সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারী ধর্ম ও সম্মান

 রাষ্ট্র সমাজ পরিবার শিক্ষা সব যদি নারীকে সম্মান দেয় তাহলে নারী প্রতি নির্যাতন নারী ধর্ষন নিপড়নের শিকার হচ্ছে কেন। আসলে কি শিক্ষাটা পরিপূর্ণ হচ্ছে নাকি শিক্ষার নামে নারীকে তার অবস্থানে রেখে পুরুষতান্ত্রিকতার ঝালায় করা হচ্ছে।

আপনি যতই বলেন নারীকে সম্মান করো নারীকে নারী নয় মানুষ ভাবো কাজ হবেনা। কারন প্রত্যেক মসুলমান নারীকে যৌন্যবস্তু বা ভোগের বস্তুই ভাববে। তাহলে এই ভাবনার কারন কি? বহু কারন আছে প্রথমে শুরুর দিক থেকে শুরু করি। ইসলাম ধর্ম মতে মানবজাতির সুচনা হয় আদমের মাধ্যামে। "এবং নিশ্চয় আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তোমাদের আকৃতি প্রদান করেছি অতঃপর আমরা ফেরেশতাদের বলেছি তোমরা আদমকে সেজদা (আনুগত্য) কর। (সূরা আল আরাফ ০৭ : ১২)" এখানে আদমকে সৃষ্টি করার পরে ফেরেস্তাদিগকে বলে হয় আদমকে সেজদা করতে কিন্তু প্রসঙ্গ অন্য। আদমকে মাটি দ্বারা তৈরি করার পরে এবং তার ভিতরে বিবেক বুদ্ধি দেওয়ার পরে আদম একাকি বোধ করছিল। তাই আল্লা আদমের পাজরের (পাছার হাড়) থেকে একটা সুন্দরি নারী তৈরি করলেন তার মনোবাসান একাকিত্ত দুর কারা জন্য। বুঝলেন তো শুরু কোথা থেকে। আর কি পরে যেতে হবে? হবে চলেন যাচ্ছি আগে এখান কার বিষয়টা দেখেনি। বেহেস্তে নারী তথা হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় আদমের সুখ শান্তির জন্য আদমকে খুশি রাখার জন্য। এটা তো গেলো ভোগের কামনা মিটানোর কথা। এবার আসুন দেখি বাংলাদেশে যে প্রতিটা ওযাজ মাহাফিলে নারীদের অবমানানা হেয় করা হয় কোথা থেকে। আদমকে সেজদাহ না করা ইবলিশ(শয়তান) যার নাম ছিলো আজাজিল এবং সে ছিলো বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত। সে চাইতো আদমের জন্য সে বেহেস্তে থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাই তাকেও বেহেস্ত থেকে বের করতে হবে। আর তার জন্য শয়তান সাহেব আদমের কাম মেটানো সঙ্গি কে টার্গেট করেন। তাদর দ্বারা তাকে গন্ধব ফলের রস খাইয়ে বেহেস্তে থেকে বিতাড়িত করেন। তার মানে নারী কল্ঙকা নারী শয়তানের দুত নারী বেস্যা বলে ওয়াজ করা হুজুররা সামজিক পারিবারি নয় বরং ধর্ম থেকে ধর্মীও প্রতিষ্টান মাদ্রসা থেকে এসব রূপকথার গল্পগুজবের মাধ্যামে শিখেছে। যেখানে যে ধর্মে সূচনা থেকে নারীকে ভোগের পন্য যৌন্য চাহিদা মিটানোর বস্তু এবং তারপর নারীদের শয়তানের দূত বাচ্চা উৎপাদনের মেসিং বলা হয় সেই মতবাদ সেই ধর্ম পালন করা মামুিন মুসলিমরা নৈতিকার শিক্ষা নিয়ে নারীদের সমমর্যাদা দেবে এটা আকাশে চাঁদ হতে পাওয়ার মতো ঘটনা হয়ে গেলোনা।

এটা তো গেলো রূপকথার গল্পের প্রথম পাঠ দ্বিতীয়ত হলো এই ধর্মের একটা গ্রন্ধ আছে যেটাতে নাকি নারীদের বহুত মর্যাদা দেওয়া আছে চলুন দেখে নি কি মর্যাদা দিয়েছে ইসলামে নারীদের

ইবনু উমার হতে বর্নিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন: ছোঁয়াচে ও শুভ-আশুভ বলতে কিছু নেই। অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে [২০৯৯:মুসলিম ৩৯/৩৪হা: ২২২৫, অহমাদ ৪৫৪৪ আধুনিক প্রকাশনী -৫৩৩৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৯]


 উসামা ইবনে যায়েদ (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন : আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক বিপর্যয় আর কিছু রেখে যাবো না। [সহিহ বুখারী ৫০৯৬ মুসলিম ২৮৪০, ২৮৪১ তিরমিযী ২৮৮০ ]

 আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু'জন নারীর অংশের সমান [সুরা নিসা আয়াত:১১ ]

 দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দু'জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। [সুরা বাকারা আয়াত: ২৮২]

 তারপর যদি সে স্ত্রীকে(তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যস্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়, অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলো তাদের উভায়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লার হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃত্ব : নির্ধারিত সীমা; যারা উপলদ্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ননা করা হয়। [ সুরা বাকারা আয়াত: ২৩০]

 আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথার্থ ভাবে পুরন করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই,তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশাস্কা কর যে, তাদের তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরন বজায় রাখতে পারবে না, তবে একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হাওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা [সুরা নিসা আয়াত: ৩]

আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। [সুরা বাকারা আয়াত: ২২৮]



তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদের প্রদর্শন করবে না। [সুরা আহজাব আয়াত: ৩৩

আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও,তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহর কর। তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পখ অনুসরন কর না [ সুরা নিসা আয়াত :৩৪]



 তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র, তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। [সুরা বাকারা আয়াত: ২২৩]



 স্ত্রীকে কেন প্রহর করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞসা করা হবে না। [ আবু দাউদ, বই নং-১১ হাদিস ২১৪১]



 হয়রত আয়শা হতে বর্নিত,তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যাথা দিল। [ সহিহ মুসলিম বই-৪ হাদিস ২১২৭]



মহানবী (সা:) বলেছেন : স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে না আসায় তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সে স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতাগন ভোর হাওয়া পর্যন্ত লা'নাত করতে থাকে [ সহিহ মুসলিম হাদিস: ৩৪৩৩]


লিখেছেন- সজিব হোসেন 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...