সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাবনার প্রিজম

১২ বছর ধরে দেশের উন্নয়ন চলতেছে। ১২ বছরের উন্নয়ন মুলক দেশে এখনও লোকে ভাতের অভাবে সুইসাইড করে মরে। চিকিৎসা, শিক্ষা, বস্ত্র,বাসস্থান এসবের কথা গুলো না হয় এড়িয়েই যাই। আবার বলতে গেলে এড়িয়ে যাবার উপায়ও নেই আপনারা এই বিষয়গুলো আমার থেকেও ভালো জানেন, বুঝেন, এবং দেখেন। মধ্যে রাতে ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলে ছিন্নমূল মানুষদের রাস্তার পাশে ঘর-বিছানার অভাবে শুয়ে থাকতে দেখেননি এরকম মানুষও হয়তো কম আছে। শিক্ষার কি করুন দশা সেটা দেখলেই বুঝা যায় আপনাদের আচার-আচরণ আর মানসিকতা গুলোকে। চিকিৎসা কথা আর কি বলা উচিত? ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো সাধারণ রোগেও মরে ভুত হয়ে গেছে আমাদের কত জনগোষ্ঠী। আর বস্ত্রের কথা বলতে গেলে বলতে হয় শীতের সময় সামন্য কিছু মানুষের কম্বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি দেখলেও। এই বিষয় গুলোকে না হয় এড়িয়েই যাই। কিন্তু খাদ্য? শিক্ষিত ভদ্রজনরা যাকে বলে অন্ন। আমার মতো দুই দিনের বৈরাগী ভাতরে বলবে অন্ন এটা হয়তো বেমানান শুনাবে। এই তো সেদিনই বলেছিলাম, অন্ন চিন্তাটা চমৎকার কার? এই চিন্তায় একবার গ্রাস করলে জগতের সমস্ত কাজ কারবার গুলোতে আপনি এগুতে পারবেন না। বলতে হয়তো হবে না,না পেলে মরে যাবো না পে...

জ্যোতিষবিদ্যা (হস্তরেখাবিদ্যা) অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কারের মিশ্রণ

আমাদের সমাজের অনেকগুলি কর্ত্তার ভুতের মধ্যে জ্যোতিষবিদ্যা একটি অন্যতম কর্ত্তার ভুত , যা দীর্ঘদিন আমাদের ঘাড়ে চেপে আছে কর্ত্তার ভুতের মতো , এই কর্তার ভুতকে নিজেরা ঘাড় থেকে ঘাড় ধরে না নামালে নামে না । সামন্ততন্ত্র ও ধনতন্ত্রের কুফলের সাঁড়াশি চাপে আমাদের সমাজের দুর্বল হয়ে যাওয়া লোকজন জ্যোতিষবিদ্যার বশীকরণের মধ্যে ঢুকে হাঁকপাঁক করছে । শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিচালিত এই দেশের সংবাদপত্র ও দূরদর্শনের যে কোনো চ্যানেল খুললেই এদের বিজ্ঞাপন আপনার চোখে পড়বেই , ছাড়া রাস্তাঘাট স্টেশান প্রসাবখানা পায়খানা সর্বত্র এদের বিজ্ঞাপণ । কিছু চ্যানেলতো এই ভন্ড ভবিষ্যৎ বিক্রেতা অসৎ জ্যোতিষীদের রাতদিন বসিয়ে রাখে আপনার ভবিষ্যত বিক্রী করতে । মানুষও যেন বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশ বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছে ।সামন্ততন্ত্র-ধনতন্ত্রের সাঁড়াশি চাপে দুর্বল নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষ নিজের উপর আস্থা ক্রমশ হারিয়ে ফেলেছে , খাদ্য – বস্ত্র –আশ্রয় – শিক্ষা –স্বাস্থ্যর ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে , মানুষ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নিজের উপর ক্রমশ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে এবং এই প্রতারক জ্যতিষিদের শিকার হচ্ছে গায়ে...

পৃথীবি সৃষ্টির মজার ইতিহাস এবং বিজ্ঞান

পৃথিবী সৃষ্টি বা উৎপত্তি সম্পর্কে সব যুগের মানুষের কিছু মতামত রয়েছে। এর কিছু পৌরানিক কাহীনি, ধর্মীয় ব্যাখা এবং বৈজ্ঞানিক মতবাদ। পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে ধর্মীয় মতবাদ:   বেশির ভাগ ধর্ম মনে করেন, পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ বা ঈশ্বর বা কোন দেবতা -ভগবান। ইহুদী ও খ্রিস্টান দের বাইবেলের আদি পুস্তকে সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে,পরমেশ্বর আকাশ,পৃথিবী ও মানুষ সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন। প্রথমনদিন রাত ও দিন,দ্বিতীয় দিন আকাশ,তৃতীয় দিন সমুদ্র ও দিক,চতুর্থ দিন নক্ষত্র, পঞ্চম দিন অসংখ্য প্রাণী এবং ষষ্ঠ দিন মানুষ সৃষ্টি করলেন। সপ্তমদিনে পরমেশ্বর সমস্ত কাজ গুলো সমাধান করলেন। (আদি পুস্তক, বাইবেল ১:১৯-১:২০) কুরআনে একই মত করা হয়েছে। তবে একটি ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় "আল্লাহ স্বর্গ এবং পৃথিবী এর মধ্যেই সবকিছুই ৬ দিনে সৃষ্টি করেছেন" (৩২:৪)। ক্যানানীয় ধর্মে ইলোহিম বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। তবে কত দিনে সৃষ্টি করেছেন এই সব বিষয়ে কোন দিনক্ষণ উল্লেখ নেই। হিন্দু ধর্মে দেবতা ব্রহ্মা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।। বৌদ্ধ ধর্মে বলা হয়"পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা বলে কেউ নেই। জগৎ অন...

ঈশ্বরের মৃত্যু কবে কখন কিভাবে হবে?

অক্সিজেন ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব না। ঠিক তেমনই উপাসনা ছাড়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। মানুষের উপাসনা না পেলে ঈশ্বরের মৃত্যু ঘটে, তাই বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বর মানুষের থেকেও বেশী মরিয়া। এক জন মানুষ মড়ে গেলেও তার বংশধর থাকে, কিন্তু ঈশ্বরের মৃত্যু ঘটা মানে নির্বংশ হয়ে যাওয়া। তাই বেঁচে থাকার যুদ্ধ মানুষ থেকে ঈশ্বরের জন্য বেশী কঠিন। মানুষের উপাসনা পাবার জন্য ঈশ্বরের যুক্তি একটাই, তিনি সব কিছুর স্রষ্টা। আর সেটা বিশ্বাস করাবার জন্য পথ মাত্র দু'টি। একটা হচ্ছে লোভ আর একটা হচ্ছে ভয়। ঈশ্বর প্রথমে তার উপাসনা করার জন্য মানুষকে লোভ দেখান। তার উপাসনা করলে এটা দিব, ওটা দিব; মানুষের আরাধ্য সব জিনিস। আর লোভে যদি কাজ না হয়, তাহলে দেখানো হয় ভয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়া চালানোর জন্য একটি বিধান দেয়া হয়। সেই বিধানের বাইরে যাই থাকে তার সবই অন্যায় ও অনৈতিক। আর বিধানের ভেতরের সব কাজ ঠিক মতো করলেই লোভনীয় সব জিনিস পত্র পাবার হাতছানি। আর বিধানের বাইরের কাজ করলে ভয় ভীতি দেখানো শুরু হয়ে যায়। হীরক রাজার দেশে সিনেমাটি যাদের দেখা আছে, তাদের কাছে হীরক রাজের একটা উক্তি মনে থাকার কথা, "এরা যতো বেশী পড়ে, ততো বেশী ...