সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুরুজ সিরিজ: পর্ব ২০:

 গত কিছুদিন ধরে আস্তিকদের বিভিন্ন যুক্তি দেখে,সেই সম্পর্কিত কুরআনের আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করে আস্তিকদের ভন্ডামীটা বুঝতে পেরেছে রবি। শুধুমাত্র যেটা আস্তিকদের পক্ষে যায় সেটা তুলে ধরে,ঐ সম্পর্কিত যে আয়াতটা তাদের বিরুদ্ধে যায় সেটা গোপন করে আস্তিক তার্কিকরা! এভাবে নিজেরা কিছু সুবিধা অর্জন করে নিলেও সেটা তো বড়ো কোনো ক্ষতি করছে না মানুষের! তাই সে সুরুজকে জিজ্ঞাসা করলো,"ধর্ম দিয়ে নাহয় কিছু ভন্ড লাভবান হলো,ভুল বিশ্বাসে করা আস্তিকদের প্রার্থনা বিফলে গেলো,কিন্তু অনেকেই বলে 'ধর্ম মানবতার শত্রু',সেটা কেন?
"
.
সুরুজ: আমাদের দেশে যে মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়,সেটা কি মানবিক না অমানবিক? তেমনি ধর্মের নামে জঙ্গীরা বিভিন্ন দেশে যে মানুষ হত্যা করছে সেটা কি অমানবিক নয়?
.
রবি: অবশ্যই অমানবিক। তবে মুসলিমরা তো দাবী করে এসব ইহুদী খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্র!
.
সুরুজ: প্রথমত, যদি মুসলিমদের দাবি মেনেও নিই,তাহলেও এগুলোর জন্য ধর্ম দায়ী। ইহুদী, খ্রিষ্টান, মুসলিম যারাই এগুলো করুক,তারা আস্তিক এবং ধর্মে বিশ্বাসী।
.
কিন্তু কথা হলো,একটা রাজনৈতিক দল হরতাল/অবরোধ আহবান করলে সেটা ব্যবহার করে অন্য কেউ সহিংসতা করলেও তার দায়ভার সে দল এড়াতে পারে না। কেউ যুদ্ধের আহবান করলে সে যুদ্ধের ঘোষণার সুযোগ নিয়ে অন্য কেউ হত্যাকান্ড চালালেও সেটার দায়ভার যুদ্ধ ঘোষণাকারীর উপরই বর্তায়। কুরআনে বহু আয়াতেই জিহাদ,কাফির,মুশরিক, আহলে কিতাবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদের হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে,তাই মুসলিমরা অমুসলিম হত্যাকান্ডের দায় এড়াতে পারে না।
.
রবি: কিন্তু মুসলিমরা তো দাবি করে এসব আয়াত যুদ্ধের বিশেষ পরিস্থিতিতে নাযিল হয়েছে,তাই এসব বিধান সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়।
.

সুরুজ: প্রথমত,কুরআনকে সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য দাবী করা মুসলিমরা এসব হত্যা ও যুদ্ধের আদেশের প্রসঙ্গ আসলে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ঐসব আয়াতকে যুদ্ধের জন্য সীমাবদ্ধ বলে দাবি করে। আস্তিকদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়েই আস্তিকদের গুরুরা সত্য গোপন করে এমনটা বলে। যেখানে প্রকৃত সত্য হলো,সুরা আত তাওবা (নাযিলের ক্রমানুসারে ১১৩ তম সুরা,শেষেরটার(নসর) আগেরটা) কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নয় বরং ১০ম হিজরির হজ্জ্বের সময় নাযিল হয়েছিল। সে সুরাতেই বলা হয়েছে,
.
"অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
-সুরা আত তাওবা,আয়াত ৫
.
এখানে নিষিদ্ধ মাস বলতে সুরাটির ২য় আয়াতে মুশরিকদের দেয়া চার মাসের আল্টিমেটামের কথাই বলা হয়েছে।

.
যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াই হজ্জের সময়ে এমন ঘোষণার পরও কেউ কিভাবে বলে এসব শুধু যুদ্ধ পরিস্থিতির আয়াত?
.
এর পরের আয়াত,
"আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না।"
.
আয়াতটি আপাতদৃষ্টিতে মানবিক মনে হলেও এখানে মুশরিকদের জ্ঞানহীন বলে অবজ্ঞা করে,আল্লাহর কালাম শুনতে বাধ্য করে,নিরাপদ স্থানে(জন্মভূমি মক্কার বাইরে) পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। বড়ই মানবিক, তাই না? এমন মানবিক আয়াতের বলেই বলেই,আমাদের দেশ থেকেও(জন্মভূমি) হিন্দুদের মুসলমানেরা বিতাড়িত করেছে,জোর করে কালেমা পড়তে বাধ্য করেছে,তাদের বিভিন্ন অবজ্ঞাসূচক কথা শুনিয়েছে!

.
আবার,এই সুরাতেই মুশরিকদের অপবিত্র বলে তাদের পিতৃপুরুষদের উপাসনালয় কাবার নিকটে যাওয়ার মতো অমানবিক, ঘৃণ্য বিধান দেওয়া হয়েছে,
.
"হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।"
-সুরা আত তাওবা,আয়াত ২৮
.
অমুসলিমদের অপবিত্র মনে করে ঘৃণা ছড়ানো,পূর্বপুরুষদের উপাসনালয় থেকে কাউকে বিতাড়িত করা কিভাবে মানবিক হতে পারে? এই আয়াতে আরেকটা বিষয় স্পষ্ট, কাবা দখলের প্রধান কারণ ধর্মীয় নয়,অর্থনৈতিক। কাবায় আরবের অধিবাসীদের তীর্থযাত্রা,পশুবলি ও একে ঘিরে বাণিজ্যের ফলে মুশরিকরা অর্থনৈতিকভাবে কাবা থেকে লাভবান হতো,সেই লাভের জন্যই মুসলিমরা কাবা দখল করে,কিন্তু প্রচন্ড ঘৃণা ছড়ানো মুহাম্মদ কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে মুশরিকদের কাবায় আসা নিষিদ্ধ করলে,অর্থনৈতিক যে লাভটা কমে যাবে সেটাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে এ আয়াতে। এই যে উপমহাদেশে মন্দির-মসজিদ পাল্টাপাল্টি ভাঙ্গা হচ্ছে,এর পেছনেও এ আয়াত বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

.
এছাড়াও এ সুরায় বলা হয়েছে,
.
" তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।"
-সুরা আত তাওবা,আয়াত ২৯
.
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট ইহুদী, খ্রিষ্টানরা মুসলমান না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে মুসলিমদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি শেষের দিকের সুরা হওয়ায় এ আয়াতটি অন্য আয়াত দিয়ে রহিত ও করা হয়নি,এর মানে এ আয়াতের যুদ্ধের নির্দেশনা এখনও বলবৎ আছে। পৃথিবীর ২০০ কোটি+ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ থাকা ধর্ম/ধর্মগ্রন্থ কি মানবতার শত্রু নয়? এখন বিশ্বে যেসকল ইহুদি খ্রিষ্টান হত্যাকান্ড হচ্ছে তার দায় কি ইসলাম এড়াতে পারে?
.
রবি: কিন্তু,জঙ্গিরা তো মুসলিম ও মারছে! সেটা কি কুরআনে আছে?
.
সুরুজ: সুরা তওবার ৪৯তম আয়াত অনুসারে যারা জিহাদ করে না(জিহাদ থেকে অব্যাহতি চায়),তারা কাফের ও জাহান্নামী!
.
"আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে।"
.
একই সুরার ৭৩ নং আয়াতে বলা আছে,
"হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের(যে মুসলিমরা অন্তরে অবিশ্বাস গোপন করে) সাথে,তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।"
.
এ থেকে স্পষ্ট, যারা জিহাদ করে না,তাদের কাফের বা মুনাফিক আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গেও যুদ্ধ করার নির্দেশ রয়েছে কুরআনে! কুরআনের আদেশ অনুযায়ীই জঙ্গীরা মুসলিমদের(নামধারী) হত্যা করে।

.
রবি: কুরআন অনুযায়ী তো তাহলে সহীহ মুসলিম এখন নেই বললেই চলে, যেহেতু অধিকাংশ মুসলিম যুদ্ধ করে না।
.
সুরুজ: ঠিক বলেছিস,জঙ্গীরা শুধু নিজেদের সহীহ মুসলিম মনে করে,কেননা কুরআন অনুযায়ী তো সহীহ মুসলিম তারাই। এখন মডারেট মুসলিমরা যদি দাবি করে জঙ্গীরা সহীহ মুসলিম নয়,তাহলে কুরআন থেকে এ আয়াতগুলো বাদ দিতে হবে,যা তারা কখনওই পারবে না। তাই ইসলাম মানবতার জন্য হুমকী হিসেবে থেকেই যাবে,এর একমাত্র প্রতিকার ইসলাম ধর্মের বিলুপ্তি।


লিখেছেন:শামস অর্ক

↑PREVIOUS-কুলীন ব্রাহ্মণ্যের কন্যা:বিবাহ বনিক এবং রবার্ট মার্টারের সমাজ চিন্তা

NEXT-ধর্মীয় সহিংসতা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...