সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

উপমহাদেশে হিন্দু গণহত্যার ইতিহাস





এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি হিন্দুর দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ইসলামের তলোয়ারের দ্বারা।বর্বর আরব জাতির ইসলামের সমর্থকেরা ৭১২ খ্ৰীষ্টাব্দ থেকেই মেতে উঠেছে ‘কাফের’ হিন্দুদের গর্দান নামিয়ে দেওয়ার খেলায়। পেট্রোডলারের দাসত্ববৃত্তিকারীরা অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ ৮ কোটি হিন্দুর গণহত্যার কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। তাহলেও সেই গণহত্যাগুলিকে ‘অসাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিতে তারা সদা সচেষ্ট।

 কিন্তু বাস্তব এটাই যে,‘কাফের’ হিন্দুদের হত্যা করে তাঁদের মহিলাদের ধর্ষণ ও মন্দিরগুলি ধ্বংস করে সেই মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত দেব-দেবতাদের মূর্তি দিয়ে মসজিদের সিঁড়ি (যাতে সেগুলি পায়ে মাড়িয়ে চরম শান্তি পায় বিশ্বাসী মুসলমানেরা) বানানোর খেলায় সর্বদাই মেতে থাকত মুঘল-সুলতানি বর্বরেরা। আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক–সেই রক্তে ভারতভূমির মাটি কর্দমাক্ত হওয়ার ঘটনাক্রম।


১) মথুরার গণহত্যা : ১০১৮ সালে মহাওয়ান জেলায় প্রায় ৫০,০০০ হিন্দুদের জলে ডুবিয়ে ও তলোয়ারের কোপে হত্যা করা হয়। সেইসঙ্গে হয় সেই জেলার ১,০০০ হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসসাধন।

২) সোমনাথ মন্দিরের গণহত্যা : ১০২৪ সালে গুজরাটের প্রভাস পাটনে ৫০,০০০-এর বেশি হিন্দু হত্যার পর গজনী’র বর্বর মেহমুদ গুজরাট লুট করে ধ্বংস করে সোমনাথ মন্দিরকে।

৩) ১১৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ও ১১৯৬ খ্রীষ্টাব্দে যথাক্রমে আজমেঢ় ও গোয়ালিয়র দুর্গে মোট ২ লাখ হিন্দুহত্যা হয়। প্রথমটির তত্ত্বাবধায়ক ছিল মেহমুদ ঘোরী ও দ্বিতীয়টির নায়ক ছিল কুতুবউদ্দিন আইবক নামক নরপশু।

৪) ১১৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে নালন্দা জেলায় (বিহার) প্রায় ১০, ০০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করে বখতিয়ার খিলজি।

৫) এর কিছুকাল পর ১২৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নেওয়াতের প্রায় সব রাজপুতের (সংখ্যায় ১লাখ) নিধনযজ্ঞ সাধিত হয় গিয়াসুদ্দিন বলবন নামক উন্মত্ত জেহাদীর রক্তপিপাসা শান্ত করার জন্য।

৬) ১৩২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ১২,০০০ নিরীহ হিন্দুর রক্তে প্লাবিত হয় পান্ড্যরাজ বংশের রঙ্গনাথস্বামী মন্দির (শ্রীরঙ্গম)। ১২, ০০০ প্রার্থণারত হিন্দুদের জবাই করে মহম্মদ-বিন-তুঘলকের বর্বর সেনাবাহিনী। একই কায়দায় আজও চলছে অমরনাথ যাত্রীদের হত্যালীলা।



৭) ১৩৫৩ সালে বাংলার ১,৮০,০০০ হিন্দুদের শিরচ্ছেদের কারণে ফিরোজ শাহ তুঘলক তার পশুসম সেনাদের পুরস্কৃত করে।

৮) ১৩৬৬ সালে বিজয়নগরের পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে ঘটে এক বিভৎস হিন্দুমেধ যজ্ঞ। ৫,০০,০০০ হিন্দু হত্যা হয় বাহামনী’র মুসলিম সেনাবাহিনী দ্বারা। শুধু রায়চূড় দোয়াবেই ৭০,০০০ হিন্দুর (সব বয়সের) হত্যা হয়। রেহাই পাননি গর্ভবতী হিন্দু মহিলারাও। সেই জেলাগুলি পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে।

৯) ১৩৯৮ সালে হরিয়ানায় তিমুরের হিংস্র, বর্বর ও উন্মত্ত নরপশুসম সেনা প্রায় ৪৫ লাখ হিন্দুর শিরচ্ছেদ করে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ওই কথা খাঁটি সত্য। তিমুর নামক নরপশুর নিজেরই বয়ান অনুযায়ী তার প্রত্যেক সেনা অন্ততঃ ৫০ থেকে ১০০ হিন্দু হত্যা করেছিল। তাহলে, তার ৯০,০০০ লোকের/ নরপশুর সেনাবাহিনী অন্ততঃ যে ৪৫ লাখ হিন্দু হত্যা করেছিল, সেকথা জলের মতো স্পষ্ট। সত্যিই, বাস্তব বড় রূঢ়। ১৩৯৮-এ এই তিমুর নামক নরপশু ভাটনের দুর্গের সব হিন্দুদের হত্যা করে। ঐ বছরের ডিসেম্বরে গাজিয়াবাদের লোনিতে প্রায় ১লাখ হিন্দু মহিলা ও শিশুদের বন্দী করে হত্যা করে এই একই নরপশু।
১৩৯৮ সালে দিল্লির প্রায় দেড় লাখেরও বেশি হিন্দুর গণহত্যা হয় তিমুরের হাতে। এই নরসংহার ও হিন্দুরক্ত দিয়ে হাোলি খেলার পর সেই নরপশু আনন্দ করে বলে, “মুসলিম সৈয়দ, উলেমা ও মুসলিম জনগণ ছাড়া পুরো শহরকে আমি ছারখার করেছিলাম”। তারপর দিল্লিতে হিন্দু মৃতদেহের খুলি দিয়ে পিরামিড বানানো হয়। বাকি জীবিত হিন্দুদের দাস বানিয়ে নেওয়া হয়। ১৩৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে মীরাটে ৩লাখ হিন্দুর রক্তবন্যা বয়ে যায় তিমুরের সেনাদের হাতে। কারণ কি ছিল জানেন? তিমুরের সেনারা হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করতে চাইলে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করেন। ‘গণিমতের মাল’-দের ধর্ষণের প্রতিবাদ ? ‘কাফের’-দের এতো সাহস ?

১০) ১৫২৭ -এর মার্চে উদয়পুর রাজ্যের খানুয়ায় ২লাখ হিন্দুর গণহত্যা হয়। এর মধ্যে ১লাখ রাজপুত বীরযোদ্ধা ছাড়াও ছিলেন সাধারণ নিরীহ হিন্দুরাও।
এই হত্যালীলার নায়ক-‘বর্বর বাবর’।এরপর ১৫৬০-এ হয় গরহা-কাটাঙ্গা রাজ্যের ৪৮,০০০ হিন্দু চাষীর গণহত্যা। হত্যাকরী আর কেউ না।আমাদের ‘সেকু’ বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত প্রিয় আকবর।

১১) ১৫৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে বিজয়নগর প্রত্যক্ষ করে ১লাখেরও বেশি হিন্দুর রক্তবন্যা। সুলতানি সেনারা এই সময়েই সেই শহরের অপূর্ব ভাস্কর্যমন্ডিত মন্দিরগুলির ধ্বংসসাধন করে। ১৫৬৮-র ফেব্রুয়ারীতে উদয়পুর রাজ্যের চিতোর দুর্গে আকবরের নির্দেশে ৩০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয়। ৮,০০০ রাজপুত রমনী জেহাদী পশুদের থেকে নিজেদের দেহরক্ষার জন্য "জহরব্রত’ পালন করে ঝাঁপ দেন আগুনে। আর আজ কিনা হিন্দু বালিকারা পড়ছে ‘লাভ জিহাদ'-এর খপ্পরে? ছিঃ ছি! কি হল আমাদের সংস্কৃতির ?

১২) (১৬৬৮—১৭০৭) সালের মধ্যে সংঘটিত আজ পর্যন্ত হওয়া সমস্ত গণহত্যার সবচেয়ে কালো অধ্যায়। আমাদের এই ভারতভূমিতে। প্রায় ৪৬ লাখ হিন্দুর হত্যা হয় নরপশু ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে।
এমনই এক হিন্দুগণহত্যা’র ঘটনা ঘটে বারানসীতে। সেখানে প্রায় ১,৫০,০০০ ব্ৰাহ্মণের নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ঔরঙ্গজেব গঙ্গা ঘাট ও হরিদ্বারে হিন্দু ব্ৰাহ্মণের খুলি দিয়ে তৈরি করে এক পাহাড়,যা দেখা যেত ১০ মাইল দূর থেকেও! সত্যি, জানোয়ারেও যা করে না, ইসলামী জেহাদীরা তাও হাসতে হাসতে করে।

১৩) (১৭৩৮– ১৭৪০) সালে উত্তর ভারতে পারস্যের হামলাকারীরা ৩লাখের মতো হিন্দুর রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল।

১৪) লাহোরের কাছে ১৭৪৬-এ শিখদের দিতে হয়েছিল অমুসলিম হওয়ার মূল্য। প্রায় ৭,০০০ শিখদের হত্যা হয়েছিল জেহাদীদের হাতে। ১৭৬৩-তে পাঞ্জাবে প্রায় ৩০,০০০ শিখদের মেরে আফগান মুসলিম জেহাদীরা শিখ জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

১৫) ১৭৬১ সালে পানিপথের যুদ্ধে প্রায় ৭০,০০০ মারাঠী পুরুষ ও ২২,০০০ মারাঠী মহিলা ও শিশুদের দাস বানানো হয়।আফগান মুসলিমরা বড্ড মজা পেয়েছিল এত ‘গণিমতের মাল’ পেয়ে।



১৬) ম্যাঙ্গালোরে (শ্রীরঙ্গপত্তমে) প্রায় ৫,৬০০ দেশীয় খ্রীষ্টানদের হত্যা করা হয়েছিল টিপু সুলতান নামক নরপশুর নেতৃত্বে। এই নরপশুরাই কিন্তু ভারতীয় মুসলিমদের চোখে হিরো বা নায়ক। তাহলে এই হিরোর ফ্যানদের উদ্দেশ্য কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ভারতীয়দের হিন্দুরা ?

১৭) ১৯২২-এ মোপলা বিদ্রোহের সময় ১০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয় কেরালার মালাবারে। প্রায় ১লাখ হিন্দুর বিতাড়নও হয় সেখান থেকে। এর কৃতিত্ব গান্ধীর খিলাফৎ আন্দোলনের মুসলিম নেতাদের। পরে এরাই দেশভাগ করেও এখানেই থেকে যায় অবশিষ্ট ভারতকেও পাকিস্তান বানাতে।

১৮) ১৯৪৬-এর ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৭ই আগষ্টে হওয়া ‘দ্য গ্রেট ক্যালাকাটা কিলিং’-এর শিকার হন ১০,০০০ হিন্দু। কোলকাতায় হিন্দু হত্যা হয় পাইকারী রেটে। মুসলিম লীগের নরপশুরা কোলকাতার পর নোয়াখালিতেও সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে (১৯৪৬) ৫,০০০ হিন্দুর কোরবানী’ করে।১লাখ হিন্দুর ঠাই হয় ‘রিলিফ ক্যাম্পে’। পরে ভারত ভাগের সময় ১৪ই এপ্রিল ও ১৫ই এপ্রিল-এই দুই দিনে শুধু দিল্লিতে হত্যা হয় প্রায় ২৫,০০০ হিন্দুর। সারা ভারতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১লাখ ৪০ হাজার।কংগ্রেসী সেকুলার নেতারা তখন অহিংসার বুলি আউড়ে বেড়াচ্ছিল। অবশ্যই শুধু হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলিতে!

১৯) ১৯৬৯-এ গুজরাতে বর্বর জেহাদীরা প্রায় ২০০ হিন্দুদের হত্যা করে। প্রত্যক্ষ মদতদাতা ছিল তৎকালীন কংগ্রেসের গুজরাত রাজ্য সরকার।

২০) একইভাবে হত্যা হয় ৫০০ বাঙালী হিন্দু শরণার্থীদের। স্থান ছিল ত্রিপুরার মান্তাই। সাল ১৯৮০।
২১) হাজারিবাগে ১৯৮৯-এর সেপ্টেম্বরে ৫৩ জন হিন্দুকে ও অক্টোবরে (১৯৮৯) প্রায় ৩৩১ জন হিন্দুকে জেহাদীরা হত্যা করে।

২২) ‘স্বাধীন’ ভারতে ১৯৯০ থেকে কাশ্মীরে শুরু করা হয় “হিন্দুমেধ যজ্ঞ”। প্রায় ৫০০ হিন্দুকে মারা হয় ও প্রায় ২লাখ কাশ্মীরী হিন্দু পন্ডিতদের বাধ্য করা হয় তাঁদের নিজের সম্পত্তি ত্যাগ করে কাশ্মীর ছাড়তে।
এরপর ১৯৯৮-এ ওয়ানাধামায় ২৩ জন হিন্দুকে গুলি করে মারা হয়। তারিখটা ছিল ২৫শে জানুয়ারী। ওই বছরেরই ১৭ই এপ্রিল মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে (প্রাণকোটে), ২৬ জন হিন্দুকে আবারও হত্যা করে। না, এখানেই শেষ নয়। ১৯শে জুন (১৯৯৮) কাশ্মীরের চাপনারিতে আরও ২৫ জন হিন্দুর গণহত্যা হয় মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা।
১৯৯৮-তেই ৩৫ জন হিন্দুর (৩ রা আগষ্ট) হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলাতেও হত্যা হয়।
১৯৯২-এর ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারী মাসে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাই প্রত্যক্ষ করে ২৭৫ জন হিন্দুর গণহত্যা। হত্যাকারীরা সেই জেহাদী নরপশুরাই।
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা নেতারাও মুসলিম তোষণের জন্য হিন্দু হত্যায় মোটেই পিছুপা না। হিন্দু হত্যাই যে মুসলিম ভোট পাবার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চাবিকাঠি! তাই তো ১৯৯০ সালের ৩০শে অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের রামজন্মভূমি অযোধ্যাতেও অসংখ্যা হিন্দুর মৃত্যু হয় ‘মৌলানা” মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশে পুলিশের গুলি চালনায়।১৯৯৪ সালের (১ম-২য়) অক্টোবরেও মারা হয় একইভাবে গুলি করে আরো ৬ জন হিন্দুকে।

২৩) মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা ২০০০ সালের ১লা আগষ্ট ৩০ জন অমরনাথ যাত্রীদের নৃশংভাবে হত্যা করে। এই “স্বাধীন” ভারতেরই অঙ্গরাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে ২০০১ সালের ৩রা আগষ্ট কিশতোয়ার গণহত্যা কাণ্ডে শহীদ হতে হয় আরও ১৯ জন হিন্দুদের - সেই ইসলামীক জেহাদীদেরই হাতে।

২৪) আরও এক বর্বর ঘটনা ঘটে ২০০২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী। স্থান- গুজরাটের আহমেদাবাদ। গোধরায় ৫৯ জন হিন্দুদের কংগ্রেসের এক মুসলিম কাউন্সিলারের নেতৃত্বে জেহাদী ও উন্মত্ত সন্ত্রাসীরা জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এই কাজে ১০০০-২০০০ মুসলিমের মদত ছিল আর এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে ৩১ জন জেহাদী মুসলিম।শুধু তাই না- এর পরদিন (২৮ শে ফেব্রুয়ারী) দাঙ্গায় মৃত্যু হয় আরও ৭৯০ জন হিন্দুর।

২৫) ২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রঘুনাথ মন্দিরে জেহাদী হামলা হয় ২ বার। ২৮শে ফেব্রুয়ারী আর ২৪শে নভেম্বর। প্রথম হামলায় ১৪ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। মোট আহত হন ৬৫ জন হিন্দু। ২০০২ সালের ১৩ই জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের কাশিমনগরে ২৯ জন হিন্দুর গণহত্যা হয় মুসলিম জেহাদীদের দ্বারা। ওই সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর গুজরাটের অক্ষরধামে মন্দিরে হামলা করে জেহাদী নরপশুরা হত্যা করে ২৯ জন হিন্দুদের। আহত হন ৭৯ জন হিন্দু। ওই সালের ১৪ই মে-র হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের বালুচকে ভারতীয় সেনা ও হিন্দু জনতা মিলিয়ে হত্যা হয় ৩১ জনের।
২০০২ সালে এত জায়গায় এত হিন্দুর হত্যা হলেও মেকি সেক্যুলার বুদ্ধিজীবিরা শুধু গোধরা পরবতী কান্ড নিয়েই ব্যস্ত। এমনকি গোধরাতেও যে প্রায় ৮০০ জন হিন্দুর মৃত্যু হল তা নিয়ে তারা নির্বিকারে। হিন্দু প্ৰাণের কোন দামই যে নেই এই পেট্রেডলারের দাসত্ববৃত্তিকারীদের কাছে।

২৬) ২০০৬ সালে মার্চে বারানসীতে বোমা বিস্ফোরণ প্রাণ নেয় ২৮ জন হিন্দুর। সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দিরে পূজারত, প্রার্থনায় ব্যস্ত ২০১ জন হিন্দু আহত হন।
মিলিয়ে দেখুন আগের ঘটনাগুলির সাথে। এদের পূর্বপুরুষেরা একইভাবে, একই কায়দায় সোমনাথ মন্দিরে হিন্দু হত্যা করেছিল। করেছিল অন্যান্য মন্দিরগুলিতেও | সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। আগে শুধু ব্যবহার হত তরবারী, আর এখন হচ্ছে বন্দুক আর বোমা।

২৭) ২০০৬ সালের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় হয় আরও এক গণহত্যা। ইসলামী জেহাদীরা হত্যা করে। ৩৫ জন নিরীহ হিন্দুকে।

২৮) ২০০৮-এর ২৬শে নভেম্বর মুম্বইয়ে পাকিস্তানী নরপশুরা ১৬৪ জন অ-মুসলিমদের হত্যা করে। আহত হন ৬০০-রও বেশি। ১১ জন ইসরায়েলি ইহুদীদের হত্যা করার আগে তাঁদের ওপর হয় অমানবিক অত্যাচার। যৌনাঙ্গ (তাঁদের) চিরে দেওয়া হয় ব্লেড দিয়ে। নিজেদের লুটেরা ও খুনী পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সুন্দরভাবে ধরে রাখা একেই তো বলে!

২৯) ২০১২-য় আসামে কংগ্রেস সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা জুলাই মাসে আসামের বোড়ো, খ্ৰীষ্টান ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে। নিহত হন ৭৭ জন। বহিরাগত মুসলিমদের (বাংলাদেশীদের) দিয়ে দেশের হিন্দু নাগরিকদের হত্যাও চলে এই ভোট ভিখারী নেতাদের দেশে।

৩০) ২০১৩-য় উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে মুসলিম দুষ্কৃতীরা এক হিন্দু মেয়ের সম্মান নিয়ে খেলা করলে, সেই মেয়ের ভাই প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করে মুসলিমরা। ক্ষমা না চেয়ে (এই জঘন্য কাজের জন্য) বরং মুসলিমরাই দাঙ্গা বাধিয়ে ওই সালের ২৫শে আগষ্ট থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০ জন হিন্দুকে হত্যা করে। আহত ও গৃহহীন হন প্রায় ৯৩ জন। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সরকার নির্দেশ জারি করে যে, সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা হবে শুধু দাঙ্গাপীড়িত মুসলিমদেরই, দেশভক্ত ও শৌর্যবীর্যের প্রতীক হিন্দু জাতিদের সেখানে NO ENTRY। এইতো আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা। ওই রাজ্যেই ২০১৪ সালের ২৫শে জুলাই সাহারাননুর দাঙ্গায় ৩জনের (শিখ) মৃত্যু হয়।

এই লিস্ট কিন্তু Never ending। এই তো, অমরনাথ যাত্রীরা আবার শহীদ হলেন এই সেদিনও। তাই, হিন্দুদের ভাবতে হবেই যে, ৭১২ খ্ৰীষ্টাব্দ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর ধরে যারা শুধু হিন্দু নিধনযজ্ঞে মেতে আছে, তাদের সাথে একসাথে থাকার আবার বৃথা চেষ্টা করবে নাকি শিবাজী, গুরু গোবিন্দ সিং-এর মতো দেশ, জাতি, ধর্ম ও সর্বোপরি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার শেষ ও মরণপণ চেষ্টা করবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। সময় কিন্তু বয়ে চলেছে। ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয়না ইতিহাস তাদের কখনো ক্ষমা করে না। কারণ, History repeats itself। হিন্দুরা কি চায়? সোমনাথ মন্দির বা হিন্দুকুশের গণহত্যায় লক্ষ লক্ষ হিন্দুর হত্যা আবার হোক ? নিশ্চয় না। তাহলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় না হয়ে থেকে এখন থেকেই হিন্দু রক্ষার দায়িত্ব হিন্দুদেরকেই নিজেদের কঁধে তুলে নিতে হবে।

কৃতজ্ঞতাঃ স্বদেশ সংহতি সংবাদ।
পূজা সংখ্যা ২০১৭; পৃষ্ঠা-২২.

কৃতজ্ঞতা: Rezaul Manik
perv post
next post

মন্তব্যসমূহ

  1. এত হত্যা আশ্চর্য। এগুলার বইয়ের রেফারেন্স দিলে ভাল হতো।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...