সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৃথীবি সৃষ্টির মজার ইতিহাস এবং বিজ্ঞান

পৃথিবী সৃষ্টি বা উৎপত্তি সম্পর্কে সব যুগের মানুষের কিছু মতামত রয়েছে।
এর কিছু পৌরানিক কাহীনি, ধর্মীয় ব্যাখা এবং বৈজ্ঞানিক মতবাদ।


পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে ধর্মীয় মতবাদ:  

বেশির ভাগ ধর্ম মনে করেন,
পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ বা ঈশ্বর বা কোন দেবতা -ভগবান।
ইহুদী ও খ্রিস্টান দের বাইবেলের আদি পুস্তকে সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে,পরমেশ্বর আকাশ,পৃথিবী ও মানুষ সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন।
প্রথমনদিন রাত ও দিন,দ্বিতীয় দিন আকাশ,তৃতীয় দিন সমুদ্র ও দিক,চতুর্থ দিন নক্ষত্র, পঞ্চম দিন অসংখ্য প্রাণী এবং ষষ্ঠ দিন মানুষ সৃষ্টি করলেন।
সপ্তমদিনে পরমেশ্বর সমস্ত কাজ গুলো সমাধান করলেন।
(আদি পুস্তক, বাইবেল ১:১৯-১:২০)
কুরআনে একই মত করা হয়েছে।
তবে একটি ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় "আল্লাহ স্বর্গ এবং পৃথিবী এর মধ্যেই সবকিছুই ৬ দিনে সৃষ্টি করেছেন" (৩২:৪)।
ক্যানানীয় ধর্মে ইলোহিম বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
তবে কত দিনে সৃষ্টি করেছেন এই সব বিষয়ে কোন দিনক্ষণ উল্লেখ নেই।
হিন্দু ধর্মে দেবতা ব্রহ্মা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।।
বৌদ্ধ ধর্মে বলা হয়"পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা বলে কেউ নেই।
জগৎ অনন্তকাল বিদ্যমান রয়েছে আছে এবং থাকবে।
পৃথিবীর কোন শুরু নেই এবং নেই কোন শেষ।
এই মতবাদে জৈন ধর্মের লোকেরাও বিশ্বাস করে।

পৃথীবি সৃষ্টি সম্পর্কে পৌরানিক বিশ্বাস এবং লোককাহিনী:-  


অনেক সভ্যতায় পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে কাহিনি আছে।এসব কাহিনি পৌরানিক বিশ্বাস এবং লোক বিশ্বাস এবং লোককাহিনীর অনেক গুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। ব্যাবিলনীয় মহাকাব্য অ্যানুমা এলিস(Enuma Elish)
এ বিশ্ব সৃষ্টির কাহিনি বিবৃত আছে।
প্রথম দেবতাদের সৃষ্টি হয়।মারদুক দেবতাদের অধিপতি ছিলেন।তিয়ামত নিজের সহায়তার জন্য দৈত্য সৃষ্টি করেন কিন্তু মারদুক তাদের শৃঙ্খলা বদ্ধ করে রাখেন।মারদুক তিয়ামতের দেহ দ্বীখন্ডিত করেন।
দেহের এক খন্ড থেকে পৃথিবী অন্য খন্ড থেকে স্বর্গ সৃষ্টি হয়।


প্রাচীন মিসরীয় কিংবদন্তির মতে,সৃষ্টি কর্তা ক্ষুনুম ডিম্বাকার পৃথিবী সৃষ্টি করেন।চৈনিক লোককাহিনীতে সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয় যে আদিতে সব কিছুই ছিলো বিশৃঙ্খলা পূর্ণ।
পরে সুস্পষ্ট ভাবে দুটি শক্তির উন্মেষ হয়।ইয়াং ও ইন।এই দুটি শক্তি পাকনু নাৃে একটি পৌরাণিক মানবের জন্ম দেয়।পানকু পৃথীবিতে পরিনত হয় এবং তার আনন্দ পরিতৃপ্তির জন্য সুর্য,চন্দ্র,তারাকারাজির সৃষ্টি হয়।তার মৃত্যুর পর তার মাথা পর্বত মালা,তার নিংশ্বাস বায়ুও মেঘ,তার কণ্ঠস্বর বজ্রে পরিনত হয়।তার শিরা হলো নদী,গায়ের চামড়া হলো ও চুল হলো বড় বড় গাছ,দাঁত ও অস্থি হলো মাটির নিচে লুকায়িত ধাতু।
ফিনিশীয়দের মতে ক্রনস নামক দেবতা পৃথীবির সৃষ্টি কর্তা।
মধ্যে আফ্রিকার বোসোনগো জাতির লোক কাহিনির মতে,সর্ব প্রথম দেবতা পৃথিবীর শুধু ঈশ্বর বুমবা,অন্ধকার এবং পানি ছিলো।একদিন বুমবার পেটে ব্যাথা হয় হওয়ার পর বমি করে সুর্য সৃষ্টি করল।
সূর্য কিছু পানি শুকিয়ে নেয়ার পর ভূপৃষ্ঠ দেখা দিলো।আবার পেট ব্যাথা হওয়ার পর বুমবা বমি করে চাঁদ নক্ষত্ররাজি বের করে নিলো।



বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞানের মতবাদ:-

পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা দরকার।বিশ্বব্রহ্মাণ্ড উৎপত্তি খুজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা হাজার বছর সংগ্রাম করেছেন।
১৯২০ সাল পর্যন্ত বুশ্বাস করা হতো যে বিশ্ব সব সময় বিরাজমান ছিলো এবং এর আকার এক এবং অপরিবর্তনীয়।
উদাহরণ স্বরুপ, বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক এরিষ্টটল বিশ্বাস করতেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সব সময় বিরাজমান ছিলো।তার মতে সৃষ্টি হওয়া থেকে আদি অন্তহীন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিশ্বাস করা উত্তম।যারা চিরন্তন বিশ্বে বিশ্বাস করেন তারা বিশ্ব সৃষ্টিতে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ এড়াতে চান।যারা বিশ্বাস করতে চান যে বিশ্বের একটি শুরু আছে,তারা এটাকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বীকৃতি হিসাবে ব্যবহার করতে চান যে ঈশ্বর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সুচনা করেছেন।
যাই হোক,আমেরিকান জ্যোতির্বিদ ভেশতো শ্লিফের এর ১৯১২ সালের আবিষ্কার শিগগিরই বিশ্ব সম্পর্কে জ্যোতির্বিদদের বিশ্বাসে পরিবর্তন আনে।শ্লিফের লক্ষ্য করেন যে গ্যালাক্সি গুলো খুব দ্রুতগতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এই পর্যবেক্ষণ প্রসারমান বিশ্ব মতবাদের সমর্থন প্রথম প্রমাণ।
১৯১৬ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of Relativity) প্রকাশ করেন,যার মতে বিশ্ব হয় প্রসারিত হচ্ছে বা সংকুচিত হচ্ছে।প্রসারমান বিশ্ব মতবাদের (Expanding Univerese Theory) পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেন ১৯২৯ সাল বহুতবিদিত আমেরিকান জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবল।
গ্যালেক্সি থেকে নির্গত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের redshift পর্যবেক্ষণ করে হাবল বের যে,গ্যালাক্সিগুলো তাদের জায়গায় স্থীর থাকে না,বরঞ্চ পৃথিবীর থেকে তাদের দূরত্বের সমানুপাতিক গতিতে তারা আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে (হাবল সুত্র)।
এই পর্যবেক্ষণের একমাত্র ব্যাখ্যা ছিলো বিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে।হবলের আবিষ্কারকে জ্যোতিবর্বিদ্যার ইতিহাসে একটি বড় আবিষ্কার হিসাবে গন্য করা হয়।কিছু বছরের মধ্যে আরো পর্যবেক্ষণের পর বিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্বিদরা প্রসারমান বিশ্বতত্ব গ্রহন করেন।
হাবল তার তত্ব প্রকাশ করার আরো পর্যবেক্ষণ করেন যে,গ্যালাক্সি গুলো শুধু পৃথিবী থেকে সরে যাচ্ছে না,তারা একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এর অর্থ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছে।
হাবলের নতুন পর্যবেক্ষণ বিগ ব্যাল তত্ত্বের বিত্তি স্থাপন করে।

বিগ ব্যাং তত্ত্বঃ
বিগ ব্যাং তত্ত্ব মতে ১২-১৫ বিলিয়ন বছর আগে একটি অতিরিক্ত গরম এবং ঘন বিন্দু থেকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং কিছু একটা বিন্দুর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সূচনা করে।
তখন থেকে একটি বিন্দু থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হচ্ছে।
১৯৬৫ সালে রেডিও জ্যোতির্বিদ আরনো পেনজিয়াশ এবং রবার্ট উইলসন নোবেল পুরুষ্কার বিজয়ী আবিষ্কার করেন, যা বিগ ব্যাং তত্ত্বকে সমর্থন করে।এই আবিষ্কার এর পূর্বে বিগ ব্যাং তত্ত্বের প্রতি প্রশ্ন ছিলো যে যদি একটি অতিরিক্ত গরম বিন্দু থেকে বিশ্বের উৎপত্তি হয়,তা হলে এই তাপের ছিটেফোঁটা পাওয়া উচিত।এই অবশিষ্ট ছিটেফোঁটা তাপ পেনজিয়াস এবং উইলসন ১৯৬৫ সালে খুজে পান।পেনজিয়াস এবং উইলসন ১৯৬৫ সালে ২.৭২৫ ডিগ্রির kelvin cosmic microwave background radiation আবিষ্কার করেন যা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।এ থেকে বুঝা যায় যে রেডিয়েশন তারা পেয়েছেন,তা বিগ ব্যাংয়ের অবিশিষ্টাং।বর্তমাণে বেশির ভাগ বিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্বিদ এবং জ্যোতিবিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাং তত্ত্ব গ্রহন করেন।
প্রায় ৪৫০কোটি বছর আগে সৌর জগতের সৃষ্টি হয় (সূর্য এবং গ্রহগুলি)।
এই হিসাবে পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছর।
আদুনিক বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে পৃথিবী সূর্যেরই একটি অংশ।বিজ্ঞানী জিলস ও জেফরিজের মতে প্রায় দুশ থেকে তিনশত কোটি বছর পূর্বে সৌরজগতের একটি তরাকস সূর্যের কাছে পড়ে এবং সংঘর্ষ না ঘটিয়েই পাশ কাটিয়ে আপন কক্ষপথে চলতে থাকে।উল্লেখ যোগ্য যে গ্রহ নক্ষত্র মহাকর্ষ শক্তি দ্বারা একে অপরের দিকে আকর্ষিত হয়।নিউটনের আবিষ্কৃত সূত্র মহাকর্ষ শক্তির ফলে তারাকা মণ্ডলে গ্রহ ও উপগ্রহ স্ব স্ব অবস্থানে থেকে নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করছে।যেমন-পৃথিবী,বুধ,শুক্র প্রভৃতি সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিন করছে।
বড় তারকাটি সূর্যের কাছাকাছি হলে সূর্যের বাষ্পীয় মণ্ডল তারকাটির সাথে মিলিত হতে চায়।তারকাটি সূর্যের পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি,বিচ্ছিন্ন অংশটি সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিন করতে থাকে।
ঘূর্ণায়মান বাষ্পীয় মেঘটি ক্রমশ বাষ্পীয় উপাদান পরিহার করে তরল হতে থাকে এবং তার তাপ শুণ্যে ছড়িয়ে দিয়ে ক্রমশ কঠিন হতে থাকে।
লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বৃষ্টি,বাতাস,শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে বর্তমানের ভোগোলিক অবস্থানে দাঁড়ায়। বৃষ্টির পানিতে সাগর-মহাসাগরের সৃষ্টি হয়।এরপর ১২৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে জীবনের আবির্ভাব হয়।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...