সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাঙালি নারী

বাঙালি নারীর আদি-অন্ত কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী’- নারী সম্পর্কিত বহুল আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় এ মন্তব্যটি করেছিলেন খ্যাতনামা ফরাসি ঔপন্যাসিক, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক সিমোন দ্য বোভোয়ার। ‘কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী’- নারী সম্পর্কিত বহুল আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় এ মন্তব্যটি করেছিলেন খ্যাতনামা ফরাসি ঔপন্যাসিক, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক সিমোন দ্য বোভোয়ার। যা বিধৃত রয়েছে তাঁর লেখা নারীবাদের বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘ল্য দ্যজিয়েম সেক্স’ ইংরেজিতে ‘দি সেকেন্ড সেক্স’ বাংলায় ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’–এ। তাঁর ঐ মন্তব্যের মূল অর্থ হল আমাদের পশ্চাদগামী পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অর্থাৎ পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থাই নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে সম্মান না দিয়ে  অবলা, অর্ধাঙ্গিনী রূপে গড়ে তুলছে। বাংলা সমার্থ শব্দকোষ অনুযায়ী ‘নারী’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলো এমন- স্ত্রী, মেয়ে, মেয়েলোক, মহিলা, রমণী, ললনা, অবলা, মানবী, অর্ধাঙ্গী, অঙ্গনা, নিতম্বিনী ইত্যাদি। আর পুরুষ শব্দের সমার্থ শব্দ- পুরুষ মানুষ, ছেলে, ছেলেমানুষ, মরদ, মানুষ, মানব, মনুষ্য, নর, আদম ইত্যাদি। লক্ষণীয় বিষয় এ...

বিশ্ব হিজাব দিবস

লিখেছেন - সুষুপ্ত পাঠক                                             প্রতিকী ছবি  ইসলামে রাষ্ট্র ধারণা তিন প্রকারের। দারুল হার্ব, দারুল ইসলাম ও দারুল আমান। দারুল হার্ব হচ্ছে কাফেরদের দেশকে বুঝায়। দারুল ইসলাম হচ্ছে যেখানে মুসলমানরা শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় এবং কুরআনের শাসন কায়েম করে ফেলে। দারুল আমান হচ্ছে যেখানে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হলেও সমান ধর্মীয় অধিকার ভোগ করে, অমুসলিম রাজা বাদশাহ হলেও যেখানে মুসলমানরা তাদের ধর্ম প্রচার করতে পারে এবং সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে। হযরত মুহাম্মদ দারুল হার্ব থেকে মুসলমানদের হিযরত করতে বলেছিলো। এ কারণে ইসলাম মতে কাফেরদের দেশে মুসলমানরা বাসবাস করতে যাবে না। সেক্ষেত্রে দারুল ইসলাম না হলেও দারুল আমানকে তাদের বেছে নিতে হবে। ইংরেজ শাসিত ভারতকে মুসলিম নেতাদের বেশির ভাগ ‘দারুল আমান’ মনে করত। অল্প সংখ্যক ভারতকে দারুল হার্ব মনে করত। এরা ঈদের নামাজ তাই প্রত্যাখান করেছিলো। দারুল হার্বে ঈদের নামাজ পড়া হারাম। হযরত মুহাম্ম...

জানেন কি ভালোবাসা দিবস কিভাবে এলো?

গল্পটা 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'নামে এক রোমের এক যাজকের।তৃতীয় শতকে রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস সামরিক কারণে বিয়েকে নিষিদ্ধ করেন।তবে এর পরেও ভ্যালেন্টাইন গোপনে প্রেমিক প্রেমিকাদের বিয়ে দেওয়া চালু রাখেন।এমন অপরাধে তাকে আটক করা হয়। কারাগারে ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসেন কারারক্ষীর অন্ধ মেয়েকে।অবশ্য তাদের ভালোবাসা সফল হয় না।মারা যান ভ্যালেন্টাইন।অনেকে ভাবেন,সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি "সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে; হিসাবে ঘোষণা করেন। এই ইতিহাস নিয়ে অবশ্য অনেকের বিতর্ক রয়েছে।তবে ভালোবাসা দিবস নিয়ে কারো কোন দ্বিধা নেই। সবার তোড়জোড় দেখলেই বুঝা যায়। কিন্তু এই যে দিবস সেই দিবস আসলেই কি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবস? ভালোবাসার জন্য কি শুধু এই একটি দিনই রয়েছে? ভালোবাসার জন্য প্রতিটি দিন প্রতিটা সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস বলে যে সেই দিনই ভালোবাসতে হবে এরকম তো নয়। ভালোবাসার জন্য প্রত্যেকটা দিনই আছে।

আত্নহনন চিন্তার বিচিত্র প্রক্রিয়া" - আহমদ ছফা

বোধহয় নব্বই সালের দিকে হবে । ঢাকাতে মাওলানা সাহেবেরা একটা মিছিল বের করেছিলেন । ওটাকে খণ্ড মিছিল বলা যাবে না । ওলামায়ে কেরামেরা তো অংশ নিয়েছিলেনই । তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল আরও প্রায় হাজার দেড়েক মাদ্রাসার ছাত্র । সকলেই এক হিন্দু ভদ্র লোকের ফাঁসির দাবি করছিল । মিছিলটা দেখে আমার খুব কৌতূহল জন্ম নিয়েছিল । সেই বায়তুল মোকারমের কাছ থেকে পেছন পেছন অনুসরণ করে প্রেসক্লাব অবধি এসেছিলাম । কেন এসেছিলাম তার একটা কারণ আছে সাধারণত মাওলানা সাহেবানরা যখন কারো ফাঁসির দাবি করেন আপনি নির্ঘাত জেনে যাবেন ওই ব্যাক্তিটি হবে মুসলমান । আমার বয়স পঞ্চাশ হল ।ঢাকা শহরে আছি ত্রিশ বছর । এই ত্রিশ বছরে কম করে হলেও মাওলানা সাহেবদের এক শ'টি ফাঁসির দাবির মিছিল দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে । প্রতিটা মিছিলেই আমি লক্ষ করেছি মাওলানা সাহেবরা যে হারামজাদাটিকে ফাঁসিতে লটকাবার দাবি জানাচ্ছেন তিনি একজন মুসলিম সন্তান । ফজলুর রহমান , বজলুর রহমান , সালমান রুশদী আহমেদ শরীফ , কবির চৌধুরী কতো নাম করব । মাওলানা সাহেবেরা মাঝে মাঝে কিছু কিছু মুসলিম সন্তানকে ফাঁসিকাষ্ঠে চড়াবার দাবিতে মিছিল করেন এই ব্যাপারটির সঙ্গে আমি একরকম অভ্যস্ত ...