সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যেখানে জিতে যায় একজন....

আমাদের সেই নবযৌবনা বট গাছটা বুড়ো হয়ে গেছে জানো। যে গাছটাতে আমি তুমি নিজেদের অজান্তেই প্রতিনিয়ত ভালোবাসা আর প্রেম দিয়ে আগলে রাখতাম সেই বট গাছটা। তারপর কি হলো একদিন ঝড় এলো প্রচন্ড বাতাসে আমি গাছের গোড়ায় বসেই আছি ওদিকে তুমি ফল খেতে আসা পাখির প্রেমে পড়ে গেছো। ঝড় থেমে যাবার পর তুমি যখন বুঝলে পাখি শুধু ফল খেতে এসেছিলো তখন তুমি আমাকে খুজতে বেরিয়ে পড়লে তেপান্তর। ততদিনে আমি গ্রামের রাস্তার ধুলার সাথে মিসে গেছি। তুমি হইতো তোমার কাছে রাখা গচ্ছিত ভালোবাসার শেষ টুকুও ফুরিয়ে ফেলেছো। আর এদিকে আমার রক্ত কনাতে ভালোবাসা ছাড়িয়ে বিষ হয়ে গেছে। 

এই যে দেখো তুমি এখনো আমাদের বট গাছটাকে নবযৌবনা ভাবো অথচ সে আমাকে বলেছে তার সময় শেষ। তার সাথে আমাকেও নিয়ে যাবে বলে জেদ ধরে আছে। তুমি যখন বট গাছের পাশ দিয়ে চলা ধুলোর পথে ফল খেতে আসা পাখির সাথে মানের আনন্দ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলে তখন বটবৃক্ষ আমাকে জোর করে চুক্তি করিয়ে নিয়েছে যে তোমার চটিজুতার ধুলা হয়ে থাকতে। তুমি আবার এসেছো চুক্তি করতে সন্ধি করতে জিবনের উচ্চ শিখরে পৌছাতে। এদিকে আমি আমার চুক্তির শর্ত পুরোন করার জন্য তিব্রতা বোধ করছি। তুমি জানো ফল খেতে হইতো এখনো অনেক ফিঙ্গেরাজারা আসে তোমাকে দেখে চাই বলে 'ভালোবাসি' এদিকে আমি তোমার পায়ের চটিজুতায় মিসে আছি। তুমি থাকলে রাস্তা থাকলো আর থাকলো তোমার ফল খেতে আসা পাখিটা অথচ বটবৃক্ষ বড্ড বেয়াদপ আমাকে সাথে করে নিয়েই যাবার যে জেদ ধরেছিলো যে চুক্তি ছিলো সেখানে থেকে সে রেহায় দিলোনা। জিবনটা বড্ড বেমানান। এক চিমটি ভালোবাসা জন্য হাজার বছরের যে পথ আমি পাড়ি দিতে দিতে এখানে এসে পৌছালাম এসে দেখি সেখানে অন্য কেউ হাত ধারে বসে আছে। 

কঠিন সত্য কি জানো বট গাছটার যৌবন যখন নবদিপ্ত ছিলো তখন সে আমার কানের কাছে এসে বলেছিলো একজনিই জিতবে মাত্র একজন।।

লিখেছেন: সজিব হোসেন / Sajib Hossain

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...