সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কে মুসলমান? কারা মুসলমান নামের ভণ্ড?



মুসলমান নামের অন্ধবিশ্বাসী মূর্খ ভণ্ডে দেশ বিদেশ ভরে গেছে, তাই দেশে বিদেশে তাদের দ্বারা এতো দুর্নীতি, ধর্ষণ, সন্ত্রাস অনাচার। অন্ধবিশ্বাসী নামাজী মুসলমান বিসমিল্লাহ্‌ বলে ধর্ষণ করে, ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে, আল্লাহু আকবর বলে মানুষ খুন করে। মূর্খতা অজ্ঞতার কারণে তারাই আবার বুক ফুলিয়ে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দেয়।

আংশিকভাবে ইসলাম মানা অর্থাৎ শুধু বিশ্বাস করা আল্লাহ বলে একজন আছে, কোরান সেই আল্লাহর নাজিল করা কিতাব, তার উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ ও সন্তুষ্টিমূলক কিছু কথা বলে নামাজ পড়াই কি শুধুমাত্র ইসলাম?


ইসলাম কি শুধুমাত্র বিশ্বাস করার নাম, নাকি আমল করা, কায়েম করা বা কোরান-সুন্নাহ বাস্তকবায়ন করার নাম ইসলাম? কোরান-সুন্নায় লাথি মেরে তাগুত তথা মানবরচিত আইনের উপর আনুগত্য আনলে কি আর সে কখনো মুসলমান থাকে? কোরান-সুন্নায় লাথি মেরে তাগুত তথা মানবরচিত আইনের উপর আনুগত্য এনে কেউ নামাজ পড়লে রোজা রাখলেই কি সেই নামাজ-রোজা কখনো কোরান অনু্যায়ী কবুল হবার কথা?

সকালে শয়তানের মূর্তির সামনে পূজা করে বিকালে আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদে নামাজ পড়লে যেমন সে নামাজ কখনো কোরান অনুযায়ী কবুল হবেনা, তেমনি কোরান-সুন্নায় লাথি মেরে মানবরচিত সংবিধান মানার অঙ্গীকার করে কেউ নামাজ পড়লে তার নামাজ সময় নষ্ট করে উঠবস করা ছাড়া আর কিছুই নয়।


কিছু মূর্খ-বেকুব মুসলমান গর্ব করে প্রচার করে ইসলামের প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে ইউরোপ আমেরিকায় হু হু করে ইসলাম বাড়ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে দেশে ইসলামী শান্তির গুঁতাগুঁতির ঠেলায় আল্লাহর উপর ঈমান ও আস্থা হারিয়ে জীবন বাঁচাতেই জন্মভূমি থেকে মুসলমানরা ইউরোপ আমেরিকায় হিজরত করে সেখানকার মুসলমানের সংখ্যা বাড়িয়েছে, বাড়াচ্ছে। গণতন্ত্রের উদার আইনের সুযোগেই বর্বর পাশবিক ইসলাম বেঁচে আছে। সৌদি আরবে, ইরানে ইউরোপ আমেরিকার মতো গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হলে ইসলাম ত্যাগের জোয়ার সৃষ্টি হবে। আল্লাহর গালে জুতাপেটা করে তার পাছায় লাথি মেরে মুখে আল্লাহ আকবর বলে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দেওয়ার মতোই কোরান-সুন্নায় লাথি মেরে ইউরোপ আমেরিকার তাগুতি আইন মেনে সেখানে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দেওয়া।


বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তাকে হতে হবে সর্বোজ্ঞ, সেই সৃষ্টিকর্তা মানুষের মন বুঝেই তার জন্য আইনকানুন জীবনবিধান দিবে সেটাই স্বাভাবিক। যে আইন বা বিধান কখনো মানা যায়না, সে আইন বা বিধান কখনোই কোনো সত্যিকারের বিশ্বজগতের দেওয়া জীবনবিধান হতে পারেনা। সুতরাং না মানতে পারা ও অকার্যকর ভুলে ভরা কোরানের জীবনবিধান নিশ্চয়ই কোনো ভুয়া সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দেওয়া জীবনবিধান।

কোরান-সুন্নাহ না মানা, আংশিকভাবে মানা অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান যত তাড়াতাড়ি এসব বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পেরে ভুলেভরা মিথ্যাচারের ইসলাম ত্যাগ করে মুসলমান থেকে মানুষ হবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল। সজ্ঞানে আজীবন কোরান-সুন্নাহ অমান্য করে যারা শেষ জীবনে তওবা করে জান্নাতের টিকিট পাওয়ার আশায় আছেন, তারা হয়তো জানেননা যে, যারা জেনেশুনে কোরানের আইন অমান্য করবে, কোরান অনুযায়ী তাদের তওবা কখনোই গ্রহণ করা হবেনা (কোরান - ০৪ঃ১৮)।


০০৬. সূরা আল্-আন্‌-আম
১৫৫ এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর— যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।

০০৫. সূরাতুল মায়েদাহ
৪৪. যেসব লোক আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই জালেম।

০০২. আল্-বাক্বারাহ
৮৫. অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমন করছ।আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্যে অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ্ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।


০৩৩. সূরা আল-আহযাব
৩৬. আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। 

০০২. সূরা আল্-বাক্বারাহ
২০৮. হে ঈমানদারগন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না- নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।
২০৯. অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিষ্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।

সজ্ঞানে আজীবন কোরান-সুন্নাহ অমান্য করে যারা শেষ জীবনে তওবা করে জান্নাতের টিকিট পাওয়ার আশায় আছেন, তারা জেনে রাখুন, জেনেশুনে কোরানের আইন অমান্য করলে, কোরান অনুযায়ী তাদের তওবা কখনোই গ্রহণ করা হবেনা।

০৪. সূরা আন্-নিসা
১৮. আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।


লিখেছেন- Bonggoj Bihonggo
↑PREVIOUS-একনায়ক প্রথমপর্ব 

NEXT-সাপ্তাহিক ধর্মীয় ব্যাঙগানিক প্রশ্ন পর্ব ২

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...