এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন

বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন নিয়ে কিছু রিলাজাসেনর কথা বলি। একটা মেয়ে গোসল করছে কিংবা ড্রেস পাল্টাচ্ছে। অনেক ছেলে আছে তা লুকিয়ে লুকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছে। ছেলেটি এতে ফিলিংস পেলেও এটি একটি বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে ভয়েরিজম বলে। দুনিয়াতে এইরকম হরেক কিসিমের সেক্সুয়াল পারভার্শন আছে। অনেকে আছে ভিড়ের মধ্যে মেয়ে দেখলেই শরীর ঘেঁষার চেষ্টা করে, কিংবা কনুই দিয়ে বুক স্পর্শ করে, এটাকে বলা হয় ফ্রটিউরিজম। আবার অনেকে আছে অন্যের সামনে উলঙ্গ হলে বা নিজের যৌনাঙ্গ দেখালে ভাল লাগে। বিশেষ করে মেয়েদের হোস্টেলের আশেপাশে ইচ্ছে করে কিছু লোক প্রসাব করার ওছিলায় পেনিস দেখানোর চেষ্টা করে, এটাকে এক্সিবিশনিজম বলে। স্কুলে থাকতে একবার পাশের পাড়ায় বিচার দেখতে গিয়েছিলাম অদ্ভুত বিচার। গরু মাঠে চরছিল, এক ইয়াং ছেলে গরুর সাথে অকাম করে বসে আছে।  প্রাণীর সাথে এরূপ সেক্স করাকে বিস্টিয়ালিটি বলা হয়

অনেকে আছে অন্যের পেশাব করা দেখে সেক্সুয়াল ফিলিংস পায় এটাকে বলা হয় ইউরোল্যাগনিয়া। মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে, সেটি দেখে যাদের সেক্সুয়াল ফিলিংস জাগে সেটি হল গ্যালাকটোফিলিয়া। শুধু তাই নয়, মৃত নগ্ন শরীর দেখেও অনেকে সেক্সুয়াল ফিলিংস পায়, যেটাকে বলে নেক্রোফিলিয়া। এগুলো সবই সেক্সুয়াল পারভার্শন। কিন্তু সবচেয়ে মারাত্মক পারভার্শন হল পেডোফিলিয়া। শিশুদের প্রতি যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হওয়াকে পেডোফিলিয়া বলে।

গত বছরের নানীর বাড়ি গেছিলাম একবাচ্চার মৃত্যর দাফন করাতে। গিয়ে কিছু পরিচিত লোকের কাছে শুনি এই ছোট্ট বাচ্চাটাকে রেপ করা হয়েছে। যে এই কাজটা করেছে তার বাবা স্নানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাশীন দলের একজন। ঘটনার ধামাচাপ দেওয়া বা মিটমাট হয়ে গেছে। জানতে চাইলাম ঘটনার পরে বাচ্চাটাকে কি হাসপাতেলে নেওয়া হয়নি। সবাই বলছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। গিয়েছিলাম কর্তব্যরত ডাক্তার সাথে দেখা করতে মামাতো ভায়ের পরিচিত ডাক্তার। মামা ডাক্তার হাওয়ার সুবাদে তাদের সাথে সম্পর্ক ভালো। ডাক্তারের ভাস্য মতে মেয়ের মা বাপ কিছুই বলতে পারছেনা মেয়েটির ভ্যাজাইনার ওখানে রক্ত আর বেশ খানিক গর্ত হয়ে গেছে (ছিড়ে যাওয়ার কারণে) তিনি কোন রকমে তুলা গুজে দিয়ে সদর হাসপাতালে রেফার করেছিলের পথি মধ্যেই বাচ্চা মেয়েটি মারা যায়। ঘটনা পরে টাকপয়সা দিয়ে মিটমাট করে ফেলে স্থানীয় মোড়লরা।

যৌন আকাঙ্ক্ষা সবার আছে। অন্যান্য স্বাভাবিক মানবিক বৈশিষ্ট্যের মত এটিও একটা বৈশিষ্ট্য।  আমাদের যেমন যৌন আকাঙ্ক্ষা আছে, তা মেটানোর উপায়ও কিন্তু আছে। তাই বলে নিজেকে পুরুষ হিসবে জাহির করতে কি এইভাবে পুরুষত্বের বর্হিরপ্রকাশ ঘটাতে হবে।সমাজ পুরুষত্বের সংগা হিসেবে আমাদের কি শিখিয়েছে? যেসব পুরুষদের যৌন ক্ষমতা আছে, তাদের পুরুষত্ব আছে, যাদের যৌন ক্ষমতা নেই অর্থাৎ ধ্বজভঙ্গ (যাদের পেনিস শক্ত হয় না)। এদের কর্মকান্ড দেখে আমার তাই মনে হয়। কিন্তু যৌনতাই কি আসলে পুরুষত্ব? সেক্স তো যে কেউ করতে পারে রাস্তার কুকুরও পারে, মানুষও পারে। তাহলে কুকুরকেও কি পুরুষত্ব সম্পন্ন বলব? নিজের পুরুষত্ব দেখাতে গিয়ে যার তাঁর সাথে কুকামে লিপ্ত হওয়া বা সাত বছর বয়সী বাচ্চাকে জোর করে করা কিংবা রাস্তাঘাটে একাকি কোন মেয়ে পেয়ে রেপ করে হত্যা করাই কি পুরুষত্ব? আসলে এগুলো পুরুষত্ব না এগুলো হলো পশুত্ব। পশুত্ব আর পুরুষত্ব এক জিনিস না।



আমি ঠিক জানিনা কি করলে কি ঠিক করলে কোন ভাবে সমাজ পরিবর্তন করলে এগুলা বন্ধ হবে। শুধু উপলদ্ধি করতে পারছি রাজনৈতিক ছায়াতলে থেকে এসব কুকর্ম করা মানুষজনের এদের রাজনৈতিক মতাদর্শ বিলুপ্তি এবং প্রচলিত সমাজতে উপড়ে ফেলে নতুন একটা বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজই পারে এইসব নোংরা জঘ্যন কার বন্ধ করতে। নইতো পুরুষত্বের প্রকাশ করতে গিয়ে এসব নোংরা মানুষজন এই ধরনের কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত করেই যাবে।

Written by Sajib Hossain

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ