এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ইসলামে নারীর সম্মান


আসুন আজ জেনে নি ইসলামে নারীর অবস্থান ও ইসলাম কি ভাবে দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান।




  1. ইবনু উমার হতে বর্নিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন: ছোঁয়াচে ও শুভ-আশুভ বলতে কিছু নেই। অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে [২০৯৯:মুসলিম ৩৯/৩৪হা: ২২২৫, অহমাদ ৪৫৪৪ আধুনিক প্রকাশনী -৫৩৩৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৯]
 উসামা ইবনে যায়েদ (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন : আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক বিপর্যয় আর কিছু রেখে যাবো না। [সহিহ বুখারী ৫০৯৬ মুসলিম ২৮৪০, ২৮৪১ তিরমিযী ২৮৮০ ]

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু'জন নারীর অংশের সমান [সুরা নিসা আয়াত:১১ ]

দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দু'জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। [সুরা বাকারা আয়াত: ২৮২]

তারপর যদি সে স্ত্রীকে(তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যস্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়, অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলো তাদের উভায়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লার হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃত্ব : নির্ধারিত সীমা; যারা উপলদ্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ননা করা হয়। [ সুরা বাকারা আয়াত: ২৩০]

আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথার্থ ভাবে পুরন করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই,তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশাস্কা কর যে, তাদের তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরন বজায় রাখতে পারবে না, তবে একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হাওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা [সুরা নিসা আয়াত: ৩]

আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। [সুরা বাকারা আয়াত: ২২৮]


  • তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদের প্রদর্শন করবে না। [সুরা আহজাব আয়াত: ৩৩]


আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও,তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহর কর। তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পখ অনুসরন কর না [ সুরা নিসা আয়াত :৩৪]

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র, তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। [সুরা বাকারা আয়াত: ২২৩]

স্ত্রীকে কেন প্রহর করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞসা করা হবে না। [ আবু দাউদ, বই নং-১১ হাদিস ২১৪১]

হয়রত আয়শা হতে বর্নিত,তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যাথা দিল। [ সহিহ মুসলিম বই-৪ হাদিস ২১২৭]

  • মহানবী (সা:) বলেছেন : স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে না আসায় তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সে স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতাগন ভোর হাওয়া পর্যন্ত লা'নাত করতে থাকে [ সহিহ মুসলিম হাদিস: ৩৪৩৩]

লিখেছেন-সজিব হোসেন

↑PREVIOUS-পাচঁ টাকার প্যাড

  NEXT-এনজিও গুলো কি স্বার্থে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো টিকিয়ে রাখতে চায়?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ