সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গনতন্ত্র বনাম সেনাতন্ত্র

মিয়ানমারে মানুষ মরছে গনতন্ত্রের জন্য এরকম সারা পৃথীবিতে মরছে মানুষ। কোথাও গনতন্ত্র কোথাও রাজতন্ত্র আবার কোথাও কথিত সমাজতন্ত্রের নামে। মরছে কিন্তু সেই মানুষগুলোই। খবরের কাগজে দেখাচ্ছে মিয়ানমারে ৩৮ জন মানুষ মরছে সামরিক শাষকের হাতে। কিন্তু আসল খবর কি কেউ জানে? সেনাবাহিনী কি সেই খবর বাইরে আসতে দেয় নাকি কৌশলে যা ঘটছে তার নমুনার খবর প্রকাশ করে। আমি ঠিক জানিনা মিয়ানমারে কবে নাগাত গনতন্ত্র আসবে। গনতন্ত আসলেও কি সে দেশের মানুষের মুক্তি ঘটবে। বলেই রাখা ভালো স্বাধীনতা আর মুক্তি একই ব্যাপার না।

যাই হোক একটা নিউজে দেখলাম মিয়ামারের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বরতা দিয়ে বলছে তারা সকল অন্তর্জাতিক চাপ সহ্য করেছে যা তারা এখনো পারবে। মূলোতো চীনের সমর্থনে এসব বলছে সাথে রাশিয়াও আছে। তাহলে সব অন্তর্জাতিক চাপ টাফ এসব ভুয়া।

আসল কথায় একটু পানি ছিটিয়ে দেখি বার্মায় যে মানুষ মরছে তারা কারা সেনাবাহিনী অস্ত্র গোলাবারুদ রসদ খাদ্য কোথা থেকে পাচ্ছে কিসের জোরে তারা কারো কাছে নত হচ্ছে না। চীন সময়মতো মিয়ানমারে জলবিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, খনিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রায় ৬২টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।’ চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁদের প্রাচীন বাণিজ্য পথ সিল্ক রুটের পুনরুজ্জীবনের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। চীনের এ মহাপরিকল্পনায় মিয়ানমার যুক্ত। এ লক্ষ্যে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ‘চায়না-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডর’ নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি বাস্তবায়িত হলে তা চীনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যের পথ অবারিত করে দেবে। বলা হচ্ছে এই চুক্তি অনুযায়ী নির্মিত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের সঙ্গে মিয়ানমারের মান্দালয়-ইয়াঙ্গুন এবং রাখাইন প্রদেশের চকপিউকে সংযুক্ত করবে। চকপিউতে চীন তার কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলতে আগ্রহী এবং এখানে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।

চায়না-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের মূলে রয়েছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। চীনের এই উদ্যোগের পেছনে কাজ করছে তাদের প্রাচীন ঐতিহাসিক সিল্ক রুট পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পশ্চিমের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য পথের পুনঃসংযোজন। চীন তার এ লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘদিন যাবৎ মিয়ানমারকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ সমর্থনের পেছনে চীনের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিদ্যমান। অর্থনৈতিক উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে চকপিউ–কুনমিং গ্যাস পাইপলাইন। ২ হাজার ৫২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন রাখাইনের চকপিউ থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ চীনের কুনমিংয়ের রুইলিতে শেষ হয়েছে। এ গ্যাস পাইপলাইন বছরে ১২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাস রাখাইনের থা শোয়ে গ্যাসফিল্ড থেকে দক্ষিণ চীনে সরবরাহ করবে।

চকপিউ-রুইলি (কুনমিং) গ্যাস পাইপলাইন রাশিয়া–চায়না জ্বালানি তেল পাইপলাইন, মধ্য এশিয়া–চায়না পাইপলাইন এবং মালাক্কা প্রণালি জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার পর চীনের জন্য এটি হবে চতুর্থ কৌশলগত জ্বালানি সরবরাহ পাইপলাইন। চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনে চীন ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর থেকে পুরোদমে গ্যাস সরবরাহ পেয়ে যাচ্ছে। চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইন কৌশলগতভাবে চীনকে মালাক্কা প্রণালির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের পাশাপাশি চীন জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্যও পাইপলাইন স্থাপন করেছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে চীন রাখাইন থেকে বছরে ২২ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল তার দক্ষিণ অঞ্চলে সরবরাহ করবে। মিয়ানমার এ গ্যাস ও তেল পাইপলাইন থেকে বছরে ২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস এবং ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল গ্রহণ করছে। কলিন কো সিঙ্গাপুরের নানইয়াং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর মন্তব্যে বলেন, মিয়ানমার চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান। চীন বিকল্প পথ হিসেবে মিয়ানমারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ৮০ শতাংশ গ্যাস ও জ্বালানি তেল আমদানি করতে সক্ষম হবে।

চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে চীন তার অন্যান্য অঞ্চল ছাড়াও ইউনান, ঘুজলিয়ন ও গোয়াংজি—এই তিন প্রদেশে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছে। চীন এখন কুনমিং থেকে চকপিউ পর্যন্ত সড়ক সংযোগ গড়ে তুলছে। এ প্রসঙ্গে মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতীর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টার বলেন, ‘মিয়ানমারে চীনের প্রধান আগ্রহ মিটশোনে নয়, বরং চকপিউ। ইউনান থেকে চকপিউ পর্যন্ত দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ, চকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চকপিউকে ঘিরে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল—চীনের ভূবেষ্টিত ব্যাপক অঞ্চলকে ভারত সাগরে অবাধ প্রবেশের এক অবারিত পথ খুলে দেবে। চকপিউকে ভিত্তি করে শুধু বাণিজ্য নয়, চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনেও সচেষ্ট।

চীন ভবিষ্যতে মালাক্কা প্রণালির জ্বালানি তেল আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। চকপিউ–কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনকে ঘিরে চীন Maritime Silk Route গড়ে তুললে তাদের স্বপ্নের রেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়েছে।

কাচিন স্টেটের রাজধানী মিকথিনা থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরে ইরাবতী নদীর উৎসমুখের ওপর মালি কা এবং না মি কাতে নির্মিত হচ্ছে মিটশোনে ড্যাম (বাঁধ)। এই প্রকল্প এলাকা থেকে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা সাগাইং ফল্টের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। তাই পরিবেশ ও প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বিকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে আরও অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে এই বাঁধ নির্মাণ ২০১৫ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে মিয়ানমার-চীনের সম্পর্কে সে সময় বেশ টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপকতা এবং এ সমস্যায় মিয়ানমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলে চীন মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের প্রস্তাবে একের পর এক ভেটো দিয়ে চীন মিয়ানমারকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে। এই সূত্রে মিটশোনে ড্যাম নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের কালো মেঘ কেটে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হলেও তা যেন আবারও স্থানীয়দের বাধার মুখোমুখি হতে চলেছে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালে শেষ হতে যাওয়া মিটশোনে ড্যাম নির্মিত হলে এ জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের উত্পাদনক্ষমতা হবে ১৩ হাজার ৩৬০ মেগাওয়াট। উত্পাদিত বিদ্যুতের প্রায় পুরোটাই যাবে চায়নায়। চায়না পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির হিসাবে এ প্রকল্প থেকে মিয়ানমার বছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী ৫০ বছরে সাকল্যে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। চীন ও মিয়ানমার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তিনটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

সুতারাং মিয়ানমার স্বয়ং একটা চীন। চীনের ব্যাবসায়ী স্বার্থ ও মুনাফা লোভী দ্বিচরিতা মিয়ানমারকে একটা জলন্তু কুপ তৈরি করে রেখেছে। মূলোতো শাষন ব্যাবসায়ী স্বার্থ মুনাফার জন্য দমন নিপড়িন এমন কি হত্যা করতে পারে শাষক গোষ্টি যার জলন্তু উদাহরন এখন মিয়ানমার।

তথ্যাসূত্র : BBC এবং প্রথম আলো।

লিখেছেন : সজিব হোসেন (Sajib Hossain)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...