সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুসলমানামা


  1. আমি মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমার নামটাও মুসলিম। আমার বাবা মুসলিম এবং তার বাবাও মুসলিম কিন্তু তিনার স্ত্রী ছিলেন হিন্দু । মুসলিম হিসেবে আমার কাজ নামাজ কালাম করা এবং প্রাণ ভরে হিন্দুদদের ধংসের জন্য আল্লার কাছে দুয়া করা। এছাড়াও মুসলিম হিসেবে আমার অনেক কাজ বাকি আছে তার জন্য সহিহ নিয়ত লাগবে। কিন্তু আমি পড়ে গেছিলাম সাম্যবাদের দলে। যেখানে কিছুই নেই।  না আছে টাকা না আছে নারী বা আছে মদ না আছে দাসী না আছে মরার পরে হুর গেলমান। যতদিন আমি সাম্যবাদী ছিলাম ত্যাগ ছাড়া আমি কিছুই পাইনি। মানুষ না খেতে পেলে নিজের খাবার দিতাম হিন্দু মুসলিম কি সব তখন সমান ছিল কিন্তু ইসলাম জানার পর বুঝলাম এগুলা সব হারাম বিদাত। এগুলা করলে সে জাহান্নামী। যেখানে আগুনে জ্বলে পুড়ে মরতে হাবে। কিন্তু ইসলামে এর সমাধান আছে মরার পর সুখ আছে মদের নদী, দুধের নদী ৭২ খানা মোহমহিত কামুক হুর।




আমি নিয়মিত মসজিদে যায় নামাজ পড়ি তালিম নিই। আব্দুল ভাই আমাদের তালিম দেয়। শুনেছি আব্দুলা ভাই সিরিয়াই গিয়ে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। তবে তার আগে জানতে ও বুঝতে হবে। ১ মাসের ট্রেনিনের প্রথম ১০ দিন আমি সামনের কাতারে চলে এসেছি আমরা এই ১৫ জনের ভিতর ৫ জন পরের চালানে সিরিয়া যাবে। আমি হাদিন কুরআন খুব ভালো ভাবে অওত্ত করে নিয়েছি। জিহাদী আয়াত না পড়লে মনে হয় আমার শরীল মনের গেছে জিহাদী আয়াত ইয়াদ না করা ছাড়া মনে জোস আসেনা। এজন্যই আমি সামনের কাতারে।

ট্রেনিং শেষের দিকে আমি কাঁটাতারের বেড়া কাঁটা আর জৌর্দ বোম বানানোই হাত পাকা করে ফেলেছি। সামনের মাসেই আমাদের ডেট ট্রেনিং নিয়ে এসে এই বাংলাই আমি আমার সাহাবি যোদ্ধারা প্রতিষ্টা করবো ইসলামী খেলাফাত। চালু করবো শরিয়া আইন। দেশ চলবে মরুর মতো করে। দেশে প্রতিষ্ঠা হবে শান্তি।

কষ্টের জিহাদী শিক্ষা শেষ দেশে এসে আমার সবাই নিজেদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। ছোটখাটো একটা দুইটা কাজও করে ফেলেছি। বলতে পারেন এসবের তো শুরু।



বড় লিডার অনেক দিন ফোন করেনি। লোকটা ভালো লোকটারে কিছু একটা দেখাতে পারলে আমি টপে। তবে লোকটাকে আমার ফোন দেওয়া উচিত।

: আসলামালাইকুম নেতা
: কে?
: আবু মুহাম্মদ
: কেমন আছো আবু মুহাম্মদ
: চি আল্লার রহমতে ভালো। আপনি?
: দেশে অশান্তি আমরা ভালো থাকি কি করে বলোতো।
: জি হুজুর।
: তোমারে একটা কাজ দিবো পারবা। আমাদের আলী, ওল্লিওল্লাহ্, মুজাহিদ এসব এতো দক্ষ খেলোয়ার হয়েও পারলো না। তুমি চেষ্ট করে দেখেতে পারো  বোঝোই তো সবিই হবে দলের।
: আমি করবো নেতা।
: ওকে। তুমি আমার সাথে ২৪ তারিখে দেখা করবে খরজ পাতির নিয়ে যাবে।
: জি সালামাইকুম।

নেতার বাড়ি টাকা আনতে আমার একাই যেতে হবে। আবু সালে লোক দেখতে ভালো হলেও চোর স্বাভাবের।মাগরিবের নামাজ পগে আমি নেতার বাড়ির সামনে। নেতার এক পিয়ন এসে আমাকে নেতার বাড়ির ভিতর নিয়ে গেলো। আলিশান বাড়ি নরম সোফা পায়ের নিচে পর্যন্ত নরম বাইরে গরম থাকলেও শরিলে নরম শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আমার বাপের কম আয় বলে আমাদের বাড়ি টিনের। আমি যখন হয়েলাম তখন আমার বাপ গানবাজনা করতো আমারর গাঁয়ে কসম কাটিয়ে গান বাজনা বন্ধ করে তারে নামাজ কালামে পাঠাই। আমারে তখন মাদ্রসাই দেবে বলে নিয়ত করে। আমিই ভাবি যখন আমি স্কুলে পড়তাম তখন নজরুল নিয়ে পড়ে থাকতাম। মানুষ নিয়ে। নেতার জন্য অপেক্ষা করতে করতে একটা মেয়ে এসে কিছু খাবার দিয়ে গেলো। এটা মনে হয় নেতার মেয়ে দেখতে পরির মতো। একটা মেয়ে এতো সুন্দর হয় কেন?  তাহলে হুরেরাও তো তারও সুন্দর। হুজুরের এই মেয়ে যে ছেলে বিয়া করবে তার জিবন হবে সুখের সে পৃথীবিতে থাকেই পেয়ে যাবে হুজুর। আবশেষে নেতা আসলো ছবিতে যারে দেখেছি ইনি সে তো লাল দাড়ি মাথাই গোল টুপি গাঁয়ে কালো গাউন উচু লম্বা, কথা সেই ওয়াজের সুরের মতো। আহা কতই না মধু । ৩০ হাজার টাকা দিয়ে নেতা আমাদের সব বুঝিয়ে দিলো। কিভাবে কোথায় কখন কোন সময়ে হামলা করতে হবে কটা বোম ফুটাকে হবে সব।



আমিনুল, জাহিদ,আবু সালে আর আমি টার্গেট চড়ুই তলা কাঁলি মন্দিরে দিকে। হাতে দুজনের দুইটা শর্ট গান আমিনুল আবু সালে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো মন্দিরে মূল ফটকে। আমি গাড়ি থেকে নেমে মূর্তিটার মাথায় গুলি করলাম। চুরর্মার হয়ে গেলো মূর্তিটার মাখা।  আমার মাথার ভিতর ঝিম ধরেছে। যখন আমি সাম্যবাদ করতাম এই মূর্তিকে আমি শিল্প ভাবতাম দেখে দুচোখ ভরে যেতো। প্রেমিকার কথা মনে পড়ে যেতো যেনো আমি তার হাত ধরে হাটছি বহু দুর। সে পথ শেষ হবার নয়। চারটা বোমা ফাঁটানো হয়েছে পুরা মন্দিরে আমার চার জন ধামাকা বাজিয়ে দিয়েছি। আল্লা হুয়াকবার ধনি দিয়ে চলে এসেছি মুসলমানের দেশে কোন মূর্ত থাকবে না।

পরের দিন পত্রপত্রিকায় আমার ছবি সহ নাম বেরিয়েছে ফোন বন্ধ থাকাই কেউ খোজ নিতে পারেনি ফোন খুলেই বড় নেতার ফোন তিনি দেখা করতে বলেছে আজিই ঈসার পরে তার বাড়িতে।

আমি গোপনে বড় নেতার বাড়িতে চলে এসেছি বড় নেতা মনে হয় আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল। সোফাই বসার পর দেখলাম একটা ছেলে ট্রেতে করে দুইটা ব্লা লেবে এক বতল মিনারেল ওয়াটার কিছু ছোলা দুই পেকেট গোল্ডিফ সিগারেট এনে রাখল। মাঝে মাঝে মদ খাওয়ার অভ্যাস ছিল তাও সে তাড়ির মদ এটা দেখে আমার জিব লফ লফ করছে। আমি একটা বিষয় অনুমান করছি সেটা হলো বড় নেতা আমার সাথে খুব ফ্রি হতে চাচ্ছে আমি একটা পুরা মন্দির জ্বালিয়ে দিয়েছি। এটা বড় কাজ। আমি বড় নেতার সাথে বসে সারাবান তাহুর পান করলাম নেতা তাকে নেতা না বলে হুজুর বলে ডাকতে আদেশ করলো। 'আবু মুহাম্মদ  তোমার জন্য একটা উপহার আছে যাও ওই ঘরে যাও। আমি নরম তুলার উপর দিয়ে ওই ঘরের দিকে হাঁটছি। ঘরের ডিম লাইটের আলো জ্বলছে। আমি খাটের উপর বসে একটা মেয়ে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো। আমার দিকে মুখ ঘুরাতেই দেখলাম এই সে খাবার দিয়েলো হুজুরের মেয়ে। মেয়েটা আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে বল্লো আমি আজকে রাতের তোমার দাসী। ঘনো কালো চুল ওর গাঁ থেকে তিব্রতা নিয়ে একটা গন্ধ বের হচ্ছে। আমার পশোম সোজা হয়ে যাচ্ছে। আমি মহোমহিত হয়ে পড়ছি। ওর চুলে গন্ধ গাঁয়ের গন্ধ আর নরম তুলতুলে শরিল আমকে উত্তজিত করে দিচ্ছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে মেয়েটা কে?  কি তার পরিচয় নাম কি তার?  সেই কি হুজুরের মেয়ে যেটা আমি ধারনা করেছি। হুজুরের মেয়েরা কি এমন হয়। যারা তাদের বাপের কথাই ইসলামের জন্য মূর্তি ভাঙ্গে তাদের সেবা দেয় দাসী হয়ে। কিন্তু সাম্যবাদে সবাই সমান মানুষ, মদ আর নারী আমাকে কাম উত্তেজিত করে দিচ্ছে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আজকে  সারারাত ও আমার ওযেই হোক ও আমার হুজুরের মেয়ে হোক কাজের মেয়ে হোক হিন্দু হোক তবুও ও আমার। আমার মাথার ভিতর ঝিম ধরছে আমি মনে হয় পানিতে ডুবে যাচ্ছি। আহ্ কি শান্তি সুখ চরম সুখ।


ইদানিং আমার শরিল টা ভালো যাচ্ছে না সেদিন মালো পাড়াই ভুলুর মেয়েটার দেখে আমার ঈমানি জোস বেড়ে গিয়েছিলো বলে নেতার কার থেকে অনুমতি নিয়ে ভুলুর বাড়িতে গিয়ে চুপিসারে ভুলুর মেয়েটারে সেবা নিয়ে এসেছি। তার বদলে অবশ্য ওদের ৫০ কেজি চাল ১হাজার টাকা আর কিছু দিয়ে এসেছি ভুলুর মেয়েটা বেস সুন্দির ফর্সা আমি ভাবছি ভুলুর মতো মালো কি ভাবে এতো সুন্দর মেয়ে জন্ম দিলো। এই মেয়ে দেখলে মনে হয় এক বিদেসীনি। চিকন যে ভারতী নায়িকা দিপীকা। সেদির রাতে ওই কচি মেয়েটা আমা ইমানি জোস বুঝতে পেরেছে। আল্লা হুয়াকবার বলে যখন ওর পরিক্ষা নেওয়া শুরু করলাম তখন ও মা বলে চিতকার করছিল। শুনতে দারুন লাগছিল। সুন্দর মোহমহিত। শেষে ওদের বিছানার কাপড় সাথে করে নিয়ে আসতে হয়েছে রক্তে ভিজে গিয়েছিল। আমি একটা নতুন কাপড়ও কিনে দিয়েছি।

ডাক্তার দেখাতে হবে শরীর সুখিয়ে যাচ্ছে, ভুলুর মেয়েটা শুনলাম মারা গেছে কি একটা ভায়রাস হয়েছিল তাই। শুনে খুব খারাপ লাগছে। তবে জান্নাতে গিয়ে যদি বাহাত্তার টা হুর বেছে নেওয়ার যায় তবে আমি দশটা ভুলুর মেয়ে মতো চাইব আল্লার কাছে। আমি আল্লার খাস বান্দা জিহাদ করি নাস্তিক মারি নানা অপারেশনে যায় মন্দির ভাঙ্গি।  আমার ইচ্ছা আল্লা পুরন করবেই।

হুজুরের বাড়ির দাসী মেয়েটার কাছে যাওয়া হয়নি অনেক দিন আজ যেতে হবে। হুজুর বাড়িতে নেয় কিন্তু আমার জন্য হাজার ৫ টাকা রেখে গেছে সামনে একটা বড় অপারেশন একটা নাস্তিক কুপাতে হবে। চার জন মিলে ওদের কাউরে আমি চিনিনা তবে সামনে জুম্মা সবাই এক সাথে নামাজ পড়ে পরিচিত হয়ে মিশনের বিষয়ে আলাপ করবো। আজা দাসী ভালো সার্ভিস দিয়েছে। শালি বলে কি আমারে বিয়া করইরা নেয় আপনারে টা আমার দারুন সুখ দেয়।

ডাক্তারের রক্ত দিয়ে আসলাম কাল সকালে রির্পোট দিবে কিন্তু কাল তো নাস্তিক কুপানো মিশন। হারামিটার মেরে তার পর দেখবো আমার কি হয়েছে ঔষধ খাবো হুজুরের দোয়া নেবো একটু সুরা কালামম পড়ো রোগ মুক্তি। আমার চোখের চারদিকে থেকে একটা অন্ধকার ভাব আসছে সমজিদে ঈশার আজান দিচ্ছে আমি আজ নামাজে যাবোনা। সাম্যবাদ করার সময় আমি নামাজ পড়তামনা আমি তখন মানুষের ভালোর জন্য সেই সময় টুকু ব্যায় করতাম। মানুষ আমার চোখে ছিল সম্মানের এখন শুধু মুসলমানেরা আমার চোখে সম্মানের। বাকি সব শত্রু। কাল সকালে নাস্তিক কুপাবো ইনশাল্লা। পড়ো রোগ মুক্তি। আমার চোখের চারদিকে থেকে একটা অন্ধকার ভাব আসছে সমজিদে ঈশার আজান দিচ্ছে আমি আজ নামাজে যাবোনা। সাম্যবাদ করার সময় আমি নামাজ পড়তামনা আমি তখন মানুষের ভালোর জন্য সেই সময় টুকু ব্যায় করতাম। মানুষ আমার চোখে ছিল সম্মানের এখন শুধু মুসলমানেরা আমার চোখে সম্মানের। বাকি সব শত্রু। কাল সকালে নাস্তিক কুপাবো ইনশাল্লা।মম পড়ো রোগ মুক্তি। আমার চোখের চারদিকে থেকে একটা অন্ধকার ভাব আসছে সমজিদে ঈশার আজান দিচ্ছে আমি আজ নামাজে যাবোনা। সাম্যবাদ করার সময় আমি নামাজ পড়তামনা আমি তখন মানুষের ভালোর জন্য সেই সময় টুকু ব্যায় করতাম। মানুষ আমার চোখে ছিল সম্মানের এখন শুধু মুসলমানেরা আমার চোখে সম্মানের। বাকি সব শত্রু। কাল সকালে নাস্তিক কুপাবো ইনশাল্লা। পড়ো রোগ মুক্তি। আমার চোখের চারদিকে থেকে একটা অন্ধকার ভাব আসছে সমজিদে ঈশার আজান দিচ্ছে আমি আজ নামাজে যাবোনা। সাম্যবাদ করার সময় আমি নামাজ পড়তামনা আমি তখন মানুষের ভালোর জন্য সেই সময় টুকু ব্যায় করতাম। মানুষ আমার চোখে ছিল সম্মানের এখন শুধু মুসলমানেরা আমার চোখে সম্মানের। বাকি সব শত্রু। কাল সকালে নাস্তিক কুপাবো ইনশাল্লা।

চাপাতির ট্রেনং আমার ভালো ভাবে নিয়া আছে মুনতাচ্ছির, কামরুল,হামজা আর আমি আবু মুহাম্মদ চার জন চারটা চাপাতি কুপাবো ঘাড়ের অগ্রভাগে নাস্তিকটার যাওয়া আসার পথ আমাদের মুখস্ত। ওই তো নাস্তিটার দেখা যাচ্ছে বের হয়েছে রাস্তাই। বাংলাই রাস্তাই মসুলমানের দেশে কোন নাস্তিক থাকবেনা। এদেশে নাস্তিদের কোন ঠাঁয় নেই। আমি ঘুম ঘুম অনুভাব করছি। পকেটে ফোন বেড়ে উঠল। এই সময় কে..! 


: হ্যালো। আবু মুহাম্মদ
: জি বলেন
: আমি ডাক্তার বলছিলাম। আপনার এইচাআইভি পজেটিভ।
আমার মাথার ভিতর চক্কর দিচ্ছে আমি মনে হয় পড়ে যাবো। সহোযোদ্ধারা নাস্তিকটাকে কুপাচ্ছে জোরে জোরে বলছে আল্লা হুয়াকবার আল্লা হুযাকবার আমার গাঁয়ে রক্তের ফিনকি পড়ছে। সাম্যবাদে রক্তের ফিনকি পড়ে না, সাম্যবাদে মানুষ হত্যা করা লাগেনা সাম্যবাদে আছে শুধু ভালোবাসা। কোন ঘৃনা নেয় সাম্যবাদে। আমা মারা যাচ্ছি মনে হয়। আমার সাম্যবাদীতা জেগে উঠেছে মরে যাওয়াই শ্রেয়। এই পৃথীবিতে মানুষের ঠাঁয় নেয়। মসুলমানের কাছে হিন্দুর ঠাঁয় নেয় তেমনি হিন্দুর কাছে মসুলমানের ঠাঁয় নেয়।

লিখেছেন:সজীব হোসেন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...