সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলাম এবং যৌনাতা

সমাজের সব প্রচলিত ধারনা থেকে আপনি বের হতে পারবেন না। কারন সভ্যতার তৈরি হয়েছে সমাজ থেকে সমাজ আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে কার সাথে কেমন ব্যাবহার করতে হবে। কাকে সম্মান করতে হবে বা কাদের সাথে উঠাচলা করতে হবে। মানুষ যখন দলবধ্য হয়ে বসবাস শুরু করলো নিজেদের তাগিদে। মানবসভ্যতা যখন দলবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করলো আদিম যুগে তখন অনেক কাজ সহজ হয়ে গেলো। কয়েকটা পরিবার মিলে যখন একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা করলো। তখন আপনা আপনি ভাবে একটা সমাজে তৈরি হলো নিয়ম। তাছাড়া বিবর্তনের মাধ্যামে যখন মানুষ তার প্রকৃতি রুপ নিলো তখন সেই মানুষ সন্তান জন্ম দিলো তখন আপনা আপনি ভাবে নিজের সন্তানের প্রতি একটা ভালোবাসা টান তৈরি হলো মানুষের ভিতরে  যদিও তখন তার পুরোপুরিভাবে সভ্য হতে পারেনি তবুও তারা একট বাঁধনে সিদ্ধ হলো। একই ভাবে মানুষ সহ সকল জীব পশু পাখির ভিতরেও এই অবস্থান টা বিদ্যামান হলো।


অনেক ধার্মীকগন দাবি করে তাদের ইশ্বর, আল্লাহ এই পৃথীবি তথা মহাবিশ্ব তৈরি করেছে। বিশেষ করে মুসলিমরা দাবি করে থাকে এই পৃথীবি তাদের আল্লাই ৬ দিনে তৈরি করেছে কতটা হাস্যকর। সেই সাথে তারা আরো দাবি করে পৃথীবির প্রথম মানব আদম এবং প্রথম মানবি হাওয়া এবং সেই সাথে দাবি করে বর্তমান পৃথীবির বিপুল জনসংখ্যা তাদের মাধ্যামে হয়েছে তাদের জন্মদান কৃত প্রত্যেক সন্তান নিজের ভিতরে যৌনকার্যর ফলেই বর্তমান পৃথীবির এই জনসংখ্যা। সহজ কথাই বলতে গেলে পারিবারিক যৌন ক্রিয়ার ফসল আজকের এই বিপুল পরিমান মানব।


ইসলাম সম্পর্কে অনেক সত্য তুলে ধারা বিরল কারন ইসলামকে মেনে নিতে হবে কোন প্রশ্ন ছাড়াই না মানলে তাকে হত্যা করতে হবে এটা আল্লার আদেশ বা হুকুম। কিন্তু সত্য কখন চাপা থাকেনা সত্য প্রকাশ হয় হবে। ইসলামের শেষ নবীর জীবন নিয়ে পড়াশুনা করতে গেলে আপনি পাবেন তার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে যুদ্ধ, ভন্ডামি এবং যৌনকর্মে। তিনি দাসির সাথে যৌনকার্য করতেন তিনি তার চাচাত বোনের মেয়ের সাথে বিবাহ করে যৌনকর্ম করতে যে কিনা শিশু বাচ্চা ছিল। তাছাড়া অধিক বিবাহ করে তিনি তার যৌনচাহিদা মিটাতেন মানে ইসলামের ত্রানকর্তার জীবনে যৌনতাই ভরপুর।

উপরুক্তি আলোচনা গেলো মুসলিম সম্প্রদায়ের মহামানবের যৌনজীবন নিয়ে। একটা কথা বলে রাখা ভালো মুসলিমদের নবীর করা প্রত্যেক কাজ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য সুন্নত। এই সুন্নতের পাল্লাই পড়ে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে মাদ্রসার গুলাই হুজুরদের পায়ুকাম মসজিদের ইমান কতৃর্ক ধর্ষন সহ হত্যা ইত্যাদি এমন কি দাড়ি ওলা মুমিনগুলা নিজের সন্তানের পর্যন্ত ছাড়ছেনা। আমি খুব খেয়াল করে দেখেছি একজন মুসলিমের সাথে যখন একজন মুক্তমনা নাস্তিকের ডিবেট হয় তখন সেই মুমিন বারবার প্রশ্নকরে আপনাদের কি মতামত মা-ছেলে, ভাই বোন, বাবা- মেয়ের যৌনতা বিষয়ে কারন আপনারা তো মুক্ত বা ফ্রি যৌনতাই বিশ্ববাসী। আসল কথা হলো আমরা নাস্তিকরা এমন কি ভাবি না বা মানি না করান আমরা সভ্য বা অধুনিক আমরা বিশ্বাস করি না যে ভাই বোনের যৌনাতার কারনে আজকের এই পৃথীবির জনসংখ্যা। যারা এসব মানে বা বিশ্বাস করে তারা এমন টা ভাবে তাদের মাথার ভিতরে এসব ঘুরে। যেহেতু ইসলাম নামক ধর্ম যৌনতাই ভরপুর তাই সাধারনত মুমিনা এই গুলা ভাবে এসব চিন্তা করে। ধর্ম গুলা সব অস্যভ বর্বর। ধর্ম সমাজের গোড়াতে চিড় ধরাই সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে আর ইসলাস ধর্ম ধংস আর যৌনতা ডেকে আনে।
↑PREVIOUS-কয়েকটি কবিতা 

NEXT-কোন কোন দেশ গুলো মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শত্রু?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...