাও, যাতে আমি তোমার চুলের খুশবুর ঘ্রাণ নিতে পারি। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন ইবন মাসলামা কা‘বের মাথার চুলে মাঝে হাত ঢুকিয়ে তার ঘ্রাণ গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি আবার ঘ্রাণ নিব? জবাবে কা‘ব বলেঃ হাঁ, নিতে পার। তখন তিনি (ইবন মাসলামা) কা‘বের মাথার চুলের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দেন এবং তাকে কাবু করে ফেলেন। আর তাঁর সাথীদের ( ইশারায়) বলেনঃ তোমরা একে হত্যা কর। তখন তারা (সাথীরা) তাকে (কা‘বকে) এমনভাবে মারে যে, শেষ পর্যন্ত তারা তাকে কতল করে ফেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মক্কা বিজয়ের দিন হত্যা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1727] অধ্যায়ঃ ২২/ হজ্ব (হাজ্জ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১৬০. মক্কা ও হারম শরীফে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করা। ইবন ‘উমর (রা) ইহরাম ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন। নবী করীম (সাঃ)হজ্জ ও উমরা আদায়েস সংকল্পকারী লোকেদেরই ইহরাম বাঁধার আদেশ করেছিলেন। কাঠ বহনকারী এবং অন্যান্যদের জন্য তিনি ইহরাম বাঁধার কথা উল্লেখ করেন নি
 ১৭২৭। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, মক্কা বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় (মক্কা) প্রবেশ করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিরস্ত্রাণটি মাথা থেকে খোলার পর এক ব্যাক্তি এসে তাঁকে বললেন, ইবনু খাতাল কাবার গিলাফ ধরে আছে। তিনি বললেনঃ তাঁকে তোমরা হত্যা কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কালো কুকুর শয়তান।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৪। সালাত (নামায) ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
হাদিস নম্বরঃ ১০২৪
 ৫০. সালাত আদায়কারী কতটুকু পরিমাণ স্থান আড়াল (সুতরাহ নির্ধারণ) করবে
 ১০২৪-(২৬৫/৫১০) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ….. আবূ যার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতে দাঁড়ায়, সে যেন হাওদার খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। যদি সে তার সামনে হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি দাঁড় না করায়- এমতাবস্থায় তার সামনে দিয়ে গাধা, মহিলা এবং কালো কুকুর চলাচল করলে তার সালাত নষ্ট হয়ে যাবে।
[‘আবদুল্লাহ ইবনু সীমিত (রাযিঃ) বলেন] আমি বললাম, হে আবূ যার (রাযিঃ) কালো কুকুরের কি অপরাধ, অথচ লাল ও হলুদ বর্ণের কুকুরও তা রয়েছে? তিনি বললেন, হে ভাতিজা! তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করেছ, আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এ রকম প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছেনঃ কালো কুকুর হলো একটি শয়তান। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০১৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ১০২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কাফের হত্যার দায়ে মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [6915] অধ্যায়ঃ ৮৭/ রক্তপণ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৮৭/৩১. কাফেরের বদলে মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।
 ৬৯১৫. আবূ জুহাইফাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের কাছে এমন কিছু আছে কি যা কুরআনে নেই? তিনি বললেন, দিয়াতের বিধান, বন্দী-মুক্তির বিধান এবং (এ বিধান যে) কাফেরের বদলে কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না। [১১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [2658] অধ্যায়ঃ ১৫/ রক্তপণ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১৫/২১. কাফের ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যা করা যাবে না
 ১/২৬৫৮। আবূ জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আলী ইবনে আবূ তালিব (রাঃ) কে বললাম, আপনাদের নিকট এমন কোন জ্ঞান আছে কি যা অন্যদের অজ্ঞাত? তিনি বলেন, না, আল্লাহর শপথ! লোকেদের নিকট যে জ্ঞান আছে তা ব্যতীত বিশেষ কোন জ্ঞান আমাদের নিকট নাই। তবে আল্লাহ যদি কাউকে কুরআন বুঝবার জ্ঞান দান করেন এবং এই সহীফার মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দিয়াত ইত্যাদি প্রসঙ্গে যা আছে (তাহলে স্বতন্ত্র কথা)। এই সহীফার মধ্যে আরো আছেঃ কোন কাফেরকে হত্যার অপরাধে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না।
 সহীহুল বুখারী ১১১, ১৮৭০, ৩০৪৭, ৩০৩৪, ৩১৭২, ৩১৮০, ৬৭৫৫, ৬৯০৩, ৬৯১৫, ৭৩০০, মুসলিম ১৩৭০, তিরমিযী ১৪১২, ২১২৭, নাসায়ী ৪৭৩৪, ৪৭৩৫, ৪৭৪৪, ৪৭৪৫, ৪৭৪৬, ৪৫৩০, আহমাদ ৬০০, ৬১৬, ৪৮৪, ৯৬২, ৯৯৪, ১০৪০, দারেমী ২৩৫৬, ইরওয়া ২২০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ গুপ্ত হত্যার নির্দেশ দিতেন মুহাম্মদ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3032] অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৫৬/১৫৯. হারবীকে গোপনে হত্যা করা।
৩০৩২. জাবির (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কা’ব ইবনু আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে?’ তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি?’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলি।’ তিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি দিলাম।’ (২৫১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2820] অধ্যায়ঃ ৪৮/ জিহাদ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻭﺍﻟﺴﻴﺮ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১৯০০. হারবীকে গোপনে হত্যা করা
২৮২০। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … জাবির (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কাব’ ইবনু আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে? তখন মুহাম্মদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) বললেন, ‘আপনি কি এ পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। মুহাম্মদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলি।’ তিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি প্রদান করলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2813] অধ্যায়ঃ ৪৮/ জিহাদ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১৮৯৬. ঘুমন্ত মুশরিককে হত্যা করা
২৮১৩। আলী ইবনু মুসলিম (রহঃ) … বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারীগণের একটি দল আবূ রাফে ইয়াহুদীদের হত্যা করার জন্য প্রেরণ করেন। তাদের মধ্যে থেকে একজন এগিয়ে গিয়ে ইয়াহুদীদের দূর্গে ঢুকে পড়ল। তিনি বললেন, তারপর আমি তাদের পশুর আস্তাবলে প্রবেশ করলাম। এরপর তারা দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিল। তারা তাদের একটি গাধা হারিয়ে ফেলেছিল এবং তার খোঁজে তারা বেরিয়ে পড়ে। আমিও তাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। তাদেরকে আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমি তাদের সঙ্গে গাধাঁর খোজ করছি। অবশেষে তারা গাধাটি পেল। তখন তারা দূর্গে প্রবেশ করে এবং আমিও প্রবেশ করলাম। রাতে তারা দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিল। আর তারা চাবিগুলি একটি কুলুঙ্গির মধ্যে রেখে দিল। আমি তা দেখতে পাচ্ছিলাম। যখন তারা ঘুমিয়ে পড়ল, আমি চাবিগুলি নিয়ে নিলাম এবং দূর্গের দরজা খুললাম। তারপর আমি আবূ রাফের নিকট পৌঁছলাম এবং বললাম, হে আবূ রাফে! সে আমার ডাকে সাড়া দিল। তখন আমি আওয়াজের প্রতি লক্ষ্য করে তরবারির আঘাত হানলাম, অমনি সে চিৎকার দিয়ে উঠল।
 আমি বেরিয়ে এলাম। আমি পুনরায় প্রবেশ করলাম, যেন আমি তার সাহাযার্থে এগিয়ে এসেছি। আর আমি আমার গলার স্বর পরিবর্তন করে বললাম, হে আবূ রাফে! সে বলল, তোমার কি হল, তোমার ধ্বংস হোক। আমি বললাম, তোমার কি অবস্থা? সে বলল, আমি জানিনা, কে বা কারা আমার এখানে এসেছিল এবং আমাকে আঘাত করেছে। রাবী বলেন, তারপর আমি আমার তরবারী তার পেটের উপর রেখে সবশক্তি দিয়ে চেপে ধরলাম, ফলে তাঁর হাড় পর্যন্ত পৌঁছে কট করে উঠল। এরপর আমি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বের হয়ে এলাম। আমি অবতরণের উদ্দেশ্যে তাদের সিড়ির কাছে এলাম। যখন আমি পড়ে গেলাম, তখন এতে আমার পায়ে আঘাত লাগল। আমি আমার সাথীগণের সাথে এসে মিলিত হলাম। আমি তাদেরকে বললাম, আমি এখান হতে ততক্ষন পর্যন্ত যাব না, যাবত না আমি মৃত্যুর সংবাদ প্রচারকারীনীর আওয়াজ শুনতে পাই। হিযাজবাসীদের বণিক আবূ রাফের মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা না শোনা পর্যন্ত আমি সে স্থান ত্যাগ করলাম না। তিনি বলেন, তখন আমি উঠে পড়লাম এবং আমার তখন কোনরূপ ব্যথা বেদনাই অনুভব হচ্ছিল না। অবশেষে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পৌঁছে এ বিষয়ে তাঁকে সংবাদ দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3022] অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৫৬/১৫৫. নিদ্রিত মুশরিককে হত্যা করা।
৩০২২. বারআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের একটি দল আবূ রাফি‘ ইয়াহূদীকে হত্যা করার জন্য প্রেরণ করেন। তাঁদের মধ্য থেকে একজন এগিয়ে গিয়ে ইয়াহূদীদের দূর্গে প্রবেশ করল। তিনি বলেন, অতঃপর আমি তাদের পশুর আস্তাবলে প্রবেশ করলাম। অতঃপর তারা দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিল। তারা তাদের একটি গাধা হারিয়ে ফেলেছিল এবং তার খোঁজে তারা বেরিয়ে পড়ে। আমিও তাদের সঙ্গে বেরিয়ে গেলাম। তাদেরকে আমি জানাতে চেয়েছিলাম যে, আমি তাদের সঙ্গে গাধার খোঁজ করছি। অবশেষে তারা গাধাটি পেল। তখন তারা দূর্গে প্রবেশ করে এবং আমিও প্রবেশ করলাম। রাতে তারা দুর্গের দরজা বন্ধ করে দিল। আর তারা চাবিগুলো একটি কুলুঙ্গীর মধ্যে রাখল। আমি তা দেখতে পেলাম। যখন তারা ঘুমিয়ে পড়ল, আমি চাবিগুলো নিয়ে নিলাম এবং দূর্গের দরজা খুললাম। অতঃপর আমি আবূ রাফি‘র নিকট পৌঁছলাম এবং বললাম, হে আবূ রাফে! সে আমার ডাকে সাড়া দিল। তখন আমি আওয়াজের প্রতি লক্ষ্য করে তরবারীর আঘাত হানলাম, অমনি সে চিৎকার দিয়ে উঠল। আমি বেরিয়ে এলাম। আমি আবার প্রবেশ করলাম, যেন আমি তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছি। আর আমি আমার গলার স্বর পরিবর্তন করে বললাম, হে আবূ রাফি‘! সে বলল, তোমার কী হল, তোমার মা ধ্বংস হোক। আমি বললাম, তোমার কী অবস্থা? সে বলল, আমি জানি না, কে বা কারা আমার এখানে এসেছিল এবং আমাকে আঘাত করেছে। রাবী বলেন, অতঃপর আমি আমার তরবারী তার পেটের উপর রেখে সব শক্তি দিয়ে চেপে ধরলাম, ফলে তার হাড় পর্যন্ত ঠেকার আওয়াজ হল। অতঃপর আমি ভীত-শংকিত অবস্থায় বের হয়ে এলাম। আমি অবতরণের উদ্দেশ্যে তাদের সিঁড়ির নিকট এলাম। যখন আমি পড়ে গেলাম, তখন এতে আমার পায়ে আঘাত লাগল। আমি আমার সাথীদের সঙ্গে এসে মিলিত হলাম। আমি তাদেরকে বললাম, আমি এখান হতে ততক্ষণ পর্যন্ত যাব না, যতক্ষণ না আমি মৃত্যুর সংবাদ প্রচারকারিণীর আওয়াজ শুনতে পাই। হিজাযবাসী বণিক আবূ রাফি‘র মৃত্যুর ঘোষণা না শোনা পর্যন্ত আমি সে স্থান ত্যাগ করলাম না। তিনি বললেন, তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং আমার তখন কোন ব্যথাই ছিল না। অবশেষে আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছে তাঁকে খবর জানালাম। (৩০২৩, ৪০৩৮, ৪০৩৯, ৪০৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুহাম্মদ দুর্ভিক্ষ দিয়ে নারী শিশু সহ পুরো গোত্রের মানুষদের কষ্ট দেয়ার অভিশাপ দিতেন
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু’আ
 হাদিস নাম্বার: 952
৯৫২। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শেষ রাকাআত থেকে মাথা উঠালেন, তখন বললেন, হে আল্লাহ! আইয়্যাশ ইবনু আবূ রাবী’আহকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! সালামা ইবনু হিশামকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে রক্ষা করুণ। হে আল্লাহ! দুর্বল মু’মিনদেরকে মুক্তি দিন। হে আল্লাহ! মুযার গোত্রের উপর আপনার শাস্তি কঠোর করে দিন। হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর ন্যায় (এদের উপর) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বললেন, গিফার গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করুন। আর আসলাম গোত্র, আল্লাহ তাদেরকে নিরাপদে রাখুন। ইবনু আবূ যিনাদ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বলেন, এ সমস্ত দু’আ ফজরের সালাত (নামায/নামাজ)-এ ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু’আ
 হাদিস নাম্বার: 953
৯৫৩। হুমাইদী ও উসমান ইবনু আবূ শাইবা (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লোকদেরকে ইসলাম বিমুখ ভুমিকায় দেখলেন, তখন দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যামানার সাত বছরের (দুর্ভিক্ষের) ন্যায় তাঁদের উপর সাতটি বছর দুর্ভিক্ষ দিন। ফলে তাঁদের উপর এমন দুর্ভিক্ষ আপতিত হল যে, তা সব কিছুই ধ্বংস করে দিল। এমনকি মানুষ তখন চামড়া, মৃতদেহ এবং পচা ও গলিত জানোয়ারও খেতে লাগলো। ক্ষুদার তাড়নায় অবস্থা এতদূর চরম আকার ধারণ করল যে, কেউ যখন আকাশের দিকে তাকাত তখন সে ধুঁয়া দেখতে পেত। এমতাবস্থায় আবূ সুফিয়ান (ইসলাম গ্রহনের পূর্বে) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মদ! তুমি তো আল্লাহর আদেশ মেনে চল এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার আদেশ দান কর। কিন্তু তোমার কওমের লোকেরা তো মরে যাচ্ছে। তুমি তাঁদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ কর। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’লা বলেছেনঃ
 আপনি সে দিনটির অপেক্ষায় থাকুন যখন আকাশ সুস্পষ্ট ধুঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাবে সেদিন আমি প্রবলভাবে তোমাদের পাকড়াও করব”। (৪৪ঃ ১০-১৬)
আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সে কঠিন আঘাত এর দিন ছিল বদরের যুদ্ধের দিন। ধুঁয়াও দেখা গেছে, আঘাতও এসেছে। আর মক্কার মুশরিকদের নিহত ও গ্রেফতারের যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তাও সত্য হয়েছে। সত্য হয়েছে সুরা রুম-এর এ আয়াতও (রুমবাসী দশ বছরের মধ্যে পারসিকদের উপর আবার বিজয় লাভ করবে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মহানবী চোরের হাত কাটতেন।
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩০/ অপরাধের শাস্তি
 হাদিস নাম্বার: 4259
৪২৫৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ঢাল চুরির অপরাধে এক চোরের হাত কর্তন করেন। ঢালটির মূল্য ছিল তিন দিরহাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩০/ অপরাধের শাস্তি
 হাদিস নাম্বার: 4251
৪২৫১। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দ্বীনারের এক চতুর্থাংশ এবং এর অধিক পরিমাণ মূল্যের মাল চুরির অপরাধে চোরের হাত কর্তন করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ১৪/ হদ্দ (দন্ড)
হাদিস নাম্বার: 2583
১/২৫৮৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চোরের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত, ডিম চুরি করার অপরাধে যার হাত কাটা যায় এবং রশি চুরি করার অপরাধে যার হাত কাটা যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩০/ অপরাধের শাস্তি
 হাদিস নাম্বার: 4261
৪২৬১। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা অভিসম্পাত করেন সে চোরের ওপর, যে একটি ডিম (বা ডিমের মূল্যের পরিমাণ বস্তু) চুরি করল। এতে তার হাত কাটা যাবে। আর যে ব্যক্তি একটি দড়ি (কিংবা দড়ির সমম্যূল্যর পরিমাণ বস্তু) চুরি করল, তারও হাত কাটা যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4358] অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০. যে বার বার চুরি করে, তার শাস্তি সস্পর্কে।
 ৪৩৫৮. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) ……. জাবির ইবন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক চোরকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে হাযির করা হলে, তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসুল! এ লোক তো কেবল চুরি করেছে! তখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তবে তার হাত কেটে দাও। তখন সে ব্যক্তির ডান হাত কেটে দেওয়া হয়। এরপর সে দ্বিতীয়বার চুরি করলে, তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করা হয় এবং তিনি তার হত্যার নির্দেশ দেন। তখনও সাহাবীগণ বলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসুল! সে তো কেবল চুরি করেছে। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তার পা কেটে দাও। তখন তার বাম-পা কেটে ফেলা হয়। এরপর সে ব্যক্তিকে তৃতীয় বার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেশ করা হলে, তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসুল! সে তো চুরি করেছে। এরপর তিনি কাটার নির্দেশ দিলে, সে ব্যক্তির বাম-হাত কাটা হয়। পরে সে ব্যক্তিকে চতুর্থবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেশ করা হলে, তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। তখনও সাহাবীগণ বলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসুল! এ ব্যক্তি তো চুরি করেছে। তখন তিনি কাটার নির্দেশ দিলে তার ডান-পা কেটে ফেলা হয়। এরপর সে ব্যক্তিকে পঞ্চমবারের অপরাধের কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে হাযির করা হলে, তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। জাবির (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা তাকে প্রান্তরে নিয়ে হত্যা করি এবং তার লাশ টেনে কূপের কাছে নিয়ে তাতে নিক্ষেপ করি। পরে তার মৃত দেহের উপর পাথর নিক্ষেপ করি।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ১৪/ হদ্দ (দন্ড)
হাদিস নাম্বার: 2587
১/২৫৮৭। ইবনে মুহাইরীঝ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাদালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) কে কর্তিত হাত কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, এটাই নিয়ম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাত কেটে তা তার কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)
■ মুহাম্মদ মুক্ত দাসদের পুনরায় গোলামিতে বহাল রাখেন
৩৯২০. মুসাদ্দা (রহঃ) ………… ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি মৃত্যুকালে তার ছয়টি গোলাম আযাদ করে দেয় এবং এ ছয়টি গোলাম ব্যতীত তার আর কোন সম্পদ ছিল না। এ খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌঁছলে তিনি গোলামদের মধ্যে লটারীর ব্যবস্থা করেন এবং দু’জনকে আযাদ করেন এবং বাকী চারজনকে গোলামীতে বহাল রাখেন।
■ ইসলাম ত্যাগের শাস্তি
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 হাদিস নাম্বার: 4300
৪৩০০. আহমদ ইব্ন মুহাম্মদ (রহঃ) — ইকরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাঃ) ঐ সব লোকদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন, যারা মুরতাদ হয়েছিল। এ সংবাদ ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট পৌছলে, তিনি বলেনঃ যদি আমি তখন সেখানে উপস্থিত থাকতাম, তবে আমি তাদের আগুনে জ্বালাতে দিতাম না। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোময়া আল্লাহ্ প্রদত্ত শাস্তির (বস্তু) দ্বারা কাউকে শাস্তি দেবে না। অবশ্য আমি তাদেরকে আল্লাহ্র রাসূলের নির্দেশ মত হত্যা করতাম। কেননা, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কেউ দীন পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়, তবে তোমরা তাকে হত্যা করবে। আলী (রাঃ) ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর এ নির্দেশ শুনে বলেনঃ ওয়াহ্! ওয়াহ্! ইব্ন আব্বাস (রাঃ) সত্য বলেহছেন। আর ইহাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ )
হাদিস নাম্বার: 4301
৪৩০১. আমর ইব্ন আওন (রহঃ) —- আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ মুসলমানের রক্ত হালাল নয়, যে এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহ্র রাসূল”। তবে তিনটি কারণের কোন মুসলমানের রক্ত প্রবাহিত করা হালালঃ (১) যদি কোন বিবাহিত ব্যক্তি যিনা করে; (২) যদি কেউ কাউকে হত্যা করে, তবে এর বিনিময়ে হত্যা এবং (৩) যে ব্যক্তি দীন ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে মুসলমানের জামায়াত থেকে বেরিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ )
হাদিস নাম্বার: 4302
৪৩০২. মুহাম্মাদ ইব্ন সিনান (রহঃ) —- আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলমানের রক্ত হালাল নয়, যে এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র রাসূল, তবে তিনটি মধ্যে যে কোন একটি কারণে তার রক্ত প্রবাহিত করা হালালঃ (১) যদি কেউ বিবাহ করার পর যিনা করে, তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে; (২) যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বের হবে, তাকে হত্যা করা হবে, অথবা শুলী দণ্ড দেওয়া হবে, অথবা দেশ থেকে বের করা হবে এবং (৩) যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করবে, তার জীবনের বিনিময়ে তাকে হত্যা করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 হাদিস নাম্বার: 4309
৪৩০৯. কুতায়বা ইব্ন সাঈদ (রহঃ) —- জাবীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, যখন কোন গোলাম শিরকের প্রতি চলে যায়, (অর্থাৎ আল্লাহ্কে পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়); তখন তার রক্ত হালাল হয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)
■ গুপ্তকেশ পরীক্ষা করে কাফের হত্যা করতেন মুহাম্মদ
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1590] অধ্যায়ঃ ২৪/ অভিযান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ কোন মুসলিমের নির্দেশ কেউ আত্মসমার্পন করলে।
১৫৯০। হান্নাদ (রহঃ) … আতিয়্যা কুরাযী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরায়যা যুদ্ধের সময় আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করা হল। তিনি যাদের যৌন লোম উদগত হয়েছিল তিনি তাদের হত্যা করলেন আর যাদের যৌন লোম উদগত হয়নি তাদের ছেড়ে দিলেন। আমি তাদের মধ্যে ছিলাম যাদের যৌন লোম উদগম হয়নি। সুতরাং আমার পথে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হল। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৪১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৮৪ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ সমকামীদের পাথর মেরে হত্যা করতে হবে
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 হাদিস নাম্বার: 4404
৪৪০৪. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ………. ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যদি অবিবাহিত ব্যক্তি সমকামিতার সময় ধরা পড়ে, তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ শাস্তির বিধান
 হাদিস নাম্বার: 4403
৪৪০৩. আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ……… ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন কাউকে লূতের কাওমের মত কাজে (সমকামে) লিপ্ত দেখবে, তখন এর কর্তা এবং যার সাথে এরূপ করা হবে, উভয়কে হত্যা করবে।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ কবিতা এবং কবিদের প্রতি ঘৃণা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5697] অধ্যায়ঃ ৪৩/ কবিতা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৯৭। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … সা’দ (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির পেট পুঁজে ভর্তি হয়ে যাওয়া যা তার পেটকে পটিয়ে নষ্ট করে দেয়, তা কবিতায় ভর্তি হওয়ার চাইতে উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5698] অধ্যায়ঃ ৪৩/ কবিতা
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৯৮। কুতায়বা ইবনু সাঈদ সাকাফী (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ‘আরজ’ এলাকায় সফর করছিলাম। তখন এক কবি কবিতা আবৃতি করতে করতে আসতে লাগল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তানটাকে ধরে ফেল কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ, তিনি বললেন) শয়তানটাকে রুখে দাও। কোন লোকের পেট পুঁজে ভর্তি হয়ে যাওয়া কবিতায় ভর্তি হওয়া থেকে উত্তম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ শিশুদের নামাজ না পড়লে মারপিট করতে বলেছেন মুহাম্মদ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায)
হাদিস নাম্বার: 495
৪৯৫. মুআম্মাল ইবনু হিশাম …………. আমর ইবনু শুআয়েব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের সন্তানরা সাত বছরে উপনীত হবে, তখন তাদেরকে নামায পড়ার নির্দেশ দেবে এবং তাদের বয়স যখন দশ বছর হবে তখন নামায না পড়লে এজন্য তাদেরকে মারপিট কর এবং তাদের (ছেলে-মেয়েদের) বিছানা পৃথক করে দিবে।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায)
হাদিস নাম্বার: 494
৪৯৪. মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা …….. আবদুল মালিক থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের বয়স যখন সাত বছর হয়, তখন তাদেরকে নামায পড়ার নির্দেশ দাও এবং যখন তাদের বয়স দশ বছর হবে তখন নামায না পড়লে এজন্য তাদের শাস্তি দাও- (তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ)।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ নামাজ না পড়ার শাস্তি হিসেবে আগুনে পুড়িয়ে মারা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [657] অধ্যায়ঃ ১০/ আযান
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১০/৩৪. ‘ইশার সলাত জামা‘আতে আদায় করার ফাযীলাত।
৬৫৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার সালাত অপেক্ষা অধিক ভারী সালাত আর নেই। এ দু’ সালাতের কী ফাযীলাত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো। (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়ায্যিনকে ইকামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামত করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা সালাতে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই। (৬৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [624] অধ্যায়ঃ ১০/ আযান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৪২৬। ইশার সালাত জামা’আতে আদায় করার ফযিলত।
 ৬২৪। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের উপস ফজর ও ইশার সালাত (নামায/নামাজ)-এর চাইতে অধিক ভারী সালাত (নামায/নামাজ) আর নেই। এ দু’ সালাত (নামায/নামাজ)-এর কি ফযিলত, তা যদি তারা জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা (জামা’আতে) উপস্থিত হতো।
 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি সংকল্প করছিলাম যে, মুয়াজ্জ্বীন কে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে এরপরও যারা সালাত (নামায/নামাজ) আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নবী মুহাম্মদকে গালি দিলে খুন করার বিধান
গ্রন্থের নামঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদিস নম্বরঃ [4361] অধ্যায়ঃ ৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি
 পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
 পরিচ্ছদঃ ২. যে নবী ( ﷺ)-কে গালি দেয় তার সম্পর্কিত বিধান
৪৩৬১। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক অন্ধ লোকের একটি উম্মু ওয়ালাদ’ ক্রীতদাসী ছিলো। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিতো এবং তাঁর সম্পর্কে মন্দ কথা বলতো। অন্ধ লোকটি তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে বিরত হতো না। সে তাকে ভৎর্সনা করতো; কিন্তু তাতেও সে বিরত হতো না। এক রাতে সে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিতে শুরু করলো এবং তাঁর সম্পর্কে মন্দ কথা বলতে লাগলো, সে একটি একটি ধারালো ছোরা নিয়ে তার পেটে ঢুকিয়ে তাতে চাপ দিয়ে তাকে হত্যা করলো। তার দু’ পায়ের মাঝখানে একটি শিশু পতিত হয়ে রক্তে রঞ্জিত হলো। ভোরবেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘটনাটি অবহিত হয়ে লোকজনকে সমবেত করে বলেনঃ আমি আল্লাহর কসম করে বলছিঃ যে ব্যক্তি একাজ করেছে, সে যদি না দাঁড়ায় তবে তার উপর আমার অধিকার আছে।
 একথা শুনে অন্ধ লোকটি মানুষের ভিড় ঠেলে কাঁপতে কাঁপতে সামনে অগ্রসর হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এসে বসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সেই নিহত দাসীর মনিব। সে আপনাকে গালাগালি করতো এবং আপনার সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলতো। আমি নিষেধ করতাম; কিন্তু সে বিরত হতো না। আমি তাকে ধমক দিতাম; কিন্তু সে তাতেও বিরত হতো না। তার গর্ভজাত মুক্তার মতো আমার দু’টি ছেলে আছে, আর সে আমার খুব প্রিয়পাত্রী ছিলো। গত রাতে সে আপনাকে গালাগালি শুরু করে এবং আপনার সম্পর্কে অপমানজনক কথা বললে, আমি তখন একটি ধারালো ছুরি নিয়ে তার পেটে স্থাপন করে তাতে চাপ দিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাকো, তার রক্ত বৃথা গেলো।[1] সহীহ।
[1]. নাসায়ী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


মূল তালিকা

 ১.০। কোরআন
১.১। কোরআনে বৈপরীত্য
■ কোরআনে পরস্পরবিরোধী আয়াতসমূহ
কোরআনে অর্ধশত পরস্পরবিরোধী আয়াতসমূহ
১.২। আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
■ আল্লাহ আরশে সমাসীন
অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
কুরআন ১৩ঃ২
তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন।
কুরআন ৫৭ঃ৪
সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
 সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে।
 এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
কুরআন ৬৯ঃ১৫-১৭
আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর।
কুরআন ৩৯ঃ৭৫
যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
কুরআন ৪০ঃ৭
■ আল্লাহর রূপ রঙ হাত পা কথাবার্তা
আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে?আমরা তাঁরই এবাদত করি।
কুরআন ২ঃ১৩৮
যখন সে তার কাছে পৌছল, তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান প্রান্তের বৃক্ষ থেকে তাকে আওয়াজ দেয়া হল, হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।
কুরআন ২৮ঃ৩০
অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে আসলেন তখন আওয়াজ হল ধন্য তিনি, যিনি আগুনের স্থানে আছেন এবং যারা আগুনের আশেপাশে আছেন। বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।
কুরআন ২৭ঃ৮
আল্লাহ তার কথা শুনেছেন। আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কথাবার্তা শুনেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।
কুরআন ৫৮ঃ১
আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও দেখেন।
কুরআন ৪ঃ১৩৪
আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।
কুরআন ৪৮ঃ১০
আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত।
কুরআন ৫ঃ৬৪
■ আল্লাহর আবেগ অনুভূতি
আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।
কুরআন ৯৮ঃ৮
তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
কুরআন ৪০ঃ১০
নিশ্চয় তিনি কাফেরদের ভালবাসেন না।
কুরআন ৩০ঃ৪৫
■ আল্লাহ প্রতিশোধ পরায়ন
আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
 কুরআন ৩ঃ৪
■ লুতের সময় গোটা জনবসতির নারী শিশু বৃদ্ধ সহকারে চালানো গণহত্যা
তারা বললঃ আমরা একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
 কিন্তু লূতের পরিবার-পরিজন। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।
15:58/59
অতএব আপনি শেষরাত্রে পরিবারের সকলকে নিয়ে চলে যান এবং আপনি তাদের পশ্চাদনুসরণ করবেন না এবং আপনাদের মধ্যে কেউ যেন পিছন ফিরে না দেখে। আপনারা যেখানে আদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন সেখানে যান।
15:65
আমি লূতকে এ বিষয় পরিজ্ঞাত করে দেই যে, সকাল হলেই তাদেরকে সমুলে বিনাশ করে দেয়া হবে।
15:66
অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।
15:74
অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। উভয় বস্তি প্রকাশ্য রাস্তার উপর অবস্থিত।
15:79
আর বলুনঃ আমি প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক।
15:89
যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম।
 সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
29:31/32
■ তোষামোদলোভী আল্লাহর আত্মপ্রশংসামূলক আয়াত
হে মূসা, আমি আল্লাহ, প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
 কোরআন ২৭:৯
হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।
 কোরআন ২৮ঃ৩০
আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।
 কোরআন ১২ঃ৫৫
আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
 কোরআন ৩ঃ২
হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর গলগ্রহ। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
 কোরআন ৩৫ঃ১৫
করুনাময় আল্লাহ।
 কোরআন ৫৫ঃ১
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
 এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
 কোরআন ১১২ঃ২-৪
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
 কোরআন ২ঃ২৫৫
সকল প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর, তিনি বেহেশত ও পৃথিবীর সবকিছুর স্রষ্টা। তাকে বন্দনা করি, তিনি ফেরেশতাদেরকে তৈরি করেছেন। তিনি যা ইচ্ছা করেন, তাই সৃষ্টি করেন। আসলে আল্লাহ সবকিছুই করতে পারেন।
 কোরআন ৩৫ঃ১
এবং সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদের মালিক আল্লাহ কারণ তিনি আলামিন (মানুষ, জিন এবং যা কিছু আছে সবকিছুর)।
কোরআন ৩৭ঃ১৮২
অতএব সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদ আল্লাহর উপরে বর্ষিত হোক, কারণ তিনিই জগতের প্রভু।
 কোরআন ৪৫ঃ৩৬
নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
 কোরআন ৫ঃ১২০
■ আল্লাহর হুমকি ধামকিমূলক আয়াত
কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
কোরআন ৯৬/১৫-১৬
আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
কোরআন ৩৫ঃ৩৬
সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।
কোরআন ৯ঃ৩৫
আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
কোরআন ৬৮ঃ১৬
…তাদের জন্যে উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে-কুফরের কারণে।
কোরআন ৬ঃ৭০
■ পথভ্রষ্ট করা এবং সৎপথ দেখানো আল্লাহর ইচ্ছাধীন
আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না।
কোরআন ১৮:১৭
যাকে আল্লাহ পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথ ভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
কোরআন ৭:১৭৮
■ রিজিক (খাবার দাবার) দানকারী একমাত্র আল্লাহর
যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন।
কোরআন ৪২:২৭
আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রুযী প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন।
কোরআন ১৩:২৬
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।
কোরআন ২:২১২
আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন
কোরআন ১১:৬
১.৩। অবৈজ্ঞানিক কুরআনের আয়াত
■ মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির ওপর
তিনিই সর্বশক্তিমান, যিনি সৃজন করিয়াছেন আসমান ও জমীনকে ছয় দিবসে আর তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন যা ছিল পানির উপরে।
কুরআন ১১ঃ৭
■ ছয়দিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টি
নি:সন্দেহ, তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ , যিনি আসমান ও জমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করিয়াছেন, অনন্তর সিংহাসনে সমাসীন হইয়াছেন, তিনিই দিনকে রাত্রির দ্বারা আচ্ছাদিত করেন, যাহা উহার পিছনে দৌড়াইয়া চলে এবং তিনিই চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রসমূহকে তাহার নির্দেশাধীন করিয়াছেন।
কুরআন ৭ঃ৫৪
তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ তিনি আকাশ ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিবসে, তৎপর তিনি অধিষ্ঠিত হন আরশের উপর।
কুরআন ১০:৩
নোটঃ যারা মনে করেন, কোরান দিন বলতে দিন নয়, যুগ বা কাল বোঝানো হয়েছে, তারা এই হাদিসগুলো পড়ে নেবেন।
■ আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
 তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ,  অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
 অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২
তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯
■ আসমান সাতটি স্তরে তৈরি
> তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
 > যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?
কুরআন ৬৭ঃ৩
■ পৃথিবীর সংখ্যা সাত
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।
কুরআন ৬৫ঃ১২
■ চাঁদ দুইভাগে বিভক্ত
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
কুরআন ৫৪ঃ১
■ খুটিহীন আকাশ এবং পর্বতের কারণে পৃথিবী ঢলে পরে না।
তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি।
কুরআন ৩১ঃ১০
■ আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তা যমীনের উপর পড়ে না যায়
> তুমি কি দেখ না যে, ভূপৃষ্টে যা আছে এবং সমুদ্রে চলমান নৌকা তৎসমুদয়কে আল্লাহ নিজ আদেশে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান।
> তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, যমীনে যা কিছু আছে এবং নৌযানগুলো যা তাঁরই নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে সবই আল্লাহ তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনিই আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া তা যমীনের উপর পড়ে না যায়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই করুণাময়, পরম দয়ালু।
কুরআন ২২ঃ৬৫
■ আকাশে কোন ফাটল নেই।
> তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।
> তারা কি তাদের উপরে আসমানের দিকে তাকায় না, কিভাবে আমি তা বানিয়েছি এবং তা সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোন ফাটল নেই।
কুরআন ৫০ঃ৬
■ তারকারাজির অবস্থান নিকটবর্তী আসমানে
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
কুরআন ৩৭ঃ৬
■ উল্কাপাত হচ্ছে শয়তানদের তাড়াবার জন্য আল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
কুরআন ৩৭ঃ ৬-১০
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি।
কুরআন ৬৭ঃ৫
■ সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়, জুলকারনাইন সূর্য্যের উদায়চলে পৌঁছালেন
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন।
সুরা কাহফ আয়াত ৮৬
 অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।
কুরআন ১৮ঃ৯০
■ আল্লাহ জমিনকে স্থির রাখেন
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল।
কুরআন ৩৫ঃ৪১
■ পৃথিবীকে সমতলভাবে বিছানো হয়েছে
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?
কুরআন ৮৮ঃ২০
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।
সুরা বাকারা ২:২২
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
সুরা ত্বা-হা ২০:৫৩
আমি পৃথিবীকে বিছিয়েছি। আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।
সুরা যারিয়া’ত ৫১:৪৮
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা।
সুরা নূহ ৭১:১৯
আমি কি করিনি পৃথিবীকে বিছানা ?
সুরা নাবা ৭৮:৬
আমি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।
সুরা হিজর ১৫:১৯
■ আল্লাহ পৃথিবীতে সৃষ্ট সকল কিছু তৈরি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় (নর ও নারী)
আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।
কুরআন ৫১ঃ৪৯
তাফসিরে আহসানুল বায়ান
[1] অর্থাৎ, প্রতিটি জিনিস জোড়া জোড়া, নর ও নারী করেছি। অথবা ঐ জিনিসের বিপরীত জিনিসও সৃষ্টি করেছি। যেমন, আলো ও আঁধার, জল ও স্থল, চন্দ্র ও সূর্য, মিষ্ট ও তিক্ত, দিন ও রাত, ভালো ও মন্দ, জীবন ও মৃত্যু, ঈমান ও কুফরী, সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য, জান্নাত ও জাহান্নাম, মানব ও দানব ইত্যাদি। এমন কি জীবের বিপরীত জড়পদার্থও এই জন্য জরুরী যে, যাতে দুনিয়ারও জোড়া হয়। অর্থাৎ, দুনিয়ার মোকাবেলায় দ্বিতীয় জীবন আখেরাত।
বিঃদ্রঃ পড়ুন অযৌন প্রজনন, অ্যামিবা, প্যারামিসিয়াম, ইস্ট, হাইড্রা, ওইডিয়া, কনিডিয়া, চলরেণু , স্পোরাঞ্জিওস্পোর, ক্ল্যামাইডোস্পোর, Chaetognatha, ponges, snails, slug-like sea hare ইত্যাদি
■ আগুন দিয়ে প্রাণি সৃষ্টি করা যায়
এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।
কুরআন ৫৫ঃ১৫
■ মানুষকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা
আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।
কুরআন ১৫ঃ২৬
■ প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে
প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু।
 সূরা আল-ইমরানঃআয়াত-১৮৫
 প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
 সূরা আম্বিয়াঃআয়াত-৩৫
 জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।
 সূরা আনকাবুতঃআয়াত-৫৭
বিঃদ্রঃ পড়ুন Tardigrade, Radiation-resistant bacterium, Backward-aging jellyfish, Ever-growing lobsters, Sturdy turtles, Regenerating flatworms
■ মানুষ চিন্তা করে হৃদয় দিয়ে
SAHIH INTERNATIONAL
 And We have placed over their hearts coverings, lest they understand it, and in their ears deafness. And when you mention your Lord alone in the Qur’an, they turn back in aversion.
 MUHIUDDIN KHAN
আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই। যখন আপনি কোরআনে পালনকর্তার একত্ব আবৃত্তি করেন, তখন ও অনীহাবশতঃ ওরা পৃষ্ট প্রদর্শন করে চলে যায়।
কুরআন ১৭ঃ৪৬
■ বীর্য নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
 সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
 এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
কুরআন ৮৬ঃ৫-৭
■ মৌমাছি ফল ভক্ষণ করে
আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
কুরআন ১৬ঃ৬৮-৬৯
■ বৃষ্টির পানি সর্বদাই বিশুদ্ধ
আর আমি মেঘমালা থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি।
কুরআন ২৫ঃ৪৮
বিঃদ্রঃ পড়ুন এসিড বৃষ্টি
■ দুধ নিঃসৃত হয় গোবর ও রক্ত থেকে
তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তুসমুহের মধ্যে থেকে গোবর ও রক্ত নিঃসৃত দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্যে উপাদেয়।
কুরআন ১৬ঃ৬৬
■ আকাশে শিলাস্তুপ থাকে যা থেকে আল্লাহ শিলাবর্ষণ করেন
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন; অতঃপর তুমি দেখ যে, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তুপ থেকে শিলাবর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা, তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎঝলক দৃষ্টিশক্তি যেন বিলীন করে দিতে চায়।
কুরআন ২৪:৪৩
■ গরুর একটি খণ্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত করে জীবিত করা
অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর।
কুরআন ২ঃ৭৩
■ ইব্রাহিম পাখীদের কেটে টুকরো করে আবার জীবিত করতো
আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও, কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে। বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল, অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে চারটি পাখী ধরে নাও। পরে সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক; তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন।
কুরআন ২ঃ২৬০
■ আল্লাহ আকাশে পাখীদের ভাসায়
তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না।
কুরআন ১৬ঃ৭৯
■ আল্লাহ সমুদ্রে জাহাজ ভাসায়
তোমাদের পালনকর্তা তিনিই, যিনি তোমাদের জন্যে সমুদ্রে জলযান চালনা করেন, যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষন করতে পারো।
কুরআন ১৭ঃ৬৬
১.৪। অমুসলিমদের অভিশাপ এবং বিদ্বেষ
■ অমুসলিমদের অসম্মানজনক অবস্থায় জিজিয়া প্রদান করতে হবে
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
 কোরআন ৯-২৯
■ অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব/সুসম্পর্ক করা যাবে না
হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।
কোরআন ৫-৫১
মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন।
কোরআন ৩-২৮
হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে তা অধিক ভয়াবহ। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে।
কোরআন ৩-১১৮
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
কোরআন ৪-৮৯
যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর।
কোরআন ৪-১৩৯
হে মুমিনগণ, তোমরা মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর জন্য তোমাদের বিপক্ষে কোন স্পষ্ট দলীল সাব্যস্ত করতে চাও?
কোরআন ৪-১৪৪
হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।
কোরআন ৫-৫৭
আর তুমি পরিত্যাগ কর তাদেরকে, যারা নিজদের দীনকে গ্রহণ করেছে খেল-তামাশা রূপে এবং প্রতারিত করেছে যাদেরকে দুনিয়ার জীবন। আর তুমি কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও, যাতে কোন ব্যক্তি তার কৃতকর্মের দরুন ধ্বংসের শিকার না হয়, তার জন্য আল্লাহ ছাড়া নেই কোন অভিভাবক এবং নেই কোন সুপারিশকারী। আর যদি সে সব ধরণের মুক্তিপণও দেয়, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। এরাই তারা, যারা ধ্বংসের শিকার হয়েছে তাদের কৃতকর্মের দরুন। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানীয় এবং বেদনাদায়ক আযাব, যেহেতু তারা কুফরী করত।
কোরআন ৬-৭০
মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।
কোরআন ৬০-১৩
■ অমুসলিম পিতামাতা বা আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালিম।
 কোরআন ৯-২৩
-আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।
 কোরআন ২৯-৮
-পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।
 কোরআন ৩১-১৫
■ কাফেরদের কখনো সাহায্য করা যাবে না
-আর তুমি আশা করছিলে না যে, তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করা হবে, বরং তা তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। অতএব, তুমি কখনো কাফিরদের জন্য সাহায্যকারী হয়ো না।
 কোরআন ২৮-৮৬
■ কাফেররা মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের নির্দেশ
গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।
কুরআন ৪৮ঃ১৬
■ আল্লাহ জিহাদীদের গণিমতের মালের লোভ দেখান
আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।
কুরআন ৪৮ঃ২০
■ অমুসলিমদের প্রতি অভিশাপ এবং গালাগালি
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
কুরআন ৯৮ঃ৬
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।
কোরআন ৮:৫৫
-নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত।
 কোরআন ২-১৬১
বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।
 কোরআন ২-২৫৭
কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান।
 কোরআন ৩-১২
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।
 কোরআন ৩-৩২
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।
কোরআন ৭:১৭৯
-অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
 কোরআন ৩-৫৬
যাতে ধবংস করে দেন কোন কোন কাফেরকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন-যেন ওরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায়।
 কোরআন ৩-১২৭
-খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুত: জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
 কোরআন ৩-১৫১
■ কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান
-হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান।
 কোরআন ৬৬-৯
-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।
 কোরআন ৯-৭৩
-তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।
 কোরআন ৬১-১১
-তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।
 কোরআন ২-২১৬
-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
 কোরআন ৯-১৪
-সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।
 কোরআন ৮-৫৭
-মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।
 কোরআন ৪৮-২৯
-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
 কোরআন ২-১৯১
-আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)
কোরআন ২-১৯৩
-যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
 কোরআন ৫-৩৩
-যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট আঙ্গুলের জোড়ায় জোড়ায়।
 কোরআন ৮-১২
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।
 কোরআন ৮-১৫
-আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
 কোরআন ৮-৩৯
-আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না।
 কোরআন ৮-৫৯
-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহ্র শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন। বস্তুত: যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহ্র রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
 কোরআন ৮-৬০
-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
 কোরআন ৯-৫
-তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
 কোরআন ৯-২৯
-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
 কোরআন ৯-১২৩
-বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?
কোরআন ২১-৪৪
-অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।
 কোরআন ২৫-৫২
-অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
 কোরআন ৪৭-৪
-তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
 কোরআন ৫৯-২
■ জিহাদীরাই প্রকৃত মুসলিম
আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী।
সুরা আনফাল আয়াত ৭৪
১.৫। অমানবিক আয়াত
■ চুরি করলে হাত কেটে দাও
যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।
কুরআন ৫ঃ৩৮
■ নারী পুরুষ প্রেম করলে উভয়কে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
কুরআন ২৪ঃ২
২.০। হাদিসসমূহ
২.১। আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
■ আল্লাহর হাতের মুঠো রয়েছে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯৭/ তাওহীদ
৭৪১৩. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ যমীনকে তাঁর মুঠোয় নিয়ে নেবেন। [৪৮১২] (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আল্লাহর ডান হাত রয়েছে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯৭/ তাওহীদ
৭৪১২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিন পৃথিবীটা তাঁর মুঠোতে নিয়ে নেবেন। আসমানকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেন; বাদশাহ্ একমাত্র আমিই।
 সা‘ঈদ (রহ.) মালিক (রহ.) থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। ‘উমার ইবনু হামযাহ (রহ.) সালিম (রহ.)-এর মাধ্যমে ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আল্লাহর হাতে আঙ্গুল রয়েছে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯৭/ তাওহীদ
৭৪১৪. ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ইয়াহূদী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকী সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ্ একমাত্র আমিই। এতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা আল্লাহ্ তা‘আলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি দেয়নি।
 ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ বলেন, এ বর্ণনায় একটু যোগ করেছেন ফুদায়ল ইবনু আয়ায….. আবিদাহ (রহ.) সূত্রে ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে যে, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্মিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন। [৪৮১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২.২। হাস্যকর হাদিস
■ দুষ্টু পাথর মুসার কাপড় নিয়ে দৌঁড়ায়
১৯৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, নাবী ﷺ বলেছেনঃ বানী ইসরাঈলের লোকেরা নগ্ন হয়ে একে অপরকে দেখা অবস্থায় গোসল করতো। কিন্তু মূসা (‘আ.) একাকী গোসল করতেন। এতে বানী ইসরাঈলের লোকেরা বলাবলি করছিল, আল্লাহ্র কসম, মুসা (‘আ) ‘কোষবৃদ্ধি’ রোগের কারণেই আমাদের সাথে গোসল করেন না। একবার মূসা (‘আ.) একটা পাথরের উপর কাপড় রেখে গোসল করছিলেন। পাথরটা তাঁর কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। তখন মূসা (‘আ.) ‘পাথর! আমার কাপড় দাও,’’ ‘‘পাথর! আমার কাপড় দাও’’ বলে পেছনে পেছনে ছুটলেন। এদিকে বানী ইসরাঈল মূসার দিকে তাকাল। তখন তারা বলল, আল্লাহ্র কসম মূসার কোন রোগ নেই। মূসা (‘আ.) পাথর থেকে কাপড় নিয়ে পরলেন এবং পাথরটাকে পিটাতে লাগলেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহ্র কসম, পাথরটিতে ছয় কিংবা সাতটা পিটুনীর দাগ পড়ে গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ শয়তান পাদ মারে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1159] অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৭৮০. সালাত তিন রাকা’আত আদায় করা হল না কি চার রাকা’আত তা মনে করতে না পারলে বসা অবস্থায় দু’টি সিজ্দা করা।
১১৫৯। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে আযান শুনতে না পায় আর তার পশ্চাদ-বায়ূ সশব্দে নির্গত হতে থাকে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে এগিয়ে আসে। আবার সালাতের জন্য ইকামত দেওয়া হলে সে পিঠ ফিরিয়ে পালায়। ইকামত শেষ হয়ে গেলে আবার ফিরে আসে। এমন কি সে সালাতরত ব্যাক্তির মনে ওয়াস্ওয়াসা সৃষ্টি করে এবং বলতে থাকে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, যা তার স্মরণে ছিল না। এভাবে সে ব্যাক্তি কত রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে তা স্মরণ করতে পারে না। তাই, তোমাদের কেউ তিন রাকা’আত বা চার রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে, তা মনে রাখতে না পারলে বসা অবস্থায় দু’টি সিজ্দা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “নামাযের জন্য আযান দেওয়া হলে শয়তান পাদতে পাদতে এত দূরে পালায়, যেখানে আযান শোনা যায় না। আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। ইকামত শুরু হলে পুনরায় পালায়। ইকামত শেষ হলে নামাযীর কাছে এসে তার মনে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা আনয়ন করে বলে, ‘এটা মনে কর, ওটা মনে কর।’ এইভাবে নামাযীর যা মনে ছিল না তা মনে করিয়ে দেয়। এর ফলে নামাযী শেষে কত রাকআত নামায পড়ল তা জানতে পারে না।”
(বুখারী ৬০৮ নং, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, মালেক, মুঅত্তা, আহমাদ, মুসনাদ ২/৩১৩)
■ শয়তান বাম হাতে খায়
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3734] অধ্যায়ঃ ২১/ খাদ্যদ্রব্য ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﻃﻌﻤﺔ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৪৭১. ডান হাতে খাওয়া সম্পর্কে।
৩৭৩৪. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ………… ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাবার খায়, তখন সে যেন তার ডান হাত দিয়ে খায় এবং যখন পানি পান করে, তখন যেন ডান হাতে পান করে। কেননা, শয়তান বাম হাতে খায় এবং পানি পান করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [3268] অধ্যায়ঃ ২৩/ আহার ও তার শিষ্টাচার ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﻃﻌﻤﺔ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ২৩/৮. ডান হাত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ
৩/৩২৬৮। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা বাম হাতে আহার করো না। কারণ শয়তান বাম হাতে আহার করে।
 মুসলিম ২০১৯, ২০৯৯, আবূ দাউদ ৪১৩৭, আহমাদ ১৩৭০৪, ১৩৭৬৬, ১৩৭৮৬, ১৪০৪৩, ১৪০৯৫, ১৪১৭৭, ১৪২৯৫, ১৪৪৪২, ১৪৪৮১, ১৪৭৩৩, মুয়াত্তা মালেক ১৭১১, দারেমী ২০৩০। সহীহাহ ৩/২৩৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5093] অধ্যায়ঃ ৩৭/ পানীয় দ্রব্য
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১২. পানাহারের আদবসমূহ ও তার বিধান
৫০৯৩। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন আহার করে, তখন সে যেন ডান হাতে আহার করে। আর যখন পান করে সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে আহার করে এবং বাম হাতে পান করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5095] অধ্যায়ঃ ৩৭/ পানীয় দ্রব্য
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ১২. পানাহারের আদবসমূহ ও তার বিধান
৫০৯৫। আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বাম হাতে পানাহার না করে। কারণ শয়তান বাম হাতে পানাহার করে। বর্ণনাকারী বলেন, নাফি (রহঃ) এতে অধিক বলতেন, বাম হাতে যেন (কিছু) গ্রহণ না করে এবং প্রদানও না করে। আবূ তাহির (রহঃ)-এর বর্ণনায় ﺃَﺣَﺪٌ ﻣِﻨْﻜُﻢْ এর স্থলে ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ শব্দ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ হযরত আদম ছিল ৯০ ফুট লম্বা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6900] অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺻﻔﺔ ﻧﻌﻴﻤﻬﺎ ﻭﺃﻫﻠﻬﺎ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. জান্নাতে এমন অনেক দল জান্নাতে যাবে যাদের হৃদয় পাখির হৃদয়ের ন্যায়
৬৯০০। মুহাম্মদ ইলূন রাফি’ (রহঃ) … হাম্মাম ইবন মুনাব্বি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এ হচ্ছে (সে সব হাদীস) যা আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমাদের শুনিয়েছেন। (এভাবে) তিনি কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেন। এর মধ্যে একটি হল এ ই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত। তাকে সৃষ্টি করার পর তিনি তাকে বললেন, যাও, এ দলটিকে সালাম কর। তারা হচ্ছে ফিরিশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। কেননা তোমার এবং তোমার বংশধরদের অভিবাদন এ-ই। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি গেলেন ও বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। উত্তরে তারা বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। তাঁরা ওয়া রামাতুল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন। এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে যাবে। তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ এরপর হতে সৃষ্টি (-র দেহের) দেহের পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে আজ পর্যন্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জিব্রাইলের ৬০০ টি ডানা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3232] অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৯/৭. তোমাদের কেউ যখন আমীন বলে আর আকাশের ফেরেশতাগণও আমীন বলে। অতঃপর একের আমীন অন্যের আমীনের সঙ্গে মিলিতভাবে উচ্চারিত হয় তখন পূর্বের পাপরাশি মুছে দেয়া হয়।
 ৩২৩২. আবূ ইসহাক শায়বানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যির ইবনু হুবাইশ (রাঃ)-কে মহান আল্লাহর এ বাণীঃ ‘‘অবশেষে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের দূরত্ব রইল অথবা আরও কম। তখন আল্লাহ স্বীয় বান্দার প্রতি যা ওয়াহী করার ছিল, তা ওয়াহী করলেন’’- (আন্-নাজম ৯-১০)। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাঈল (আঃ)-কে দেখেছেন। তাঁর ছয়শ’টি ডানা ছিল। (৪৮৫৬, ৪৮৫৭) (মুসলিম ১/৭৬ হাঃ ১৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ হাই তুললে শয়তান মুখের ভিতরে ঢুকে যায়
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [985] অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত
 পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ – সলাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয
 ৯৮৫-[৮] আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সলাতে তোমাদের কারো ‘হাই’ আসলে যথাসাধ্য তা আটকে রাখবে। কারণ (‘হাই’ দেয়ার সময়) শায়ত্বন (শয়তান) (মুখে) ঢুকে যায়। (মুসলিম)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ শয়তান মানুষের কানে পেশাব করে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [1144] অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺘﻬﺠﺪ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯/১৩. সলাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়লে তার কানে শয়তান পেশাব করে দেয়।
 ১১৪৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এক ব্যক্তির ব্যাপারে আলোচনা করা হল- সকাল বেলা পর্যন- সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে, সালাতের জন্য জাগ্রত হয়নি, তখন তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ইরশাদ করলেনঃ শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে। (৩২৭০; মুসলিম ৬/২৮, হাঃ ৭৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [1221] অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
 ১২২১-[৩] ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে এক লোক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তাঁকে বলা হলো, লোকটি সকাল পর্যন্ত একটানা ঘুমিয়ে থাকে, সলাতের জন্যে উঠে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, এ লোকের কানে অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তার দু’কানে শায়ত্বন (শয়তান) পেশাব করে দিয়েছে। (বুখারী, মুসলিম)
সহীহ : বুখারী ৩২৭০, মুসলিম ৭৭৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ফেরেশতারা আলোর, জ্বীনরা আগুনের এবং মানুষ মাটির তৈরি
গ্রন্থের নামঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
 হাদিস নম্বরঃ [1855] অধ্যায়ঃ ১৯/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
 ৩৯/১৮৫৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ফিরিশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা হতে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। [অর্থাৎ মাটি থেকে]।’’ (মুসলিম) [1] [1] মুসলিম ২৯৯৬, আহমাদ ২৪৬৬৮, ২৪৮২৬
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জ্বীনের খাদ্য হাড্ডি এবং গোবর
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3860] অধ্যায়ঃ ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা ( ﻛﺘﺎﺏ ﻣﻨﺎﻗﺐ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৩/৩২. জ্বিনদের উল্লেখ।
 ৩৮৬০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উযু ও ইস্তিন্জার ব্যবহারের জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি তাকিয়ে বললেন, কে? আমি বললাম, আমি আবূ হুরাইরাহ। তিনি বললেন, আমাকে কয়েকটি পাথর তালাশ করে দাও। আমি তা দিয়ে ইস্তিন্জা করব। [১] তবে, হাড় এবং গোবর আনবে না। আমি আমার কাপড়ের কিনারায় কয়েকটি পাথর এনে তাঁর কাছে রেখে দিলাম এবং আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে গেলাম। তিনি যখন ইস্তিন্জা হতে বেরোলেন, তখন আমি এগিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হাড় ও গোবর এর ব্যাপার কী? তিনি বললেন, এগুলো জ্বিনের খাবার। আমার কাছে নাসীবীন [২] নামের জায়গা হতে জ্বিনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা ভাল জ্বিন ছিল। তারা আমার কাছে খাদ্যদ্রব্যের আবেদন জানাল। তখন আমি আল্লাহর নিকট দু‘আ করলাম যে, যখন কোন হাড্ডি বা গোবর তারা লাভ করে তখন তারা যেন তাতে খাদ্য পায়। [৩] (১৫৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কেউ জানতে পারবে না মায়ের গর্ভে কী আছে এবং বৃষ্টি কখন হবে
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু’আ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻻﺳﺘﺴﻘﺎﺀ )
হাদিস নাম্বার: ৯৮২।
 মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গায়বের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জাননা। ১. কেউ জাননা যে, আগামী কাল কি ঘটবে। ২. কেউ জাননা যে মায়ের গর্ভে কী আছে। ৩. কেউ জাননা যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। ৪. কেউ জাননা যে, সে কোথায় মারা যাবে। ৫. কেউ জাননা যে, কখন বৃষ্টি হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জাদুটোনাতে বিশ্বাস
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ )
হাদিস নাম্বার: ৫৭৬৩
 মহান আল্লাহর বাণীঃ শায়ত্বনরাই কুফুরী করেছিল, তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিলের দু’জন ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর পৌঁছানো হয়েছিল…………পরকালে তার কোনই অংশ থাকবে না পর্যন্ত- সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১০২)। মহান আল্লাহর বাণীঃ যাদুকর যেরূপ ধরেই আসুক না কেন, সফল হবে না- সূরাহ ত্বহা ২০/৬৯)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কি দেখে-শুনে যাদুর কবলে পড়বে?- সূরাহ আম্বিয়া ২১/৩)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাদের যাদুর কারণে মূসার মনে হল যে, তাদের রশি আর লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে- সূরাহ ত্বহা ২০/৬৬)। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং জাদু করার উদ্দেশে) গিরায় ফুৎকারকারিণীদের অনিষ্ট হতে- সূরাহ ফালাক্ব ১১৩/৪)। ﺍﻟﻨَّﻔَّﺎﺛَﺎﺕُ অর্থ যাদুকর নারী, যারা যাদু করে চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।
৫৭৬৩. ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যুরাইক গোত্রের লাবীদ ইবনু আ‘সাম নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে যাদু করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মনে হতো যেন তিনি একটি কাজ করেছেন, অথচ তা তিনি করেননি। একদিন বা একরাত্রি তিনি আমার কাছে ছিলেন। তিনি বার বার দু‘আ করতে থাকেন। তারপর তিনি বলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি কি বুঝতে পেরেছ যে, আমি আল্লাহর কাছে যা জানতে চেয়েছিলাম, তিনি আমাকে তা জানিয়ে দিয়েছেন। স্বপ্নে দেখি) আমার নিকট দু’জন লোক আসেন। তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অপরজন দু’পায়ের কাছে বসেন। একজন তাঁর সঙ্গীকে বলেনঃ এ লোকটির কী ব্যথা? তিনি বলেনঃ যাদু করা হয়েছে। প্রথম জন বলেনঃ কে যাদু করেছে? দ্বিতীয় জন বলেন, লাবীদ বিন আ’সাম। প্রথম জন জিজ্ঞেস করেনঃ কিসের মধ্যে? দ্বিতীয় জন উত্তর দেনঃ চিরুনী, মাথা আঁচড়ানোর সময় উঠা চুল এবং এক পুং খেজুর গাছের ‘জুব’-এর মধ্যে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সহাবী সাথে নিয়ে সেখানে যান। পরে ফিরে এসে বলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! সে কূপের পানি মেহদীর পানির মত লাল) এবং তার পাড়ের খেজুর গাছের মাথাগুলো শয়তানের মাথার মত। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি এ কথা প্রকাশ করে দিবেন না? তিনি বললেনঃ আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দান করেছেন, আমি মানুষকে এমন বিষয়ে প্ররোচিত করতে পছন্দ করি না, যাতে অকল্যাণ রয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলে সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
আবূ উসামাহ আবূ যামরাহ ও ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.) হিশাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। লাইস ও ইবনু ‘উয়াইনাহ (রহ.) হিশাম থেকে বর্ণনা করেছেন, চিরুনী ও কাতানের টুকরায়। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ﺍﻟْﻤُﺸَﺎﻃَﺔُ হল চিরুনী করার পর যে চুল বের হয়। ﻣُﺸَﺎﻗَﺔِ হল কাতান। [৩১৭৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মানুষ ইঁদুরে পরিণত হতে পারে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [7227] অধ্যায়ঃ ৫৬/ যুহুদ ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা সম্পর্কিত বর্ণনা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺰﻫﺪ ﻭﺍﻟﺮﻗﺎﺋﻖ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. বানর প্রসঙ্গ এবং তা বিকৃত প্রাণী হওয়া প্রসঙ্গ
 ৭২২৭। আবূ কুরায়ব মুহাম্মদ ইবনু আ’লা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, ইঁদুর (মানুষের) বিকৃত প্রানী। এর নিদর্শন হচ্ছে এই যে, এদের সামনে বকরীর দুধ রাখা হলে তাঁরা তা পান করে, আর উষ্ট্রীর দুধ রাখা হলে তাঁরা তাঁর একটু স্বাদ গ্রহন করেও দেখেনা। এ কথা শুনে কা’ব (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি নিজে কি (এ হাদিসটি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছ? তিনি বললেন, তা না হলে, কি তাওরাত আমার উপর অবতীর্ণ হয়েছে?
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ওপেন হার্ট সার্জারি করে হৎপিন্ড পরিষ্কার
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [310] অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৩. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মি’রাজ এবং নামায ফরয হওয়া
 ৩১০। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) এলেন, তখন তিনি শিশুদের সাথে খেলছিলেন। তিনি তাঁকে ধরে শোয়ালেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করে তাঁর হৎপিন্ডটি বের করে আনলেন। তারপর তিনি তাঁর বক্ষ থেকে একটি রক্তপিন্ড বের করলেন এবং বললেন এ অংশটি শয়তানের। এরপর হৎপিণ্ডটিকে একটি স্বর্ণের পাত্রে রেখে যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন এবং তার অংশগুলো জড়ো করে আবার তা যথাস্থানে পূনঃস্থাপন করলেন। তখন ঐ শিশুরা দৌড়ে তাঁর দুধমায়ের কাছে গেল এবং বলল, মুহাম্মাদ -কে হত্যা করা হয়েছে। কথাটি শুনে সবাই সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখল তিনি ভয়ে বিবর্ণ হয়ে আছেন! আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বক্ষে সে সেলাই-এর চিহ্ন দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3346] অধ্যায়ঃ ৫০/ কুরআন তাফসীর
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ সূরা আলাম নাশরাহ
৩৩৪৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) …… আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে তাঁর স্বগোত্রীয় ব্যক্তি মালিক ইবনা সা’সা’ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি বায়তুল্লাহর কাছে ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি আবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ শুনি কেউ একজন বলছে তিনজনের মাঝে একজন …… তারপর সোনার একটি খাঞ্চা আমার কাছে আনা হল। এতে ছিল যমযমের পানি। এখান থেকে ওখান পর্যন্ত আমার বক্ষ বিদীর্ণ করা হল। কাতাদা (রহঃ) বলেছেনঃ আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললামঃ ওখান পর্যন্ত বলতে কি বুঝিয়েছেন? তিনি বললেনঃ পেটের নিচ পর্যন্ত।
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর আমার হৃদয় বের করে আনা হয় এবং তা যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করে পুনরায় স্ব-স্থানে স্থাপন করা হয়। আর ঈমান ও হিকমত দ্বারা তা ভরে দেওয়া হয়। হাদীসটিতে আরো দীর্ঘ বর্ণনা রয়েছে।
 সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটি হাসান- সহীহ। এ বিষয়ে আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর থেকে, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের থেকে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯১/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺘﻌﺒﻴﺮ )
হাদিস নাম্বার: ৬৯৮৪.
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। [৩২৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ খারাপ স্বপ্ন ক্ষতি করতে পারে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯১/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺘﻌﺒﻴﺮ )
হাদিস নাম্বার: ৬৯৮৫.
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নবী সুলায়মান এক রাতে একশ’ স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতেন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [5242] অধ্যায়ঃ ৬৭/ বিয়ে ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ )
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৭/১২০. কোন ব্যক্তির এ কথা বলা যে, নিশ্চয়ই আজ রাতে সে তার সকল স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবে।
৫২৪২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দাউদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ) একদা বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি আমার একশ’ স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হব এবং তাদের প্রত্যেকেই একটি করে পুত্র সন্তান প্রসব করবে, যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এ কথা শুনে একজন ফিরিশিতা বলেছিলেন, আপনি ‘ইন্শাআল্লাহ’ বলুন; কিন্তু তিনি এ কথা ভুলক্রমে বলেননি। এরপর তিনি তার স্ত্রীগণের সঙ্গে মিলিত হলেন; কিন্তু তাদের কেউ কোন সন্তান প্রসব করল না। কেবল এক স্ত্রী একটি অপূর্ণাঙ্গ সন্তান প্রসব করল। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেন, যদি সুলায়মান আঃ) ‘ইন্শাআল্লাহ্’ বলতেন, তাহলে তাঁর শপথ ভঙ্গ হত না। আর তাতেই ভালভাবে তার আশা মিটত। আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৮৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ বানরী ব্যভিচার করলে বানররা তাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করে
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা ( ﻛﺘﺎﺏ ﻣﻨﺎﻗﺐ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ )
হাদিস নাম্বার:৩৮৪৯.
‘আমর ইবনু মাইমূন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাহিলীয়্যাতের যুগে দেখেছি, একটি বানরী ব্যাভিচার করার কারণে অনেকগুলো বানর একত্র হয়ে প্রস্তর নিক্ষেপে তাকে হত্যা করল। আমিও তাদের সাথে প্রস্তর নিক্ষেপ করলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মোরগ এবং গাধা ডাকে ফেরেস্তা/শয়তান দেখে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3071] অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺑﺪﺀ ﺍﻟﺨﻠﻖ )
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯৯৭. মুসলমানের সর্বোত্তম সম্পদ ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের চুড়ায় চলে যায়
 ৩০৭১। কুতাইবা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ চেয়ে দু’আ কর। কেননা, এ মোরগ ফিরিশতাদের দেখে আর যখন গাধার আওয়াজ শুনবে তখন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে, কেননা, এ গাধাটি শয়তান দেখেছে।’
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ কবরের দৈর্ঘ ৭০ হাত প্রশস্ত হয়ে যাওয়া।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৫৩। জান্নাত, জান্নাতের নি’আমাত ও জান্নাতবাসীদের বর্ণনা ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺻﻔﺔ ﻧﻌﻴﻤﻬﺎ ﻭﺃﻫﻠﻬﺎ )
হাদিস নম্বরঃ ৭১০৮
 ১৭. মৃত ব্যক্তির কাছে জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা উপস্থিত করা হয়, আর কবরের শাস্তি প্রমাণ করা এবং তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা
৭১০৮-(৭০/২৮৭০) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দাকে যখন তার কবরের মধ্যে রেখে তার সঙ্গী-সাথীরা সেখান থেকে ফিরে আসে এবং সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায় তখন তার কাছে দু’জন ফেরেশতা এসে তাকে উঠিয়ে বসান। তারপর তাকে তারা জিজ্ঞেস করে, এ লোকটির ব্যাপারে তুমি কি বলতে? মু’মিন বান্দা তখন বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তার রসূল। তখন তাকে বলা হয়, জাহান্নামে তুমি তোমার আসন দেখে নাও। আল্লাহ তা’আলা তোমার এ আসনকে জান্নাতের আসনের দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন সে তার উভয় আসন অবলোকন করে নেয়।
 বর্ণনাকারী কাতাদাহ্ (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অতঃপর তার কবরকে (দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে) সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয় এবং সবুজ শ্যামল গাছের দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়া হয় কিয়ামাত পর্যন্ত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৯৫২, ইসলামিক সেন্টার ৭০১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ আল্লাহর আরশ মাঝে মাঝে কেঁপে ওঠে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3531] অধ্যায়ঃ ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ২১২২. স্বাদ ইবন মু’আয (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৫৩১। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … জাবির (রাঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) এর মৃত্যুতে আল্লাহ্ ত’আলার আরশ কেঁপে উঠে ছিল। আমাশ (রহঃ) … নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যাক্তি জাবির (রাঃ) কে বলল, বারা ইবনু আযিব (রাঃ) তো বলেন, জানাযার খাট নড়েছিল। তদুত্তরে জাবির (রাঃ) বললেন, সা’দ ও বারা (রাঃ) এর গোত্রদ্বয়ের মধ্যে কিছুটা বিরোধ ছিল, (কিন্তু এটা ঠিক নয়) কেননা, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ﻋَﺮْﺵُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ অর্থাৎ আল্লাহর আরশ সা’দ ইবনু মু’আযের (মৃত্যুতে) কেঁপে উঠল বলতে শুনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মাসিকের কাপড়, মরা জীব জন্তু ফেললেও পানি নোংরা হয় না।
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ )
হাদিস নম্বরঃ ৬৬
 ৩৪. বুযা‘আহ নামক কূপ প্রসঙ্গে
 ৬৬। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আমরা কি (মদীনার) ‘বুযাআহ’ নামক কূপের পানি দিয়ে অযু করতে পারি? কূপটির মধ্যে মেয়েলোকের হায়িযের নেকড়া, কুকুরের গোশত ও যাবতীয় দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস নিক্ষেপ করা হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পানি পবিত্র, কোন কিছু একে অপবিত্র করতে পারে না।[1] সহীহ।
[1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পানিকে কোনো জিনিস অপবিত্র করতে পারে না, হাঃ ৬৬, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পানি, অনুঃ বুদ‘আহ কূপের বর্ণনা, হাঃ ৩২৫), আহমাদ (৩/১৫, ১৬, ৩১, ৮৬), দারাকুতনী (১/৩০-৩১) আবূ সাঈদ খুদরী সূত্রে। এর সানাদ সহীহ। হাদীস থেকে শিক্ষাঃ অপবিত্রতা পড়ার কারণে পানির কোনো একটি বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে গেলে তা পবিত্রতা থেকে বের হয়ে যায়। আলোচ্য হাদীসের ‘উমূম (ব্যাপকতা) অন্য হাদীসাবলী দ্বারা খাস করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মুমিন পাপ করলে হৃদয়ে কালো দাগ পরে যায়।
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 অধ্যায়ঃ ৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺰﻫﺪ )
হাদিস নম্বরঃ ৪২৪৪
 ৩১/২৯. পাপের স্মরণ
 ৩/৪২৪৪। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি যখন গুনাহ করে তখন তার কলবে একটি কালো দাগ পড়ে। অতঃপর সে তওবা করলে, পাপকাজ ত্যাগ করলে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে তার কলব পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। সে আরও গুনাহ করলে সেই কালো দাগ বেড়ে যায়। এই সেই মরিচা যা আল্লাহ তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন (অনুবাদঃ) ‘‘কক্ষনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং (মরিচা) ধরিয়েছে’’ (সূরা আল-মুতাফফিফীনঃ ১৪)।
তিরমিযী ৩৩৩৪, আহমাদ ৭৮৯২, আত-তালীকুর রাগীব ২/২৬৮, ৪/৭৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
■ বস্তুকে ভালোবাসলে অন্ধ ও বধির হতে পারে।
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ )
হাদিস নম্বরঃ ৫১৩০
 ১২৬. অসৎ বাসনা
 ৫১৩০। আবূ দারদা (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোনো বস্তুর প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে অন্ধ ও বধির করে দিতে পারে।[1] দুর্বলঃ যঈফাহ হা/ ১৮৬৮।
[1]. আহমাদ। সনদে আবূ বাকর ইবনু আবূ মারইয়াম দুর্বল।
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)
■ নামাজের সময় উপ্রে তাকালে কানা হয়ে যাবেন।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ১০/ আযান ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺫﺍﻥ )
হাদিস নম্বরঃ ৭৫০
 ১০/৯২. সলাতে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকানো।
 ৭৫০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকদের কী হলো যে, তারা সালাতে আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকায়? এ ব্যাপারে তিনি কঠোর বক্তব্য রাখলেন; এমনকি তিনি বললেনঃ যেন তারা অবশ্যই এ হতে বিরত থাকে, অন্যথায় অবশ্যই তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়া হবে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ জন্মের সময় বাচ্চারা শয়তানের খোঁচায় কাঁদে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3286] অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৫৯/১১. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
 ৩২৮৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক আদাম সন্তানের জন্মের সময় তার পার্শ্বদেশে শয়তান তার দুই আঙ্গুল দ্বারা খোঁচা মারে। ‘ঈসা ইবনু মরয়াম (আঃ)-এর ব্যতিক্রম। সে তাঁকে খোঁচা মারতে গিয়েছিল। তখন সে পর্দার ওপর খোঁচা মারে। (৩৪৩১, ৪৫৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্খলিত হয় তখন সন্তান তার মতো দেখতে হয়
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3094] অধ্যায়ঃ ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০০০. আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানদের সৃষ্টি। আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফিরিশতাগণকে বললেন, আমি পৃথিবীতে খলিফা সৃষ্টি করছি। (২ঃ ৩০) ﺻَﻠْﺼَﺎﻝٌ বালি মিশ্রিত শুকনো মাটি যা শব্দ করে যেমন আগুনে পোড়া মাটি শব্দ করে। আরো বলা হয়, তাহল দুর্ঘন্ধযুক্ত মাটি। আরবরা এ দিয়ে ﺻَﻞَّ এর অর্থ নিয়ে থাকে। যেমন তারা দরজা বন্ধ করার শব্দের ক্ষেত্রে ﺻَﺮَّ ﺍﻟْﺒَﺎﺏُ এবং ﺻَﺮْﺻَﺮَ শব্দদ্বয় ব্যবহার করে থাকে। অনুরূপ ﻛَﺒْﻜَﺒْﺘُﻪُ এর অর্থ ﻛَﺒَﺒْﺘُﻪُ নিয়ে থাকে। ﻓَﻤَﺮَّﺕْ ﺑِﻪِ তার গর্ভ স্থিতি লাভ করল এবং এর মিয়াদ পূর্ণ করল। ﺃَﻥْ ﻻَ ﺗَﺴْﺠُﺪَ এর ﻻَ শব্দটি অতিরিক্ত। ﺃَﻥْ ﺗَﺴْﺠُﺪَ অর্থ সিজদা করতে হবে। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফিরিশতাগণকে বললেন, আমি পৃথিবীতে খলিফা সৃষ্টি করছি। (২ঃ ৩০) ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেন, ﻟَﻤَّﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺣَﺎﻓِﻆٌ এর অর্থ কিন্তু তার উপর রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক। ﻓِﻲ ﻛَﺒَﺪٍ সৃষ্টিগত ক্লেশের মধ্যে ﻭَﺭِﻳَﺎﺷًﺎ এর অর্থ সম্পদ। ইবন আব্বাস (রাঃ) ছাড়া অন্যরা বলেন, ﺍﻟﺮِّﻳَﺎﺵُ এবং ﺍﻟﺮِّﻳﺶُ উভয়ের একই অর্থ। আর তা হল পরিচ্ছেদের বায্যিক দিক। ﻣَﺎ ﺗُﻤْﻨُﻮﻥَ স্ত্রীলোকের জরায়ুতে পতিত বীর্য। আর মুজাহিদ (রহঃ) আল্লাহর বাণীঃ ﺇِﻧَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺟْﻌِﻪِ ﻟَﻘَﺎﺩِﺭٌ এর অর্থ বলেছেন, পুরুষের লিঙ্গ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ সক্ষম। আল্লাহ সকল বস্তুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আকাশেরেও জোড়া আছে, কিন্তু আল্লাহ বেজোড়। ﻓِﻲ ﺃَﺣْﺴَﻦِ ﺗَﻘْﻮِﻳﻢٍ উত্তম আকৃতিতে। যারা ঈমান এনেছে তারা ব্যতীত সকলেই হীনতাপ্রাপ্তদের হীনতমে। ﺧُﺴْﺮٍ পথভ্রষ্ট। এরপর আল্লাহ ﺍﺳﺘﺜﻨﺎﺀ করে আল্লাহ বলেন, কিন্তু যারা ঈমান এনেছে তারা ব্যতীত। ﻻَﺯِﺏٍ অর্থ আঠালো। ﻧُﻨْﺸِﺌَﻜُﻢْ অর্থ যে কোন আকৃতিতে আমি ইচ্ছা করি তোমাদেরকে সৃষ্টি করব। ﻧُﺴَﺒِّﺢُ ﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ অর্থ আমরা প্রশংসার সাথে আপনার মহিমা বর্ণনা করব। আর আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, অতঃপর আদম (আঃ) যা শিক্ষা করলেন তা হল তার উক্তি “হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নফসের উপর যুলম করেছি।“ তিনি আরো বলেন, ﻓَﺄَﺯَﻟَّﻬُﻤَﺎ শয়তান তাঁদের পদস্খলিত করল। ﻳَﺘَﺴَﻨَّﻪْ পরিবর্তিত হবে। ﺁﺳِﻦٌ পরিবর্তিত। ﺍﻟْﻤَﺴْﻨُﻮﻥُ পরিবর্তিত। ﺣَﻤَﺈٍ শব্দটি ﺣَﻤْﺄَﺓٍ শব্দের বহুবচন। যার অর্থ গলিত কাদা মাটি। ﻳَﺨْﺼِﻔَﺎﻥِ তারা উভয়ে (আদম ও হাওয়া) জান্নাতের পাতাগুলো জোড়া জোড়া দিতে লাগলেন। (জোড়া দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান ঢাকতে শুরু করলেন) ﺳَﻮْﺁﺗُﻬُﻤَﺎ দ্বারা তাঁদের উভয়ের লজ্জাস্থানের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আর ﻣَﺘَﺎﻉٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻴﻦٍ এর অর্থ এখানে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত। আর আরববাসীগণ ﺍﻟْﺤِﻴﻦُ শব্দ দ্বারা কিছু সময় থেকে অগনিত সময়কে বুঝিয়ে থাকেন। ﻗَﺒِﻴﻠُﻪُ এর অর্থ তার ঐ দল যাদের মধ্যে সেও শামিল।
 ৩০৯৪। ইবনু সালাম (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালামের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি তাঁর কাছে আসলেন। এরপর তিনি বলেছেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই যার উত্তর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া আর কেও অবগত নয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি? আর সর্বপ্রথম খাবার কি, যা জান্নাতবাসী খাবে? আর কি কারণে সন্তান তার পিতার সা’দৃশ্য লাভ করে? আর কিসের কারণে (কোন কোন সময়) তার মামাদের সাদৃশ্য হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এইমাত্র জিব্রাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। রাবি বলেন, তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, সে তো ফিরিশতাগণের মধ্যে ইয়াহুদীদের শত্রু।
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হল আগুন যা মানুষকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিয়ে একত্রিত করবে। আর প্রথম খাবার যা জান্নাতবাসীরা খাবেন তা হল মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ। আর সন্তান সদৃশ হওয়ার রহস্য এই যে পুরুষ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্খলিত হয় তখন সন্তান তার সাদৃশ্যতা লাভ করে। তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি-নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসুল।
 এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদিরা অপবাদ ও কুৎসা রটনাকারী সম্প্রদায়। আপনি তাদেরকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে তারা যদি আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয় জেনে ফেলে, তাহলে তারা আপনার কাছে আমার কুৎসা রটনা করবে। তারপর ইয়াহুদিরা এলো এবং আবদুল্লাহ (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনুু্ সালাম কেমন লোক? তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যাক্তি এবং সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যাক্তির পুত্র। তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যাক্তি এবং সর্বোত্তম ব্যাক্তির পুত্র।
 তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি আবদুল্লাহ ইসলাম গ্রহন করে, এতে তোমাদের অভিমত কি হবে? তারা বলল, এর থেকে আল্লাহ তার তাঁকে রক্ষা করুক। এমন সময় আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের সামনে বের হয়ে আসলেন এবং বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। তখন তারা বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাক্তি এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাক্তির সন্তান এবং তারা তাঁর গীবত ও কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয়ে গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মেঘের ডাক মানে ফেরেশতার চিল্লানি।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন ( ﻛﺘﺎﺏ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ )
হাদিস নম্বরঃ ৩১১৭
 ১৪. সূরা আর-রা’দ
৩১১৭। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আবূল কাসিম! আমাদেরকে রা’দ (মেঘের গর্জন) প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি? তিনি বললেনঃ মেঘমালাকে হাকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তা’আলা চান। তারা বলল, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাকডাক। এভাবে হাকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে নিয়ে যায়। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন। তারা আবার বলল, আপনি আমাদের বলুন, ইসরাঈল ইয়াকুব (আঃ) কোন জিনিস নিজের জন্য হারাম করেছিলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিনি ইরকুন নিসা (স্যায়াটিকা) রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু উটের গোশত ও এর দুধ ছাড়া তার উপযোগী খাদ্য ছিল না। তাই তিনি তা হারাম করে নিয়েছিলেন। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন।
 সহীহঃ সহীহাহ (১৮৭২)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ নবীদের শরীর মাটিতে পচবে না
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
 হাদিস নম্বরঃ [1636] অধ্যায়ঃ ৬/ জানাযা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৬/৬৫. নাবী ﷺ -এর ইনতিকাল ও তাঁর কাফন-দাফন।
১০/১৬৩৬। আওস ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমু‘আহর দিন সর্বোত্তম। এদিনই আদম (আঃ)–কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এদিনই শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এদিনই ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে। অতএব তোমরা এদিন আমার প্রতি অধিক সংখ্যায় দুরূদ ও সালাম পেশ করো। কেননা তোমাদের দুরূদ আমার সামনে পেশ করা হয়। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের দুরূদ আপনার নিকট কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনি তো মাটির সাথে মিশে যাবেন? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামগণের দেহ ভক্ষণ যমীনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।
 নাসায়ী ১৩৭৪, আবূ দাউদ ১০৪৭, ১৫৩১, আহমাদ ১৫৭২৯, দারেমী ১৫৭২ তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1531] অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩৬৭. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে।
১৫৩১. আল্-হাসান ইব্ন আলী (রহঃ) ………. আওস ইব্ন আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট দিন হলো জুমআর দিন। তোমরা ঐ দিনে আমার উপর অধিক দরূদ পাঠ করবে। কেওননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়ে থাকে। রাবী বলেন, সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার দেহ মোবারক চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে, তখন কিরূপে তা আপনার সামনে পেশ করা হবে? জবাবে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যমীনের জন্য নবীদের শরীরকে হারাম করে দিয়েছেন – – (নাসাঈ, ইব্ন মাজা)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1377] অধ্যায়ঃ ১৪/ জুমু’আ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৫/ জুমু’আর দিন নবী ( ﷺ ) এর উপর অধিক দুরুদ পড়া
১৩৭৭। ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) … আওস ইবনু আওস (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের সকল দিনের মধ্যে পরমোৎকৃষ্ট দিন হল জুমু’আর দিন, সে দিন আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, সে দিনই তাঁর ওফাত হয়, সে দিনই দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং সে দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। অতএব, তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পড়। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে। যেহেতু আপনি (এক সময়) ওফাত পেয়ে যাবেন অর্থাৎ তারা বললেন, আপনার দেহ মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা যমীনের জন্য নাবীগণের দেহ গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন।
[সহীহ। ইবন মাজাহ হাঃ ১০৮৫] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ মেরুদণ্ডের হাড্ডি মাটি দ্বারা ক্ষয় হয় না।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামাতের লক্ষনসমূহ ( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻔﺘﻦ ﻭﺃﺷﺮﺍﻁ ﺍﻟﺴﺎﻋﺔ )
হাদিস নম্বরঃ ৭৩০৬
 ২৮. উভয় ফুঁৎকারের মধ্যে ব্যবধান
৭৩০৬-(১৪৩/…) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ….. আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে একটি হাদীস হচ্ছে এই যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের শরীরে এমন একটি হাড় আছে, যা জমিন কখনো ভক্ষণ করবে না। কিয়ামাতের দিন এর দ্বারাই পুনরায় মানুষ সৃষ্টি করা হবে। সহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এ আবার কোন হাড্ডি? তিনি বললেন, এ হলো, মেরুদণ্ডের হাড্ডি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৪৮, ইসলামিক সেন্টার ৭২০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■ রিজিক, আমল, আয়ু, তাকদীর পূর্ব থেকে নির্ধারিত
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [7454] অধ্যায়ঃ ৯৭/ তাওহীদ
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৯৭/২৮. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই স্থির হয়ে গেছে। (সূরাহ আস্ সাফফাত ৩৭/১৭১)
৭৪৫৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি ‘সত্যবাদী’ এবং ‘সত্যবাদী বলে স্বীকৃত’ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি হলো এমন বীর্য থেকে যাকে মায়ের পেটে চল্লিশ দিন কিংবা চল্লিশ রাত একত্রিত রাখা হয়। তারপর তেমনি সময়ে আলাক হয়, তারপর তেমনি সময়ে গোশতপিন্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ্ তার কাছে ফেরেশতা প্রেরণ করেন। এই ফেরেশতাকে চারটি বিষয় সম্পর্কে লেখার করার জন্য হুকুম দেয়া হয়। যার ফলে ফেরেশেতা তার রিযক, ‘আমাল, আয়ু এবং দুর্ভাগা কিংবা ভাগ্যবান হওয়া সম্পর্কে লিখে দেয়। তারপর তার মধ্যে প্রাণ ফুঁকে দেয়া হয়। এজন্যই তোমাদের কেউ জান্নাতীদের ‘আমাল করে এতটুকু এগিয়ে যায় যে, তার ও জান্নাতের মাঝে কেবল এক গজের দূরত্ব থাকতেই তার ওপর লিখিত তাক্দীর প্রবল হয়ে যায়। তখন সে জাহান্নামীদের ‘আমাল করে। শেষে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবার তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের মত ‘আমাল করে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক গজের দূরত্ব থাকতে তার উপর তাকদীরের লেখা প্রবল হয়, ফলে সে জান্নাতীদের মত ‘আমাল করে, শেষে জান্নাতেই প্রবেশ করে। [৩২০৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6946] অধ্যায়ঃ ৮৬/ জাহ্মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ
 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
 পরিচ্ছদঃ ৩১৩০. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে। (৩৭ঃ ১৭১)
৬৯৪৬। আদম (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি সত্যবাদী এবং সত্যবাদী বলে স্বীকৃত আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি হল এরূপ বীর্য থেকে যাকে মায়ের পেটে চল্লিশ দিন কিংবা চল্লিশ রাত একত্রিত রাখা হয়। তারপর অনুরূপ সময়ে আলাক হয়, তারপর অনুরূপ সময়ে গোশতপিন্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার কাছে ফেরেশতা প্রেরণ করেন। এই ফেরেশতাকে চারটি জিনিস সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করার জন্য হুকুম দেয়া হয়। যার ফলে ফেরেশতা তার রিযিক, আমল, আয়ু এবং সৌভাগ্য কিংবা হতভাগ্য হওয়া সম্পর্কে লিখে দেয়। তারপর তার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করা হয়। এজন্যই তোদের কেউ জান্নাতীদের আমল করে এতটুকু অগ্রগামী হয়ে যায় যে, তার ও জান্নাতের মাঝখানে মাত্র এক গজেঁর দূরত্ব থাকতেই তার ওপর লিখিত তাকদীর প্রবল হয়ে যায়। তখন সে দোযখীদের আমল করে। পরিশেষে সে দোযখেই প্রবেশ করে। আবার তোমাদের কেউ দোযখীদের ন্যয় আমল করে। এমন পর্যায়ে পৌছে যে, তার ও দোযখের মধ্যে মাত্র এক গজের দূরত্ব থাকতে তার উপর তাকদীরের লেখনী প্রবল হয়, যদ্দরুন সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল করে, ফলে জান্নাতেই প্রবেশ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3208] অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা
 পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 পরিচ্ছদঃ ৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।
৩২০৮. যায়দ ইবনু ওয়াহব (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সত্যবাদী হিসেবে গৃহীত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান নিজ নিজ মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্যরূপে অবস্থান করে, অতঃপর তা জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়। ঐভাবে চল্লিশ দিন অবস্থান করে। অতঃপর তা গোশতপিন্ডে পরিণত হয়ে (আগের মত চল্লিশ দিন) থাকে। অতঃপর আল্লাহ একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। আর তাঁকে চারটি বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। তাঁকে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়, তার ‘আমল, তার রিয্ক, তার আয়ু এবং সে কি পাপী হবে না নেককার হবে। অতঃপর তার মধ্যে আত্মা ফুঁকে দেয়া হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তি ‘আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত পার্থক্য থাকে। এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। তখন সে জাহান্নামবাসীর মত আমল করে। আর একজন ‘আমাল করতে করতে এমন স্তরে পৌঁছে যে, তার এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত তফাৎ থাকে, এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। ফলে সে জান্নাতবাসীর মত ‘আমল করে। (৩৩৩২, ৬৫৯৪, ৭৪৫৪) (মুসলিম ৪৭/১ হাঃ ৩৬৪৩, আহমাদ ৩৬২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ আন্-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস
 হাদিস নম্বরঃ [4] অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
 পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস
 পরিচ্ছদঃ কোন পরিচ্ছদ নেই
৪। আবূ আব্দির রহমান আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম— যিনি সত্যবাদী ও যার কথাকে সত্য বলে মেনে নেয়া হয়— তিনি আমাদেরকে বলেছেন:
তোমাদের সকলের সৃষ্টি নিজের মায়ের পেটে চল্লিশ দিন যাবৎ শুক্ররূপে জমা হওয়ার মাধ্যমে শুরু হতে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন জমাট বাঁধা রক্তরূপে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন গোশতপিণ্ড রূপে থাকে, তারপর তার কাছে ফিরিশ্তা পাঠানো হয়। অতঃপর সে তার মধ্যে রূহ প্রবেশ করায় এবং তাকে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য হুকুম দেয়া হয়- তার রুজি, বয়স, কাজ এবং সে কি সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান।
 অতএব, আল্লাহর কসম-যিনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই-তোমাদের মধ্যে একজন জান্নাতবাসীর মত কাজ করে[1]- এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জাহান্নামবাসীর মত কাজ শুরু করে এবং তার ফলে তাতে প্রবেশ করে।
 এবং তোমাদের মধ্যে অপর এক ব্যক্তি জাহান্নামীদের মত কাজ শুরু করে দেয়- এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জান্নাতবাসীদের মত কাজ শুরু করে আর সে তাতে প্রবেশ করে।
[বুখারী: ৩২০৮, মুসলিম: ২৬৪৩] [1] অর্থাৎ বাহ্যিক দৃষ্টিতে তার কাজটি সবার নিকট জান্নাতবাসীদের কাজ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে সে জান্নাতের কাজ করেনি। কারণ, তার ঈমান ও ইখলাসের মধ্যে কোথাও কোন ঘাটতি ছিল। [সম্পাদক] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [82] অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
 পরিচ্ছদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
৮২-[৪] ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেরই জন্ম হয় এভাবে যে, তার মায়ের পেটে (প্রথমে তার মূল উপাদান) শুক্ররূপে চল্লিশ দিন পর্যন্ত থাকে। অতঃপর তা চল্লিশ দিন পর্যন্ত লাল জমাট রক্তপিন্ডরূপ ধারণ করে। তারপর পরবর্তী চল্লিশ দিনে মাংসপিন্ডর রূপ ধারণ করে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা একজন মালাককে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য পাঠন। সে মালাক লিখেন তার- (১) ‘আমাল [সে কি কি ‘আমাল করবে], (২) তার মৃত্যু, (৩) তার রিয্ক্ব (রিজিক/রিযিক) ও (৪) তার নেককার বা দুর্ভাগা হওয়ার বিষয় আল্লাহর হুকুমে তার তাক্বদীরে লিখে দেন, তারপর তন্মধ্যে রূহ্ প্রবেশ করান। অতঃপর সে সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত প্রকৃত আর কোন ইলাহ নেই! তোমাদের মধ্যে কেউ জান্নাতবাসীদের ‘আমাল করতে থাকে, এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত দূরত্ব থাকে, এমন সময় তার প্রতি তাক্বদীরের লিখা তার সামনে আসে। আর তখন সে জাহান্নামীদের কাজ করতে থাকে এবং জাহান্নামে প্রবেশ করে। তোমাদের কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের মতো ‘আমাল করতে শুরু করে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে এক হাত দূরত্ব অবশিষ্ট থাকে। এমন সময় তার প্রতি সে লেখা (তাক্বদীর) সামনে আসে, তখন সে জান্নাতীদের কাজ করতে শুরু করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। (বুখারী, মুসলিম)[1] [1] সহীহ : বুখারী ৩২০৮, মুসলিম ২৬৪৩, আবূ দাঊদ ৪৭০৮, ইবনু মাজাহ ৭৬, তিরমিযী ২১৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১৭৪, আহমাদ ৩৯৩৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ