এই ব্লগটি সন্ধান করুন

কৃষ্ণ লীলা কাহিনি এবং হিন্দু ধর্মের কিছু কথা

রাধা কৃষ্ণের লীলা নিয়ে সবাই জানি তবে এর পৌরাণিক আক্ষাণ বেশ মজার। রাধা কৃষ্ণ নিয়ে পড়ছিলাম. ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি বিষয় গুলো
হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ভগবান
 ছবি: শ্রীকৃষ্ণ 


পদ্মপুরাণ এবং ভগবতের মতেঃ-  


গোলকধামে কৃষ্ণের বামপাশ হতে রাধার উৎপত্তি  হয়েছিল। জন্মের পর পরই ইনি কৃষ্ণের আরাধনা শুরু করেন। ইনি উৎপত্তিকালে ১৬ বৎসরের নব-যৌবনারূপে কৃষ্ণের সিংহাসনের বামপাশে অবস্থান নেন। এই সময় রাধার লোমকূপ হতে লক্ষকোটি গোপিকা ও কৃষ্ণের লোমকূপ থেকে লক্ষকোটি গোপের জন্ম হয়।


ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মতে:-





একবার বিষ্ণু রম্যবনে প্রবেশ করে রমণ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফলে কৃষ্ণের ডান অংশ থেকে কৃষ্ণমূর্তি ও বাম অংশ থেকে রাধা মূর্তি প্রকাশ পায়। রাধা কৃষ্ণকে কামাতুর দেখে তাঁর দিকে অগ্রসর হন। রা অর্থ লাভ এবং ধা অর্থ ধাবমান। ইনি অগ্রসর হয়ে কৃষ্ণকে লাভ করেছিলেন বলে- এঁর নাম হয়েছিল রাধা।

একবার কৃষ্ণ রাধার অজ্ঞাতে বিরজা নামক এক গোপীর সাথে মিলিত হন। দূতীদের মুখে রাধা এই সংবাদ পেয়ে অনুসন্ধানের জন্য অগ্রসর হলে- সুদামা কৃষ্ণকে উক্ত সংবাদ দেন। কৃষ্ণ এই সংবাদ পেয়ে বিরজাকে ত্যাগ করে অন্তর্হিত হন। বিরজা এই দুখে প্রাণত্যাগ করে নদীরূপে প্রবাহিত হন। রাধা পরে কৃষ্ণের দেখা পেয়ে তাঁকে তীব্রভাবে ভৎর্‍সনাকরলে- সুদামা তা সহ্য করতে না পেরে-রাধাকে তিরস্কার করেন। রাধা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুদামাকে অসুর হয়ে জন্মনোর অভিশাপ দেন। সুদামাও ক্ষুব্ধ হয়ে রাধাকে গোপী হয়ে পৃথিবীতে জন্মানোর অভিশাপ দিয়ে বলেন যে- সহস্র বছর কৃষ্ণবিরহ যন্ত্রণা ভোগ করার পর তিনি পৃথিবীতে কৃষ্ণের সাথে মিলিত হবেন।

রাধা'কে সকল গোপীদের মধ্য সর্বপ্রধানা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মূলতঃ বৃন্দাবন লীলা রাধাকে কেন্দ্র করে উঠা উপাখ্যান মাত্র। বৃন্দাবনে রাধা ছিলেন কৃষ্ণের চেয়ে বড়।প্রথমাবস্থায় কৃষ্ণ রাধাকে পাবার জন্য বিবিধ ছলের আশ্রয় নেন। পরে উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্ক উন্নয়নে যে সকল কাহিনী পাওয়া যায়- তা হলো-কৃষ্ণের সাথে রাধা সহ অন্যান্য গোপিনীদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গোপীরা কৃষ্ণকে স্বামী হিসাবে পাবার জন্য একমাসের কাত্যায়ন ব্রত করেন। এই এক মাস গোপীরা দলবদ্ধভাবে যমুনা নদীতে এসে এক সাথে স্নান করতো। এই সময় গোপীরা সকল বস্ত্র নদীর পারে রেখে উলঙ্গ অবস্থায় নদীতে স্নান করতে নামতো। কৃষ্ণ এই ব্রতের শেষ দিনে গোপীদের অনুসরণ করে নদীর পারে আসেন। গোপীরা বস্ত্র ত্যাগ করে নদীতে নামলে কৃষ্ণ পরিত্যাক্ত বস্ত্রগুলি অপহরণ করেন। এরপর কৃষ্ণের কাছে গোপীরা নিজেদের সমর্পণ করে বস্ত্র সংগ্রহ করলেন। এরপর গোপীরা গৃহত্যাগ করে কৃষ্ণের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কুঞ্জবনে আসে। এবং সেখানে গোপীরা ঈশ্বর জ্ঞানে তাঁর সাথে মিলিত হয়। কথিত আছে কৃষ্ণ নিজেকে গোপীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। ফলে প্রতি গোপীই একই সময়ে কৃষ্ণের সান্নিধ্য পান। কংসবধের জন্য কৃষ্ণ বৃন্দাবন পরিত্যাগ করেন।

কালা না দিল যে ধরা
 বুকের মাঝে আসি
 যৌবন রস শুকায় যায়

ফুলের গন্ধ বাসী

যমুনার কুলে কালা

দেখা দিয়ে গেল

আসি আসি বলে শুধু

আর না যে আসিল

মনে যদি এই থাকে তোর

কালা যক্ষ ধন

আশায় আশায় বসে থাকব

এই করেছি পন।।

শ্রীকৃষ্ণ  
মোটেও ভালো ও সভ্য ছিলেন না। রাধার দিক
দিয়ে বিবেচনা করতে গেলে শ্রীকৃষ্ণকে
একজন ধর্ষকই বলা যায়। যতটুকু জানি, রাধা যখন তাঁর
কাপড় চোপড় পাড়ে রেখে স্নান করতে
যেতেন, কৃষ্ণ তখন কাপড়গুলো সরিয়ে লুকিয়ে
রাখতেন। রাধা তখন দুহাতে তার স্তন ঢেকে নগ্ন
শরীরে এসে খুব করুনভাবে কৃষ্ণের কাছে
মিনতি করতেন, তার কাপড়গুলো দেয়ার জন্য। কৃষ্ণ
রাধার কাপড় দিতেন ঠিকই, তবে এমনি এমনি না। তিনি
লীলার (বোঝেন তো লীলা মানে কি?)
বিনিময়ে কাপড় চোপড় ফেরত দিতেন। কৃষ্ণ শুধু
রাধার কাপড় লুকিয়ে রেখে রাধাকে একভাবে
ধর্ষন করতেন না। আরো অন্যভাবেও করতেন।
রাধা দধির ভাণ্ড বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে
ভাণ্ড রেখে একটু কোথায় গেলে, সেই দধির
ভাণ্ড গাছের উপর লুকিয়ে রাখতেন কৃষ্ণজী।
এবার রাধা যায় কোথায়? রাধাকে বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে
কৃষ্ণকে কাম দিতে হতো! এখনকার সভ্য ও
মানবিক ছেলেরা কোনো মেয়ের দুর্বলতার
সুযোগ নিয়ে এমন নির্লজ্জ কাজ করবে বলে
আমার মনে হয়না।
দশরথের পুত্র অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র দেব
আমার দৃষ্টিতে মোটেও ভালো নয়। তার ভাই
লক্ষন ছিল ভেড়ার মতো। পুরো
আত্নসম্মানহীন। সারাদিন বৌদির (সীতার) পিছনে
ঘুরে বেড়াত। তিনি মেঘনাথকে মেরেছিল
চোরের মতো চুরি করে। যাকগে সেই কথা।
সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমি চিন্তার করি
অবতার ( অনেক হিন্দুদের মুখে রামকে অবতার
বলতে শুনেছি, কারো মুখে শুনেছি রাম স্বয়ন
ভগবান!) রামচন্দ্র দেবের কথা। তিনি কতোখানি নিচু
মনের ছিলেন। লংকার রাজা রাবনকে হত্যা করার পর
সীতাকে যখন তিনি উদ্ধার করেন, তারপর
সীতাকে তিনি সন্দেহ করেন! সীতার
সতীর্ত্ব ঠিক আছে তো? মানে রাক্ষুস রাবন
সীতার সাথে ফষ্টিনষ্টি কিছু করেনি তো? রামের
সন্দেহ দুর হয় না। তিনি রাজ সভায় সীতার
সতীর্ত্বের পরীক্ষা নেবেন। যেহেতু
সীতা কিছুদিন রাবনের কাছে বন্দী ছিলেন।
আচ্ছা এখানে কথা হল, হিন্দুরা রামকে ঠিক কোন
দিক থেকে ভগবান-অবতার-নারায়ন মানে? রাম যদি
ভগবানই হন, তাহলে তো তার অন্তর্যামী হবার
কথা। তার সবকিছু জানার কথা। তার তো জানার কথা
যে, সীতাকে রাবন আদৌ..... করেছে কিনা?
এখানে সবার সামনে সীতার সতীর্ত্ব
পরীক্ষারই বা দরকার কি ছিল? আজ থেকে হাজার
হাজার বছর আগে যখন একজন নারীকে সবার
সামনে সতীর্ত্বের পরীক্ষা (তাও আবার
একজন রাজার বউ) দিতে বলা হয়, তখন সেই
নারীর কাছে এরচেয়ে লজ্জাকর আর কিই বা
থাকতে পারে? সীতা আর লজ্জায় থাকতে না
পেরে তখন মাটি ফাঁক করে পাতালে ঢুকে
গেলেন! সবাই রাম রাম করতে লাগল, রাম মহান, রাম
ভালো, রাম আরো কতো কিছু। আমি সেই
দৃষ্টিকোন থেকেই বলছি, অযোধ্যার রাজা
রামচন্দ্রদেব মোটেও উদার ও মহান ছিলেন না।
তিনি খুব নিচু ও ইতর টাইপের ছিলেন। অথচ যে
সীতা সবকিছুকে পেছনে ফেলে
পতিদেবের হাত ধরে বনবাসে চলে এসেছে,
কিছুদিন রাবণের কাছে বন্দী থাকায় সেই সীতার
সতীর্ত্ব চলে গেল? আমি বলব রাম এটা সীতার
উপর রীতিমত অবিচার করেছে। বিশ্বাসঘাতকতা
করেছে।
গীতাকে হিন্দুরা তাঁদের মহান ধর্মগ্রন্থ বলেই
জানে। এই গীতা হল শ্রীকৃষ্ণের মুখ-নিসৃত
বাণী। যারা গীতাপাঠ শুনবে, তাদের জন্য নাকি
অনকে মঙ্গল হয়। গীতাপাঠ শুনলে পাপীও নাকি
পুণ্য হয়ে যায়। হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয়
অনুষ্টানে সংস্কৃত গীতা পাঠ হয়। একবার আমি
দেখেছিলাম বড় মামা যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন
উঠানে মৃত মামার বুকের উপর গীতা রেখে সবাই
গোল হয়ে বসে কান্নাকাটি করছিল। আমার মামাতো
বোন কেঁদে কেঁদে চোখের পানি মুছে
মুছে গীতা পড়ছে। মরার বুকের উপর গীতা
রাখলে আর পড়লে এতে নাকি মামা স্বর্গলাভ
করবে। সেদিন আমি শুধু চুপ করে শোকার্ত
নির্বোধদের কান্ড দেখেছিলাম। আমি বুঝিনা
গীতা কি করে মহান গ্রন্থ হয়? যে অর্জুন
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করে, একশত জেটুতো
ভাইদের হত্যা করে রাজ্য দখল করার জন্য রাজি
হচ্ছিল না, সেখানে শ্রীকৃষ্ণই তো নানা রকম
বয়ান দিয়ে অর্জুনকে যুদ্ধ করার জন্য রাজি
করিয়েছিলেন। আর সেই বয়ানই হল মহান
ধর্মগ্রন্থ গীতা! এখানে গীতা কোন দিক দিয়ে
মহান হয়? অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বলেছিলেন, আমি
এতোগুলো ভ্রাতাদের মেরে এই রাজ্য লাভ
করতে পারব না। ভ্রাতৃগনকে মেরে এই রাজ্য
আমার চাইনা। তখন কৃষ্ণ ডাইলগ মারলেন, এই যুদ্ধ
ধর্মযুদ্ধ, অধর্মকে বিনাশ করার জন্য তোমার এই
যুদ্ধ করতেই হবে। অধর্মকে বিনাশ করার জন্য
আমি এই পৃথিবীতে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।
ওদেরকে আমিই মেরে রেখেছি। তুমি নিমিত্ত
মাত্র। পৃথিবীতে এমন কোন সৃষ্টি নাই যা আমি
সৃষ্টি করিনি। ভাল কথা, কৃষ্ণ যদি সবকিছু সৃষ্টি করেই
থাকেন, তাহলে দুঃশাসন-দুর্যোধনের মতো
অসভ্যদের সৃষ্টি করলেন কেন? এই
দুর্যোধনের বিশ্বাসঘাতকতার কারনেই তো
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সৃষ্টি। দুঃশাসনের নোংরামির
(দ্রৌপদির বস্ত্র হরন) কারণেই তো দ্রৌপদি চুল (তিনি
পন করেছিলেন দুঃশাসনের বুকের রক্ত দিয়ে
যেদিন স্নান করবেন, সেদিন চুল বাঁধবেন) খোলা
রাখার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। পরে যুদ্ধে
অর্জুনের ভাই ভীম ঠিকই দুঃশাসনের বুক চিরে
দুভাগ করে হত্যা করে ছিলেন। আর দ্রোপদি
সেই রক্ত চুলে মেখেছিলেন। হিংস্রতা কত
প্রকার ও কি কি তা এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাওয়া
যায়। মহাভারতের অধিকাংশ কাহিনীজুড়ে রয়েছে
যুদ্ধ আর যুদ্ধ। তাদের মধ্যে কতটুকু মানবিক
অবক্ষয় হলে এমন হিংস্র যুদ্ধ করতে পারে?
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হল মানবিক অবক্ষয়ের চরম
নিদর্শন! রামায়ন, গীতা, মহাভারত, এসব যুদ্ধবাজ
গ্রন্থগুলো বর্তমান মানব সভ্যতাকে অগ্রগতি
করবে বলে মনে হয় না। এগুলো এখন
অনুপোযোগী গ্রন্থ।

লিখেছেনঃরামভক্ত নিমাই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

  1. লিখেছেন কে? রাম ভক্ত ভোদাই! ভোদাই রাম সিতাকে সন্দেহ করেন নি,প্রজারা এই প্রশ্ন তুলেছিল,প্রজাদের কাছে রাজার সম্মান ধরে রাখার জন্যই ওটা করা হয়েছিল। যেমন আপনার বোনকে কেউ অপহরন করলে সবাই ধরে নিবে যে আপনার বোনকে না চুদে ছাড়ে নাই,গ্রামের মানুষ ছিছি করে ,তেমনি ওখানকার পরিস্থিতিও তাই হয়েছিল

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. তার মানে কইতে চান ওই সব ছোট লোক ছোট মন মানসিকতার লোকজনের জন্য বা তাদের খুসি করার জন্য আপনি আপনার মা বোনকে লোকের সামনে লেংটা করে দেখাবেন।

      মুছুন
  2. শুওরের বাচ্চা তোদের মত বোকাচোদা শুওরের বাচ্চা কখনও বুঝবি না।

    উত্তরমুছুন
  3. আমার কাছে ওত সময় নেই নইলে ব্যাখ্যা করে বলতাম

    উত্তরমুছুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।