সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কয়েকটি কবিতা

সেই আনেক দিন হল
আমি কবিতা লিখিনি।
তুমি চলে গেলে
রাত এসে গেলো
জোনাক পোকারা হারিয়ে গেলো
আকাশ মেঘে ঢেকে গেলো
অথচ কবিতা লেখা হয়নি।

তোমার পায়ের ছাপ
তোমার চুলের গন্ধ
শুকানো ফুলে পাপড়িগুলা
হঠাৎ করে পেলে না
আমার ভিষন কষ্ট হয়।

ইচ্ছে থাকলেও যে পারিনা
যারা চলে যায়
তাদের বেঁধে রাখতে।

আসলেই যাদেরকে ভালোবাসা হয়
খুব, খুব, খুব বেসি
তারাই চলে যায়।

কে যেন বলেছিল
ভালোবাসলে চলে যেতে নেই।

ভালোবাসলেই/ Sajib Hossain

আমি কত শত বার আকড়ে ধরেছি,
দুঃখ গুলো কে ।
কত আজানা দুঃখ কে
আশ্রয় দিয়েছি কবিতায় ।

কত ক্ষত বন্দি করেছি
কবিতার লাইনে লাইনে ।
মমি হয়ে যাওয়া
দুঃখ গুলোকে আটকে রেখেছি কবিতার পাতায়।
কিছুটা বাদ পড়ে যাওয়া দুঃখ
মিশিয়ে ফেলেছি কষ্টের কবিতায় ।

হাজার ফোটা চোখের জল
তোমার জন্য রাখা সুখ
ঠাঁই দিয়েছি কবিতায় ।

আমার জন্য কিচ্ছু রাখিনি
জারজ কষ্ট,
আগণিত চোখের জল
রাখতেই পারিনি ।

সব তোমার নামে ঠাঁই দিয়েছি
কষ্টের কবিতায় ।

ভুলে যাওয়া সুখ
পুরোন হাসি
কিছুই মিশাতে পারিনি ।

শুধু কষ্টরাই ঠাঁই করে নিয়েছে ।
তোমার নামে
লেখা সে কবিতায় ।

কবিতা/

মুছে যাক জরা
তোমাদের মন থেকে ।
মুছে যাক শত কষ্টে
পাওয়া দাগ ।
মুছে যাক হাজারো তরুনের
মন থেকে ।
থোকা থোকা জমা দাগ
মিলিয়ে যাক হে তরুন ।
মুছে যাক চোখের
জলের গড়িয়ে পড়া দাগ।
মুছে যাক,
সেই তরুনের মন থেকে।

যে তরুন এখনো
নিশব্দে কাঁদে গভির রাতে।
যে তরুন এখনো
ডুবে থাকে
গভীর আবেগে
তাদের মন থেকে।

হে তরুনী তোমার জন্য
একিই আহব্বান ।
হারিয়ে ফেলো
তোমার কষ্টের দাগ
পুড়িয়ে ফেলা মন থেকে।
মুছে যাক মুছে যাক ।

মুছে যাক সব গ্লানি
শ্রাবনের এই বরর্ষায় ।


মুছে যাক/ Sajib Hossain

সে হইতো এখন নদীর পাড়ে,
একলা মনে দাড়িয়ে আছে ।
কিংবা,কোন এক বটগাছের তলে,
ঠাই দাড়িয়ে আছে।
তার আসার কথা
আচ্ছা,সে কি আসবে?
যদি এখন ভীষন বৃষ্টি নামে
মেঘে মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ ।
প্রকৃতি মুখ গোমড়া করে থাকে ।
সে কি আসবে ?
এই নদীর জলের বৃষ্টি পড়ার,
টাপুর টুপুল শব্দ শুনতে
বিজলির ঝলকানি দেখতে।

সে_কি_আসবে/সজিব হোসেন

অনেক জমা কথা ছিল,
হইনি তোমাই বলা।
রাতের পরে রাত যে আমার
কেটেছে একেলা।

তোমার জমা কথা গুলো,
বলছো তুমি তাকে।
বক্ষ তলে আপন করে
রাখছো বেঁধে যাকে।

আমি নাহয় বন্ধ ঘরে
চুপটি করে থাকি।
আশ্রু ঝরে দুচোখ ভরে
প্রলপ বকে আঁখি।

তুমি নাহয় ভালো থেকো
তোমার মত করে।
আমি নাহয় বন্দি রব
বদ্ধ কোন ঘরে।

এখন আমি আর কাঁদিনা
আর মেলিনা আঁখি।
বদ্ধ ঘরে অন্ধকারে
চুপটি করে থাকি।

নিশ্চুপ/Sajib Hossain


↑PREVIOUS-ইথোনি 

NEXT-ইসলাম এবং যৌনতা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...