সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্মকর্ম গোল্লাই যাক

ধর্মকর্ম গোল্লাই যাক ওসব নিয়ে আর লিখব না।

এখন গাছ নিয়ে লিখব। গাছ একটা প্রযোজনীও উদ্ভিদ যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্রিজেন দেয়। খাদ্য দেয় ছায়া দেয়। বেসি করে গাছ লাগাতে হবে। নইতো দেশটা মরুভূমিতে পরিনতি হবে।

-হোক মরুভূমি। মরুভূমির দেশে আখেরি নবি বিশ্বনবী জন্মেছিল। মরুভূমি আমাদের ইসলামের আংশ আমাদের সুন্নত। বেসি কথা বল্লে কল্লা ফেলে দেবো।

তাহলে চাঁদ নিয়ে লিখব। কি সুন্দর অপরূপ চাঁদ রাতের আকাশে দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। তাছাড়া চাঁদের বিষয়ে বিজ্ঞানিরা এখন অনেক তথ্যা দিয়েছে। কিছু বছর আগে নাসার বিজ্ঞানিরা চন্দ্রবিজয়ও করেছে।

-হ্যাঁ তারা কিছু দিন আগে চন্দ্রবিজয় করেছে।  কিন্তু আখেরি নবী ১৪০০ বছর আগে চাঁদকে দুই ভাগে ভাগ করে আবার জোড়া লাগিয়েছে। তাছাড়া তিনি বোরাকে করে চাঁদে, সাত আসমানে সব জাগায় ঘুরে এসেছে। কি ঠিক তো? নয়ত চাপাতি আর কল্লা বুঝলে এটাই আসল ইসলাম।

তবে আর কি! আমি কবিতা লিখব। প্রেমের কবিতা,কষ্টের কবিতা,হাসির কবিতা,বড়দের ছোটদের নানা রঙের কবিতা।

-হারাম হারাম হারাম কবিতা হারাম। কবিতা লেখার অধিকার আছে একমাত্র বিশ্বকবি কুরআনের পাখি নবি মুহাম্মদের। কবিতা লেখা যাবে না। কবিতা লেখলে কল্লা ফেলে দেবো।

নদী, নদী নিয়ে লিখব "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে" তারপর নদীতে নৌকা চলে, জেলে মাছ ধরে ছেলেপুলে সাঁতার কাঁটে।

-চুপ, আখেরি নবীর দেশে কোন নদী নাই তাই দুনিয়াই নদী হারাম। নদী পাবি জান্নাতে দুধের নদী,মদের নদী,মধুর নদী আরো হরেক রকমের নদী। দুনিয়াই নদী হারাম হারাম হারাম।

এতো কিছুর পরেও যে আমি লিখছি আর বলছি এর মধ্যে আমারি তো মনে নাই লেখাও হারাম।
কারন কুরআনের পাখি আখেরি নবি ছোট বেলাই পড়ালেখা করেনি ছাগলো চরাতো।  সে মূর্খ ছিল লেখতে পড়তে জানতো না এই যে লিখছি এইটাও হারাম।

--- Sajib Hossain

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...