এই ব্লগটি সন্ধান করুন

কোরাণে আল্লাহর মিথ্যাচার আবিষ্কার


কুমতলবী গোঁজামিলের তাফসীর দিয়ে সত্য ধামাচাপা দিতে মুমিনরা কি প্রস্তুত?
পৌত্তলিক মুশরিকদের উপাস্য মূর্তি নাকি শোনে না, দেখে না, কোন কথার উত্তর দেয়না, উপাস্যের কোন উপকার বা অপকারেও আসেনা। তাহলে ঐ উপাস্য মূর্তি বা শয়তান আল্লাহর বান্দাদের ক্ষতি করে, পথভ্রষ্ট করে, জাহান্নামী করে বলা কি আল্লাহর মিথ্যাচার নয়?


১৯. সূরা মারইয়াম
৪২. যখন তিনি (ইবরাহীম) তার পিতাকে বললেন: হে আমার পিতা, যে (মূর্তি) শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর? 

২০. সূরা ত্বোয়া-হা
৮৯. তারা কি দেখে না যে, এটা (মূর্তি) তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি ও উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না। 

 মূর্তি যদি শোনেনা, দেখেনা, কথা বলতে পারেনা, ভালোমন্দ কিছুই করার ক্ষমতা না থেকে থাকে, তাহলে কোরানে ০৬ঃ১৩৭ আয়াতটি কি মিথ্যা আয়াত? কোরানে এই 'মিথাচার' আয়াত ঢুকলো কীভাবে?

 উপাস্য মূর্তি যদি শোনে না, দেখে না, কোন কথার উত্তর দেয়না তাহলে আল্লাহর ভাগ কীভাবে তার শরিক উপাস্যরা নিয়ে নেয়? আল্লাহর শরিক আছে তা ০৬ঃ১৩৬ আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ স্বীকার করেই নিলো।


    "যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না।" অর্থাৎ মূর্তি বা শয়তান সবই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন একান্ত অনুগত বাধ্য। মূর্তি বা শয়তান পরাধীন, তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া নিজের ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে কোনো কাজ করতে পারেনা। আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী ও নির্দেশ অনুসারেই মূর্তি বা শয়তান কাজ করে।

০৬. সূরা আল্-আন্‌-আম
১৩৬ আল্লাহ যেসব শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তারা এক অংশ আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে অতঃপর নিজ ধারণা অনুসারে বলে, এটা আল্লাহর এবং এটা আমাদের অংশীদারদের। অতঃপর যে অংশ তাদের অংশীদারদের, তা তো আল্লাহর দিকে পৌঁছে না এবং যা আল্লাহর তা তাদের উপাস্যদের দিকে পৌছে যায়। তাদের বিচার কতই না মন্দ।



১৩৭. এমনিভাবে অনেক মুশরেকের দৃষ্টিতে তাদের উপাস্যরা সন্তান হত্যাকে সুশোভিত করে দিয়েছে যেন তারা তাদেরকে বিনষ্ট করে দেয় এবং তাদের ধর্মমতকে তাদের কাছে বিভ্রান্ত করে দেয়। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না। অতএব, আপনি তাদেরকে এবং তাদের মনগড়া বুলিকে পরিত্যাগ করুন।


 পৌত্তলিক কোরাইশদের মূর্তির কি প্রাণ আছে? মূর্তি জাহান্নামে যাবে কেনো? আর মূর্তির প্রাণ না থাকলে তারা জাহান্নামের শস্তি ভোগ করবে কী করে? মূলত মূর্তিতেও প্রাণ সঞ্চার সম্ভব হয় বলেই ২১ঃ৯৮-৯৯ আয়াতে আল্লাহ স্বীকার করে নিয়েছে।


২১. সূরা আম্বিয়া
৯৮. তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে। 
৯৯. এই মূর্তিরা যদি উপাস্য হত, তবে জাহান্নামে প্রবেশ করত না। প্রত্যেকেই তাতে চিরস্থায়ী হয়ে পড়ে থাকবে।


 সুতরাং পরস্পরবিরোধী আয়াত বলা মিথ্যাবাদী কোরানের আল্লাহ কখনোই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা হতে পারেনা। কোরানের আল্লাহ ভুয়া সৃষ্টিকর্তা।

লিখেছেন:Bonggoj bihonggo

↑PREVIOUS- ইসলানুনু ভুতি

NEXT-ইসলাম এবং দাসী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ