সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রোজাহত বিদ্যানন্দ বা এক নিমিষেই


শুরু করি রুদ্রের কবিতা দিয়েই.....

ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও,
আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম- ভালোবাসা ।
Bidyanondo bidyanondo.org থেকে bidyanondo Bidyanondo is an education favorable voluntary organization founded by
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর লোগো 


২.বিদ্যানন্দ একসময় নিজেদের নাম পরিবর্তন করার জন্য ভোটা-ভোটি করেছিলো।কিন্তু সেইসময় হয়তো, ৯০% মুসলমান বাঙ্গালী সেই সংগঠন এর সাথে ছিলো না এর জন্য ভোটা ভোটিতে বিদ্যানন্দের নামটা পরিবর্তন হয়নি।
এখন যেহেতু ৯০% হইয়া গেছে সেহেতু নামটা ইসলামীকরণ করা যেতেই পারে।
ফেসবুক এর কল্যাণে ইসলামিক কিছু নামের প্রস্তাব এসেছে।
এই যেমন,শফীনন্দ, ইলেমানন্দ,কিতাবানন্দ,মোল্লানন্দ,কুরানানন্দ,আল্লানন্দ,বা ধরেন আল্লার দান।
খুজলে এরকম আরো অনেক নামের প্রস্তাব পাওয়া যাবে।
এগুলোর যেকোন একটা নাম রেখে দিলেই হয়।
আল্লাও খুসি আপনিও খুসি আপনার আমার প্রাইম জোকারও খুসি বলা যায় এতে।

৩.বিদ্যানন্দের এরকম মুষড়ে পড়াতে বেশির ভাগ লোকের মতামত হইলো মুলসম্যানদের লাফালাফিই হয়তো কারণ।
বেশির ভাগ বলতে এই কারণেই আমাদের এই কমিউনিটিতে বেশি দেখি যাদের সেক্যুলার সমাজের চিন্তা ভাবনা দেখে আসছি তাদের কথাই বলতেছি।
কিন্তু সহজ ভাবে একটু চিন্তা করলেই দেখবেন।
বিদ্যানন্দের এই যে সাফল্য  ভাটা পড়ে গেছে রাষ্ট্রীয় সরকার এর নিজেদের সাফল্য গুলো।
লোকে এখন আঙ্গুল তুলে দেখায় বিদ্যানন্দকে।
ঠিক সেই জায়গাটা থেকে চিন্তা করলে দেখা যাবে।
লীগারবালরা মোল্লাদের হাতিয়ার হিসাবেই ব্যবহার করেছে।

আপনারাই তো বলেন ধর্ম টিকে আছে রাজনৈতিক কারণে বা ক্ষমতাবানদের সুবিধার্থে।
তাহলে বারবার এসব ভুলে যান কেন?

৪.করোনা নিয়ে করুনা ময়ী কোন খবর কথা এই মহুর্তে মনে আসতেছে না।কেননা এগুলো এখন ব্লগ ইন্টারনেট ফেসবুক এই সবের লিঙ্ক লিস্ট গুলোতেই পাওয়া যায়।
খবরা -খবর গুলি আমার থেকেই আপনারা বেশি পান।
যাকে বলে একদম সীমিত আকারেই পান।

৫.মেশিনম্যান মুমিনরা অনেক কয়েকদিন থেকেই রোজা রাখা শুরু করেছে।
কেউ নিজে তো রাখতেছেই আবার যাদের এসবে বিশ্বাস নাই তাদেরও বাধ্য করতেই আছে।
রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক সুফল অনলাইন- ইন্টানেটে আগের মতোই শেয়ার হচ্ছে বা বলা যায় আগের থেকেও বেড়েছে।
এদিকে ধর্মবাল মুমিনরা এই সব খবর গুলো পড়ে পড়ে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে এক রকম পুলকিত অনুভব করবে।
অন্য ধর্মাবলম্বীদের টিপ্পনী কেটে বলবে দেখো দেখো আমাগো ধর্ম কত বৈজ্ঞানিক।
ছবি:ধর্মকারী


এদিকে রোজা শুরুর পর থেকে মডারেট মুমিনরা চিল্লানি শুরু করবে আসেন আসেন গরীব দুঃখীরে সারাবছর যে সুদে- সুয়েজ খাল বানিয়েছি সেটা এই রমজানে তাদের ভালো একটু ইফতারি করায়ে সোদাটারে সুদে আসলে মিটিয়ে দেই।

এদিকে ভদ্রচুদমারানি নাস্তিকেরা এই সব ইফতার সেহেরী খাইয়া ফেসবুকে এসে বিপ্লব সোদায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
ছবি:ধর্মকারী


কেউ কেউ বিপ্লবের ঠেলাই বিরানীর প্যাকেট হাতে শাহবাগে দাড়াবে।

কিন্তু করোনা হয়তো এই সুযোগ তেমন করে সবার ভাগ্য দিতে পারেনি।

৬.করোনায় দেশ আক্রান্ত না হলে
সারা দেশে সোনার ছেলে মেয়েরা সোনার মতই রেজাল্ট করতো এই সময়টাতে।
আর কেউ পাস করতো প্রতিবেশি সেই আন্টির জন্যই,
পরে যেন আন্টি কথা শুনিয়ে দিতে না পারে।
আর যারা করতেই পারতোনা পাস তাদের কথা না হয় আপাতত বন্ধই থাক।

"বড় বড় কবি, সাহিত্যক,বড় বড় বালছাল গুলো কত শত পরীক্ষায় ফেল করেছে।
ফেল করা ছাত্র গুলোকে বছরের বছরের এই থিউরি প্রয়োগ করেই জাতীয় ভাবে মোটিভ করে আসতো বর্তমান কালের জ্ঞানী গুনীরা।"

আমি ভাবি আচ্ছা নতুন কোন থিউরী কি আমদানি হবে না?


৭.আবারো নতুন কইরা একটা বিষয় মনে করায়ে দেই অনেক দিন যাবদ নাস্তিক হত্যা হয়নি দেশে।তারমানে অনেকের কিন্তু এলাইলাম ভিসা আটকে রয়েছে।
দেশের গরীব দুঃখী নাস্তিকেরা এরে ওরে নিজেদের ইনফরমেশন দিয়ে চুপ চাপ বসে থাকেন।
কে কখন আপনারে সুদে সুয়েজ খাল বানায়ে দিতাছে সেই অপেক্ষায়।

৮।ধর্ষণ না হইলে আমাগোর মনে নারীবাদ বিষয়টা ঠিক উকি মারে না।
ধর্ষণ হইলেই নারীবাদ সামনে চলে আসে।
ঘরে বাইরে অফিস আদালতে সমস্ত জায়গা গুলোতে নারীরে যে অন্য সব বিষয় গুলোতে সুদে সুয়েজ খাল বানায়ে দিতাছে।
এই সব দিকে নজর না দিলেও চলে।
প্রতিবাদটা শুধু খালি যৌন নির্যাতন এর।

এদিকে হুমায়ন আজাদ বলেছিলেন ধর্ষণ যখন অনিবার্য....
পরের লাইনটা না হয় আজাদ ভক্তরাই এডায়ে দিয়েন।

৯.শুরু করেছিলাম রুদ্রের কবিতা দিয়ে....
শেষ করি নিজের কথা দিয়ে...

"ভালো আছে যারা ভালো থাক তারা।
আর তোমাদের সময় হলে আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে তারা খসে পড়া দেখিও।"

শহীদুজ্জামান সরকার

মন্তব্যসমূহ

  1. বাস্তবতার নিরিখে সঠিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । মজা লেগেছে - "শফীনন্দ, ইলেমানন্দ, কিতাবানন্দ, মোল্লানন্দ, কুরানানন্দ, আল্লানন্দ বা ধরেন আল্লার দান" - নামগুলা পড়ে । - হাসতেই আছি - হাহাহাহা । ধন্যবাদ ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...