সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অনুভুতির ভক্ষক

অনুভুতি মানে অনুভব করা। ইংরেজি ভাষার (feel) যে ক্রিয়াটির মাধ্যামে ভাষার অভিজ্ঞতা বা উপলদ্ধি মাধ্যামে শারীরিক সংবেদনক বর্ননা করার জন্য এই শব্দটি ব্যাবহার করা হয়। সংবেদনশীল বর্ননা যেমন উষ্ণতার অনুভুতি, ভালোবাসার অনুভুতি জন্য এই শব্দগুলা ব্যবহৃত হয়। মনোবিজ্ঞান বলে " সাধারন আবেগ বা সচতেনতার অভিজ্ঞার জন্য এই ভাষা বা এমন সংবেদনশীলতা ব্যবহৃত হয় তাছাড়া এটা ফেনোমেনোলজি এবং হিটারোফেনমোনোলজি দর্শনিক পন্থা যা জ্ঞান অনুধাবনের ভিত্তি সরবারহ করে।" তাছাড়া দ্বীধা দ্বারা পরিচালিত যে অনুভুতি তা সর্বদা সত্য বলে প্রমানিত হয় না। এগুলা মূলোতো চাপিয়ে দেওয়া হয় যা মানুষের ভিতরে স্বল্প বা দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে।

মানুষ হিসেবে একজনের অনুভুতি থাকেই পারে যেমন নুতন জায়গাবদল এর অনুভুতি নতুন জিনিস দেখার অনুভুতি, ভালোবাসি বলার অনুভুতি, দয়া প্রদর্শনের অনুভুতি প্রিয় কেউ ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুভুতি ইত্যাদি। এগুলা একজন স্বাভাবিক মানুষের থাকতেই পারে।

কিন্তু সম্প্রতি সময়ে দেখা যায় মসুলমানদের এক ধরনের অনুভুতির বর্হিরপ্রকাশ যেটাকে সুশীল সমাজ নাম দিয়েছে ধর্মীও অনুভুতি। বাঙালি মসুলমানদের অনুভুতি ঠিক কখন কোথাই কিভাবে আঁতকে উঠে তা বোঝা বড় মুসকিল। মোল্লাদের যে ধর্মীও অনুভুতি তা মূলোতো ধর্মীও অনুভুতি নয় সেটা রাজনৈতিক অনুভুতি। বিজ্ঞানের ভাষার অনুভুতি হয় সম্পূর্ণরূপে ব্যাক্তি কেন্দ্রকি যেটা আপন মানুষের কাছে ছাড়া প্রকাশ করা যায় না। এটা এমন একটা অনুভুতি হয় যেটা ধর্মের বা রাজনৈতিক দলের হতে পারেনা।

যখন কোন দল বা ধর্ম তার নিজের স্বার্থে এটাকে ব্যাবহার করে তখন রাজনীতিবিদগন এটার ফয়দা লোটে। কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ভায়রাস রোগ বা ক্ষতিকর কিছু যদি সমাজ রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তখন তা ধীরেধীরে মহামারি আকার ধারন করে। ফুলেফঁপে উঠে ধংস হয়ে যাওয়া নক্ষত্রের মতো গ্রাস করে সব। কেউ কারো অনুভুতিতে আঘাত দিতে পারেনা কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যায়না। অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার নামে যারা আইন প্রনয়ন করছে একদিন এই অনুভুতিবাদীদের শিকলে তারাই বাঁধা পড়বে।

ইতিহাস শাক্ষি কিভাবে গিলে খেতে হয় সেটা ইসলাম জানে মোল্লারা জানে। মাননীয় ক্ষমতার জন্য সংখাগরিষ্টদের সমর্থন পাবার জন্য আপনি যাদের সেল্টার দিচ্ছে তারাই অনুভুতির নামে আপনাকে একদিন গ্রাস করবে।

লিখেছেন : সজিব হোসেন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...