সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পাঁচ টাকায় প্যাড


এই পোড়া দেশে হাজার হাজার খবর এর মধ্যে মাঝে দুই একটা ভালো খবর পাই।
আবার কখনো সেই সব খবর গুলোও ধামাচাপা পড়ে যায় এত্ত এত্ত খারাপ খবর গুলোর ভীড়ে।
এরকম একটি ভালো খবর আজ না হয় আপনাদের সামনে তুলে ধরি।
এই খবরটা বিদ্যানন্দের মতো একটি প্রতিষ্ঠান কে নিয়ে।

নিজের অভিজ্ঞতা বলে অনেকটা বছর পর হয়তো পজিটিভ একটা বিষয় নিয়ে লিখছি।
সে যাই হোক বিদ্যানন্দের গল্পটা তো আগে শুনি?
কি গল্প শোনাবো আপনারা তো এই গল্প গুলো জানেনই,
তারপরও বলি তারা কাজ শুরু করেছিলো পথ শিশুদের নিয়ে।
তাদের শিক্ষা,এক টাকার আহার,রোজার মাসে ফ্রি ইফতারি ইত্যাদী বিষয় গুলো।
তবে আজ যে গল্পটা বলবো সেটা এগুলো নিয়ে একদম নয়।
এবারের উদ্যোগ টা নারীদের নিয়ে।
কিছুদিন আগেই যে বিষয়টা নিয়ে ফেসবুক সরগরম হয়ে গিয়েছিলো।
ভুলে গেছেন হয়তো অনেকেই।
প্রয়োজনীয় একটা জিনিসকে সরকার বিলাসবহুল একটা পন্য বলে ঘোষণা দিয়ে তার উপর ভ্যাট বসিয়ে।


দাম বেড়ে দিয়েছিলো।
সেই পন্যটাকেই বিদ্যানন্দ ৫ টাকায় দিয়ে দিচ্ছে।

বিদ্যানন্দ জানায়, 
মেয়েদের জীবনে ঋতুস্রাবের সপ্তাহটি প্রচণ্ড যন্ত্রণার। কিন্তু এই কষ্টের অনুভুতির চেয়ে মেয়েদের কাছে বেই মূখ্য থাকে বিব্রত এবং লজ্জাবোধের অনভুতিগুলো। সমাজ এই পিরিয়ডকালিন সময়টিকে ট্যাবু বানিয়ে দিয়ে সব সমস্যা সমাধান করে ফেলেছে, তাই সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।


  • একটা বিষয় অবাক লাগে, এই যন্ত্রণা সময়টি ঘিরেও ব্যবসা আছে। যে পণ্যটা এই সময়ে খুবই আবশ্যক, সেটি বিক্রিতে অনেকে লাভের ক্যালকুলেটর চাপে। ফলে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগের ঝুঁকি থাকে।



বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ঢাকা শাখার প্রধান সালমান বলেন,
দুই বছর ধরে কম খরচে স্যানিটারি প্যাড বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। বর্তমানে চীন থেকে আনা কাঁচামাল দিয়ে তাদের নিজস্ব বাসন্তী গার্মেন্টসে প্যাড উৎপাদন করছেন তারা। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভলান্টিয়ারদের উদ্যোগে দিনে অন্তত এক হাজার প্যাড উৎপাদন করছেন তারা। ছয়টি প্যাডের প্রতিটি প্যাকেট তারা পাঁচ টাকায় বিতরণ করবেন।



সালমান বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে শুরুতে তিন লাখ প্যাড বিনামূল্যে বিতরণ করবেন বিভিন্ন স্কুলগুলোতে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব এতিমখানার কিশোরীরা এই প্যাড ব্যবহার করছেন।


ঢাকা শাখা ছাড়াও চট্টগ্রাম, নারায়াণগঞ্জ, কক্সবাজার, রাজবাড়ী, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহে কার্যক্রম চালায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।


২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করা বিদ্যানন্দ একটি শিক্ষা সহায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ৪০ জন কর্মকর্তা, কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা আটটি শাখা, নিজস্ব ক্যাম্পাসে নবনির্মিত অনাথাশ্রম আর পরিপূর্ণ স্কুলের স্বপ্ন দেখছে তারা।





↑PREVIOUS-জান্নাতরুহি মায়ার কবিতাগুচ্ছ

NEXT-ইসলামে নারীর সম্মান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...