এই ব্লগটি সন্ধান করুন

প্রবাহিত শক্তি



মনে করুন আপনি এক দোকানে চা খেতে গেছেন এবং চা মুখে দিয়ে দেখলেন যে চা তো চা নয় যেন চিয়ারতের রস। তখন কেমন লাগবে? নিশ্চয় খারাপ লাগবে! তখন আপনি যদি বলেন সে চায়ের দোকানদারকে ভাই চা ভালো হয় নি আপনি একটু ভালো করে পরের বার চা টা বানাবেন। এ কথা বলা পরে চা দোকানির চার ছেলে দুই বউ মিলে যদি আপনাকে পিটায় মারে তাহলে কি হলো। আপনি তো টাকা দিয়ে চা খাচ্ছেন। সে তো দোকান খুলে বসে আছে  চা ভালো কি খারাপ হয়েছে সেটা বলার অধিকার তো আপনার আছে কারনটা আবার বলছি আপনি তো টাকা দিয়ে চা খাচ্ছেন।


১৯৭১ সালে যখন দেশ স্বাধীন হয় যেসব মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন করেছিল তারা কেন স্বাধীন করেছিল এর সঠিক উত্তর কি আপনি জানেন? যেসব মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছে তাদের কাছে জানতে চান যারা মুক্তিযুদ্ধ হয়েও এখন শেষ বয়সে এসে মসজিদে মাথা ঠোকে তাদের কাছে জানতে চান। তারা অবলিলাই উত্তর দিবে জালেম বেয়িমান বর্বর পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাঁচতে সময়ের প্রযোজনে এবং সকল বাঙালি মিলেমিসে বাস করার জন্য। তারা কিন্তু কখনো বলবেনা না যে দেশটা ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রদলের জন্য স্বাধীন করেছিল তারা কিন্তু কখনো বলবেনা যে দেশটা সংখাগরিষ্ট মুসলিমদের জন্য স্বাধীন করেছিল। তাদের ভাস্য একটাই সকল বাঙালীর জন্য এ দেশ। এই দেশ স্বাধীন করার জন্য মুসলিম হিন্দু নারী পুরুষ সবাই মরেছে। কিন্তু আমরা স্বাধীন।


এবার আসল কথায় আসা যাক দেশটাকে স্বাধীন করেছিল মুক্তভাবে চলার জন্য যাতে এই দেশে সবাই মুক্ত স্বাধীন  পাখির মতো চলতে পারে বলতে পারে। ওই যে চায়ে চিনি হয়েছে কি চা নুনতা হয়েছে সে কথা বলতে পারে। কিন্তু সমেস্যা কোথাই যানেন! তা আর হচ্ছেনা কেউ মুক্তচিন্তা করলে কারো আতে ঘা লেগে যাচ্ছে কারো গদি নড়ে যাচ্ছে। কারো ব্যাবসার ক্ষতি হচ্ছে। এদেশে কি হয় এখন আইন করে মুখ বন্ধ করা হয়। এদেশে ধর্সনের বিচার হয় না ক্ষমতাশালীরা কাউকে হত্যা করলে তার বিচার হয় না। এই দেশ এখন সংখাগরিষ্ট মৌলবাদীদের হয়ে গেছে। মৌলবাদীরা সমালোচনা শুনতে চাই না তারা যেটা বলে সেই ঠিক মেনে নিতে হয়। মৌলবাদীরা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যার বিচার করে না। কারন তারা সত্য তুলে ধরে তার দ্রুনীতি পরায়ন না।




যুগে যুগে সত্য তুলে ধরেছে অনেকে কিন্তু তাদের বাঁচিয়ে রাখেনি মৌলবাদীরা ক্ষমতাশীলরা গদি হারানোর ভয়ে ক্ষমতা হারানো ভয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধদের স্বপ্ন গুলাকে পিষে মেরেছে সময়ের সাথে। হয়ে উঠেছে বর্বর অত্যাচারি চালিয়ে হিংস্রতা। যারা সত্যর কথা বলে সত্যর পথে চলে তাদের মৃত্যু নেয়। সমালোচনা করার কটুকাব্য করা কথা বলা অধিকার সবার আছে কিন্তু তার জন্য যারা জিবন কেড়ে নেয় তারা ভিতু তারা মূর্খ বর্বর।


হত্যা করে কথা বলা সমালোচনা করা থামিয়ে রাখা যাবেনা যায়নি মুক্তিযোদ্ধাকে লালন করে এগিয়ে যাবে তরুনরা। কথা বলবে মত প্রকাশ করবে তুলে ধরবে সত্য। দুমড়ে মুচড়ে দিবে সেসব বিশ্বসীদের যারা মনে করে আরো যুগে যুগে মানুষকে অন্ধাকারে রেখে নিজেদের গড্ডলিকা পোক্ত করবে।



লিখেছেন : সজিব হোসেন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ