সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলামে গনতন্ত্র এবং নারী নেতৃত্ব হারাম




কুরান এবং হাদিস কিছু তথ্য দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়।
আল-কোরআন ও গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যঃ
আল-কুরআনঃ “যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য|” [২:১৬৫]
গনতন্ত্রঃ জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস ।
 আল-কুরআনঃ “আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই।” [১২:৪০]
গনতন্ত্রঃ আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগন,
সংসদ, মন্ত্রী-এমপির।
আল-কুরআনঃ আল্লাহ তাআলা সার্বভৌমত্বের মালিক। [৩:২৬]
গনতন্ত্রঃ সার্বভৌমত্বের মালিক জনগন।
 আল-কুরআনঃ “(হে নবী) আপনি যদি অধিকাংশের রায়কে মেনে নেন তাহলে তারা দ্বীন থেকে বিচ্যুত করে ছাড়বে|” [৬:১১৬]

গনতন্ত্রঃ অধিকাংশের রায়ই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

 আল-কুরআনঃ “আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। ” [২:২৭৫]
গনতন্ত্রঃ গণতন্ত্র সূদভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করে।
যদিও ইসলামী ব্যাংক নামে একটা প্রতিষ্ঠান সুদকে করেছে বৈধ।

আল-কুরআনঃ “হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না।তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সেতাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। ” [৫:৫১]গনতন্ত্রঃ কোন সমস্যা নাই। যার সাথে ইচ্ছা (আমেরিকা, ইসরাইল) বন্ধুত্ব কর।এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের হাতে—- গনতন্ত্র গ্রহন করবেন নাকি ইসলাম ?
“আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন তোমাদের মালিক,সার্বভৌমত্ব তারই।”(আল-কুরআন,৩৫:১৩)“অতএব পবীত্র ও মহান সে আল্লাহ,যিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর সার্বভৌম ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।”(আল-কুরআন,৩৬:৮৩)“তুমি কি জাননা যে, আসমানসমূহ ও যমীনসমূহের যাবতীয় সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য নির্দিষ্ট,তিঁনি ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু নেই, কোন সাহায্যকারী নেই ?”(আল-কুরআন,২ঃ১০৭)
এখন কথা হলো দেশকে যদি ইসলামীক করতেই চান তাহলে গনতন্ত্র বাদ দিয়ে করতে হবে।
ইসলামে গনত্বন্ত্রের কোন স্থান নেই।
এবার যে হাদিসটার কথা বলবো সেটা বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রীকে।
আমি বলছি না আপনি এটা মানুন কিন্তু শুধু মনে করে দিতে চাই।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কুরান পড়লেই হয় না।

ইসলামের আরও কিছু নিয়ম আছে আপনাকে মানতে হবে।
ইসলাম এমন একটা ধর্ম একটা ছেড়ে আরেকটা হয় না।
ইসলামে কাফির নাস্তিক বিধর্মীকে হত্যা জায়েজ তেমনি ভাবে নারী নেতৃত্বও হারাম।

“যখন তোমাদের ধনী শ্রেণী কৃপণ হবে, যখন তোমাদের যাবতীয় কাজে কর্তৃত্ব তোমাদের নারীদের হাতে চলে যাবে, তখন তোমাদের জন্য পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অভ্যন্তর ভাগ অধিক কল্যাণকর হবে।” (তিরমিযী)
“হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। যখন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলো যে, (ইরানী) পারস্যের জনগণ কিসরার কন্যাকে (মেয়ে) তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছে, তখন তিনি বললেন, সে জাতি কখনো সাফল্য অর্জন করতে পারে না, যে জাতি স্বীয় কাজকর্মের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বভার একজন নারীর হাতে সোপর্দ করে।” (বুখারী ও তিরমিযী)
আমাদের পরিবারতন্ত্রের প্রতি প্রজাসুলভ দাসত্বের মানসিকতাই আজকের রাজনীতির উত্থানের পেছনে সব চেয়ে বড় কারন। রাষ্ট্রযন্ত্র তার শাসন দর্শন চিনিয়ে দিচ্ছে। মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হচ্ছে, নাগরিকের অধিকারের প্রশ্নে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। চাইলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যা খুশি করতে পারে। এমন কি যা খুসি বলতেও পারে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বুঝা যায় কোন মতে যদি প্রমাণ করা যায় খুন হওয়া ব্যক্তি ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি করে থাকে।
লেখালেখিতে উগ্রতা দেখিয়ে থাকে তাহলে তার হত্যার কোন বিচার নাই।
সেই হত্যাটা ন্যায় সংঙ্গত হয়ে যায়।
অনেক আগেই শামসুর রাহমান বলেছিলেন উদ্ভট উঠের পিঠে চলছে স্বদেশ।
তিনি ঠিকই বলেছিলেন।
এই দেশ যেন মরুভুমির দেশে পরিণত হতে চলছে।
ধর্ম নিয়ে নিজের ঘরের মধ্যে পুতুল পুতুল খেলাই উত্তম; কেউ আপনার ধর্ম ধরে টানবে না। কিন্তু ধর্ম দিয়ে যখন দেশ চালাতে যাবেন, আইন করতে যাবেন, সামাজিক জীবন যাপনে ধর্ম দিয়ে প্রভাব খাটাইতে যাবেন, রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করতে যাবেন, তখন ধর্মকে অবশ্যই সমালোচনার পাল্লায় উঠতে হবে।
আর এই সমালোচনায় যদি আপনার ধর্ম ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়।
তাহলে এই ভংঙ্গুর ধর্মটাকে এভাবে আকড়ে ধরে রাখার মানেটা কি? দেশের যে মুসলমানি অনেক আগেই করা হয়ে গেছে এটা আর নতুন কিছু নয়।
তবে সামনে মুসলমানি করা হয়েছে নাকি পিছনে এটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
অসভ্য হাওয়ার পোলা মাইয়ারা শহর বানাতে পারে না, তারা যা বানায় তা শেষ পর্যন্ত ঐ মরুভূমিই হয়ে যায়। তারপর তারা নিজেদের দালানগুলার উপ্রে বসে বসে, ছাপড়ার নিচে বসে বসে, একে অন্যকে “জানোয়ার” আর “অসভ্য” বলে গালাগালি করে।
একেই তো মুসলমানি সভ্যতা বলে তাই না?
লিখেছেন-শহীদুজ্জামান সরকার
perv post
next post

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...