এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Education Business

আইনস্টাইন একাবার বলেছিলেন 'জ্ঞানের চেয়ে বেসি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কল্পনাশক্তি। তিনি শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন প্রত্যেক ব্যাক্তির মধ্যে যে অন্তর্নিহিত সৃজনী ক্ষমতা কল্পনাশক্তি ও সুপ্ত প্রতিভা থাকে তার বিকাশ ঘটা। আইনস্টাইন যে ধরনের শিক্ষাব্যাবস্থা, অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষক ও প্রযোজন বোধ করেছিলেন তা আমাদের নেই, সেই কথা বলাই বাহুল্য। ব্রিটিস ঔপনিবেসিক সরকার কেরানি তৈরির জন্য যে শিক্ষাব্যাবস্থার প্রচলন করেছিলেন সেই শিক্ষাব্যাবস্থা ও দর্শন আমাদের এখনো কায়েম আছে।

বিশ শতাব্দীর প্রভাবশালী দার্শনিক মিশেল ফুকোর বিশ্লেসণ অনুযায়ী, বিদ্যালয়, সামরিক বাহিনী এবং কারাগার হলো বর্তমান সমাজের ও রাস্ট্রের কেন্দ্রীয় সংগঠন। এবং এসব সমাজ ও রাষ্ট্রে সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যাক্তির ওপর নজরদারি চালানো এবং তাকে দাস বানিয়ে রাখা। এসব প্রতিষ্টানের সহযোগীতায় প্রচলিত শিক্ষার যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষের বা বাক্তির সৃজনীশক্তি নিঃশেষিত করা এবং তার দেহ এবং চিন্তা চেতনাকে পোষ মানানো। আর এই ভাবে রাষ্ট্র সংগঠন অধিকাংশ ব্যাক্তি হয়ে উঠে রাষ্ট্রের একান্ত বাধ্যগত প্রজা-যা রাষ্ট্রচালকদের খুবই মনঃপূত;কেননা খেয়াল -খুশিমতো শাসন চালানোর জন্য পোষ মানা প্রজাকুল অতীব উপযোগী।

প্রচলিত বিদ্যালয়ের ছকে বাঁধা শিক্ষায় সৃজনশীল ও মৌলিক চিন্তার অধিকারী বাক্তির যেমন আকাঙ্খা মেটাতে পারেনা তেমনি উত্তর পায় না তাদের অনন্ত জিজ্ঞাসার। যার ফলাফল আমাদের নজরুল, তাকে স্কুল পালাতে হয়। মিসেল ফুকো কিংবা আইনস্টাইন প্রচলিত বিদালয়ের ছকে বাঁধা শিক্ষার বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠে। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগজ কলমের নিয়মে শাষক শ্রেনীর শাষন চলে এবং দাস বা বাধ্যগত গোলাম তৈরি করে। ব্যাক্তি বন্চিত হয় প্রকৃতি থেকে যেখানে ঝরাপাতার মরমর ধ্বনি, প্রকৃতির অবারিত বাতাস, পাখিদের কলকাকলি কিংবা ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি দেখতে পাই না। নিয়ম মাফিক রুটিন বাঁধানোর ফলে বিজ্ঞানের বাণান ঠিক মতো লিখতে শিখতে পারেনা বিজ্ঞান তো দুরের কথা।

এদেশের বিদ্যামান বিদ্যালয়-মাহবিদ্যালয়, এমনকি বিশ্ববিদালয়গুলোতে পাঠদান হয় যান্ত্রিক বা একঘেয়ে এবং বিক্তিকর পদ্ধিতি। কেরানি তৈরির শিক্ষাব্যাবস্থা এবং একঘেয়ে পাঠদান এবং সুপন্ডিতের অভাবে শিক্ষার অন্তঃপ্রাণ হয়ে উঠে অনাগ্রহোদ্দীপ ও দুগ্রাহী। এখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাক্তির কল্পনাশক্তি সৃজনী ক্ষমতা ও সুপ্তপ্রতিভা এবং জানার আগ্রহ তা পুরোন করার জন্য যে ব্যাবস্থা দক্ষ শিক্ষক যা কিছুর প্রযোজন তা নেই। আছে শুধু সাটিফির্কেট অর্জন এর নামে সফলতা। মেধার বিভাজনের নামে শাষন শোসনের। উদ্দেশ্যে ঔপনিবেসিক প্রভুদের বানানো কেরানি তৈরির শিক্ষাব্যাবস্থা প্রচলন।

পৃথীবির এমন কোন স্থান নেই সেখানে একজন ব্যাক্তির সৃজনী ক্ষমতার উপদ্ধতি করে। যদিও কিছুটা তফাত করা যায় উদাহরন সরূপ বলা যায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যখন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করছে তখন এই বিশ্বাবিদ্যালয় স্যানিটাইজর বানায়। তাছাড়া পরজীবীদের প্রভাব এবং রাজনৈতিক নেতার কেরানির তৈরির প্রতিযোগীতাই শিক্ষা হয়ে গেছে পুঁজিপতিদের আরেক ব্যাবসা।

Written by Sajib Hossain

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ