সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অরিজনাল সিন অব পারভারশন


লেখকঃআবু তাহের তারেক।
গ্রামে পারভারশনের পরিমাণ শহরের চাইতে কম। গ্রামে মূলত বিচার বেবস্থার হর্তাকর্তারা নৈরাজ্যমূলক কামকাজ যেমন খুন-গুম-মারামারি-নারী নির্যাতন এইগুলা করে। এর বাইরে, এদের মইদ্যে একটা সেক্সুয়াল কনসেন্টমূলক পরিবেশ বিরাজ করে। নারীদের কাম নারীরা করে। পুরুষের পাশাপাশি থাইকাই। ফলে, তাদের নিজেদের মইদ্যে আলাপের, ভুল বোঝাবুঝির, সমঝোতার স্পেইস সবসময় থাকে।

শহরে বা বা উপশহরে মানুষের লগে মানুষের মিশামিশির এমন স্কৌপ নাই। এইখানে হিন্দুর জাতপ্রথার মত শিক্ষিতে অশিক্ষিতে, ধনীতে গরীবে, সুন্দরে অসুন্দরে বিভেদের দেওয়াল। প্রতিটা বাড়িতে দেওয়াল। দেহে দেওয়াল। মনে দেওয়াল। গ্রামের যে মেয়েটা শহরের সাহেব লোকদের বই পড়ে ইশকুল কলেজে, তাইও এই দেওয়াল সোসাইটির বাসিন্দা হয়।

এই দেওয়াল সোসাইটির বড় যে প্রব্লেম তার অইন্যতম হইল সেক্সুয়াল পারভারশন। আপনারা দেখবেন প্রতিটা শহরের কোনায় কোনায় মাগিদের আনাগোনা। বাসায় বাসায় মাগিব্যাবসা। কিন্তুক, গ্রামের মানুষদের মইদ্যে এই মাগিবেবসা প্রায় নাই। কেনেনা, তাদের সেক্সুয়ালিটি, সেক্সুয়াল কনসেন্ট, অবাধ মিলমিশ তারারে মানসিকভাবে অসুস্থ/পারভার্ট হইতে দেয় না।

শহরে বিচত্র টাইপের লোক তইয়ার হয়। সামাজিক শ্রেণীবৈষম্যের কারণে। এই বিচিত্র টাইপের লোকদের মইদ্যে বিচিত্র সেক্সুয়াল কমপ্লেক্সিটি দানা বান্ধে। আর পারভাশনের হার বাড়তে থাকে।

ফেমিনিস্টরা শহরের পারভারশনের এই অরিজিনাল সিন 'দেওয়াল'রে লোকেইট করেন না। (তারা নিজেরাই পাওয়ারফুল শ্রেণীর প্রোডাক্ট।) মূলত ধর্মবেবস্থা আর পুরুষতন্ত্ররে দায়ী করেন।

ভালা মানুষ যারা, সোসাইটি বা সাইকোলজি অত বুঝেন না, যেমন বাম, লিবারাল, ভারসিটি/বই পড়ুয়া বোকচুদ তারা পুরুষদেরকে কি কি করতে হইব, তার সিভিল কৌড হাজির করেন।

কিন্তুক, শহরের পারভারশন একটা উৎপাদন বেবস্থা। পুঞ্জি, ধর্ম, সেক্স, পাওয়ার এইগুলা মিইলাই। এরে ছেলেভুলানো কুনু প্যারাসিটমল খাওয়াইয়া নিরাময় করবেন, তা হইব কেনে?

০২

আপনে চাইলেই একটা ভারসিটি পড়ুয়া মেয়েরে, 'আপা ভালা আছেন?' এই কথা কইতে পারবেন না। এই না পারা টা হইল  'দেওয়াল'।

আমরার পড়ালেখা জানা সোসাইটিতে কে কারে ভাল আছেন কইতে পারব, কে কারে সালাম দিব, কে কারে বিয়া করতে পারব, তা অক্ষরে অক্ষরে ঠিক করি দেওয়া আছে।

এই ঠিক করি দেওয়ারাই হইল বিভেদ, রিংরসা, পারভারশন, মাগীবাজী ইত্যাদির আছল কারণ।

লিখেছেন:আবু তাহের তারেক।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...