সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন উৎযাপন-২০১৯


প্রতিবারের মত এবারও ২৫ আগস্ট প্রখ্যাত নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন উদযাপন করেছে 'তসলিমা পক্ষ'। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিথযশা  সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও শরীফা বুলবুল, শিল্পী শতাব্দী ভব, মানবাধিকারকর্মী মাহমুদা শেলী, প্রকাশক রবিন আহসান, এক্টিভিস্ট খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মাহফুজা হকসহ আরও অনেকেই।

নারীর অধিকারের পক্ষে, মৌলবাদের বিপক্ষে মত প্র কাশের অপরাধে একজন লেখককে ২৫ বছর ধরে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তাঁর বইগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমনকি লেখকের সম্পত্তিগুলো তাঁর ছোটবোনকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেয়ার ক্ষেত্রে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো অন্যায়ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। বক্তারা অনুষ্ঠানে তসলিমার বিরুদ্ধে হওয়া এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান এবং সরকারেকে মৌলবাদিশক্তিকে তোষামদ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলঙ্কিত না করে প্রগতিবাদের প্রতি দৃষ্টি দিতে এবং  প্রতিথযশা লেখক তসলিমা নাসরিনের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
তসলিমার ভক্তরা জানান তাঁরা তসলিমা নাসরিনের বইগুলো পড়তে চান। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে লেখা উপন্যাস- লজ্জা, আত্মজীবনী মেয়েবেলা, উতল হাওয়া, ক ও সেইসব অন্ধকারের মত সাহসী বইগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবী জানানো হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তসলিমা নাসরিন লাইভে যুক্ত হলে ভক্তরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান।

অনুষ্ঠানে সকলে তসলিমা নাসরিনের ছবি ও কোটেশান নারী,

তুমি সকল মিথ্যে সংস্কার ভেঙে এবার মানুষ হও।

সহ টিশার্ট পরেছেন, টি-শার্টটি ডিজাইন করেছেন শিল্পী চারু পিন্টু  

অনুষ্ঠান শেষে আলোর দিশারীর পাঠানো একটি কেইক শ্রমজীবী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়।  ঢাকার বাইরে রংপুরও সিরাজগঞ্জের বন্ধুরাও প্রিয় লেখককে ভালোবাসা জানাতে জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করেছেন।

আমার অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল আয়োজনের সাথে জড়িত প্রত্যেকের প্রতি ও যাদের উৎসাহ ও ভালোবাসায় এমন একটি আয়োজন সম্ভব হয়েছে। তসলিমা নাসরিনের নির্বাসন কেবল একজন মানুষ তসলিমার নির্বাসন নয়, এটি মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি ও মানবাধিকারের নির্বাসন। আমরা এভাবেই আমাদের প্রিয় লেখককে ভালোবেসে যাবো, নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাব। প্রতিবাদ করে যাব সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গর্বের সাথে উচ্চারণ করব তসলিমা নাসরিন নামটি। কারণ এই নামটিই আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি জোগায়।
লিখেছেন-ইতিলা ইতু।
 আহবায়কঃ তসলিমা পক্ষ। 

তসলিমা নাসরিন এর জন্মদিন উপলক্ষে ছবি গুলো।
↑PREVIOUS-বর্ণীয় বর্ণচ্ছটা
NEXT

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...