এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সময়ের কাহিনী বা টাইম বৃত্তান্ত –একটি বাজে রম্য

সময়ের কাহিনী বা টাইম বৃত্তান্ত –একটি বাজে রম্য :



মুখবন্ধ:

 আগে এই গল্প লিখেছিলাম , ভাবলাম একই বস্তু আবার দিই,আমার এই লেখার পথের এক গুরু মহর্ষি শিবরাম ও নিজের লেখা পরিবর্তন করে দিতেন তাই মহাজন যে পথে করে গমন ওই পথেই নিজের লেখা নিজেই চৌর্যবৃত্তি করলাম।এই গপ্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক,এর সাথে কোনো বাস্তবের কারোর মিল হলে তা কাকতালীয় এবং তার জন্য আম্মো দায়ী না!একই ভাবে এই ভার্চুয়াল জগতের অজয় রায়ুত,অনুজপ্রতিম তৌসিফ শেখ এবং অন্য দু একটা চরিত্র আনলাম,তারা অনেক সহনশীল তাই কিছু মনে করবেন বলে মনে হয় না ।একই সাথে কালকে আরো এক এইখানেই পরিচিত রানা কে ও আনলাম একটু পচানোর জন্য,আগের একটি চরিত্রের নাম পরিবর্তন করে।সুবর্ণযুগের কিছু ব্লগগুরুর লেখা চুরিধারি করে চালাই তাই নিজের কিছুই নেই।এই গপ্প তাদের করকমলে নিবেদন করলাম।


আমাদের হরগোবিন্দ বাবুকে প্রথমটায় চিনতেই পারিনি তাই মহানন্দে বিপ্লবের এবং তার পথের চোদ্দপুরুষ করছিলাম।দলের মধ্যে নরম বাম এক বন্ধু রানা একটু প্রতিবাদ করছিল কিন্তু দলে সমর্থন না থাকায় খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।এই অবস্থায় তার বামপন্থী চোখ খুঁজে বের করলো আমাদের বঙ্গদেশের বিপ্লবের শাহ এ জাহান হরগোবিন্দদা এক কোনায় বসে আছে একা।সত্যি বলতে রানা তার বামদৃষ্টিতে না দেখলে আমরা কেউ চিনতেই পারতাম না ওটা আমাদের বাংলার গুয়েভ্রা(কেউ কেউ অপভ্রংস করে ও বলতো)বসে আছ।তার কারন তার বর্তমান হাল।

কিমাশ্চর্যম, হরগোবিন্দদার এই হাল হলো কি করে?
ক্ষয়াটে মার্কা হাড় জিড়জিড়ে একটা প্রোলেতারিয়েত চেহারা ছিলো হরগোবিন্দদার , সেটা একদম ভ্যানিশ! আজ এ কি ঘাড়ে গর্দানে দশা!সেই প্রবাদপ্রতিম সাদা পাঞ্জাবি, যেটা শ্রেণী সংগ্রামের এবং সাম্যবাদের প্রবল চাপ সামলে যেত আর কিরকম একটা বদখদ চিমশে বদবু ছড়াতো, সেটাও নেই! তার বদলে একটা কালো টি শার্ট পরণে যদিও তাতে গুয়েব্রার মুখ দেখা যাচ্ছে,তবু এ কি পোশাক।আগে চায়ের সাথে দু একটা টোস্ট বিস্কিট খেতেন এখন তো দেখি প্লেটের ওপর ম্যাকডোনাল্ড এর বেশ পেটমোটা বার্গার সঙ্গে আরো যেন কি!এ তো পুরোপুরি পরিবর্তন।

হরগোবিন্দদা এলাকায় অতি পুরনো বামপন্থী মুখ,যৌবনে কম্পিউটার ভাঙ্গা থেকে গ্যাট এবং ডাঙ্কেল ইত্যাদি পুজিবাদী বিষয়ের আঙ্কেল দেখানো এই মানুষটি তীব্র বামপন্থী।সেই সুবর্ণযুগে কল কারখানার মালিকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া বিপ্লবের মূর্ত প্রতিক হরগোবিন্দদা বাথরুমের কাজ বাদে সকল কাজ বামহাতে করে থাকেন।অনেকদিন এই অঞ্চলে তাকে দেখি নি,আজ এই রূপে দেখে আমাদের আড্ডাধারী সকলের চোখ কপালে উঠলো।
কৌতুহল মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি তাই উঠে হরগোবিন্দদার টেবিলে গিয়েই বসলাম।সামনে একটা দামী এপেল এর ফোন তার বাম পাশে ,আর কেউ নেই তাই ওটাও দাদার বলেই মনে হলো।সাম্যবাদী নতুন বাম রানা সরল মনেই জিজ্ঞাসা করলো,”দাদা কি কোনো ব্যবসা ট্যাবসা করছেন?”


দাদার গায়ের রং ভিন্ন মানে লেলিন সুলভ নয় তাই রাঙ্গা না হয়ে বেগুনি হয়ে উঠলো মুখ,ব্যক্তিগত কোনো ধান্দা করার এই পুজিবাদী কুকর্ম তার মতো মানুষের কাছে কত বড় আঘাত ওটা না বোঝার জন্য রাগ হতেই পারে! তাত্ক্ষণিক ক্যাচাল এড়াতে বলি "দাদা একটু মুটিয়ে গেছেন মনে হয়”

টি শার্টের মহামানবের মতোই খানিক তেরছা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বার্গারে হালকা একটা সংগ্রামী কামড় দেন।এরপর অন্য এঙ্গেলে একই ভাবে তাকিয়ে সুবলদার দোকানের আয়নায় হালকা নিজেকে দেখে একটা মেহনতি দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়েন।এরপর অতিদুর্লভ একটি কাজ করেন, সচরাচর যা করতে চান না তাই করলেন, মেনে নিলেন “হ্যা,একটু হয়েছি “


সাম্যবাদী রানা দুনিয়ার নিয়ম ভুলে আবার বলে ফেলে “ একটু কিসে,আপনি তো ফুলে ফেপে একাকার হয়েছেন!”

আবারো রাঙ্গা হয়ে এবার একদম স্ট্যালিন সুলভ রক্তজল করা চোখে দাদা আমাদের বলেন “হ্যা,তা একটু হয়েছি “

গপ্প মিস যাতে না হয় তাই বললাম “কি কেস দাদা?থাইরয়েড নাকি?”
দাদার কিঞ্চিত মানসিক শান্তি আসে,আবার বার্গারে আরো একটু বৈপ্লবিক কামড় দিয়ে বলেন”আর বলো না,এই ভুখা হরতাল করতে গিয়েই এই হাল”

ভুখা হরতাল!বলে কি?পুরো আড্ডার দল যাকে বলে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দাদার দিকে।

ত্যাড়া টুসু বলে ওঠে “কি খেয়েছেন এই সন্ধ্যাবেলা?অনশন করলে এই কাটিং হয়!আমাদের কি আরামবাগের প্রাণী ভেবেছেন?”

হরগোবিন্দদা চোখে বিপ্লবের লেলিহান শিখা জ্বালিয়ে টুসুকে যেন ভস্ম করে দিতে চান,টুসুর ভাগ্য ভালো এটা সেই বিপ্লবের সময় না,হলে এতক্ষনে শ্রেণীশত্রু হিসেবে ওর লাস পড়ে যেত!যাই হোক,দাদা আমাদের ততোধিক কঠিন কন্ঠে মানে পিকিং রেডিওর সেই বজ্র নির্ঘসে বলে ওঠেন “তুমি কি বুঝবে হে,অনশন কি জিনিস?কোনদিন তো ঠিক করে রোজা ও রাখো নি !তুমি আর অনশন!”দাদার মুখে রোজা এবং অনশনের গপ্প আসছে বুঝে টুসু তাড়াতাড়ি বলে ওঠে " সুবলদা দাদাকে আরো এক কাপ স্পেশাল চা-চু-দ্যান!"

শীতল যুদ্ধের অস্ত্র বিরতির সেই সময়ের সেভিয়েত নেতা ক্রুশ্চেভ এর মতো মুখ করে দাদা বার্গার এর উপর আরো এক কামড় লাগায়,বাড়তি চিজের কিছু শ্বেতসৌন্দর্য পাঞ্জাবি ছুয়ে যায়।
বেরসিক টুসু প্রসঙ্গ ভোলে না,আবার বলে,“না খেলে মোটা হলেন কি করে?”


হরগোবিন্দদা এবার সুরুত করে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলেন,”বুর্জুয়া এই শাসনে কোনো বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ হয়?এই জন্যই তো অমর্ত্যদা এইদিকে আসেন না”

দাদার অমর্ত্য প্রীতি সুবিদিত কিন্তু স্ফীত শরীরের সাথে সেন মহাশয়ের কি সম্পর্ক তা না বুঝে আমরা বেকুবের মতো তাকিয়ে থাকি।

দাদা এবার ১১ নম্বর জিন পিং এর মতো একটু উদার এবং ফিচেল হাসি দিয়ে বলেন,” আগে ছিল নিজেকে কষ্ট দিয়ে উপোষ করা,তোদের গান্ধী অবধি ওটা চলেছে,এখন অন্য নিয়ম!”

আমাদের মধ্যে প্রবল বাম বিরোধী অজয় বলে ওঠে “ওটাও এখন মার্কসবাদী কিছু হচ্ছে বুঝি ?”


সহনশীলতার প্রতিমূর্তি হয়ে একটু মাও দে জং এর সেই পেটেন্ট হাসি হেসে বলেন, “ওটা আমি ও আগে বুঝি নি,বুঝলাম ২০১১তে আমেরিকা গিয়ে”

দাদা যে তার এক মালদার আত্বীয়র ঘাড় ভেঙ্গে কি ভাবে যেন একবার আমেরিকা গিয়েছিল ওটা আমরা জানতাম,এরপর দাদা কয়েকটা টাইম ম্যাগাজিন ওই দিক থেকে এনে বড় জ্বালাতন করেছিল সেই ওয়াল স্ট্রিট ঘেরাও এর কথা শুনিয়ে শুনিয়ে।ভয় হলো আবার ওটা নিয়ে না শুরু করে।এই জন্য তড়িঘড়ি আমাদের মধ্যে একটু অল্পে টেনশনে ভোগা সুস্মিত বলে উঠলো,”দাদা,তা তো জানি,তার সাথে এর কি সম্পর্ক?”


দাদা এবার তার বোঝানোর ঝুলি খুলে বসেন, "তোমরা নিশ্চই জানো ফ্যাসিবাদী এবং পুজিবাদী আমেরিকা কি ভাবে ওই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন ভেঙ্গেছিল,তা সেই সময়ে আমি দেখলাম,ওদের ওই পুলিশ ইত্যাদি মানুষের এই ভুখা হরতাল ইত্যাদি করার সময়ে বড় বেশি বাড়াবাড়ি করে,কখন আমরা অনশন ভেঙ্গে এই ঝামেলা শেষ করবো এর জন্য একটা আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রাখে,মিডিয়া ও বেশ প্রবল একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ!যাক এসব অনেক বড় বিষয় তোমরা বুঝবে না। তবে হ্যা, একটা উপলব্ধি হলো, বুঝলাম এই কায়দায় ব্যাটাদের আলকায়দা দেখানো যাবে, এইভাবেই এই শোষক পুঁজিবাদী এই শাসক কে বলা যায়, আয় ব্যাটা বুর্জুয়া দালাল,তোদের ধনতন্ত্রের ক্ষমতার বাইরে এসে তোর্ পোষা বাহিনীকে দিয়ে আমার এই ভুখা আন্দোলন ভাঙ্গতে আমাকে জুস আর জল খাওয়া!


“ আমেরিকাতে ঐসব খাওয়াতো ?” আমি একটু উত্সাহিত হই।

দাদা,করুনার চোখে তাকিয়ে বলে”ওখানে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়,তবে ব্যবস্থা ভালো,আমি ঐখানেই এর আইডিয়া পাই”

ত্যাড়া টুসু আবার জিজ্ঞাসা করে “ তা হলে এইদিকে এসে না খেয়েই অনশন করছিলেন?”

“না খেলে তোকে পুজিবাদীর চামচারা কেন পাত্তা দেবে?”

“ তা হলে তো সেই না খেয়েই রইলেন “ টুসু অনড় “আর ওই আন্দোলনে কি গুপ্তকেশ উত্পাটন করলেন?সব তো একই আছে,স্লোগান দিয়েছিল,আমরাই ৯৯ ভাগ,ঐরম ৯৯ ভাগ হলে আমরা বেচে যাই!”

এবার ক্ষেপে যায় হরগোবিন্দদা, প্রয়াত চ্যাভেজ এর ভঙ্গিতে বলেন, “ আমার সময় নেই না হলে এখনই ওই ক্ষনিকের ছেলেদের (আসলে অন্য কিছু বলেছিলেন) দেখিয়ে দিতাম কেন এখনো এর ফলাফল আসে নি,আসবে,বিপ্লব এক দিনে হয় না! আর পুরো ঘটনাগুলো দেখ,ওটা কৌশলগত একটা অবস্থান,কি মাসের পর অনশন করলে চলে?এখন সকালে করবি,বিকেলে ফলাফল নিবি, দিল্লিতে দেখ,কত ছোট ছোট নেতারা বুঝে ফেলছে আর তোরা!”


বাম বিরোধী অজয় ছাড়ার পাত্র না,বলে “মিনারেল ওয়াটার আর জুস খেলে মোটা হয় কেউ?”

এবার একদম ভিয়েতনামের সময়ের আগুনখোর বিপ্লবী নেতাদের মতো ক্ষেপে যায় দাদা “এই জন্য তোদের কিছু হয় না,কিছুই তো বুঝিস না,আরে এই সকালে অনশন করার আগে তোকে ভালো করে খেয়ে নিতে হবে,আবার যাতে ক্ষিদে না পায় তাই ভালো রকম ভালোমন্দ খেতে হবে,আবার যাতে পেট খারাপ না হয় তার জন্য একটু বুঝে খেতে হবে আর মিনারেল ওয়াটার ছাড়া বাইরের জল খেলেই পেট ছাড়বে,প্রোটিন দরকার প্রচুর তাই খেতেই হবে মাছ মাংস ইত্যাদি “ দাদা প্রাঞ্জল হয়।

“সকালে ভালোমন্দ খেলেই মোটা হবেন?” টুসু বড় নাছোড়
দাদা সেই ক্রুশ্চেভ যেমন আইজেনহওয়ার এর দিকে তাকিয়েছিল সেইরকম শীতল দৃষ্টি দিয়ে বললেন “ অনশন ভাঙ্গার পর,শ্রেণীহীন সমাজের সাথে মিশে রাতে বিরিয়ানি খেতে হবে না ?”

এবার সাম্যবাদী রানা বলে ওঠে “বিরিয়ানি!কেন,বিরিয়ানি কি ভাবে ?”


দাদা একটু ফিসফিসিয়ে বলে ”ওই শেষবার বড় একটা অনশন হয়েছিল,মনে নেই?শহীদ মিনারের ওখানে?ওই যে ঐতিহাসিক ভুলের সময়ে সিঙ্গুরে আমরা দেখেছি,বিরিয়ানি বড় মানুষের মন টানে,তাই নতুন চুক্তিতে বিরিয়ানি “

আমরা অবাক হই, "কীসের চুক্তি?"

হরগোবিন্দদা বলে, “বাজারানন্দের সাথে “

তাদের সাথে!কি কথা তাদের সাথে?সমাজতান্ত্রিক রানা আকুল হয়ে জীবনানন্দের ধাচে বলে ওঠে।

দাদা এবার একটু উত্তেজিত হয়ে ওঠেন,বলেন, “বিপ্লব থেকে মেহনতি মানুষের কোনো আন্দোলন একা হয় না,লেভি এখন প্রায় নেই,একা গিয়ে ওই শহীদ মিনার বা নবান্নের সামনে না খেয়ে পড়ে থাকলে তোকে কেউ গুপ্তকেশে ও পুঁছবে না। ওটা একটা সমষ্টিগত কাজ।জনতার এক সামগ্রিক উপস্থিতির উদ্যোগ,এর জন্য অনেক কিছু লাগে,লোকবল থেকে অর্থ কি না লাগে!এখন বাজারে একটাই হিট তা হলো বাজারানন্দ,তাদের দরকার ঘন্টা ধরে একটা কিছু, আমাদের দরকার একটা গণ আন্দোলন আর তাদের দরকার একটা নতুন কিছু।“ দাদা দম নিয়ে একটা কিং সাইজ গোল্ডফ্লেক বের করে একদম হাভানা চুরুটের মতো ধরায় নতুন জিপ্পো লাইটার দিয়ে।


পাটকলের চিমনির মতো সেই দুর্লভ দিনের ছবির কথা মনে পড়িয়ে একরাশ ধোয়া ছেড়ে বলেন“এই যে সাংবাদিক থেকে অন্য মিডিয়া,তাদের তো অনশন নেই,তা তাদের খাওয়াবে কে?দেখবে কে?ব্যানার দেবে কে ?দলে দলে লোক এনে দিতে টাকা লাগে না?এখন কি আর সেই কোঅর্ডিনেশন কমিটি বা সরকারী ক্ষমতা আছে?এর জন্য টাকা কে দেবে রে শালা?তোর্ শশুর?” দাদা বেশ ৬৫ ডেসিবেলের উপরে নিনাদ তোলে।
“এরপর রাতে ওই থেকে যাওয়া লোকদের সাথে বসে যদি রুটি তরকারী খাস তা হলে চলে?লোকে থাকবে তোর সাথে?”দাদার প্রশ্নের বাণ চলতেই থাকে।
-এরপর লাগে ইন্টারনেট এ ফেসবুক থেকে টুইটার ইত্যাদিতে ভালো ভালো ছবি আপলোড বা এডিট করে প্রচার,এখন আবার পার্টির ক্লাসগুলো হয় না তাই কত কাজ আউটসোর্স করতে হয় জানিস?এইসব করে দেবে কে?কোনো সংঘঠিত কিছু না থাকলে কে করবে?”

“ তা বাজারানন্দ কি করে?” আমাদের অজয় বোধহয় হজম না করতে পেরে আবার জিজ্ঞাসা করে।
হরগোবিন্দদা পরিচিত সেই স্লোগানের হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “চার অক্ষরের বোকা!এতক্ষন কি বললাম!এদের সাথে সময় নস্ট করাই ভুল!এই কাজ করে বাজারানান্দের ইভেন্ট ম্যানেজাররা।ওদের কিছু নিজেদের ব্যবস্থা আছে”
আমরা স্তব্ধ হয়ে যাই বলি, “এতেও তো পুজিবাদ!”



বিরক্ত হরগোবিন্দদা আরো একটা লম্বা সিগারেট ধরিয়ে বলেন, “বেড়াল সাদা না কালো ওটা কথা না,ওটা ইদুর ধরতে পারে কি না ওটাই বড় কথা “

এরপর বাম হাতে এপেল এর আইফোন তুলে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন আমাদের আগুনখোর বিপ্লবী হরগোবিন্দদা।তার সময়ের দাম আছে!
লিখেছেন- আজীজুল সাইজী

↑PREVIOUS-নাস্তিক- বিদ্বেষী

NEXT-ইসলামে প্রচলিত বিয়ে এবং বর্বরতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ