সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সমেস্যার সমেস্যা

ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হোক বা না হোক তাতে আমার কিছু যায় না। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক হোক বা না হোক তাতে আমার কোন সমেস্যা নেই। সমেস্যা হলো ইসলাম আপনার রাষ্ট্রধর্ম আপনার সাম্প্রদায়িকতা কিংবা অসাম্প্রদায়িকতা আপনার কিন্তু আপনি জোর করে আমার উপর চাপিয়ে দিতেন পারেন না। অনেকে বলছে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা আবার অনেকে বলছে সংখাগরিষ্ট মুসলিম দেশে রাষ্ট্র ধর্ম হবে ইসলাম।


ইসলামের সমেস্যা হলো ইসলাম ধর্ম একটা ছাত্রাক সব জাগাতে জন্মাতে চাই। কুরআনের নির্দেশ হলো যতক্ষন পর্যন্ত প্রথীবির প্রতিটা মানুষ ইসলাম না গ্রহন করবে ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ করে যেতে হবে। মুসলিমদের অধ্যাসীন এলাকাই যদি কোন অমুসলিম থাকে তবে তাকে জিজিয়া কর দিতে হবে। তাহলে দেশ স্বাধীন করা অমুসলিমরা এটা মেনে নিবে কেন?


মুসলিমরা অসভ্য বর্বর তা বারবার প্রমানিত। ইসলাম প্রতিষ্টা হয়েছে বর্বরতার মাধ্যামে। ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মদের বর্বরতার কারনে ইসলামের জন্ম। আজও তার নমুনা আমরা সিরিয়া ইরান সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলাতে দেখতে পাই। সম্প্রতি ভারতে একটা ইস্যু নিয়ে হিন্দু সংখাগরিষ্ট দেশে ইসলাম পন্থিরা কি ভাবে বর্বরতা চালিয়েছে তা বর্তমান ইসলামের আরেকটা নমুনা। বেধর্মদের হত্যা করো তাদের নারীদের বন্ধি করো লুটপাট করো ধর্ষন করো সমরাজ্যরাদ প্রতিষ্টা করো এটাই ইসলামের মূল লক্ষ। ইসলাম যেখানে প্রবেশ করেছে সেখানে মরুভূমিকে পরিনিত হয়েছে। অফ্রিকার দেশ গুলাতে ইসলাম বোকা হারামের মতো বর্বর গোষ্ঠি জন্মদিয়েছে সেখান কার শিক্ষা প্রগতিশীলতা চামড়া ইসলামে তুলে হত্যার লুটপাটের রাজত্যা চালু করেছে ইসলাম। আই এস এর বর্বরতা সবার জানা যারা জিহাদের স্বপ্ন দেখে আইসে যোগ দিয়েছে তাদের মুখের বর্ণনা ছিল ভংয়কর। এটা তো ছিল ইসলামে সমরাজ্যরাবাদ এছাড়াও ইসলাম কেড়ে নিয়েছে নারীদের সম্মান মেয়েদেরকে শস্য ক্ষেত্র বিছানার অপ্সরী কল্ঙকা অপায়া বেহায়া করেছে। বর্তমান অধুনিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো ইসলাম। বর্তামনে অধুনিকতা সব ইসলামে হারাম। কারন মুহাম্মাদ জানতো না যে পৃথীবি একদিন আধুনিক হবে ইসলামের পদতলে ফেলবে। 


ইসলাম মানব জিবনের জন্য সমেস্যা ইসলাম রাষ্ট্র জিবনের জন্য সমেস্যা। ইসলাম ব্যাক্তি জিবনের জন্য সমেস্যা। নারী ঘৃনা হত্যা লুটরাজ ছাড়া যেখানে কিছু নেই সেখানে শান্তি সেটাকে রাষ্ট্র ধর্ম করে বর্বরতার ঘুগে আবার ফিরে যাওয়ার নামই ইসলাম প্রতিষ্টা ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করা।


এবার আপনি বিবেচনা করুন কিসের ভিত্ততে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করবেন। যদি দেশকে মরুভূমি করতে চান হত্যার লুটরাজ চালাতে চান প্রগতিশীলতার পথে কাঁঠা ছিটাতে চান তাহলে বলুন ইসলাম কে রাষ্ট্র ধর্ম করতে। তাছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কোন মতামত নেই।


-- সজিব হোসেন


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...