সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলামে প্রচলিত বিয়ে ও বর্বরতা

মনুসংহিতা একখানি চরম বিভেদমূলক গ্রন্থ। মানুষকে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র- জন্মসূত্রে এই চারটি বর্ণে ভাগ করা, সংখ্যাগুরু শূদ্রসমপ্রদায়কে ভাগ করে হাজার হাজার জাতের সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যে আবার কাউকে কাউকে অস্পৃশ্য হিসাবে নির্দেশ করাই এই বিভেদের মূল উৎস। মানুষে মানুষে ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদ সৃষ্টি করতে এই গ্রন্থ যে কেবল উৎসাহই দেয় তাই নয়, বরং এই বিভেদকে কঠোরভাবে পালন করার নির্দেশও দেয়। ফলে মানুষে মানুষে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার পরিবর্তে মানুষের অন্তরে ঘৃণা ও হিংসার বীজ ছড়িয়ে দেয়। ঠিক এই কারণেই ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর মাহাদে বাবাসাহেব ড. ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে মনুস্মৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।  এই বহ্নুৎসবের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা হয়, “মনুস্মৃতি শ্রদ্ধার উপযোগী নয় এবং একে পবিত্র গ্রন্থ বলা যায় না। এর প্রতি ঘৃণা দেখানোর জন্য এই সম্মেলন সভাশেষে এর এক প্রতিলিপি দাহ করতে মনস্হ করেছেন। কেননা এ ধর্মের বেশে সামাজিক অবিচার জিইয়ে রাখার প্রণালী বলেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চায়।


তবে হিন্দুরা এখন আর ৫ হাজার বছর আগের আইন মানে না। দুনিয়ার কোথাও আর মনুর আইন চলে না। নেপাল সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ  ভারতের হিন্দুরা এখন আধুনিক হয়েছে। যার কারনে ভারত নেপাল সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও কোথাও এই আইনের প্রচলন নেই।

আর অন্যদিকে ২০১৯ সালে এসেও ইরান জানিয়ে দিলো তারা ইসলামী শরিয়া মতে তারা চলছে নিজের পালিত কন্যাকে বিবাহ করা যাবে আইনই বুঝিয়ে দিচ্ছে ইসলাম আজও জেগে আছে। এই বিষ বৃক্ষটি যেকোন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে সারা পৃথীবিতে ঢাল তোলোয়ার নিয়ে খেলাফাতের ডাক দিতে পারে। বদর,খন্দক যুদ্ধের মতো সারা দুনিয়াই খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য বর্বরতার হত্যার বন্যা বইয়ে দিতে পারে।

একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখেন হিন্দুরা কিন্তু তাদের মনু আইনের কথা বলতে লজ্জা পাই। তারা আধুনিক তার সভ্য। হিন্দুরা পালিত কন্যাকে বিবাহ করে এমন আইন প্রচলন বা প্রতিষ্ঠা করে না এসবের তারা প্রচার করেনা মনুর কথাতেও তারা এড়িয়ে যায় তাদের বিবেকে বাধে ওসব বর্বরতার কথা বলতে শুনতে প্রচার করতে। অন্যদিকে মুসলমানেরা এখনো সেই মরুবাসি তাদের পূর্বপুরুষেরা কি করেছে তাদের নবী কি করেছে পুত্রবধুকে বিয়ে,নিজের পালিত কন্যাকে বিয়ে, একের অধিক বিয়ে, ইচ্ছা মতো দাসীরাখা ভোগ করা। অমুসলিমদের হত্যা করা তাদের মূর্ত ভাঙ্গা, ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া লুটপাট করা ইত্যাদি কাজের মতো বিষয়কে প্রচার করে প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করে ইসলাম একটা ভাইরাস একটা বিষ। ভংয়কর বর্বর একটা ধর্ম এর থেকে বাঁচতে হাবে সচেতন হতে হবে।


সমালোচনা করে অনেক কিছু বন্ধ করা যায় আবার ব্যাংগ বিদ্রুপ করে বন্ধ করা যায়। সমালোচনা যে যার যাগা থেকে করতে পারে সবার বাকস্বাধীনতা আছে কথা বলার অধিকার আছে ব্যাংগ বিদ্রুপ করার অধিকারও সবার আছে। যেহেতু আন্দোলন করতে গেলে মৌলবাদীরা জঙ্গিরা জিহাদীরা আপনাকে আমাকে চাপাতি দিয়ে হত্যা করবে তাই নিজের জাগা থেকে ইসলামের সমালোচনা করে ব্যাংগ বিদ্রুপ করে এই ধর্মের মূল নষ্ট করে দিতে হবে নয়তো আচিরেই জিহাদীরা খেলাফাতের নামে মানুষ হত্যা ও বর্বরতার নজির প্রকাশ করতে পারে।

লিখেছেন : সজিব হোসেন


↑PREVIOUS- সময়ের কাহিনী বা টাইম বৃত্তান্ত-একটি বাজে রম্য

NEXT-ইথোনি

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...