এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বাংলাদেশ ও বিষের গল্প

 বাংলাদেশ ও বিষের গল্প


৭১ বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়। দেশের মানুষ তখন একটা বিবস্ত্র ধংস হয়ে যাওয়া একটা স্বাধীন বাংলাদেশের বুকের উপরে দাড়িয়ে ছিলো। বাংলাদেশের পতাকা এমনি এমনি হয়নি। এদেশের হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান মা বোনের ইজ্জত রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। বলা যায় সাধের থেকে কষ্টের বেসি। দেশ চালাতে গেলে যে সংবিধার লাগে সেই সংবিধান প্রননিত হয় ১৯৭২ তথা স্কাধীনতার ১ বছর পরে। তার মূল ভিত্তি ছিলো কি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র। কারন দেশের মানুষের মানে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের জন্য নয় বরং সবার জন্য দেশটা উনমুক্ত করে দিয়েছিলো। স্বাধীনতা আনতে যেমন এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে হয়েছে স্বাধীনতা রক্ষা করতে তেমনি রক্ত দিতে হয়ে কিন্তু মানুষের নয় হিন্দু বৌদ্ধের শুধু রক্ত নয় ইজ্জত গহনাগাঁটি জমিজমা ইজ্জত  সব দিতে হয়েছে। স্বাধীনতার পরপরিই ইজরাইল আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে আমারা নেয় নি। আমাদের নেতা নেয় নি তিনি মুসলিম দেশের সাথে সম্পর্কে জড়াতে চান তাই ইহুদি কাফেরদের সাথে কোন সম্পর্কে জড়ান নিয়ে। যে কুলঙ্গারা দেশে বসে দেশের বিরোধীতা করেছে সেই রাজাকার বাহিনীর তিনি নিজে ক্ষমা করেছেন কিন্তু মুসলমান বেয়িমান সেটা ৭৫ প্রমান করে দিয়েছে।


মূল কথায় আশা যাক ধর্মনিরপেক্ষতান ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া দেশটার প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী একএকটা সৈরাচারী মতো আচারন করেছে। প্রথমে এরসাদ তিনি ক্ষমতাই আসলেন ক্ষমতার দীর্ঘ দিন থাকার জন্য কাল সাপ নামক ইসলামী জঙ্গি গোষ্টি পাললেন দেশটাকে ধর্মনিরপেক্ষতার বাদ দিয়ে ইসলামী করন করলেন। শুক্রবার পবিত্র বার হিসেবে ঘোষনা ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর বিএমপি তো স্বয়ং স্বাধীনতা বিরোধীদের কোলে তুলে নিলেন। জামাতের দোসরা একসময় আওয়ামীলীগের উপরে ভর করলেও বিএমপি তাদের মূল জাগা হয়ে গেলো। ইসলামী মতাদর্শ ধারন করা এই স্বাধীরতা বিরোধি দলটি ক্ষতায় গিয়ে দেশটাকে পুনারইবৃত্তি পাকিস্তানে পরিনতি করলেন। জালাও পুড়াও ধর্ষন করো ইত্যাদি মানে ইসলামে যেসব শিক্ষা আছে আর কি।


এক সময় আমি এসব জেনে বুঝে একটা আশা করতে পারতাম। প্রগতিশীল দল হিসেবে আওয়ামলীগকে পছন্দ করতাম। কিন্তু ওই যে পাছায় গু। গুটা হলো 'ইসলাম'। ইসলামের গু যার পাছায় লেগে আছে জঙ্গিবাদী মর্তাদর্শ যে ধারন করে বেড়ায় তার তো মাখা নষ্ট হয়ে গেছে বহু আগেই কি করা যাবে তখন।


দেখতে তো পাচ্ছি দেশের অবস্থা ইসলামীষ্টরা কি করতে পারে। দেশটাকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। এদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা মুছে গেছে বহু আগে যেখানে হিন্দু মুসলিম নেই তাদের হত্যা ধর্ষন রোগ বধ করা হচ্ছে সেখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকতে পারেনা। অসাম্প্রদায়িকতার মুখস পরা বাংলাদেশে হেফাজত পঠ্য বয় থেকে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দিতে বলে আমাদের নৈরাজ্যবাদ নেত্রী সেটা মানেনে। সরকারী টাকায় মসজিদ নির্মান করে জঙ্গিবাদের আতুঘর তৈরি করে দেন। তার পক্ষে আইন তৈরি করে তাদের বাংলা স্থান বানানোর স্বাপ্নকে এক ধাপে এগিয়ে দেন তিনি। দুধ কলা যে তিনি কাল সাপ দের দিচ্ছেন কারন কাল সাপেরা সব পরে।


কাল সাপেরা বিশ্বার করে তারা যখন যুদ্ধের জন্য ময়দানে নামে তাদের সাথে ফেরেস্তা থাকে। এই কাল সাপেরা ইসলামী মতার্দশে যারা চেয়েছিল দেশটা পাকিস্থান থাকুক কিন্তু তা হয়নি বিধায় তারা আবার এখন চায় দেশটা বাংলা স্তান হয়ে যাক। যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আউড়ে বেড়াচ্ছিল সেটা খেয়ে দিলো ইসলাম।


আজ বাক- স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। পঠ্যা বই থেকে শুরু করে নারীদের হেয় করা সমাজিক কাজকে আসামজিক ঘোষনা দেওয়া মূলোতো এই এক শ্রেনীর কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।


বিস্তারিত বলতে গেলে ইসলাম যার বা যে জাতির ভিতরে গেড়ে বসবে সে জাতু পঙ্গু হয়ে যাবে। ইসলামী একটা বর্বর ধর্ম একটা ভংয়কর মতাদর্শ। এই যে কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাই বোমা হামলা হলো কোন মতাদর্শের লোক করেছিল? হর্লি অটিজনে কে অস্ত্র হাতে নিয়ে গিয়েছিল। টুইন টাওয়া বাংলাদেশে একসাথে সিরিজ বোমা হামলা পোট্টোল মেরে বাস পুড়ানো জালাও পুড়াও করা এসব কোন মতাদর্শের লোক করেছিল। ইসলাম ধর্মের লোক করেছিল। ইসলামী মতবাদে বাস করা লোক করেছিল। এখন দেশে মডেল মসজিদ হচ্ছে মাদ্রসারার হুজুর সরকারি বেতন পেচ্ছে আর বাচ্চাদের পোদ মারছে এসবের শিক্ষার কি নাস্তিক হিন্দু দিয়ে এসেছে নাহ্। এগুলা ইসলামী শিক্ষা। 


যে ইসলাম বরাবরি এ জাতির ভিতরে গেঁথে দিয়েছে এখন সেই ইসলামের দায় এই জাতির টানতে হবে। দেশে বাক- স্বাধীনতা নেয়। অন্য ধর্মের মানুষ নিপড়ন হচ্ছে গণতন্ত্র নেয় আছে শুধু ধর্ম আজান ধর্ষন মাদ্রসার শিশু নির্যাতন যাহা সবগুলা ইসলামের শিক্ষা। এতো সবে শুরু দেওয়ালে এবার পিঠ নয় দেওয়ালি গায়ে পড়বে শুধু দেখো ইসলাম কি ভাবে একটি সভ্যতাকে একটি দেশ কে ধংসে পরিনতি করতে পারে।


লিখেছেন : সজিব হোসেন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ