এই ব্লগটি সন্ধান করুন

দুলালের দুলালি

 

সেই ছোট বেলা থেকে ভিষন রূপকথার গল্পের ভক্ত ছিলাম। প্রতিরাতে দাদী চাচী আর মা এর কাছে থেকে গল্প না শুনলে আমার ঘুম আসতো না। কিন্তু দাদী অতি পারম্পিরাক হাওয়ার করানে আমার সত্য গল্প শুনা লাগতো। না ছিল সেই গল্পের ভিতরে টুইস্ট না ছিল কোন রঙ্গরসিকতা। ছিলো শুধু অলৌকিকতা। আলাল আর আলালের প্রেয়ারে বন্ধু দুলালের গল্প। দুলালের সেই সারা দুনিয়া জুড়ে ব্যাবসা শুরু করার ইতিহাস। কিচ্ছু করার ছিলোনা, দাদী ছিলো মুরুব্বী তার কথা শুনতেই হবে। সে যেটা বলবে সেটাই রাতের গল্প হিসেবে নিয়ে ঘুমাতে হবে। মাঝে মাঝে তো সেইসব গল্প শুনে ভংয়কর রকমের  স্বপ্ন দেখতাম। চারিদিকে সবুজ ঘাসের ভিতরে একদল লোক যাদের হাতে তোলোয়ার। তারা যাদের পাচ্ছে হত্যা করছে লুট করছে। নারীদের বন্দি করছে। দাদী বলতো এসব আলালের আদেশ।

ঘটনার অনেক দিন পরের কথা আমি হুলুলুল থেকে রকেট বিজ্ঞানী হয়ে এখন দেশের একজন নাম করা সাইনটিস্ট। এর ভিতরে আমার দাদীও গাত হয়েছে চলে গিয়েছে দুলালের বন্ধু আলালের কাছে। কিন্তু দাদীর প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা আমার ভিতরে একটা দ্বায়িতবোধবোধ তৌরি করেছে। তাই আমি আমার জুলুলুর জ্ঞন দ্বারা একটা টাইম মেসিং বানায়ে ফেলেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি অতিতে মানে দুলালের ব্যাবসা শুরুর কিভাবে সূত্রপাত হয় সেটা দেখবো কারন দাদী এই বিষয়ে আমাদের খুটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যায়নি।

পরের দিন ভোর ৪ টা আমার পরনে  একট হাত প্যান আর গাঁয়ে চাষী র্টি র্শাট হাতে পেষ্ট লাগানো বিরাষ নিয়ে আমি তৈরি কৃত টাইম মেসিং ের ভিতরে ঠুকে যাত্রার জন্য একটা রির্হাসেল করছিলাম। হঠাৎ বিরাট এক আলোর ধলকানিতে আমার স্পেপসটা বিপুল ক্রিয়া আর বিক্রিয়া শুরু করলো। সবকিছু যেন আতি দ্রুত পিছেন ফিরে যেতে লাগলো। আমার ভয় হলো। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম সবুজের সমাহরো একটা পাহাড় কয়েকটা পোলাপান ছাগলো চরাচ্ছে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম আলালের বন্ধু দুলাদের বাড়ি কোনটা?  পুলাপনগুলা হাঁসে আমারে দেখে হাঁসে কিনা জানিনা। আমি ভাবছি হইতো আমার পোষাক দেখে হাঁসছে। কিন্তু পরে কান খাঁড়া করে শুনি পুলাপান গুলা বলছে। এই বেটা ওই বুড়ি বেটির সুয়ামিরে খুজছে কেন। মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো ঘটনা তা হলে এই। আমি যদিও জানতাম দুলাল তার থেকে বয়সে বড় একটা মহিলারে বিয়া করছে তাই বলে এই নিয়ে হাঁসা হাসি করতে হবে!  যাই হোক এক চাচা এসে বল্লো বাজান পাগলাটারে কেন খুজছো। হের তো মাথায় নতুন ভুত চাপছে, হেয় তো এখন বাড়িতে থাকে না হেয় পাহাড়ে থাকে। ব্যাটায় কি য়ে করবো বুড়া বউ বাড়িতে থাকতে মুন চাই ভিতরে ঠুকে যাত্রার জন্য একটা রির্হাসেল করছিলাম। হঠাৎ বিরাট এক আলোর ধলকানিতে আমার স্পেপসটা বিপুল ক্রিয়া আর বিক্রিয়া শুরু করলো। সবকিছু যেন আতি দ্রুত পিছেন ফিরে যেতে লাগলো। আমার ভয় হলো। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম সবুজের সমাহরো একটা পাহাড় কয়েকটা পোলাপান ছাগলো চরাচ্ছে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম আলালের বন্ধু দুলাদের বাড়ি কোনটা?  পুলাপনগুলা হাঁসে আমারে দেখে হাঁসে কিনা জানিনা। আমি ভাবছি হইতো আমার পোষাক দেখে হাঁসছে। কিন্তু পরে কান খাঁড়া করে শুনি পুলাপান গুলা বলছে। এই বেটা ওই বুড়ি বেটির সুয়ামিরে খুজছে কেন। মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো ঘটনা তা হলে এই। আমি যদিও জানতাম দুলাল তার থেকে বয়সে বড় একটা মহিলারে বিয়া করছে তাই বলে এই নিয়ে হাঁসা হাসি করতে হবে!  যাই হোক এক চাচা এসে বল্লো বাজান পাগলাটারে কেন খুজছো। হের তো মাথায় নতুন ভুত চাপছে, হেয় তো এখন বাড়িতে থাকে না হেয় পাহাড়ে থাকে। ব্যাটায় কি য়ে করবো বুড়া বউ বাড়িতে থাকতে মুন চাই না। আর অমিনতেই বেটা ছোট কাল থেকে পাগল আছিল। আমার চাচারে বল্লাম তিনি কোথায় আছে ঠিক কোন পাহাড়ে একটু খোজ দেন। আমারে তারে এখনি দরকার।

অনেক উচু পাহাড় চারিদিকে সবুজের সমারহ  কি সুন্দর দৃশ্য। যাই হোক আমি আমার স্পসফিক নিয়ে পাহাড়ে উঠতেই দেখি সুন্দর চেহারা একটা লোক উচু পাহাড়ারের খাজে বসে আছে। আমার সাথের মেসিং দেখে বেচারর মেসিং দিয়ে পানি বের হয়ে কাঁপতে কাঁপতে ব্যাচারা ফিঠ হয়ে গেলো। ভয় পেয়ে আমি সেখান থেকে প্রস্থান নিয়ে তার বাড়িটা দেখতে গেলাম।

উঠনের পাড়ে ছোট্ট একটা ঘরে বসে খুনখুনে এক বুড়ি কি যেন একটা হিসাব করছে। মিনিট দশের মাথায় দুলাল দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ি আসলো আমি তো ঘুপটি মেরে আছি। কারন দাদী বলেছিলো এখানেই ঘটনার মূল টুইস্ট। আমি যদি এই ব্যাপারটা জানতে পারি তাহলে আমিও দুলালের মতো সারা বিশ্ব ধরে এরকম একটা ব্যাবসা দাড় করাতে পারবো।

এবার মূল কাহিনিতে আসি, বাড়ি এসে দুলাল প্রথেমে কাঁপতে কাঁপতে কম্বলের ভিতরে ডুকে পড়লো। বুড়ি বউটা দেখা খুত খুত করতে করতে ঘরে ডুকে এক নাগাড়ে বলছে হারামি আমার টাকা পয়সা গুরু ছাগল নষ্ট করে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে এখন আসছে দিনদুপুরে গরমে কম্বলের ভিতর ঘুমাতে দুর হ মুখ পুড়া। কাঁপতে কাঁপতে দুলাল বল্লো আলালের দেখা পাইছে। তারপরা আমার ওই পাহাড়ে এন্টি করার সব কথা বিষাধ ভাবে তুলে ধরলো। আমি পুরাই দোচনা। আমি সোজা আমার স্পসফিক উঠলামে এবং ইউ র্টান মেরে বাড়ি চলে আসলাম।

সকাল ৮টা নিজের একটু হালকা হালকা লাগছে। দুনিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় চাটুকারের চিটারি আজকে আমি যানি আমার আর কোন ভয় টেনসন থাকলো না। ভয় নিয়ে বেঁচে ছিলাম আলালের শাস্তির ভয় যা দুলাল তার নিজের লেখা বইতে বর্ণনা করে গেছে। আসলে সব মিথ্যা ধোঁকাবাজি। কিন্তু দুনিয়ার মানুষের কাছে এসব বলা যাবেনা কারন আমি বাপু সাতে পাঁচে থাকিনা।


-- Sajib Hossain ( সজিব হোসেন)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ