সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাজনীতিবিদগন এবং ধর্ম

ধর্মীয়ান আর রাজনৈতিকদের নিষ্ঠুরতায় একদিন জীবন দিতে হয়েছিল সক্রেটিসকে। তার বিরুদ্ধে ধর্মীও নেতা আর রাজনীতিবিদদের অভিযোগের শেষ ছিলোনা। মৃত্যুদন্ডের পর বিষের পেয়ালা এনে দেওয়া হলো সক্রেটিসকে। বলা হলো, পান করুন। প্লেটোর লেখানীতে সক্রেটিসকে হত্যার কিছুটা বর্ণনা পাওয়া যায়।

 সক্রেটিস বিষের পেয়ালা শান্তভাবে মুখে তুলে নিলেন। তারপর তাঁকে হাঁটতে বলা হল। তিনি সামনে একটু হাঁটলেন। একপর্যায়ে থেমে গেলেন। শরীর আর চলছে না। শুয়ে পড়লেন। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দায়িত্বরতরা চিমটি কাটলেন তার শরীরে। জানতে চাইলেন, টের পাচ্ছেন? জবাবে মাথা নাড়লেন।টের পাচ্ছেন না। শুধু তিনি বললেন, একজনের দেনা একটি মুরগি আছে। তা যেন শোধ করে দেওয়া হয়। আর কারো সঙ্গে দেওনাপাওনা নেই। তারপর সব শেষ। থেমে গেলেন তিনি চিরতরে।


সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন একজন রাজনীতিবিদ। অভিযোগ,  সক্রেটিস যুবসমাজকে  বিপথে নিচ্ছেন এবং রাষ্ট্রস্বীকৃত দেবতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন। তিনি রাষ্টের দুর্নীতি,  অনিয়ম সম্পর্কে তরুনদের সচেতন করছেন। তিনি রাষ্ট্রস্বীকৃত দেবতাদের ভুল প্রমান করে তাদের ভন্ডামি সবার সামনে তুলে ধরছেন।
সংগ্রহীত

এবার আসল কথাই আসা যাক আপনি কি উপরের ঘটনাটাকে ভালো করে পড়েছেন?
কিছু বুঝেছেন? কি বুঝলেন যুগে যুগে রাজনীতিবিদগন ক্ষমতাশালীরা তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য যেকোন যঘন্য কাজ করতে পারে।

কিন্ত ধর্ম উদ্ভদনের পর তাদের কাজটা আরো সহজ হয়ে গিয়েছে। হাট্টিমাটিম টিম বোরাখ চড়ে মহাআকাশে যাওয়া গল্প মরার পর দোযখ বেহেস্তে এসবদিয়ে মোল্লারা ধার্মীকদের ভুলিয়ে রেখেছে । আর সেই মোল্লাদের সেল্টার দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা। খুব সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় ধর্ম এবং রাজনীতি একই মুদ্রার দুইপিঠ। ঘোল খাইয়ে পাগল করা হয়েছে ধার্মিকদের। তারা সত্য জানতে মানতে নারাজ তারা অন্ধকারে হাঁটছে।


 যুগে যুগে এসবের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে তাদের কতল করা হয়েছে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার বিচার কোন রাষ্ট্র নেইনি। যেহেতু রাষ্ট্র ধার্মিক তাই ইশ্বরে আবিশ্বাসীদের ব্যাপের তারা কোন পদক্ষেপ নিবে না। কিছু দিন আগে গ্রিসের একটি আদালোত সক্রেটিসকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে সত্য সামনে এসেছে। সত্য কখনো চাপা রাখা যায়না সত্য প্রকাশ হবেই। হত্যা করে কিংবা হত্যার বিচার না করে সত্যকে দাবিয়ে রাখা যায়নি যাবে না। কলম কে কখন কোন হত্যা কোন ধর্ম কোন মহাপুরুষ থামিয়ে রাখতে পারেনি কলম চলবেই।


  লিখেছেন-সজিব হোসেন

↑PREVIOUS- ধর্ম এবং লিঙ্গ বৈষম্য

NEXT-সাপ্তাহিক ধর্মীয় ব্যাঙগানিক প্রশ্ন প্রথম পর্ব

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...