এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ধর্মীয় যুক্তির দোষ গুলি





সভ্যতার প্রায় আদিকাল থেকেই একের পর এক ধর্মের উৎপত্তি হয়ে চলেছে। মজার ব্যাপার, এই ধর্ম গুলির আচার আচরণের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এদের যুক্তিগুলি সেই শুরু থেকে একই রকম রয়ে গেছে, তা সে ধর্মীয় তাত্ত্বিক আলোচনার ক্ষেত্রেই হোক বা কোনো সামাজিক সংস্কারের ইস্যুতে। যে ধরনের যুক্তি কোন হিন্দু ধর্মীয় বই তে পাওয়া যায়, একই ধরনের যুক্তি পাওয়া যায় ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতে। যুক্তিগুলি যতই ভ্রান্ত হোক না কেন, সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা এবং চাতুর্যপূর্ণ পরিবেশনের কারণে সেই আদি কাল থেকেই বেশিরভাগ মানুষকে অল্প বিস্তর প্রভাবিত করে।

ফেসবুকে যখন থেকে নিয়মিত হলাম তখন থেকেই মনে হয় ধর্মীয় যুক্তি গুলির দোষ গুলি নিয়ে একটু লেখা দরকার জানানো দরকার ধর্মীয় যুক্তি গুলির ভুল কিভাবে ধরা যায়। আর যেহেতু আমি যুক্তিবিদ্যার স্টুডেন্ট তাই এই কাজের দায় আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। এবং সেই প্রচেষ্টা তেই আমার এই লেখা।

যুক্তিবিদ্যায় সমস্ত যুক্তিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ছাঁচে ঢালা (ফর্মাল) যুক্তি ও বেছাঁচে (ইনফরমাল) যুক্তি। ছাঁচে ঢালা যুক্তি হল গণিতের মতো ব্যাপার। বেশি তত্ত্ব কথা না বুঝেও কষে ফেলা যায় । ছাঁচে ঢালা যুক্তির বৈধতা বা অবৈধতাও নির্ণয় করা যায় কয়েকটি সূত্র প্রয়োগ করে, ঠিক গণিতের মতোই । কিন্তু বেছাঁচে যুক্তি (ইনফরমাল) এরকম ছাঁচে ঢালা নয় । সাধারণ মানুষের কথায় প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হওয়া এই ধরনের যুক্তি কে গণিতের মতো একে ছাঁচে ঢালা যায় না। সহজে সূত্র প্রয়োগে উত্তর বেরোয় না। যুক্তির বৈধতা বা অবৈধতাও বুঝে ওঠা এক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে, কেননা, সাধারণ মানুষের অনেকে তার বিন্দু- বিসর্গ ও জানে না। আর যারা যুক্তিবিদ্যার স্টুডেন্ট তারা এই ধরনের যুক্তি নিয়ে আলোচনা প্রায় করেই না। তাদের আলোচনা মূলত কেন্দ্রীভূত আধুনিক গাণিতিক যুক্তি, সাঙ্কেতিক যুক্তি ইত্যাদি ফর্মাল বা ছাঁচে ঢালা যুক্তি নিয়ে। তাই ধর্মীয় বক্তা কিম্বা ধার্মিক রা যখন কুশলী শব্দ প্রয়োগ করে যুক্তি বা বক্তৃতা দেন, তখন সাধারণেরা তো বটেই, অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও অসহায় হয়ে পড়ি। বাধ্য হই তাদের বক্তব্য মেনে নিতে। তাই প্রত্যেক কে এই ধরনের যুক্তির দোষ গুলির সাথে একে একে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই-----

দোষ ১) প্রমাণাভাবের সুযোগ নেওয়াঃ অনেক সময় দেখা যায় যে ধর্মীয় বক্তা রা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে এই ধরনের যুক্তি দেন ---- “ ঈশ্বর সত্য, কেননা কেউ এখনো প্রমাণ করতে পারেনি যে ঈশ্বর মিথ্যা”। কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে না পারা কখনো ঈশ্বরের সত্য হওয়া কে প্রমাণ করতে পারে না। এই যুক্তির উত্তরে পাল্টা যুক্তি দিলে বিষয় টি বোঝা যায়,“ ঈশ্বর নেই, কেননা কেউ এখনো প্রমাণ করতে পারেনি যে ঈশ্বর সত্য ”। এই ধরনের যুক্তি গুলিতে যে দোষ ঘটে তা হল প্রমানভাবের সুযোগ নেওয়ার দোষ।

দোষ ২) বিতর্কিত বিশেষণ প্রয়োগের দোষঃ ধর্মীয় বক্তা দের বিতর্কিত বিশেষণ প্রয়োগ করতে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, “-----তসলিমার দ্বিখণ্ডিত নামক ওই পর্ণোগ্রাফিক ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ছড়ানো বইটির ছাড়পত্র যে কিভাবে সরকার দেয় !” এখানে আবেগ ভরা এবং বিতর্কিত “পর্ণোগ্রাফিক” ও “ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ছড়ানো”—এই দুটি শব্দ কিন্তু দ্বিখণ্ডিত বইটির বিশেষণ হিসাবে প্রমাণিত নয়। তাই এই শব্দ দুটি এই বইটির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আবেগ কে উস্কানি দিতে সক্ষম হলেও যুক্তির দিক থেকে এটি দোষ দুষ্ট। কেননা, প্রযুক্ত বিশেষণ বিতর্কিত ও অপ্রমাণিত।

দোষ ৩) নজির উল্লেখের দোষঃ সাধারণত ধর্মীয় বক্তৃতায় এই দোষের বাহুল্য লক্ষ্য করা যায়। এই দোষটি খুব ইন্টারেস্টিং। আমার একটি খুব পছন্দের বক্তা এটার অসাধারণ প্রয়োগ করেন। যুক্তি গুলি এরকম হয়---- “ নারীর অধিকার পুরুষের অর্ধেক। কেননা, কোরআনের সুরা নম্বর অমুক, আয়াত নম্বর অমুক এ এটা বলা আছে।” সমস্যা হল। এই উক্তি আদৌ সেই বই তে আছে কিনা তা শ্রোতার পক্ষে সঙ্গে সঙ্গে পরখ করে নেওয়া সম্ভব হয় না। আর সত্যিই যদি তা থেকেও থাকে, তাহলেও যুক্তি হিসাবে তা দোষ যুক্ত। কেননা, পূর্বে কোনও বইতে বা কারো বক্তব্যে এই কথার সমর্থন থাকাটা এই কথার সত্যতা প্রমাণ করে না। এই নজির উল্লেখের দোষ প্রকৃত পক্ষে এক ধরনের প্রতারণা। এবং ধর্মীয় বক্তা রা এটা অতি চাতুর্যের সঙ্গে খুব সফল ভাবেই প্রয়োগ করে থাকে।

দোষ ৪) জবরদস্তি মূলক যুক্তিঃ এটি এমন এক প্রকার দোষ যেখানে, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর মাধ্যমে কাজ হাসিলের অর্থাৎ নিজের বক্তব্য মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যেমন, “অবশ্যই ইসলাম আল্লাহ-র মনোনীত একমাত্র ধর্ম। এবং আমাদের সকলের উচিত তা গ্রহণ করা। কেননা আল্লাহ-র অগোচর কিছুই নেই। অবিশ্বাসী দের জন্য কঠিন আযাব অপেক্ষা করে আছে। এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশক্তিমান।” এখানে প্রথম দুটি বাক্যের সমর্থনে কোনও যুক্তি না দেখিয়ে কেবল ভয় দেখিয়ে মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে।

দোষ ৫) প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির অজুহাতঃ অনেক সময় ধার্মিক রা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির অজুহাত দিয়ে থাকেন। যেমন, “ঈশ্বর আছেন, কেননা আইনস্টাইন নিজে বলেছেন যে তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন।” কিম্বা “অমিতাভ বচ্চনের মতো ব্যক্তিও সম্প্রতি এক প্রখ্যাত জ্যোতিষীর কাছে হাত দেখিয়েছেন। অতএব জ্যোতিষ বিদ্যাকে কিভাবে অগ্রাহ্য করা যায়?” কিন্তু সমস্যা হল, সেই প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি কি আলোচ্য বিষয়ে বলার মতো স্পেশালিষ্ট? কিম্বা তিনি কি অন্যত্র এই বিষয়ে অকাট্য কোনও যুক্তি দিয়েছেন?--- তাহলে যুক্তি ছাড়া কেন আমরা তাদের নির্ভরযোগ্য বলে মেনে নেবো? এই ধরনের যুক্তি গুলি কোনও যুক্তি ই নয়। বরং নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তির বদলে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সমর্থন দ্বারা বক্তব্যের ভার বাড়ানোর অপচেষ্টা।

দোষ ৬) সাধ্যস্বীকার দোষঃ সাধ্য বলতে বোঝায় ‘প্রমাণের বিষয়’ অর্থাৎ যাকে প্রমাণ করতে হবে(এখনো প্রমাণিত হয় নি)। কোনও বিষয় কে প্রমাণ করতে গিয়ে যদি দেখা যায় যে, প্রমাণের বিষয় কে আগে থেকেই ধরে নিয়েই তা প্রমাণের চেষ্টা চলছে , তাহলে একে বলা হবে সাধ্য স্বীকার দোষ। যেমন এই কথোপকথনটি ---
কঃ- আল্লাহ আছেন ।
খঃ- কি করে জানলে ?
কঃ- কেননা কোরআনে আছে। এবং কোরআন অভ্রান্ত।
খঃ- কেন? কে বলল কোরআন অভ্রান্ত?
কঃ- কোরআন অভ্রান্ত কেননা কোরআন আল্লাহ-র ই বানী।
এই যুক্তি টির সরলীকরণ করলে দাঁড়ায় --- ‘আল্লাহ-র বাণী অনুযায়ী আল্লাহ আছেন। অতএব আল্লাহ আছেন।’ অর্থাৎ প্রমাণের বিষয় (আল্লাহ আছেন) টি প্রমাণের আগেই বক্তা ‘ক’ স্বীকার করে নিয়ে(আল্লাহ-র বাণী)-ই তা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। সুতরাং এখানে ক এর যুক্তি দোষ দুষ্ট এবং দোষ টির নাম হল সাধ্যস্বীকার দোষ ।

দোষ ৭) শাস্ত্রের দোহাইঃ ধর্মীয় বক্তা দের বক্তব্যের বহুক্ষেত্রে দেখা যায় কোন একটি শাস্ত্র বাক্য উল্লেখ করে বলতে – “যেহেতু শাস্ত্র বাক্যে এই কথা বলা হয়েছে, তাই তা সত্য।” কিন্তু এই যুক্তি ভ্রান্ত। কেননা শাস্ত্রের বহু বাক্য আজ ভুল বলে প্রমাণিত। তাই শাস্ত্রবাক্য মানেই তা অভ্রান্ত—একথা মানা যায় না । তাছাড়া শাস্ত্র বাক্য গুলির অর্থ অনেক সময় এতটাই অস্পষ্ট হয় যে, দশ জন ব্যাখ্যাকারী তাকে দশ ভাবে ব্যাখ্যা করেন। তাই শাস্ত্রে থাকাই কোন বাক্যের সত্যতা কে প্রমাণ করতে পারে না। এই প্রকার দোষ কে বলা হয় , শাস্ত্রের দোহাই দেওয়ার দোষ।

দোষ ৮) মধ্যপন্থার অজুহাতঃ আমরা দেখি, অনেক সময় একটি বিশেষ প্রশ্নে দুইটি চরম বিরোধী সমাধানের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করি। এবং এটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এই দুটির মধ্যে কোন এক পক্ষের সমাধান অধিক সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও যদি মধ্যপন্থার কথা বলা হয়, তাহলে তা সাধারণত মানুষ কে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হলেও তা আসলে মধ্যপন্থা নয় বরং মধ্যপন্থার অজুহাত । যেমন। “--- আপনারা জানেন যে , ইসলাম ছাড়া কোন ধর্মই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তে নারীর অংশিদারীত্ব স্বীকার করে না , যা নারীর প্রতি অবিচার। আবার সেক্যুলার সরকার নারীর সমানাধিকারের কথা বলে। কিন্তু একথা তো জলের মতো পরিষ্কার যে আল্লাহ তালাহ পুরুষ কে নারীর তুলনায় অধিক মর্যাদা দিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অধিক সক্ষম করে সৃষ্টি করেছেন। তাই আল্লাহ-র মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলামেনারীর অধিকার স্বীকৃত এবং সঙ্গত ভাবেই টা পুরুষের অর্ধেক। সমানও নয় , শূন্যও নয়। এই মধ্যপন্থা ইসলামের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে, তাই ইসলাম ধর্মই সর্বশ্রেষ্ঠ।” --- এটি নির্ভুল যুক্তি মনে হলেও, আসলে মধ্যপন্থার অজুহাতে নারীর সমানাধিকারের দাবী কে গলা টিপে মারার চেষ্টা।

দোষ ৯) ব্যক্তিগত আচরণ দূষণের দোষঃ একটি জলসা তে বলতে শুনেছিলাম, “-----এখন আবার একদল লোক বলতে শুরু করেছে তারা নাকি ধর্ম মানে না। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ধর্ম নাকি গুরুত্ব হীন হয়ে পড়েছে। এবং দুর্ভাগ্যবশত এদের অনেকেরই মুসলিম পরিবারে জন্ম ।(এরপর ভদ্রলোকের গলা সপ্তমে চড়ে গেল) প্রশ্ন করুন সেইসব নাস্তিকদের! তাদের নাম কি ইসলামি নয়? তাদের পিতামাতার বিয়ে কি ইসলামি রীতি তে হয়নি? তাদের মৃত্যুর পর কি ইসলামি রীতি তে জানাযা পড়া হবে না ?-----” ইত্যাদি ইত্যাদি। বক্তার বাক্য গুলি ওই নাস্তিক ব্যক্তিদের কথা ও কাজের অসঙ্গতি দেখালেও অর্থাৎ তাদের ব্যক্তিগত আচরণের দোষ দেখাতে সক্ষম হলেও তাদের বক্তব্য কে (বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ধর্ম নাকি গুরুত্ব হীন হয়ে পড়েছে) মিথ্যা প্রমাণ করার যুক্তি হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই দোষ টিকে বলা হয় ব্যক্তিগত আচরণ দূষণের দোষ।

দোষ ১০) ব্যক্তিগত আক্রমণের দোষঃ ধর্মীয় যুক্তির দোষ গুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ব্যক্তিগত আক্রমণ। কোন ধর্মীয় জলসায় তসলিমা নাসরিন বা হুমায়ুন আজাদ এর মতো স্বাধীনচেতা দের প্রসঙ্গ উঠলেই এর মাত্রাধিক প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন, একটি জলসায় তসলিমার প্রসঙ্গে বক্তা বলে উঠলেন, “.. ওই নচ্ছার, বেশ্যা মেয়েছেলে, যে সমস্ত নারী জাতির কলঙ্ক ,সে আবার নারীর অধিকার শেখাচ্ছে! আজ এই জলসায় সমস্ত বিশ্বাসী নারী দের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কাকে আদর্শ করবেন? হজরত আয়েশা, হজরত ফাতেমা, না বেশ্যা তসলিমা?” --- এই বক্তব্য তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষ দের তসলিমার প্রতি ঘৃণা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হলেও, নারীর অধিকার সম্পর্কে তার বক্তব্য কে মিথ্যা প্রমাণ করার পক্ষে একেবারেই অকেজো। এই ভাবে যুক্তির পরিবর্তে প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হলে এই দোষকে ব্যক্তিগত আক্রমণের দোষ বলে।

পরিশেষে, একটি কথা বলা দরকার। আর তা হল, যেহেতু এই ধরনের কথ্য ভাষায় প্রযুক্ত যুক্তিগুলির বিশেষ কোন ছাঁচ নেই। তাই একাধিক যুক্তি অনেক সময় মিশ্রিত করে আরও জটিল ভাবে উপস্থাপন করা হয়। আবার কখনো একটি যুক্তি তে একাধিক দোষ ও দেখা দিতে পারে। শ্রোতা কে সেই দিক গুলি খেয়াল রাখতে হবে।
-------
(এই বিষয়ে যুক্তিবিদ্যার অভিধান ও রমাপ্রসাদ দাসের বই থেকে পারিভাষিক শব্দ গুলি নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ইনফরমাল লজিকের ইংরেজি বই এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় কোন কাজ হয়েছে বলে আমার জানা নাই। তাই রেফারেন্স চাইবেন না প্লিজ। আর আপনাদের যদি কোন রেফারেন্স জানা থাকে দয়া করে জানান। আমি এই বিষয়ে আরও কাজ করতে চাই।)
লিখেছেনঃ শহীদুজ্জামান সরকার। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ