এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ভাবনার প্রিজম



১২ বছর ধরে দেশের উন্নয়ন চলতেছে।
১২ বছরের উন্নয়ন মুলক দেশে এখনও লোকে ভাতের অভাবে সুইসাইড করে মরে।
চিকিৎসা, শিক্ষা, বস্ত্র,বাসস্থান এসবের কথা গুলো না হয় এড়িয়েই যাই।
আবার বলতে গেলে এড়িয়ে যাবার উপায়ও নেই আপনারা এই বিষয়গুলো আমার থেকেও ভালো জানেন, বুঝেন, এবং দেখেন।

মধ্যে রাতে ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলে ছিন্নমূল মানুষদের রাস্তার পাশে ঘর-বিছানার অভাবে শুয়ে থাকতে দেখেননি এরকম মানুষও হয়তো কম আছে।
শিক্ষার কি করুন দশা সেটা দেখলেই বুঝা যায় আপনাদের আচার-আচরণ আর মানসিকতা গুলোকে।

চিকিৎসা কথা আর কি বলা উচিত?
ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো সাধারণ রোগেও মরে ভুত হয়ে গেছে আমাদের কত জনগোষ্ঠী।

আর বস্ত্রের কথা বলতে গেলে বলতে হয় শীতের সময় সামন্য কিছু মানুষের কম্বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি দেখলেও।

এই বিষয় গুলোকে না হয় এড়িয়েই যাই।
কিন্তু খাদ্য?
শিক্ষিত ভদ্রজনরা যাকে বলে অন্ন।
আমার মতো দুই দিনের বৈরাগী ভাতরে বলবে অন্ন এটা হয়তো বেমানান শুনাবে।
এই তো সেদিনই বলেছিলাম,
অন্ন চিন্তাটা চমৎকার কার?
এই চিন্তায় একবার গ্রাস করলে জগতের সমস্ত কাজ কারবার গুলোতে আপনি এগুতে পারবেন না।
বলতে হয়তো হবে না,না পেলে মরে যাবো না পেলে এমনিতেই মরে যাবেন।

জ্ঞানী গুনীদের এই সব বললে তারা বলে এই সমাজ বা দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলে সমাজ ব্যবস্থাটায় সুষম বন্ঠন নাই।
সুষম বন্ঠন থাকলেই আমাদের এত সব সমস্যা গুলোতে পড়তে হতো না।
এই বিষয়ে উদাহরণ দিতে গেলে প্রথমেই আসে এই যে লোকে ৫ টা দশটা শাড়ি পরে ছবি তুলে।
বিভিন্ন রকমের খাবারের প্লেট সাজিয়ে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে ছবি আপলোড দিচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর বা লন্ডনের মতো শহরে।
কারো বাড়ি দশতলা পাঁচতলা।

তাহলে কি দাড়াচ্ছে মৌলিক চাহিদা গুলো সমাজের কিছু মানুষের কাছে আছে।
তারা চাইলেই সেই সব যখন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারে ভোগবিলাস করতে পারে।
সমাজে এই অংশটা কি খুব বেশি?
এসবের একপ্রকার উত্তর পেলেও এই উত্তরটা এখনও পাওয়া হয়নি সমাজের এই সিস্টেমটাকে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়।
সুষম বন্ঠন নামের যে জিনিসটা,

সেই জিনিসটাকে সমাজে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ