সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এনজিওগুলো কি স্বার্থে রোহিঙ্গা ক্যাম্প টিকিয়ে রাখতে চায়?



এনজিও সংস্থাগুলো চায় রোহিঙ্গারা আরো দীর্ঘকাল থাকুক। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে পুঁজি করে তারা যেন আরো বেশি অর্থের পাহাড় গড়তে পারে। শরনার্থী শিবির যেহেতু থাকবে, সেহেতু অনুদান ও অর্থ সমানভাবে বিদেশী মানবাধিকার সংস্থাগুলো থেকে আসতে থাকবে। বিদেশী সংস্থা থেকে পাওয়া লক্ষ লক্ষ ডলার কে না হাতছাড়া করতে চায়?
রোহিঙ্গারাও কিছু পেল, অনুদান বন্টনের নামে এনজিও সংস্থাগুলোও শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নিল! এর জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরণের হুমকির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। রোহিঙ্গারা এখানে এসেছে দুই বছর পূর্ণ হয়ে গেল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের পেছনে বাংলাদেশ সরকারকে এই দুই বছরে গুনতে হল ৭২ হাজার কোটি টাকা! যা আপনার আমার করের টাকা। যে টাকাগুলো থাকলে আমাদের বাংলাদেশের অর্থভাণ্ডার আরো মজবুত হতো।


এই রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া ও আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কম চাপ সামলাতে হচ্ছে না। এই চাপের কারণে বাংলাদেশের পররাষ্টমন্ত্রী অনেকটা বিরক্ত হয়ে জানিয়ে দিলেন যে, যে কোনো মূল্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এই ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই জন্য বাংলাদেশ কুটনৈতিক ভাবে প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে। একদিকে বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, আরেক দিকে এদেশের এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে তাদের দৃঢ়ভাবে সংগঠিত করছে। এই নিয়ে গতকাল রোহিঙ্গারা তিনটি পাহাড়কে কেন্দ্র করে এক বিশাল সমাবেশও করে ফেলেছে। যেখানে জমায়েত হয়েছিল ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা!
এখানে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে যে, রোহিঙ্গাদের এই বিশাল সমাবেশ করার জন্য কে অনুমোদন দিল? ক্যাম্পের ভিতর সমাবেশের জন্য স্টেজ থেকে শুরু করে এতোগুলো মাইক ও বৈদ্যুতিক তার কারা সরবরাহ করেছে? এনজিও সংস্থাগুলোর যদি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না করতো, তাহলে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে এসব জোগাড় করার কখনো সুযোগ ছিলো? আপনি ভাবতে পারবেন না, যে এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের স্বার্থে গত দুই বছর ধরে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে আসছে, তারা এখন রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির যে কোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখার জন্য পারলে টেকনাফ-উখিয়ায় এক ভয়াবহ গনহত্যা তৈরি করতে চায়বে। এর জন্য সরবারাহ করা হচ্ছে অস্ত্র। এর মধ্যে ক্যাম্পের ভিতর অনেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গজিয়েও উঠেছে।



 গত দুদিন আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাস গৌষ্ঠী স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। কারন সেই যুবলীগ নেতা রোহিঙ্গা শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর ছিলেন। গতকাল আবার রোহিঙ্গাদের হাতে নিহত সেই যুবলীগ নেতার ছোট ভাইকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু স্থানীয়দের বাধায় আর পারেনি। একটু ভাবুন তো রোহিঙ্গাদের অবস্থান এখন কোন পর্যায়ে গিয়েছে? যাকে তাকে অপহরণ করছে, স্থানীয়দের জমি জমা জোর জবরদস্তি করে দখল করছে, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে অপহরণ করে বা, প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করছে। আমাদের দেশের গুন্ডা মাস্তানরা কখনো প্রশাসনের থানা আক্রমণ করেছে বলে জানা নেই। কিন্তু রোহিঙ্গারা তা করে দেখিয়েছেন। পুলিশের অস্ত্র লুট করে আবার পুলিশকে নৃশংসভাবে হত্যাও করেছেন।


যাদের এই দেশের আইন শৃংখলা বাহিনী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, তারা ভবিষ্যতে দেশের জন্য কতোটা হুমকী স্বরুপ হবে একবার ভাবুন তো ? এরপরও এদেশের মুসলমান বাঙালীদের মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি কতো প্রেম! কতো পিরীত! কতো মানবতা! মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই আহা! যাই হোক, আজ একটা পোস্ট পড়ে যে তথ্যটা পেলাম, তা পড়ে শিউরে উঠলাম। প্রথম ছবি যেটা দেখছেন, এটা গতকাল রোহিঙ্গাদের জন সমাবেশের ছবি। যেখানে ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা সমাগম হয়েছিল। আর যে দুটো ছবি দেখতে পাচ্ছেন, এগুলি রোহিঙ্গা শিবিরের আশে পাশে কামারের দোকানে অস্ত্র বানানো হচ্ছে। এক দুইটা নয়, দশ হাজার বাঁকা ধারালো দা'য়ের অস্ত্র বানানো হচ্ছে। আর অস্ত্রগুলো বানাতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছেন এনজিও সংস্থাগুলো।

 আচ্ছা বলুন তো, এই অস্ত্রগুলো কেন বানানো হচ্ছে? কি জন্য বানানো হচ্ছে? কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য?
যেহেতু এটা আমার দেশ, আমার অস্তিত্ব। বাইরে থেকে আগত রোহিঙ্গা দ্বারা যদি আমার দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়, খুন হয়, ধর্ষণ হয়, সেক্ষেত্রে আমার বুকের মধ্যে আগুন জ্বলবেই। রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘৃণা আসবেই। এইটুকু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ আমি আমার মধ্যে ধারণ করি। তাই ভাবুন সামনের দিনে আপনাদের করনীয় কি? রোহিঙ্গাদের মার খেয়ে তাদের জায়গা জমি দিয়ে পালাবেন, নাকি প্রতিরোধ গড়ে তুলে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করবেন? এনজিও সংস্থাগুলো টের পাচ্ছে, রোহিঙ্গারা চলে যাওয়া মানে তাদের অবাধ আয় ও অর্থের উপর কফিনের শেষ পেরেকটি টুকে যাওয়া।


তাই এখন তারা তাদের বাণিজ্য (রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির) টিকিয়ে রাখার জন্য রোহিঙ্গাদের দিয়ে শেষ মরণ কামড়টি দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করবেন। সাবধানতা আপনাদেরই অবলম্বন করতে হবে।
--কে চায় ভাই মাগনা মাগনা হাজার কোটি টাকা কামানো হাতছাড়া করতে? যেমন কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় ভারতীয় জনগণের দেয়া কর হাজার হাজার কোটি টাকা হাতছাড়া হওয়ায় কাশ্মীরের রাজনীতিজীবিরা মরিয়া হয়ে লেলিয়া দিয়েছে অশিক্ষিত মুসলমান যুবকদের পাথরবাজি করতে। এইও ঠিক তেমনই। লিখেছেন-অপ্রিয় কথা

 
↑PREVIOUS-ইসলামে নারীর সম্মান

NEXT-ধর্ম আমাদের কি শেখায়?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...