সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

করোনা, গুজব ও মোল্লা

ছোটবেলা থেকে একটা জিনিস শিখে এসেছি আমাদের সমাজের সবচেয়ে গণ্যমান্য সম্মানীয় ব্যাক্তিবর্গ হলেন সামাজের আলেমগন। তাদের সাফেদ পাঞ্জাবি সাদা লাল লম্বা লম্বা দাঁড়ি পথের মদ্ধে কাউকে দেখলে সালাম পাওয়ার একমাত্র যোগ্য তাদেরি থেকে থাকে। সমাজ রাষ্ট্রে এদের যে কারো মতামতকে প্রধান্য দেওয়া হয় নির্রদ্বীধায়। বিচার আচার কিংবা সালিসে তাদের মতমতাকে মেনে নেয় এক কথাই। বলা যায় আইন শাষন থাকার পরেও পুলিসের ওসি পর্যন্ত আলেমের সাফেদ দাঁড়ি ওলার কথা মেনে নেয় এক বাক্যে। এদেশে সমাজে প্রচলনি তেমনটা আছে যে গণ্যমান্য ব্যাক্তি কখনো ভুল বলেনা তাদের ধর্মীও জ্ঞান বেসী থাকাই তাদের কথা মানা আমাদের জন্য মঙ্গল জনক। কোন কোন সময় তো দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সংসদের কর্মকতার ডাকে সাড়া না পেলেও এই আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকে রাজপথে নামে গুলি খাই জিবন দিয়ে দেয় এগুলা স্রেফ আবেগের কারনে, মোহের কারনে। কিন্তু আমাদের আলেম সমাজ তথা সাফেদ দাঁড়ি ওলা ব্যাক্তিগন এই ক্ষমতার সত ব্যাবহার করার থেকে ক্ষমতাকে অপব্যবহার আর উপভোগই বেসি করে।

করোনা ঘটিত দূযোগে যখন প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে তখন এদেশের শীত কালিন সিজেনাল কুত্তার মতো ঘেউ করতে থাকা এই শ্রেনীদের একজন বলেই দিলো যে 'মুসলমানের করোনা হবেনা, মসুলমানের যদি করোনা হয় কুরান মিথ্যা হয়ে যাবে।' তারপরেও মসুলমানের করোনা হয়েছে কিন্তু এতো বড় গুজব বা ধর্ম নিয়ে মানহাকি কর বক্তব্যরের জন্য সেই হুজুরের একটা চুলের গোড়াও উপড়াইনি জনতা কিন্তু এর ভিতরে ধর্মের দুহায় দিয়ে মসজিদে ভিতর থেকে টেঁনে হাঁচড়িয়ে একজন নামজিকে পুঁড়িয়ে মেরেছে। হিন্দুদের ঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট করেছে। তারপর আরেকজন তো আছেই ইংলিশ লিগ খেলা অজানা সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক তার কাছে সব হারাম কোরনা তার কাছে কিছুই না করোনাকে তিনি কেরোনা বলে উপহাস করেছেন। তারপর আরেকজন তো আছেই যিনি মিসরের থেকে ফিলোসফি শেষ করে এখন মালোশিয়াই আয়েশ করছেন তিনি বলে গেলেন করোনা আল্লার সৈনিক এসেছে আল্লার পক্ষ থেকে। ওদিকে করোনার কারনে হজ বন্ধ হয়ে গেলো মসজিদে হারাম বন্ধ হয়ে গেলো মসজিদে নববি বন্ধ হয়ে গেলে। আল্লার সৈনিক আল্লার কাজেই বাঁধা ব্যাতি গ্রস্ত শুরু করলো। আর তিনি শীতের রাতে সামনে ছাগলের পাল নিয়ে আবেগী কথা শুনিয়ে কয়েক কোটি টাকা কামিয়ে পাড়ি দিলেন নিজের বহাল তবিয়তে থাকা রাজ প্রসাদে কিনলেন র্মাসিটিজ। এদেশের ধর্ম প্রাণ গরিব মানুষের টাকাই তারা চড়ের হেলিকাপ্টারে বিমানে কেউ কেউ তো রকেটেও চড়েন শুধু ধর্ম গুলিয়ে খায়োনোর বিনিময়ে। করোনা নিয়ে সবচেয়ে ধূর্তামি করেছেন ভন্ডামি করেছেন এন্টারকোটিক সমৃদ্ধ ক্ষ্যাত ইব্রাহিমোচো। তিনি রিতিমতো করোনার সাথে স্বপ্নযোগে কথা বলতেন ফমূলা সূত্র পেয়েছেন যা দুনিয়ার আর কেউ পাই নি। এছাড়াও তিনি পৃথীবির নিচে সাত আসমান সাত মহাদেশ খুজে পেয়েছে। ইতিহাস জানে হিটলার বহু আগে পগার পার হয়ে গেছে কিন্তু তিনি জানেন হিটলার কোথাই আছে ব্যাপারটা হাস্যকর ছাড়া আর গুজব ছাড়া কি হতে পারে। এই তো গেলে বহু কিচ্ছা।

যেদিন মক্কা মদিনা কারফিউ জারি করা হলো নামাজ বন্ধ করা হলো মসজিদে, তখন এদেশের এক চামড়া ছিলা কাউমি কাবের হুজুর বল্লেন যে সৌদি মদিনা কি করছে দেখবো না আমরা মসজিদে যাবো মারা খাইলে মসজিদে খাবো। অথচ তিনি কবি নজরুলের কবিতার উপমা দিয়ে বলতে পরতেন যে "মিথ্যা শুনিনি, ভাই;এই হৃদয়ের চেয়ে কোন মন্দির-কাবা নাই। 

এদেশের সমাজের আবেগী মানুষগুলা সাফেদ সাদা দাঁড়ি ওলা মানুষ গুলা চিনছিল সেই ২০১৩ সালে ৫ মে। যেদিন পুলিশ বিডিয়ার তিন দিক ঘিরে রেখে একদিক থেকে টিয়ার গ্যাস কাদোন গ্যাস ছুড়ছিল আর অন্য গেট পালানোর জন্য খুলে দিছিলো পালানোর জন্য। সেদিন মানবিক হুজুরের মতো তাদের চ্যালা চুটকা ফেলে পালিয়েছিলো তাদের কথির বড় হুজুরা। একটা প্রবাদ আছে নাহ্ যে পোপের চাইতে খ্রিষ্টান বড় এখনে কথাটা দাঁড়াই মুসলমানের চাইতে কাউমি হুজুর বড়। এই প্রবাদ হইতো কাউমি ছাত্রদের ভিতরে খুব ছোট থেকে ডুকিয়ে দেওয়া হইছিলো তার ফলাফল এই।

অথচ এই সাফেদ পাঞ্জাবি পরা হুজুর গুলা চাইলে বলতে পারতেন মহামারি বা অন্য যা হোক তা আল্লার পক্ষ থেকেই আসে তবে কারো সৈনিক হয়ে নয় কোন জাতি বা বিষেস ধর্মের লোকের উপরে নয়। এগুলা আসে সমগ্র মানবজাতির উপরে আমাদের এগুলা থেকে সাবধানে থাকে হবে ঘোষিত নিয়ম মানতে হবে হাঁত ধুতে হবে স্বাস্থবিধী মেনে চলতে হবে।কিন্তু তারা তা করেনি চিরাচরিত উল্টো পথে হেঁটেছে হাতের কাপড় গুছিয়ে চুমুক চুমুক চা খেয়ে শিতের রাতে গলার রগ ফুলিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের উত্তেজিত করেছেন ভাদ্র মাসের কুকুরের মতো। আবিষ্কার করেছেন আন্টার কোটিক, সাত আসমান,সাত মহাদেশ, ওয়ান ডট কিউ সেভেন প্লাস সিক্স, ইকুয়াল টু র্থার্টী।

এরা কখনো ভালো হবেনা হয়ওনি সম্প্রতী চিনের প্রেসিডেন্টকে এরা মসজিদে এনে ছাড়িয়েছেন, মেসি নেইমারকে এরা টুপি পরে ছাড়িয়েছেন। ভ্লাদিমি পুতিন নাকি তাদের সাথে গোপন বৈঠক করে ফরমূলা নিয়েছেন সেই মিথ্যা ছড়িয়েছেন হইতো সামনের শীতে এরাই বলবে। ইহুদি নাসারা গোপনে তাদের বুন্ধি পর্রামর্শ নিয়ে তাই এই করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছে। হইতো অনেকে বলবে করোনার সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে মুমলমানদের সবাই ভালোবাসে তাদের মানে তাই করোনা এখন চলে যাচ্ছে কিন্তু কথা দিয়ে যাচ্ছে যদি আমার মুসলিমরা কোন ঠাঁসা হয় তারা আবার আসবে। হইতো কেউ বলবে সে খাস দিলে আল্লার কাছে আল্লার সৈনিকরে চলে যেতে বলছে বিধায় তাই করোনা চলে গেছে। তারপর শুরু হবে মিসর থেকে মালোশিয়াই যাওয়ার পথে হিমালয় পর্বতে দেখার গল্প। অক্সফোর্ডের তিন তিন বার শ্রেষ্ট টিচার হাওয়া ইংলিশ লিগে খেলার গল্প নাস্তিক মূর্দাত কাতলের রক্ত গরম করা উষ্ট ভাষণ ইত্যাদি।

Written by Sajib Hossain.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...