সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বর্ণীয় বর্ণচ্ছটা


অ-বর্ণীয় 

অনেক অপবাদ, অপমান অঙ্গে অবহেলা অবগত;অসম্ভব অর্জনে অবিচল অন্তর অসহায়ত্বেও অক্ষত।

আ-বর্ণীয় ----

আড়ালে আবডালে আবরে আচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ আদর্শে আঁধার আসন্ন!

[আবর= মূর্খ, বর্বর।]ফিরে এলাম অনুপ্রাস নিয়ে। এবারে স্বরবর্ণ।

ই-বর্ণীয় ----

ইতির ইশারায়  
ইচ্ছেরা ইঁদারায়।


ঈ-বর্ণীয় ----

ঈহার ঈশত্ব 
ঈক্ষণ ঈপ্সিত।

(ঈহা-চেষ্টা, ঈশত্ব-নেতৃত্ব, ঈক্ষণ-চোখ, ঈপ্সা-পাবার ইচ্ছা)

উ-বর্ণীয় ----

উৎসাহ উদ্যম উপনীত 
উপেক্ষা উপহাস উৎপাটিত।

ঊ-বর্ণীয় ----
ঊনকোটি ঊর্ধ্বফণাতেও ঊর্ধ্বমুখী ঊর্মিলা।

ঋ-বর্ণীয় ----
ঋষিতুল্য ঋষভের ঋজুতার ঋণজালে, ঋণিতা ঋদ্ধিমতী।

(ঋষভ-শ্রেষ্ঠজন, ঋজুতা-সরলতা, ঋদ্ধি-সমৃদ্ধি)

এ-বর্ণীয়
এক একাকিনী একাকীত্বে, 
একঘরেতেও একাগ্রচিত্তে। 
একলাই এগোয় একটানা 
একভাবে, একমনা।

ও-বর্ণীয় ----

ওষ্ঠের ওজস্বী ওমে 
ওঁচাও ওঠে ওজনে।

(ওঁচা-হেয়)





একটি খ-বর্ণীয় বাক্য---

ক্ষমতালোভী খালেদার খ্যাপামীতে ক্ষয়-ক্ষতির খাতাও ক্ষুব্ধ।

একটি গ-বর্ণীয় বাক্য

গাঁও-গেরামের গীত গেয়ে 
গায়ে গাঁয়ের গন্ধ গুঁজি।

একটি ঘ-বর্ণীয় বাক্য

ঘটমান ঘটনার ঘনঘটায় ঘনিছে ঘনান্ধকার।

একটি ঙ-সংযুক্ত বাক্য

বাঙালী শঙ্কিত আতঙ্কের সঙ্গে 
বঙ্গবন্ধুর রঙীন বঙ্গে।

একটি চ-বর্ণীয় বাক্য

চিরবসন্তের চারু চিত্রে চিত্তচকোর চমৎকৃত।

একটি ছ-বর্ণীয় বাক্য----

ছাত্রজীবনে ছতিছন্নের ছোঁয়ায় ছন্দে-বন্ধে ছন্দপতন ছায়।

একটি জ-বর্ণীয় বাক্য

জননী জাহানারাইমামের জীবনালেখ্য 
জাতিমনে জ্বালায় জ্যোতি জীবনাবধি।

একটি ঝ-বর্ণীয় গঠন

ঝ'এর ঝামেলায় ঝিমিয়েছে ঝোলা 
ঝটিতি ঝলকে ঝমকেনা ঝল্লক।


একটি ট-বর্ণীয় বাক্য----

টংকবানদের টাকার টইটম্বুর টোপে টোকাইদের টানাটানি।

একটি ঠ-বর্ণীয় বাক্য

ঠাকুরবাড়ীর ঠাকুরাণীর ঠোঁটকাটা ঠাটে ঠারেঠোরে ঠেশমাখা ঠাট্টা ঠিকরায়।

একটি ড-বর্ণীয় বাক্য

ডাকিনীর ডাকা ডামাডোলের ডঙ্কায় ডেমোক্রেসির ডিঙা ডুবুডুবু।

একটি ঢ-বর্ণীয় বাক্য

ঢোঁড়াদের ঢেঁটামিতে ঢিলেঢালা ঢাকা।

কিছু বন্ধুর অনুরোধে আজ থেকে অর্থ সংযোজিত হচ্ছে।
ঢোঁড়া= যার শক্তি নেই অথচ আস্ফালন আছে
ঢেঁটামি= একগুঁয়েমি
ঢিলেঢালা= শিথিল

ঢাকা= ঢাকা শহর।

একটি ণ-সংযুক্ত অণুকাব্য

বর্ণের কারণে নিদারুণ মরণ; 
বর্ণে বর্ণে, স্মরণে' বরণ।

ত-এর তরঙ্গে তৈরী

তুমি তপন, তব তেজে তপোমূর্তি 
তুমি তিমির, ত্বদীয় তমসায় তামসী 
তুমি তুষার, তুমি তুষানল 
তুমি ত্রিকাল, তোমার ত্রাসে' ত্রিসীমানা ত্রস্ত।
তত্রাপি তোমার তোষিণী, তোমাতে তর্পণে তর্পী।


থ-দিয়ে' থতমত যখন আমরা

থ্যাবড়ানো' থাকে 
থ্যাঁতলানো' থাকে 
থকথকে' থাকে থরেথরে; 
থামেনা থোঁতার থাবা, থমকেনা থৈলতদার।

থোঁতা= দন্তশূন্য, ভোঁতা
থৈলতদার= চোরেরা যার ঘরে চোরাই মাল রাখে।


একটি দ-বর্ণীয় বাক্য

দিব্যি দিবালোকে দৈবাৎ, দমকা দাবদাহে দয়িতা দিশেহারা।

একটি ধ-বর্ণীয় বাক্য

ধর্মের ধ্বজা ধরে ধরণীতে ধ্বংসলীলা ধারণাতীত ধারায় ধাইছে।


ন' নিয়ে নবিসি

নদীতে নাব্যতা নেই 
নীলাকাশে নীলিমা নামমাত্র 
নিষ্প্রভ নিসর্গে-নিস্তব্ধ নারীর নির্বাক নেত্র।

নবিসি= নতুন শিক্ষার্থীর কাজ, শব্দটি নবিস থেকে এসেছে।


ফ' দিয়ে দাদার স্মরণে

ফাগুনের ফুল ফিকে, 
ফুরফুরে ফুর্তি ফুরিয়েছে-- 
ফেব্রুয়ারীর ফুটপাতে।

ব-এ বরণ

বাংলা বর্ণের বর্ণীয় বাক্যে 
বিদগ্ধজনের বর্ণীল বর্ণচ্ছটা, বন্ধুদের বুদ্ধিদীপ্ত বাণীতে-- 
বঁধুয়া বিমোহিত।

একটুখানি ভ'য়ে ভ্রমণ

ভুলের ভূষণ ভারে 
ভবার্ণব ভরালে, 
ভালবাসার ভেলা ভেসে 
ভাঙনের ভবিতব্যে ভেড়ে।

ভবার্ণব= সংসাররূপ সমুদ্রম'

ম -বর্ণীয়

মিশেছে মানবতা' মিছে মায়াজালে

মিথ্যের মোহ' মানস-সরোবরে,

মাতৃভূমিতে মরছে মানুষ

মনুষ্যত্বহীনের মরণকামড়ে--

মহাযাত্রার মহাযজ্ঞ মম মন মন্দিরে।


য-বর্ণীয়

যথেচ্ছাচারিণীর যদৃচ্ছায়
যমালয় যেন যানবাহনে, 
যন্ত্রণায় যাত্রীরা যবস্থব,
যোগ্য যাতাভাবে' যবনিকাপাত যোজনে।

যদৃচ্ছা= নিজের খেয়াল-খুশী
যবস্থব= দিশাহারা
যাতাভাব= যাতার (রথচালকের) অভাব, এখানে দেশচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নেতৃত্বের অভাব বোঝান হয়েছে।
যোজনে= চার ক্রোশ, এক্ষেত্রে অনেক দূরে।

র-বর্ণীয় নারীদিবস

রণাঙ্গনের, রাজ্যশাসনের রমণীকে'

রাখে রন্ধনশালে,

রাখে রিক্ত রিক্থে,

রাখে রাতের রিপু রক্ষায়।

রমণের রামরাজত্বে, রমণীকে রাখে

রাবণের-চিতায়।

রিক্ত= নিঃস্ব
রিক্থ= উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ
রামরাজত্ব= যা খুশী করবার একচেটিয়া অধিকার
রাবণের চিতা= অন্তহীন যন্ত্রণা।

ল-বর্ণীয়

লাজবতী ললনা লো-

ললাটলিখন লিখোনা লাঞ্ছনার লেখনীতে,

লঘুহস্তে লহ লাঠি,

লোলুপ লোচনে লালসার' লক্ষ্যচ্যুতে।


শ-বর্ণীয়

শব্দের শাশ্বত শক্তিতে, শিহরিত শয়তান
শ্বদন্তে শোষে' শব্দে শক্তিমান।
শোণিতধারায় শায়িত শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধাবান।

শপথ শহীদের, শোধিব শোক।

শ্বাপদ শমনে শোভাযাত্রায় শব্দশ্লোগান।

ষ-বর্ণীয়

ষড়রিপুর ষড়রসে'

ষোড়শী ষড়যন্ত্রে।



সুমনা সাহার স-বর্ণীয় সম্ভাষণ

সততা, সদ্ব্যবহার, সদিচ্ছায়

স্বীয় সত্তা সাধিলে,

সময়ের সমরে সর্বত

সাজিবে সম্মানে, সাফল্যে।



হ-বর্ণীয় হাল হকিকত

হঠকারীর হাঁকা হরতালে-

হতভাগ্যের হাহাকার,

হিসেবহীন হতাহতে

হাঁকডাক হতাশার।

হিতোপদেশ হাসিনাকে-

হটাও হেঁয়ালী, হানো হঠাৎ।
হাসিল হোক

হতচ্ছাড়াদের হার।
ড়-বর্ণীয়


মুষড়ে পড়িনি, থুবড়ে পড়িনি

ভাঁড়ামীর মোড়কে মোড়া ক্রীড়ায়।

চূড়ায় ওড়া চূড়ান্ত চোয়াড়েরা

পড়েনি আঁচড়ে, পড়েনি ব্রীড়ায়।

চোয়াড়= ধোঁকা দিয়ে যারা শিকার করে
ব্রীড়া= লজ্জা

ঢ়-বর্ণীয়

অনূঢ়ায় দৃঢ়তাহীনে'

নবোঢ়া গাঢ় বিমূঢ়তায় বেঢ়া।

য়-বর্ণীয়

হৃদয়ে জাগিয়ে প্রণয়

প্রিয় হারিয়ে যায়

ভাসিয়ে দিয়ে আমায়

ক্ষয়ের আয়োজনে হায়।


ৎ-বর্ণীয়

বিদ্বৎসমাজের সুহৃৎ অভিজিৎ

চিরহরিৎ'র ভবিষ্যৎ পথিকৃৎ।

ং-বর্ণীয়----

অহংবোধ, প্রতিহিংসা এবং সংকীর্ণমন সংশোধনে,

সংসারে ধ্বংস সংশ্লিষ্ট অসংগতি মীমাংসিবে।
'ঃ' -বর্ণীয়-

নিঃশব্দ মনঃকষ্টে নিঃশেষ অন্তঃকরণ 
বক্ষঃস্থলে পুনঃপুন দুঃখের নিঃসারণ। 
আজশেষ বর্ণ নিয়ে হাজির হয়েছি,নির্দিষ্ট বর্ণের বর্ণমেলাতে। কৃতজ্ঞতা রইল সকলের কাছে যারা প্রতিনিয়ত আমায় অনুপ্রাণিত করেছেন।

ঁ -বর্ণীয়----

ঠোঁটের ফাঁকে আঁচল ঠেঁসে 
চাঁদমুখটা ফুঁপিয়ে কাঁদে, 
সিঁথির সিঁদুরে সাঁজোয়া বঁধু 
ছাঁদনাতলায় সাঁঝবেলাতে। 

আজ শেষ বর্ণ নিয়ে হাজির হয়েছি, নির্দিষ্ট বর্ণের বর্ণমেলাতে। কৃতজ্ঞতা রইল সকলের কাছে যারা প্রতিনিয়ত আমায় অনুপ্রাণিত করেছেন।



ঁ -বর্ণীয়----

ঠোঁটের ফাঁকে আঁচল ঠেঁসে 
চাঁদমুখটা ফুঁপিয়ে কাঁদে,

সিঁথির সিঁদুরে সাঁজোয়া বঁধু
ছাঁদনাতলায় সাঁঝবেলাতে।

লিখেছেন-সুমনা সাহা।(কবি)

সম্পাদক এর কথাঃ- 

বাংলা ভাষায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে  আজ পর্যন্ত এরকম  সৃষ্টি খুবই নগন্য।

কবি সুমনা সাহাকে এরকম একটি

বর্ণীয় বর্ণাঢ্য

 সৃষ্টির জন্য বর্ণকন্যা নামে অভিহিত করা হলো।

আমরা আশা রাখি ভবিষ্যতে তিনি আরো মন ভুলানো কবিতা দিয়ে আমাদের   মাতিয়ে রাখবেন।

তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি সুখী হও মেয়ে এবং বড় হও!

-শহীদুজ্জামান সরকার।। 
সম্পাদক মুক্তচিন্তার আসর।

‌‌‌‌‌‌‌‌↑PREVIOUS- কাস্মীর সমস্যার ইতিহাস:কাস্মীরের ভবিষ্যত কি হবে?


Next-তসলিমা নাসরিন এর জন্মদিন

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...