এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ফেসবুকে বকরবকর

প্রতি বছর বইমেলা আসার আগে একটা চিন্তা মাথায় আসে ইস এবার যদি আমার কোন বই প্রকাশ হইতো?
পরক্ষনেই মনে হয় এইসব কঠিন কর্ম আমার জন্য নয়।
বই লেখে তো জ্ঞানী গুনি রা আমি যা পারি সেই লেখকের কঠোর সমালোচনা করতে।
শুধু লেখকের লেখার তো একদমই নয়।
কেননা আমি তো আসলে বই পড়ি না।
আমি শুধু খোঁজ রাখি লেখক কার সাথে কতবার শুয়েছে?
লেখক আমার ধর্ম, জাতীয়তা নিয়ে,আমার প্রিয় দল নিয়ে আমার এবং আমার পছন্দের জিনিস গুলো নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে কিনা সেই সব বিষয় গুলো।
আসলে দাদা আমি তো বই পড়ি না লেখার সমালোচনা কিভাবে করবো?
তবে বই পড়া নিয়ে নিচের কয়েক লাইন পড়ে দেখা যেতে পারে।

বই পড়া থেকে আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জিত হয়। বই পড়তে হয় একাকী এবং তাতে অবসর ভরে ওঠে নির্মল আনন্দে, বুদ্ধি আসে বইয়ের কথামালা থেকে, আর সক্ষমতা আসে গ্রন্থগত বিদ্যার সঙ্গে বিষয়বুদ্ধির সংশ্লেষে।
একজন বিশেষজ্ঞ খুঁটিনাটি বিষয় ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেন। তিনি তথ্য ও তত্ত্বে পারঙ্গম। তবে বই পড়ায় অত্যধিক সময় ব্যয় করলে শরীর-মনে আলসেমি ভর করতে পারে। বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাপৃত হলে মেকিত্ব তৈরি হতে পারে এবং অতিমাত্রায় নিয়মচর্চা হাস্যকর পাণ্ডিত্যে পর্যবসিত হতে পারে।

পাঠাভ্যাস মানবপ্রকৃতিকে নিখুঁত করে এবং তা আবার অভিজ্ঞতার দ্বারা নিকষিত হয়। প্রাকৃতিক দক্ষতা হলো উদ্ভিদের মতো, কেটেছেঁটে যত্ন নিতে হয়। বই সেই পরিচর্যার কাজটি করে। পাঠে পাওয়া যায় পথের দিশা এবং তা সঠিকভাবে চালিত হয় অভিজ্ঞতার দ্বারা। চালবাজ লোকেরা পাঠকে ঘৃণা করে, সাধারণ লোকেরা প্রশংসা করে এবং জ্ঞানী লোকেরা ব্যবহার করে। তারা অভিজ্ঞতার মারফত বুঝতে পারে পাঠার্জিত জ্ঞানকে কীভাবে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে হবে। পাঠ কাউকে নাকচ করার জন্য নয়, কোনো কিছুকে স্বতঃসিদ্ধরূপে গ্রহণ করার জন্য নয়, বাদানুবাদের জন্যও নয়। পাঠ হবে বিচার-বিবেচনার জন্য। কিছু বই পড়তে হয় স্বাদ নেওয়ার জন্য, কিছু বই গিলে ফেলার জন্য, কতিপয় বই চিবিয়ে খেয়ে হজম করে ফেলতে হয়। অর্থাৎ কিছু বই অংশবিশেষ পড়লেই হয়, কিছু বই অতটা কৌতূহল নিয়ে না পড়লেও হয়, তবে কতিপয় বই পুরোটা পড়তে হয়, মনোযোগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে। কিছু বই অন্যের সহায়তা নিয়ে পড়া যায়, অন্যরা বইয়ের সারসংক্ষেপ তৈরি করে দিতে পারেন। এভাবে কেবল কম গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের বিষয় সম্পর্কে একটা হালকা ধারণা পাওয়া যায়। পরিমার্জিত বই হলো বিশুদ্ধায়িত জলের মতো, চকচকে।

পাঠ একজন মানুষকে পরিপূর্ণ করে, বাগানুশীলন একজন মানুষকে চটপটে করে এবং লেখালেখি একজন মানুষকে যথাযথ করে। কাজেই যে ব্যক্তি লেখালেখি করে না তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। যে ব্যক্তি কথার চর্চা কম করে, তার প্রজ্ঞায় ভাটা পড়ে। আর যে ব্যক্তি বই কম পড়ে, জানার ভাব দেখানোর জন্য তার ধূর্ততার প্রয়োজন হয়।
ইতিহাসের পঠন মানুষকে জ্ঞানী করে, কবিতাপাঠ বুদ্ধিদীপ্ত করে, গণিতচর্চা যুক্তিবোধকে শাণিত করে, প্রাকৃতিক দর্শন নৈতিকতার ভিত্তি সুদৃঢ় করে। বই পড়তে পড়তে সুঅভ্যাস তৈরি হয়। জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দরকার উপযোগী বই পাঠ। যেমন শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হয়। শরীরে পাথর জমলে বোলিংয়ে উপকার পাওয়া যায়, শুটিং করলে ফুসফুসের উন্নতি হয়, হাঁটাহাঁটি পরিপাকে সহায়তা করে, অশ্বচালনায় মাথার উপকার হয় ইত্যাদি। কাজেই কারও বুদ্ধির ঘাটতি হলে তাকে বই পড়তে হবে। মনোবিক্ষেপ হলে সে অঙ্ক কষবে। অঙ্কের জন্য গভীর মনোযোগ লাগে এবং একবার ভুল হলে আবার নতুনভাবে শুরু করতে হয়। কারও যদি ভেদাভেদ জ্ঞান কম থাকে, তাকে স্কুলমেন বইটি পড়তে দেওয়া যায়। কারও যদি কাজের সময় মাথা না খেলে, কোনো কিছু প্রমাণ করতে হিমশিম খায় কিংবা দৃষ্টান্ত দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে আইনের কেসগুলো পড়তে হবে। অজ্ঞতার ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে পাঠপথ্য।


২।একজন বলতেছিলো আমার পিছনে সময় নষ্ট না করে আপনার লেখালেখি করা উচিত।
তারে তো সেই সময় জবাব দেয়া হয়নি আমি আসলে লিখতে পারি না।
আবার যদি লিখি বা বলি সেই সব তো লোকের কাছে পৌঁছাইতে হবে?
যদি লেখা গুলি লোকের কাছে না পৌঁছে তাহলে সেইসব লিখে কি হবে?
লিখেই বা লাভ কি?
আলু পটল পেয়াজ মরিচ নিয়ে যতটা ব্যস্ত জীবন লেখার মতো উচ্চমার্গীয় জিনিস নিয়ে আমার মতো বাঙালির ভেবে কোন কি লাভ আছে?
ফেসবুকে একটা বিষয় দেখি যতকম শব্দে লেখা যায় তত বেশি রিয়াকশন!
কম শব্দে লিখলেই হবে না সেই কয়েক শব্দেই পুরো বিষয়টাকে উপস্থাপন করতে হবে।
এই বিষয়ে পুরাণ পলিটিক্যাল রাইটিং জোকস মনে পড়লো।
আগের কালের লেখকদের যদি বলা হয় এই বিষয়ে আমার একটা লেখা চাই।
সম্পাদক সাহেবকে এর জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের লেখকরা এমন হয়ে গেছেন সম্পাদক সাহেব খালি বললেন, লেখা চাই বিষয়টা অমুক তার দুই মিনিটের মাথায় ই-মেইল পৌঁছে গেছে সম্পাদক এর ডেক্সটপে।"
সে যাই হোক এক স্যারকে যখন মেসেজ করি যে বিষয়েই মেসেজ করি স্যার" হ "উত্তর দেন।
স্যারকে কইলাম, আমি যা লিখি আপনারে সেটার জবাব আপনি আগে থেকেই লিখে রাখেন "হ" বলে?
স্যার এবারও জবাব দিলেন "হ"!


৩।সংসার টংসার আমি বুঝি না সংসার চালায় আমার বউ।
আমি শুধু কমিটমেন্ট পালন করি কমিটমেন্ট এর জায়গায় আমি পাক্কা।
-নচিকেতা।

এরকম একটা বিষয় যখন চিন্তা করতেছি তখন মনে হইলো সংসার এর বাধন কি আমারে বাঁধতে পারবে?


৪।কিছুদিন আগে একটা ছবি শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে সেই ছবিটা শেয়ার করার জন্য কয়েকশ মানুষ আমাকে প্রকাশ্য হত্যা হুমকি দিয়েছিলো।
এমনকি আমার মা বোনেকে ধর্ষণের হুমকি।

পরে শুনেছিলাম আমার নামে নাকি বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার জন্য মামলা হয়েছে।
তার সাথে সাথে আইডিও কোমায় চলে গেছিলো।তবে এইসবে হাসি পেয়েছিলো এই ভেবে যে যারা দুইদিন আগে আবরাব এর বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছিলো তারাই আমার সেই বাক স্বাধীনতায় এসে হস্তক্ষেপ করেছিলো।

সব কিছুতেই কেমন জানি একটা হা হা হা বিষয় চলে এসেছে।


৫।কোন পোস্টে যখন কেউ হা হা হা দেয় মনে হয় সেই একটা লিজেন্ড সেই সে পোস্টের মর্ম বুঝেছে।

আর বাদ বাকি সব কি জানতে হলে পাল্লার পোস্ট পড়তে পারেন।

অনেকে প্রশ্ন করে আপনি কি পাল্লার নিক নাকি?

তখন তাদের সেই কথাতে হা হা দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।


৬।এক ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগের নাম ‘সুকুমার শিল্প’। এর সংক্রমণ একবার শুরু হলে এই জিনিস কুটুর কুটুর করে প্রথমে ‘কুটিরশিল্প’ হয়ে শিল্পবোদ্ধা গরিবের কুটিরে কুটিরে ঘোরে। তারপর সেখান থেকে তা গড়াতে গড়াতে খোদ জাতীয় সংসদের অধিবেশনকক্ষে পর্যন্ত ঢুকে পড়তে পারে। আর তা যখন সংসদ পর্যন্ত গড়ায় তখন উন্নয়ন, অবকাঠামো, স্কুল–কলেজের এমপিও, গরু–ছাগলের হাটের ইজারা—এসব অনেক সাংসদের কাছে নিতান্ত ‘তুচ্ছ ও জাগতিক’ বিষয় বলে প্রতীয়মান হতে শুরু করে। তখন মাননীয় সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ হয়ে ওঠেন অতি সংবেদনশীল কবি, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, আবৃত্তিকারসহ নানান আকার-প্রকারের ‘শিল্পকার’। ক্ষণপ্রভা প্রতিভাধর সেই সাংসদদের স্বরচিত-বিরচিত, সুলিখিত-সুপঠিত গান ও কবিতা কালক্রমে কালজয়ী ‘সংসদীয় শিল্পকলা’ হয়ে ওঠে। সেই শিল্পকলার ‘ভিডিওচিত্রকলা’ মাঝেমধ্যে বার্ডফ্লু ভাইরাসের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। লোকজন সেই শিল্পকর্মের অমিত সম্ভাবনার ঝিলিক দেখে নির্মল বিনোদন পায়।
এদিকে এখন ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে বিজয় কিবোর্ড।
প্রমিত বাংলার উচ্চারণ লেখার মান যে উচ্চমার্গীয় বিজয় কিবোর্ড এর উপর নির্ভর করে আমার মতো বাল ছাল লোক তো সেটা বুঝতে পারতেছে না।
কিন্তু যা হচ্ছে বিজয় কিবোর্ড এর সুকুমার বৃত্তি নিয়ে সংসদ থেকে শুরু করে ফেসবুকের মাঠ গরম হয়ে গেছে।
বিজয় কিবোর্ডকে এখন শুধু একটা প্রাইম জোকার নোবেল দেয়ার দরকার ছিলো।


৭।ধান খেতে যদি গম গাছ উঠে তাহলে সে গুলোকে উপড়ে ফেলা হয় আগাছা হিসেবে। আবার গম খেতে যদি ধান হয় সে গুলোকেও উপড়ে ফেলা হয় আগাছা হিসেবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধান খেতে যদি ভিন্ন প্রজাতির ধান গাছ জন্মনেয় সেগুলোকেও খুজে খুজে উপড়ে ফেলা হয়। কারন না করলে ধানের থেকে যদি বীজ নেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে না। আবার ভিন্ন প্রজাতির ধান হলেও তার চাল/ভাত দেখতে একই হত না। মিশ্র কিছুই ভালো না।
যদি অনেক গুলো নাস্তিক মানুষ থাকে কোথায়ও, সেখানে কোন আস্তিক লোক থাকতে পারে না। হয় ঐ আস্তিক লোকটা নাস্তিক হয়ে যায়, অথবা ঐ জায়গা থেকে চলে যায়। কারন ঐ আস্তিক লোকটা হচ্ছে আগাছা।
আবার অনেক গুলো মোজলেম লোকের মাঝে একজন নাস্তিক মানুষ ও মানায় না। তাকে হয় মোজলেম হতে হয় না হয় তাকে ঐ স্থান থেকে চলে যেতে হয় অথবা তাকে উপড়ে ফেলা হয় আগাছা হিসেবে। প্রকৃতিও মনে হয় মিশ্রতা পছন্দ করে না।
আচ্ছা কেন লিখছি এমন একটা লেখা? আমার বয়স যতটুকু হয়েছে এতটুকুর মধ্যে আমি যা দেখেছি তাই লিখছি। লেখাটা হয়তো অনেক ছোট্ট। কিন্তু এটা মিথ্যে না। লেখাটা মিথ্যে হওয়া মানে আমার __ বছরের জীবন পুরো মিথ্যে।
আবার মাঝে মাঝে নিজেকে আগাছা ও মনে হয়। কোথায়ও ঠিক ভাবে সেট করে না। কোথায়ও না। আগাছা হিসেবে বাঁচতেও ইচ্ছে করে না। বেচে কি হবে? অনেক টাকা? অনেক সম্পদ? ঐ সব হয়ে কি হবে?
মাঝে মাঝে পরগাছাও মনে হয় নিজেকে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কাউকে যেন শোষন করে বেঁচে রয়েছি। আচ্ছা আমি কি মিথজীবি হতে পারি না? যতটুকু আমি কারো কাছ থেকে নিব ততটুকুই আবার ফেরত দেব, পারলে একটু বেশি। আচ্ছা, প্রানীরা যদি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিথজীবিতা দেখাতে পারে মানুষ কি পারে না?
কিছু কিছু প্রানী তো সারাজীবনই মিথজীবি হিসেবে বেছে থাকে, মানুষ কেন আগাছা বা পরগাছা হিসেবে থাকবে? মিথজীবিতা কি দেখাতে পারে না?


৮।এখন দিন।এই শহরের সমস্ত পুরুষমানুষ এখন যে যার কর্মস্থলের দিকে রওণা দিয়েছে।তাদের মধ্যে কেউ কলেজে,কেউবা অফিসে,কেউবা দোকানে,কেউ আবার ব্যবসায়ী মানুষ,কারুর আবার রিক্সা অটো চালিয়ে দিন গুজারণ হয়,কেউবা ভোর বেলায় পাইকারি দরে সবজি কিনে বাজারে বসে বেচতে।এই পুরুষমানুষরা নিজেদেরকে এক একটা বড় সমাজবাদী হিসাবে জাহির করে,জাহির করে তারা সমাজে নারীদের কত সম্মান করেন।অথচ নিজের বাড়িতে কন্যা সন্তানের আগমণ বার্তা পেলে প্রথমে এদের মুখেই হতাশার চিহ্ন প্রকাশ পায়,সেই মেয়ে বড় হয়ে ওঠার পর উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করলে,তার সেই ইচ্ছাটাকে পিষে মেরে তাকে আরেক পুরুষের হাতে তুলে দেয় তার হয়ে খাটতে জীবনভোর। অবশ্য এই সমাজে ব্যতিক্রমিও কিছু রয়েছে ।আর দিনের এই সমাজবাদী ভদ্রলোকের দলের মধ্যে কিছু মুখোশধারী পুরুষ রাত্রে তাদের আদিম হিংস্র প্রবৃত্তি,চাহিদা মেটাতে শহরের এই জায়গায় ভিড় করে।দিনেরবেলায় মুখোশ পরিহিতা এই সমস্ত পুরুষ দেখায় যে তারা নারীকে কত সম্মান করে,অথচ মাঝ রাতে তাঁরার হাঁটের কোনো একটা অন্ধকার ঘরের মধ্যে এরা নারীদের শরীরটাকে নিয়ে খেলে তার সমস্ত রস শুশে নিয়ে,টাকা ছুঁড়ে দিয়ে যখন দুর্ব্যবহার করে তখন এদের কাছে নারীর মর্যাদা কী?
তা স্পষ্ট ধরা পরে।এই সমস্ত ভদ্ররূপী পুরুষদের জন্যই দেহ ব্যবসা আজও টিকে আছে।আজও পৃথিবীর বহু জায়গায় বহু নারী কোনো কারণে কিংবা কখনও বিনা কারণে দালালদের চাপের প্রভাবে তারা বাধ্য হচ্ছে এই পথে নামতে।অথচ দোষ কিন্তু এই নারীগুলিরই হয় যারা আর্থিক কারণে,পাচার হওয়ার জন্য এই জীবনটাকে বেছে নেয়।এই নারীগুলি সমাজে অচ্ছুৎ,ঘৃণিত,চরিত্রহীন হয়ে থেকে যায়।কেউ বিচার করে দেখেনা যে মেয়েগুলির হৃদয় কেমন?
তারা কী কারণে এই রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হল?
ব্যস ঘৃণার পাত্র হয়ে যায়।কিন্তু যারা এই ব্যবসাগুলোয় আজীবন টাকা,মদত জুগিয়ে আসছে,যাদের জন্য এই ব্যবসার এত রমরমা তারা সমাজের কাছে আজও সম্মানীয় হয়ে আছে।


৯।কারো চলে যাওয়াতে কারো কিছু আসে যায় না। প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। মাঠের এক গুচ্ছ ঘাস কোদাল দিয়ে তুলে ফেলার পর আবার একদিন নতুন ঘাস জন্ম নেয়।
হয়তো কখনো কখনো দেরী হতে পারে।
মাটি অনেক আশা নিয়েই তাকিয়ে থাকে আকাশে কখন বৃষ্টি হবে....

একদিন................

১০।বছরের একেকটা সময়ে আজকের দিনের মতো কিছু বিষয় সামনে আসে।
ওয়াশিকুর বাবু,অভিজিৎ, নীলয় নীল,অনন্ত বিজয়, থাবা বাবা,দীপন,,শাহাজাহান বাচ্চু আরো সব ভুলে যাওয়া নাম গুলো।
হাজারো মৃত্যুর ভীড়ে আপনাদের এই নামটাও আমিও হয়তো ভুলে যাবো।
বিচার....
শব্দটা মনে আসলেই আমার হা হা চলে আসে।
এবং সবকিছুই একরকম হা হা হা হয়ে গেছে।
লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার
↑PREVIOUS-কোরানে ভুল ও অযুক্তিকতা-প্রথমপর্ব

NEXT-ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো চতুর্থপর্ব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ