সুপ্রিয়,
বহুদিন হয়
খুব করে ভালবাসনি
ভাসাওনি বেদনার নীলচে জলে
আমারে,
জড়াওনি বুকের বাঁ পাশটাতে।
আগে বলতে,ব্যথায় করে চিনচিন
যদি না দাও ছুঁয়ে আলতো করে
এই অভাগারে।
আমার ভেতরটা হুহু করে উঠতো।
এত অসহায়ভারে কেউ ভালবাসা চাইতে পারে!
এতটা কাঙালপনা ভালবাসায় থাকে!
অথচ,এখন দিনযাপন,
দিন যায়।
যায় তো রাতও
কালাক্ষরের বিক্ষিপ্ত বুননে।
ছোঁয়াছুঁয়ি হয়নি কতকাল,
ভালবাসাবাসি বলা হয়নি
সুদীর্ঘ বছর কত!
দীর্ঘশ্বাসে স্মৃতিচারণ,
অকারণ।
না মেনে মনের বারণ।
কত শাসন,
দুঃসাহস দেখায় ক্লান্তিতে।
আশ্রয় না পেয়ে সরে যায়
অসূর্যম্পশ্যা ভেবে।
যায়।
যায় তো দূরে।
সুদূরে।কালান্তরের পথটি ধরে।
ফিরাতে চাইনি,
হয়তো পারিনি।
অযাচিত ভ্রমণ শেষে
ফিরিনি আর নিজের কাছে।
হারিয়েছি খেই, সুপ্রিয়।
হারিয়েছি নিজেরে,
অনায়াসে,
অনাদরে।
অবলীলাক্রমে।
তুমি আর ফিরে এসো না।
হারিয়ে যাও চোখের অন্ধপ্রদেশে।
আর পেতে চাই না তোমায় স্মৃতি বিস্মৃতির চেনা অক্ষরে।
সেদিন সময়কে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে বসিয়ে রাখবো,
প্রথম প্রথম প্রেমিক যেমন বসে থাকে প্রেমিকার জন্য তেমন করে।
ট্রেন প্লাটফর্মে পৌঁছালেও আমি নামবো না ট্রেন থেকে।
ভাব ধরে থাকবো।
ভাবের চোটে ট্রেনে চড়ে পরের স্টেশনে চলে যাবো।
সেখানে গিয়ে একলা একলা পাড়ি দেবো অপ্রেমের পথ।
পেছন দিকে তাকিয়ে একবার বলবো, "দেখ কেমন লাগে" নিজেকে!
আজ আমার মন ভালো নেই।
মন ভালো নেই,মন ভালো নেই
অস্তরাগের সন্ধাতারায় মন হারিয়ে
মন ভালো নেই।
বসছে না মন, কোনকিছুতেই
মন ভালো নেই।
খোলা চুলে,হাওয়ার দোলে
মন দোলেনি,মন ভরেনি।
প্রস্ফুটিত পত্রজবায় মন মাতিয়ে
মন ভালো নেই....
নিজেকে সেসবের চেয়ে বড্ড তুচ্ছ মনে হয়।
কি ভীষণ! প্রবঞ্চনায় নাক ডুবিয়ে দিন কেটে যায়
অথচ উদ্বিগ্ন থাকি সবার সব চাওয়ায়।
আমারে তো অমন করে চায় না কেউ,
বেহিসাবি বুকেরতটে আছড়ে পড়া
নাম না জানা হাজার ঢেউ।
জলের গভীরতা বুঝতে সমুদ্রে পেতেছি ঘর।
জলের মতন আপন যত,সবার কাছে ততটাই পর।
বিরাম নেই,সরবতা নেই,নেই নীরবতাও।
কি আছে! গলায় আঁটকে।
ঢেকুর তুলতেই খামছে ধরা ব্যথা।
কিসের এতো দুশ্চিন্তা, চোখ জুড়ে
ঠিকানা নেই,ডাকবাক্স মরচেধরা।
খাম ছিঁড়তেই বেনামি চিঠির আত্মকথা!
আসবে বলে
সোনালু ডালে হলদে ফুলের গুচ্ছ দোলে,
আসবে বলে
ক্রান্তি কালে খয়েরি রঙা দুঃখ ভোলে।
আসবে বলে
ভরা গাঙ্গে ফুঁসলে ওঠে শত ঢেউ,
আসবে বলে
হিমায়িত আবেগ ফোটে,বুঝে না তা কেউ।
আসবে বলে
শরৎ রঙা মেঘেরা হাসে, নীল আকাশে।
আসবে বলে
জুঁই,চামেলির গন্ধ ছড়ায় বাউলা বাতাসে।
আসবে বলে
রাত্রি শেষে ভোরের আলোয় পাখি ডাকে।
আসবে বলে
দোয়েল,শ্যামা শিষ দিয়ে যায় পাতারফাঁকে।
লিখেছেন-জান্নাত রুহি মায়া (কবি)
বহুদিন হয়
খুব করে ভালবাসনি
ভাসাওনি বেদনার নীলচে জলে
আমারে,
জড়াওনি বুকের বাঁ পাশটাতে।
আগে বলতে,ব্যথায় করে চিনচিন
যদি না দাও ছুঁয়ে আলতো করে
এই অভাগারে।
আমার ভেতরটা হুহু করে উঠতো।
এত অসহায়ভারে কেউ ভালবাসা চাইতে পারে!
এতটা কাঙালপনা ভালবাসায় থাকে!
অথচ,এখন দিনযাপন,
দিন যায়।
যায় তো রাতও
কালাক্ষরের বিক্ষিপ্ত বুননে।
ছোঁয়াছুঁয়ি হয়নি কতকাল,
ভালবাসাবাসি বলা হয়নি
সুদীর্ঘ বছর কত!
দীর্ঘশ্বাসে স্মৃতিচারণ,
অকারণ।
না মেনে মনের বারণ।
কত শাসন,
দুঃসাহস দেখায় ক্লান্তিতে।
আশ্রয় না পেয়ে সরে যায়
অসূর্যম্পশ্যা ভেবে।
যায়।
যায় তো দূরে।
সুদূরে।কালান্তরের পথটি ধরে।
ফিরাতে চাইনি,
হয়তো পারিনি।
অযাচিত ভ্রমণ শেষে
ফিরিনি আর নিজের কাছে।
হারিয়েছি খেই, সুপ্রিয়।
হারিয়েছি নিজেরে,
অনায়াসে,
অনাদরে।
অবলীলাক্রমে।
তুমি আর ফিরে এসো না।
হারিয়ে যাও চোখের অন্ধপ্রদেশে।
আর পেতে চাই না তোমায় স্মৃতি বিস্মৃতির চেনা অক্ষরে।
২।সময় একদিন আমারও আসবে।
সেদিন সময়কে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে বসিয়ে রাখবো,
প্রথম প্রথম প্রেমিক যেমন বসে থাকে প্রেমিকার জন্য তেমন করে।
ট্রেন প্লাটফর্মে পৌঁছালেও আমি নামবো না ট্রেন থেকে।
ভাব ধরে থাকবো।
ভাবের চোটে ট্রেনে চড়ে পরের স্টেশনে চলে যাবো।
সেখানে গিয়ে একলা একলা পাড়ি দেবো অপ্রেমের পথ।
পেছন দিকে তাকিয়ে একবার বলবো, "দেখ কেমন লাগে" নিজেকে!
৩।
আজ আমার মন ভালো নেই...
আজ আমার মন ভালো নেই।
মন ভালো নেই,মন ভালো নেই
অস্তরাগের সন্ধাতারায় মন হারিয়ে
মন ভালো নেই।
বসছে না মন, কোনকিছুতেই
মন ভালো নেই।
খোলা চুলে,হাওয়ার দোলে
মন দোলেনি,মন ভরেনি।
প্রস্ফুটিত পত্রজবায় মন মাতিয়ে
মন ভালো নেই....
৪।ছোট্ট কিছুর জন্য এতটা উতলা হই যে
নিজেকে সেসবের চেয়ে বড্ড তুচ্ছ মনে হয়।
কি ভীষণ! প্রবঞ্চনায় নাক ডুবিয়ে দিন কেটে যায়
অথচ উদ্বিগ্ন থাকি সবার সব চাওয়ায়।
আমারে তো অমন করে চায় না কেউ,
বেহিসাবি বুকেরতটে আছড়ে পড়া
নাম না জানা হাজার ঢেউ।
জলের গভীরতা বুঝতে সমুদ্রে পেতেছি ঘর।
জলের মতন আপন যত,সবার কাছে ততটাই পর।
৫।কিসের এতো অস্থিরতা, বুক জুড়ে।
বিরাম নেই,সরবতা নেই,নেই নীরবতাও।
কি আছে! গলায় আঁটকে।
ঢেকুর তুলতেই খামছে ধরা ব্যথা।
কিসের এতো দুশ্চিন্তা, চোখ জুড়ে
ঠিকানা নেই,ডাকবাক্স মরচেধরা।
খাম ছিঁড়তেই বেনামি চিঠির আত্মকথা!
৬।
তুমি আসবে বলে...
আসবে বলে
সোনালু ডালে হলদে ফুলের গুচ্ছ দোলে,
আসবে বলে
ক্রান্তি কালে খয়েরি রঙা দুঃখ ভোলে।
আসবে বলে
ভরা গাঙ্গে ফুঁসলে ওঠে শত ঢেউ,
আসবে বলে
হিমায়িত আবেগ ফোটে,বুঝে না তা কেউ।
আসবে বলে
শরৎ রঙা মেঘেরা হাসে, নীল আকাশে।
আসবে বলে
জুঁই,চামেলির গন্ধ ছড়ায় বাউলা বাতাসে।
আসবে বলে
রাত্রি শেষে ভোরের আলোয় পাখি ডাকে।
আসবে বলে
দোয়েল,শ্যামা শিষ দিয়ে যায় পাতারফাঁকে।
৭।
ব্রণ নাকি খুচরা পাপ! নিচের ঠোঁটের কোল জুড়ে একটা হইছে!অনেকদিন চুমু পড়েনি ঠোঁটে তাই!
লিখেছেন-জান্নাত রুহি মায়া (কবি)
PREVIOUS-আজকের এইদিনে সমকামীদের জন্য ভারতে ঐতিহাসিক রায়
Next- পাঁচ টাকায় প্যাড
0 মন্তব্যসমূহ
মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।