সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা

এই যে আমি,এই যে তুমি তোমার আমার আশেপাশে এত সব মানুষ। কোথা থেকে কিভাবে কেন এসেছি আমরা? এর উত্তর কি তুমি জানো? নাকি এই সব ভাবনা তুমি হয়তো কখনো ভাবোই নি কিন্তু দেখো আমি এই সব ভাবনা গুলো নিয়েই পড়ে আ কেউ বলে ঈশ্বর আমাদের পাঠিয়েছেন। আবার কেউ বলে না ঈশ্বর নয় আমরা এই পৃথীবিতে আগে থেকেই ছিলাম আছি থাকবো। আবার কেউ বলতেছে না আমরা আগে মানুষই ছিলাম না। আমাদের আজকের এই শরীর পুরোটাই বিবর্তনের ফলেই হয়েছে। চারদিকে এত সব মানুষের একেক রকম মতবাদ শুনতে শুনতে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমি আসলে কারটা মানবো? কে সত্য কথা বলতেছে? যখন এই ভাবনা তখনই মনে হলো   আসলে তা নয়। আমাকে বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে আসলে সত্য বলতেছে আর কে বলতেছে মিথ্যা। কার কথাতে আছে সত্যিকার অর্থেই যুক্তি.....   

ম্যাক্সিম গোর্কি: সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদী বিপ্লবী সাহিত্যধারার কর্ণধার।

                                                                    লিখেছেনঃ-                                                                     Hossen Shadad   ম্যাক্সিম গোর্কি ছদ্মনামের আড়ালের অ্যালেক্সি ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ; পিতৃপ্রদত্ত এই নাম মুছে দিয়ে গোর্কি নামেই উত্তরকালে তিনি জগদ্বিখ্যাত হন এবং উনিশ শতকে যে কয়েকজন হাতেগোনা সাহিত্যিক বিশ্বসাহিত্যে ঝড় তুলেছেন ম্যাক্সিম গোর্কি নিঃসন্দেহে তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যদিও তিনি উপন্যাস এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন, তথাপি তাঁর গল্পগ্রন্থগুলো তাঁকে সত্যিকারের গোর্কি হয়ে উঠতে অসামান্য অবদান রেখেছেন বলেই মনে করা হয়। গল্পের বেশ চমৎকার গাঁথুনিশৈলি এবং স্বতন্ত্র সৃষ্টিকর্মের মাঝে...

ধর্মের দৃষ্টিকোন হতে নারীর অবস্থান

                                                                 লিখেছেনঃ-                                                                   Rayhan Nil ধর্মের দৃষ্টিকোন হতে নারীর অবস্থান। নারী নিয়ে আমার যত কথা পর্বঃ-০১ আমি এখানে সর্বাধিক প্রচলিত ধর্মের ও ধর্মগ্রন্থের আলোকে নারীর অবস্থান তুলে ধরার প্রচেষ্টা করসি মাত্র। এই পোস্টের কোন লেখাই আমার মনগড়া নয়। সম্পূর্ণ তথ্য হুবুহু মূল গ্রন্থ হতে চয়নকৃত। কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে লেখক কোনোভাবেই দায়ী নয়। 'শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহে তুমি নারী পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারী। লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,-- তোমারে দূর্লভ করি করেছে গোপন। পড়েছে তোমার পড়ে প্রদীপ্ত বাসনা-- অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল...

নবী মুহাম্মদ এর জীবন

পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বলতে গেলে প্রথমেই যার কথা মনে আসে সে হলো ইসলামের নবী মুহাম্মদ। কোন এক অদ্ভুত কারণে কুরআন, হাদিস এবং সীরাতে যে মুহাম্মদকে আমরা চিনি তাকেই আমরা ঐতিহাসিক সত্য বলে ধরে নিয়েছি। আমরা কখনো প্রশ্ন করি না, আসলেই কি মুহাম্মদ বলে কেউ ছিল কিনা অথবা আমরা যে মুহাম্মাদকে চিনি সেই কি আসল মুহাম্মদ নাকি অন্য কেউ। প্রশ্ন করি না, এই মুহাম্মদ কি যীশু মুসার মতই কাল্পনিক নাকি এর আসলেই কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে। এমনকি কখনো খুঁজেও দেখি না সে সময়ের অমুসলিম সোর্সগুলো থেকে পাওয়া তথ্য মুসলিম সোর্সের সাথে মিলিয়ে দেখার। ট্রেডিশনাল ইসলামিক সোর্স কুরআন, হাদিস এবং সীরাত থেকে আমরা জানি মুহাম্মদ ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। প্রাথমিক জীবনে ছিলেন ব্যবসায়ী। ধর্ম প্রচার শুরু করেন ৪০ বছর বয়স থেকে এবং জীবনের বাকি সময়টা অস্ত্রের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার করেই কাটে। মুহাম্মদ সম্পর্কে জানতে কুরআনের দ্বারস্থ হলে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়। সেখানে মুহাম্মদ শব্দটি খুব কমই এসেছে, তিন চারবারের বেশী না। যতবার না মুহাম্মাদের নাম বলা হয়েছে তার...

নাস্তিকতা কি একটি বিশ্বাস বা ধর্ম বিশ্বাস?

নাস্তিকতা কি একটি বিশ্বাস বা ধর্ম? ইংরেজিতে Believe, Trust, Faith এই তিনটি শব্দের অর্থ আগে জেনে নেয়া যাক। যেমন, ভুতে বিশ্বাস করা। এলিয়েনে বিশ্বাস করা। অথবা, বিশ্বাস করা যে, অতীতে আমাদের পুর্বপুরুষ স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল। যার সপক্ষে এই বিশ্বাসী মানুষটি কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও তা তিনি বিশ্বাস করেন। Trust (আস্থা) কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা বা ধারণার আলোকে কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা করা। যেমন আমি আমার অমুক বন্ধু সম্পর্কে আস্থাশীল যে, সে টাকা ধার নিলে আমাকে ফেরত দেবে। বা ধরুন, অমুক পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছাপে বলে আপনি মনে করেন। কারণ, অমুক পত্রিকাটি কয়েকবছর ধরে পড়ার কারণে পত্রিকাটির প্রতি আপনার আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে, আপনার এই আস্থার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে আপনার পুর্ব অভিজ্ঞতা। Faith (বিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাস, বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পরিপূর্ণ বিশ্বাস) যেমন, ইসলাম বিশ্বাস করা। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা। আল্লাহ ভগবান ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখা। বিশ্বাস হচ্ছে, সোজা কথায় যুক্তিহীন কোন ধারণা, অনুমান, প্রমাণ ছাড়াই কোন প্রস্তাব মেনে নেয়া। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্য-প্রমাণ, পর্য...

ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদ

                                                                                 লিখেছেনঃ-                                                                           Sambhunath Majumdar   ধর্মও সাম্রাজ্য বিস্তারে সহায়ক হয়েছে , ইসলামিক ধর্মের আড়ালে আরবীয় সাম্রাজ্যবাদ ও পৃথিবীর পক্ষে কম ক্ষতিকর হয়নি । ধনতন্ত্র সর্বোচ্চ পর্যায়েই শুধু সাম্রাজ্যবাদে উন্নীত হয়না । তাহলে প্রাচীনকালে রাজসূয় যজ্ঞের মাধ্যমে করদ রাজ্য তৈরি করতো না আর্যরা । ঋকবেদেও রাজা সুদাস ও দশ রাজার যুদ্ধের উল্লেখ আছে , রামায়ণে এবং মহাভারতেও আছে মহাকাব্যের নায়ক রামচন্দ্র ও সহনায়ক যুধিষ্ঠীর রাজসূয় যজ্ঞ করেছিল নিজেদের ঘোড়া...

কুলীন ব্রাহ্মণের কন্যা, বিবাহ বণিক এবং রবার্ট মার্টনের সমাজচিন্তা

ব্রাহ্মণদের বহুবিবাহ প্রথার জন্য প্রায় উনবিংশ শতক পর্যন্ত বাঙ্গালী সমাজ কলঙ্কিত ছিল। পশ্চিমবঙ্গ বা রাঢ় অঞ্চলে ব্রাহ্মণের অভাবের কারণে একাদশ শতাব্দীতে উত্তর ভারতের কনৌজ থেকে বাংলায় ৫টি গোত্রের ব্রাহ্মণকে আনা হয় বলে জানা যায়। এরাই বাংলায় কুলীন ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত হয়। এই কুলীন ব্রাহ্মণদের পদবী ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়,  গঙ্গোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় ও ভট্টাচার্য। সামাজিক মর্যাদায় এই কু্লীন ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সমাজের অন্যদের চাইতে, এমনকি অন্যান্য ব্রাহ্মণদের চাইতেও উপরে ছিল। মধ্যযুগে বাংলায় আসার পর, এদের বিবাহের যে প্রচলিত নিয়ম তৈরি হয় তা হল, একজন পুরুষ কুলীন ব্রাহ্মণ কুলীন বা অকুলীন যেকোন ব্রাহ্মণ বংশেই বিয়ে করতে পারবেন, কিন্তু কুলীন ব্রাহ্মণ কন্যার বিয়ে হবে কেবলমাত্র কুলীন বংশেই (যদি কুলীন কন্য কুলীন বংশের বাইরের কাউকে বিয়ে করত তবে তার পিতা কৌলিন্য হারাতো)। তো, কুলীনদের মধ্যে নারী ও পুরুষের এই বৈবাহিক বৈষম্যের ফলাফল কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেখা গেল, কুলীন ব্রাহ্মণ কন্যাদের জন্য পাত্র পাওয়া যায় না। কুলীন পুরুষেরা কুলীন পাত্রী না পেলে ঠিকই অকুলীন কন্যাকে বি...